ঢাকা ০৩:৩২ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১৪ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
নতুন কুঁড়ি ও মার্কস অলরাউন্ডার কৃতিত্বে ফেনীর দুই শিক্ষার্থী কুতুবদিয়া কালী মন্দিরে শারদীয় দুর্গাপূজা উপলক্ষে মতবিনিময় সভা রাজাপুরে ধানের শীষের পক্ষে গোলাম আজম সৈকতের গণসংযোগ শার্শায় সাংবাদিক মনি’র মুক্তির দাবিতে মানববন্ধন কাউখালি বেকুটিয়ায় বিশ্ব নদী দিবস ২০২৫ইং পালিত শাল্লায় বাংলাদেশ মাদ্রাসা শিক্ষক কর্মচারী ফোরাম’র উপজেলা শাখায় কমিটি গঠন করা হয় বিশ্ব নদী দিবস ২০২৫ উপলক্ষে গ্রীন ভয়েসের মানববন্ধন কুলিয়া চরবালিথা মুনষ্টার তরুণ সংঘের নবনির্বাচিত কমিটির সদস্যদের সংবর্ধনা উজিরপুরে বিএনপি নেতা বহিষ্কার: ধর্মীয় সম্প্রীতি ভাঙা ও কুকীর্তির গল্প শ্যামনগরে বিশ্ব নদী দিবসে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত

নেত্রকোনায় চিরনিদ্রায় শায়িত হলেন নিহত কনস্টেবল মনিরুল

নিজেস্ব প্রতিবেদক
  • আপডেট সময় : ০৬:৪৩:২৭ অপরাহ্ন, সোমবার, ১০ জুন ২০২৪ ১৫৭ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ রিয়াজ মিয়া:-
রাজধানীর বারিধারা ডিপ্লোমেটিক জোনে ফিলিস্তিন দূতাবাসের সামনে সহকর্মীর গুলিতে নিহত পুলিশ কনস্টেবল মনিরুল ইসলামের (২৭) দাফন সম্পন্ন হয়েছে। সোমবার (১০ জুন) বেলা ১১টার দিকে নেত্রকোণার আটপাড়া উপজেলার বিষ্ণুপুর গ্রামের ঈদগাহ মাঠে জানাজা শেষে তাকে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়।

নিহত কনস্টেবল মনিরুল উপজেলার বিষ্ণুপুর গ্রামের বীর মুক্তিযোদ্ধা মৃত শামসুল হকের ছেলে। গত শনিবার (৮ জুন) দিবাগত রাতে রাজধানীর বারিধারা ডিপ্লোমেটিক জোনে ফিলিস্তিন দূতাবাসের সামনে সহকর্মীর গুলিতে নিহত হন মনিরুল। তারা তিন ভাই ও তিন বোন। সবার ছোট মনিরুল।

কনস্টেবল মনিরুলের মৃত্যুতে তার বাড়িতে চলছে শোকের মাতম। তার দুই বছরের শিশু সন্তান তাকিকে জড়িয়ে ধরে বিলাপ করছেন স্ত্রী তানিয়া আক্তার তন্বী। মনিরুলের বৃদ্ধা মা দেলোয়ারা হক ছেলের শোকে কাঁদতে কাঁদতে বারবার মূর্ছা যাচ্ছেন। কাঁদছেন মনিরুলের ভাই-বোন-স্বজনরা। মনিরুলের দুই বছর বয়সী ছেলে তাকি কিছুই বুঝতে পারছে না। স্বজন ও এলাকাবাসী মনিরুল হত্যার সর্বোচ্চ শাস্তি দাবি করেছেন।

এলাকাবাসী জানায়, খুবই মিশুক ধরনের ছেলে ছিল মনিরুল। পরিচিত ও বন্ধু-বান্ধবসহ সবার সঙ্গে ভালো সম্পর্ক ছিল তার। সবার প্রিয় এই মানুষটির এভাবে মৃত্যু মেনে নিতে পারছেন না তারা। তারা দ্রুত বিচার আইনে ঘাতকের বিচার দাবি করেন।

পুলিশ মনিরুলের পরিবারের পাশে থাকবে জানিয়ে আটপাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তাওহীদুর রহমান বলেন, ঘাতকের বিচার নিশ্চিতে পুলিশ কাজ করবে।

জানা যায়, ২০১৬ সালের শেষের দিকে পুলিশের চাকরিতে যোগ দেন মনিরুল। চাকরিতে থাকা অবস্থায় তিন বছর আগে জেলার পূর্বধলা উপজেলায় তানিয়া আক্তার তন্বীকে বিয়ে করেন মনিরুল। মনিরুলের বড় ভাই মাহবুব আলম টিটুও পুলিশে চাকরি করেন। তিনি ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশে (ডিএমপি) কর্মরত আছেন।

