ঢাকা ০৮:৩২ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১১ এপ্রিল ২০২৫, ২৮ চৈত্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
কালিগঞ্জে ধর্ষন চেষ্টা মামলার আসামি গৌরপদ মন্ডলকে ঢাকা থেকে গ্রেফতার কৃষিগুচ্ছ ভর্তিচ্ছুদের সহায়তায় বাকৃবির বিশেষ বাস সার্ভিস এলাকার প্রভাবশালী নেতার কারণে বলি হতে যাচ্ছে নবদম্পতির নতুন জীবন মাদারগঞ্জে ইউনিয়ন বিএনপির সম্মেলন বাতিলের দাবীতে প্রতিবাদ সমাবেশ ও বিক্ষোভ মিছিল  সাতক্ষীরায় এক নারীকে ডেকে নিয়ে ধর্ষণ, আদালতের নির্দেশে সদর থানায় মামলা জীবননগর থানাধীন শাহাপুর পুলিশ ক্যাম্প কর্তৃক মাদক বিরোধী অভিযানে ২০ পিস ইয়াবা ট্যাবলেট উদ্ধার গ্রেফতার-০১জন চাঞ্চল্যকর অপহরণ পলাতক আসামী গ্রেফতার: ভিকটিম উদ্ধার রাণীশংকৈলে বৈরী আবহাওয়ার কারণে শাপলা রানীর পরীক্ষা কেন্দ্রে পৌঁছাতে দেরী হয়ায় পরীক্ষা দেওয়া হলো না ঝিনাইদহে বিনামূল্যে পাট বীজ ও সার পেলেন ৮’শত কৃষক জাতীয়তাবাদী তরুণদল রংপুর বিভাগীয় পূর্ব কমিটি বিলুপ্তি ও নতুন কমিটির অনুমোদন

নীলফামারীতে প্রতিবছরই বাড়ছে চিনাবাদাম চাষ

নিজেস্ব প্রতিনিধি
  • আপডেট সময় : ০৬:৩০:১৪ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৫ মে ২০২৪ ৬৫ বার পড়া হয়েছে

এম.আর রাজু, নীলফামারী প্রতিনিধি:-

গত কয়েক বছরে নীলফামারী জেলায় চিনাবাদাম চাষ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। সেই অনুযায়ী উপযুক্ত মাটি, অনুকূল আবহাওয়া এবং সময়মতো প্রয়োজনীয় কৃষি উপকরণ সরবরাহের কারণে আগ্রহ বাড়ছে চাষীদের।

জেলার ডোমার, ডিমলা, জলঢাকা, কিশোরগঞ্জ, সৈয়দপুর ও সদর উপজেলার কয়েকটি চিনাবাদাম ক্ষেত পরিদর্শন করে দেখা যায়, এ মৌসুমে এলাকার কৃষকেরা ব্যাপকভাবে চিনাবাদাম চাষ করছেন। অন্যদিকে সার কিংবা নিরানীতে ব্যস্ত সময় পার করছেন চাষীরা।

স্থানীয় কৃষি সম্প্রসারণ অফিস সূত্রে জানা গেছে, চিনা বাদাম চাষে জৈব সার ব্যবহারের জন্য ব্যাপক প্রশিক্ষণ কর্মসূচির সম্পন্ন করে ব্যাপক প্রচার প্রচারণা চালানো চালিয়েছে কৃষি বিভাগ। ফলে, চিনাবাদাম চাষে ভালো ফলনের আশাবাদ ব্যক্ত করেন চাষীরা।

জেলার ডোমার উপজেলার খাটুরিয়া গ্রামের মৃত আব্দুল লতিফ মিয়ার ছেলে কৃষক সাইফুল ইসলাম (৪৩) বলেন, “এই মৌসুমে এক একর জমিতে চিনাবাদাম চাষাবাদ করেছি। ফলনও ভালো হয়েছে। আশা করছি, খরচ মিটিয়ে একটা মোটা লভ্যাংশ থাকবে”।

একই উপজেলার ভোগডাবুড়ি গ্রামের আব্দুল জব্বারের ছেলে আরেক কৃষক আব্দুর রউফ (৩৮) বলেন, “বালুকাময় জমি পাট, ধান, গমসহ অন্যান্য মৌসুমি ফসল চাষের উপযোগী নয়। এ মাটি প্রধানত ভুট্টা, পেঁয়াজ, চিনাবাদাম, রসুন চাষের উপযোগী। সেকারণে এ বছর দুই একর জমিতে চিনাবাদাম চাষ করেছি। বাদাম চাষের প্রক্রিয়া সহজ এবং এটি উচ্চ লাভজনক একটি ফসল”।

একান্ত সাক্ষাৎকারে নীলফামারী কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের (ডিএই) এর উপ-পরিচালক (ডিডি) ড. এস এম আবু বকর মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম বলেন, “চিনাবাদাম অন্যান্য মৌসুমী ফসলের থেকে একটি উচ্চ লাভজনক ফসল। তাই এ বছর জেলার ডোমার, জলঢাকা, ডিমলা, কিশোরগঞ্জ, সৈয়দপুর ও সদর উপজেলার কৃষকরা প্রায় এক হাজার ২০ হেক্টর জমিতে বাদাম চাষ করেছেন। এ বছর ২ হাজার ৩৭৭ মেট্রিক টন ফসল উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে।

