ঢাকা ১১:১১ অপরাহ্ন, বুধবার, ১০ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ২৬ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
নোয়াপাড়া পথেরহাট থেকে মাওলা আলী জামে মসজিদ সড়ক সংস্কারের আহ্বান এলাকাবাসীর শ্যামনগর জলবদ্ধতা নিরসনের দাবিতে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের নিকট স্মারকলিপি প্রদান ৩১ দফা ভিন্নভাবে উপস্থাপন করে প্রশংসিত হলো বাকৃবি ছাত্রদল আগামী নির্বাচনকে সামনে রেখে জনগণের দ্বারে দ্বারে যেতে হবে — আলতাফ হোসেন চৌধুরী দুমকিতে গণছুটির কারণে বিদ্যুৎ অফিস অচল, ভোগান্তিতে সাধারণ জনগণ কবর জিয়ারত ও গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণে নিহত পরিবারের খোঁজখবর নিলেন দুমকি  উপজেলা বিএনপি ১২ই রবিউল আউয়াল আসলে আশেকদের মন উৎফুল্লতায় ভরে উঠে- মাওলানা মনসুর পটুয়াখালীতে জিপিএ-৫ কৃতী শিক্ষার্থীদের সংবর্ধনা ঝিনাইদহে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে যুবককে কু পি য়ে জ-খ-ম চট্টগ্রামে ‘উত্তম বাবুর্চি ক্যাটারিং সার্ভিস’ মানসম্মত খাবার পরিবেশের অঙ্গীকার

পবিপ্রবিতে ফ্যাসিবাদ, দুর্নীতি ও অনিয়ম তদন্তে জিয়া পরিষদের ২ দিনের আল্টিমেটাম

নিজস্ব প্রতিনিধি
  • আপডেট সময় : ০২:০২:১৯ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৮ অগাস্ট ২০২৫ ৩৭ বার পড়া হয়েছে


‎মোঃ সজিব সরদার,‎স্টাফ রিপোর্টারঃ পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (পবিপ্রবি) ফ্যাসিবাদীদের বিচার, দুর্নীতি ও অনিয়ম তদন্তের দাবিতে কঠোর অবস্থান নিয়েছে জিয়া পরিষদ কর্মকর্তা ইউনিট। তাদের ৫ দফা দাবির বাস্তবায়নে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে ২ কার্যদিবসের আল্টিমেটাম দিয়েছে সংগঠনটি।‎গত ২৭ আগস্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের জিয়া পরিষদ কর্মকর্তা ইউনিটের এক জরুরি সাধারণ সভায় এ সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। সভায় সদস্যরা অভিযোগ করেন, গত ১১ আগস্ট বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছে ৫ দফা দাবির স্মারকলিপি জমা দেওয়ার পর ১০ কার্যদিবস পেরিয়ে গেলেও প্রশাসন থেকে দৃশ্যমান কোনো অগ্রগতি দেখা যায়নি।
‎সভা শেষে জিয়া পরিষদের নেতৃবৃন্দ বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রারের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন এবং ক্ষোভ প্রকাশ করে আগামী ২ কার্যদিবসের মধ্যে অগ্রগতি না হলে সাংবাদিক সম্মেলন ডেকে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের গঠিত তদন্ত কমিশন থেকে একযোগে পদত্যাগের ঘোষণা দেন। পাশাপাশি তারা দুর্নীতি দমন কমিশনে (দুদক) আনুষ্ঠানিক অভিযোগ দাখিল করবেন বলে সতর্ক করেন।
‎জিয়া পরিষদের উত্থাপিত ৫ দফা দাবি:
‎১. ফ্যাসিবাদে জড়িত শিক্ষক-কর্মকর্তাদের বিভিন্ন দপ্তর থেকে দ্রুত অপসারণ ও দোষীদের শাস্তি নিশ্চিতকরণ।
‎২. খণ্ডকালীন নিয়োগপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের স্থায়ী নিয়োগ।
‎৩. সিনিয়র পদগুলোতে সিনিয়র কর্মকর্তাদের দায়িত্ব প্রদান।
‎৪. অর্থ ও হিসাব শাখার ২ কোটি ৯ লাখ ১৪ হাজার ৯৯ টাকা আত্মসাতের ঘটনার সুষ্ঠু বিচার।
‎৫. ১০০ কোটি টাকার উন্নয়ন প্রকল্পের টেন্ডার প্রক্রিয়ায় আর্থিক অনিয়ম ও স্বজনপ্রীতির অভিযোগ তদন্ত।