প্রসঙ্গত, গত শনিবার দিবাগত রাত পৌনে ১২টা থেকে ১২টা ৫ মিনিটের মধ্যে রাজধানীর বারিধারা ডিপ্লোমেটিক জোনের ফিলিস্তিন দূতাবাসের সামনে সহকর্মীর গুলিতে নিহত হন কনস্টেবল মনিরুল ইসলাম। একই ঘটনায় গুলিবিদ্ধ হয়েছেন জাপান দূতাবাসের এক গাড়িচালকও। এ ঘটনায় দায়ের করা মামলায় গ্রেপ্তার অভিযুক্ত কনস্টেবল কাউসার রিমান্ডে রয়েছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য

দৈনিক বাংলাদেশের চিত্র একটি অনলাইন নিউজ পোর্টাল। এই পত্রিকার মূল স্লোগান হলো "সত্য প্রকাশে আপোষহীন"।আমরা এ দেশের নিপীড়িত ও নির্যাতিত মানুষের কথা বলি।একজন অসহায় মানুষের পাশে দাড়িয়ে অন্যায় প্রতিরোধে সাহায্য করতে আমরা সর্বদা অঙ্গীকারবদ্ধ।দৈনিক বাংলাদেশের চিত্র পত্রিকা গনমানুষের কথা বলে।
ট্যাগস :

নেত্রকোনায় চিরনিদ্রায় শায়িত হলেন নিহত কনস্টেবল মনিরুল

আপডেট সময় : ০৬:৪৩:২৭ অপরাহ্ন, সোমবার, ১০ জুন ২০২৪

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ রিয়াজ মিয়া:-
রাজধানীর বারিধারা ডিপ্লোমেটিক জোনে ফিলিস্তিন দূতাবাসের সামনে সহকর্মীর গুলিতে নিহত পুলিশ কনস্টেবল মনিরুল ইসলামের (২৭) দাফন সম্পন্ন হয়েছে। সোমবার (১০ জুন) বেলা ১১টার দিকে নেত্রকোণার আটপাড়া উপজেলার বিষ্ণুপুর গ্রামের ঈদগাহ মাঠে জানাজা শেষে তাকে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়।

নিহত কনস্টেবল মনিরুল উপজেলার বিষ্ণুপুর গ্রামের বীর মুক্তিযোদ্ধা মৃত শামসুল হকের ছেলে। গত শনিবার (৮ জুন) দিবাগত রাতে রাজধানীর বারিধারা ডিপ্লোমেটিক জোনে ফিলিস্তিন দূতাবাসের সামনে সহকর্মীর গুলিতে নিহত হন মনিরুল। তারা তিন ভাই ও তিন বোন। সবার ছোট মনিরুল।

কনস্টেবল মনিরুলের মৃত্যুতে তার বাড়িতে চলছে শোকের মাতম। তার দুই বছরের শিশু সন্তান তাকিকে জড়িয়ে ধরে বিলাপ করছেন স্ত্রী তানিয়া আক্তার তন্বী। মনিরুলের বৃদ্ধা মা দেলোয়ারা হক ছেলের শোকে কাঁদতে কাঁদতে বারবার মূর্ছা যাচ্ছেন। কাঁদছেন মনিরুলের ভাই-বোন-স্বজনরা। মনিরুলের দুই বছর বয়সী ছেলে তাকি কিছুই বুঝতে পারছে না। স্বজন ও এলাকাবাসী মনিরুল হত্যার সর্বোচ্চ শাস্তি দাবি করেছেন।

এলাকাবাসী জানায়, খুবই মিশুক ধরনের ছেলে ছিল মনিরুল। পরিচিত ও বন্ধু-বান্ধবসহ সবার সঙ্গে ভালো সম্পর্ক ছিল তার। সবার প্রিয় এই মানুষটির এভাবে মৃত্যু মেনে নিতে পারছেন না তারা। তারা দ্রুত বিচার আইনে ঘাতকের বিচার দাবি করেন।

পুলিশ মনিরুলের পরিবারের পাশে থাকবে জানিয়ে আটপাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তাওহীদুর রহমান বলেন, ঘাতকের বিচার নিশ্চিতে পুলিশ কাজ করবে।

জানা যায়, ২০১৬ সালের শেষের দিকে পুলিশের চাকরিতে যোগ দেন মনিরুল। চাকরিতে থাকা অবস্থায় তিন বছর আগে জেলার পূর্বধলা উপজেলায় তানিয়া আক্তার তন্বীকে বিয়ে করেন মনিরুল। মনিরুলের বড় ভাই মাহবুব আলম টিটুও পুলিশে চাকরি করেন। তিনি ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশে (ডিএমপি) কর্মরত আছেন।

প্রসঙ্গত, গত শনিবার দিবাগত রাত পৌনে ১২টা থেকে ১২টা ৫ মিনিটের মধ্যে রাজধানীর বারিধারা ডিপ্লোমেটিক জোনের ফিলিস্তিন দূতাবাসের সামনে সহকর্মীর গুলিতে নিহত হন কনস্টেবল মনিরুল ইসলাম। একই ঘটনায় গুলিবিদ্ধ হয়েছেন জাপান দূতাবাসের এক গাড়িচালকও। এ ঘটনায় দায়ের করা মামলায় গ্রেপ্তার অভিযুক্ত কনস্টেবল কাউসার রিমান্ডে রয়েছে।