যোগাযোগ করা হলে, বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন কর্পোরেশন (বিএডিসি), ডোমার, নীলফামারীর সিনিয়র সহকারী পরিচালক আবু তালেব বলেন, “চিনাবাদাম চাষ হচ্ছে কম খরচে এবং অধিক লাভজনক ফসল। নীলফামারীর মাটি চিনাবাদাম চাষের উপযোগী। বিশেষ করে বালুকাময় জমিগুলিও অত্যন্ত ভাল। ফলে, এ মৌসুমে ব্যাপকভাবে চিনাবাদাম চাষ করছেন এলাকার কৃষকরা। তবে জেলায় প্রতিবছরই বাড়ছে চিনাবাদামের চাষাবাদ। বিশেষ করে জেলার ডোমার, ডিমলা ও জলঢাকা উপজেলার কৃষকরা তিস্তা নদী ভিত্তিক বালুকাময় জমিতে ব্যাপকভাবে চিনাবাদাম চাষ করছেন।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য

দৈনিক বাংলাদেশের চিত্র একটি অনলাইন নিউজ পোর্টাল। এই পত্রিকার মূল স্লোগান হলো "সত্য প্রকাশে আপোষহীন"।আমরা এ দেশের নিপীড়িত ও নির্যাতিত মানুষের কথা বলি।একজন অসহায় মানুষের পাশে দাড়িয়ে অন্যায় প্রতিরোধে সাহায্য করতে আমরা সর্বদা অঙ্গীকারবদ্ধ।দৈনিক বাংলাদেশের চিত্র পত্রিকা গনমানুষের কথা বলে।
ট্যাগস :

নীলফামারীতে প্রতিবছরই বাড়ছে চিনাবাদাম চাষ

আপডেট সময় : ০৬:৩০:১৪ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৫ মে ২০২৪

এম.আর রাজু, নীলফামারী প্রতিনিধি:-

গত কয়েক বছরে নীলফামারী জেলায় চিনাবাদাম চাষ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। সেই অনুযায়ী উপযুক্ত মাটি, অনুকূল আবহাওয়া এবং সময়মতো প্রয়োজনীয় কৃষি উপকরণ সরবরাহের কারণে আগ্রহ বাড়ছে চাষীদের।

জেলার ডোমার, ডিমলা, জলঢাকা, কিশোরগঞ্জ, সৈয়দপুর ও সদর উপজেলার কয়েকটি চিনাবাদাম ক্ষেত পরিদর্শন করে দেখা যায়, এ মৌসুমে এলাকার কৃষকেরা ব্যাপকভাবে চিনাবাদাম চাষ করছেন। অন্যদিকে সার কিংবা নিরানীতে ব্যস্ত সময় পার করছেন চাষীরা।

স্থানীয় কৃষি সম্প্রসারণ অফিস সূত্রে জানা গেছে, চিনা বাদাম চাষে জৈব সার ব্যবহারের জন্য ব্যাপক প্রশিক্ষণ কর্মসূচির সম্পন্ন করে ব্যাপক প্রচার প্রচারণা চালানো চালিয়েছে কৃষি বিভাগ। ফলে, চিনাবাদাম চাষে ভালো ফলনের আশাবাদ ব্যক্ত করেন চাষীরা।

জেলার ডোমার উপজেলার খাটুরিয়া গ্রামের মৃত আব্দুল লতিফ মিয়ার ছেলে কৃষক সাইফুল ইসলাম (৪৩) বলেন, “এই মৌসুমে এক একর জমিতে চিনাবাদাম চাষাবাদ করেছি। ফলনও ভালো হয়েছে। আশা করছি, খরচ মিটিয়ে একটা মোটা লভ্যাংশ থাকবে”।

একই উপজেলার ভোগডাবুড়ি গ্রামের আব্দুল জব্বারের ছেলে আরেক কৃষক আব্দুর রউফ (৩৮) বলেন, “বালুকাময় জমি পাট, ধান, গমসহ অন্যান্য মৌসুমি ফসল চাষের উপযোগী নয়। এ মাটি প্রধানত ভুট্টা, পেঁয়াজ, চিনাবাদাম, রসুন চাষের উপযোগী। সেকারণে এ বছর দুই একর জমিতে চিনাবাদাম চাষ করেছি। বাদাম চাষের প্রক্রিয়া সহজ এবং এটি উচ্চ লাভজনক একটি ফসল”।

একান্ত সাক্ষাৎকারে নীলফামারী কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের (ডিএই) এর উপ-পরিচালক (ডিডি) ড. এস এম আবু বকর মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম বলেন, “চিনাবাদাম অন্যান্য মৌসুমী ফসলের থেকে একটি উচ্চ লাভজনক ফসল। তাই এ বছর জেলার ডোমার, জলঢাকা, ডিমলা, কিশোরগঞ্জ, সৈয়দপুর ও সদর উপজেলার কৃষকরা প্রায় এক হাজার ২০ হেক্টর জমিতে বাদাম চাষ করেছেন। এ বছর ২ হাজার ৩৭৭ মেট্রিক টন ফসল উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে।

যোগাযোগ করা হলে, বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন কর্পোরেশন (বিএডিসি), ডোমার, নীলফামারীর সিনিয়র সহকারী পরিচালক আবু তালেব বলেন, “চিনাবাদাম চাষ হচ্ছে কম খরচে এবং অধিক লাভজনক ফসল। নীলফামারীর মাটি চিনাবাদাম চাষের উপযোগী। বিশেষ করে বালুকাময় জমিগুলিও অত্যন্ত ভাল। ফলে, এ মৌসুমে ব্যাপকভাবে চিনাবাদাম চাষ করছেন এলাকার কৃষকরা। তবে জেলায় প্রতিবছরই বাড়ছে চিনাবাদামের চাষাবাদ। বিশেষ করে জেলার ডোমার, ডিমলা ও জলঢাকা উপজেলার কৃষকরা তিস্তা নদী ভিত্তিক বালুকাময় জমিতে ব্যাপকভাবে চিনাবাদাম চাষ করছেন।