‎দুদক ইতোমধ্যে অর্থ ও হিসাব শাখার টাকার আত্মসাতের অভিযোগ তদন্ত শুরু করেছে, তবে বাকি দাবিগুলোতে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের নীরব ভূমিকা ক্ষোভ বাড়াচ্ছে বলে জানিয়েছে জিয়া পরিষদের নেতারা।‎পবিপ্রবি জিয়া পরিষদের সাধারণ সম্পাদক ড. হাচিব মোহাম্মদ তুষার বলেন,“ফ্যাসিবাদীদের শাস্তি এবং দুর্নীতির সুষ্ঠু তদন্ত ছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ে সুষ্ঠু প্রশাসনিক পরিবেশ ফিরবে না। আমরা চাই প্রশাসন দ্রুত পদক্ষেপ নেয়।‎পবিপ্রবি জিয়া পরিষদের সভাপতি মো. আবুবকর সিদ্দিক বলেন,“দাবি পূরণে প্রশাসনের গড়িমসি বরদাস্ত করা হবে না। প্রয়োজনে দুর্নীতির বিরুদ্ধে কঠোর আন্দোলনে যেতে বাধ্য হবো।”বিশ্ববিদ্যালয়ের অভ্যন্তরীণ সূত্রে জানা যায়, সাম্প্রতিক সময়ে নিয়োগ, পদোন্নতি এবং প্রকল্প বাস্তবায়ন নিয়ে নানা অভিযোগে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভেতরে উত্তেজনা বিরাজ করছে। শিক্ষার্থী ও কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মধ্যে প্রশাসনের নীরবতায় অসন্তোষ দিন দিন বাড়ছে।
‎‎জিয়া পরিষদের সদস্যরা আশা প্রকাশ করেছেন, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন দ্রুত পদক্ষেপ নিয়ে ফ্যাসিবাদ, দুর্নীতি ও অনিয়মের বিরুদ্ধে দৃশ্যমান ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।


নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য

দৈনিক বাংলাদেশের চিত্র একটি অনলাইন নিউজ পোর্টাল। এই পত্রিকার মূল স্লোগান হলো "সত্য প্রকাশে আপোষহীন"।আমরা এ দেশের নিপীড়িত ও নির্যাতিত মানুষের কথা বলি।একজন অসহায় মানুষের পাশে দাড়িয়ে অন্যায় প্রতিরোধে সাহায্য করতে আমরা সর্বদা অঙ্গীকারবদ্ধ।দৈনিক বাংলাদেশের চিত্র পত্রিকা গনমানুষের কথা বলে।
ট্যাগস :

পবিপ্রবিতে ফ্যাসিবাদ, দুর্নীতি ও অনিয়ম তদন্তে জিয়া পরিষদের ২ দিনের আল্টিমেটাম

আপডেট সময় : ০২:০২:১৯ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৮ অগাস্ট ২০২৫


‎মোঃ সজিব সরদার,‎স্টাফ রিপোর্টারঃ পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (পবিপ্রবি) ফ্যাসিবাদীদের বিচার, দুর্নীতি ও অনিয়ম তদন্তের দাবিতে কঠোর অবস্থান নিয়েছে জিয়া পরিষদ কর্মকর্তা ইউনিট। তাদের ৫ দফা দাবির বাস্তবায়নে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে ২ কার্যদিবসের আল্টিমেটাম দিয়েছে সংগঠনটি।‎গত ২৭ আগস্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের জিয়া পরিষদ কর্মকর্তা ইউনিটের এক জরুরি সাধারণ সভায় এ সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। সভায় সদস্যরা অভিযোগ করেন, গত ১১ আগস্ট বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছে ৫ দফা দাবির স্মারকলিপি জমা দেওয়ার পর ১০ কার্যদিবস পেরিয়ে গেলেও প্রশাসন থেকে দৃশ্যমান কোনো অগ্রগতি দেখা যায়নি।
‎সভা শেষে জিয়া পরিষদের নেতৃবৃন্দ বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রারের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন এবং ক্ষোভ প্রকাশ করে আগামী ২ কার্যদিবসের মধ্যে অগ্রগতি না হলে সাংবাদিক সম্মেলন ডেকে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের গঠিত তদন্ত কমিশন থেকে একযোগে পদত্যাগের ঘোষণা দেন। পাশাপাশি তারা দুর্নীতি দমন কমিশনে (দুদক) আনুষ্ঠানিক অভিযোগ দাখিল করবেন বলে সতর্ক করেন।
‎জিয়া পরিষদের উত্থাপিত ৫ দফা দাবি:
‎১. ফ্যাসিবাদে জড়িত শিক্ষক-কর্মকর্তাদের বিভিন্ন দপ্তর থেকে দ্রুত অপসারণ ও দোষীদের শাস্তি নিশ্চিতকরণ।
‎২. খণ্ডকালীন নিয়োগপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের স্থায়ী নিয়োগ।
‎৩. সিনিয়র পদগুলোতে সিনিয়র কর্মকর্তাদের দায়িত্ব প্রদান।
‎৪. অর্থ ও হিসাব শাখার ২ কোটি ৯ লাখ ১৪ হাজার ৯৯ টাকা আত্মসাতের ঘটনার সুষ্ঠু বিচার।
‎৫. ১০০ কোটি টাকার উন্নয়ন প্রকল্পের টেন্ডার প্রক্রিয়ায় আর্থিক অনিয়ম ও স্বজনপ্রীতির অভিযোগ তদন্ত।

‎দুদক ইতোমধ্যে অর্থ ও হিসাব শাখার টাকার আত্মসাতের অভিযোগ তদন্ত শুরু করেছে, তবে বাকি দাবিগুলোতে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের নীরব ভূমিকা ক্ষোভ বাড়াচ্ছে বলে জানিয়েছে জিয়া পরিষদের নেতারা।‎পবিপ্রবি জিয়া পরিষদের সাধারণ সম্পাদক ড. হাচিব মোহাম্মদ তুষার বলেন,“ফ্যাসিবাদীদের শাস্তি এবং দুর্নীতির সুষ্ঠু তদন্ত ছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ে সুষ্ঠু প্রশাসনিক পরিবেশ ফিরবে না। আমরা চাই প্রশাসন দ্রুত পদক্ষেপ নেয়।‎পবিপ্রবি জিয়া পরিষদের সভাপতি মো. আবুবকর সিদ্দিক বলেন,“দাবি পূরণে প্রশাসনের গড়িমসি বরদাস্ত করা হবে না। প্রয়োজনে দুর্নীতির বিরুদ্ধে কঠোর আন্দোলনে যেতে বাধ্য হবো।”বিশ্ববিদ্যালয়ের অভ্যন্তরীণ সূত্রে জানা যায়, সাম্প্রতিক সময়ে নিয়োগ, পদোন্নতি এবং প্রকল্প বাস্তবায়ন নিয়ে নানা অভিযোগে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভেতরে উত্তেজনা বিরাজ করছে। শিক্ষার্থী ও কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মধ্যে প্রশাসনের নীরবতায় অসন্তোষ দিন দিন বাড়ছে।
‎‎জিয়া পরিষদের সদস্যরা আশা প্রকাশ করেছেন, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন দ্রুত পদক্ষেপ নিয়ে ফ্যাসিবাদ, দুর্নীতি ও অনিয়মের বিরুদ্ধে দৃশ্যমান ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।