ঢাকা ০৫:২৮ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১৪ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
নতুন কুঁড়ি ও মার্কস অলরাউন্ডার কৃতিত্বে ফেনীর দুই শিক্ষার্থী কুতুবদিয়া কালী মন্দিরে শারদীয় দুর্গাপূজা উপলক্ষে মতবিনিময় সভা রাজাপুরে ধানের শীষের পক্ষে গোলাম আজম সৈকতের গণসংযোগ শার্শায় সাংবাদিক মনি’র মুক্তির দাবিতে মানববন্ধন কাউখালি বেকুটিয়ায় বিশ্ব নদী দিবস ২০২৫ইং পালিত শাল্লায় বাংলাদেশ মাদ্রাসা শিক্ষক কর্মচারী ফোরাম’র উপজেলা শাখায় কমিটি গঠন করা হয় বিশ্ব নদী দিবস ২০২৫ উপলক্ষে গ্রীন ভয়েসের মানববন্ধন কুলিয়া চরবালিথা মুনষ্টার তরুণ সংঘের নবনির্বাচিত কমিটির সদস্যদের সংবর্ধনা উজিরপুরে বিএনপি নেতা বহিষ্কার: ধর্মীয় সম্প্রীতি ভাঙা ও কুকীর্তির গল্প শ্যামনগরে বিশ্ব নদী দিবসে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত

নীলফামারীতে নদী রক্ষার পরিবর্তে ধ্বংস করছে, নদী রক্ষাকারী প্রতিষ্ঠান’: সংবাদ সম্মেলনে ড. তুহিন

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৬:৪৯:০৫ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২ মে ২০২৪ ৯৪ বার পড়া হয়েছে

স্টাফ রিপোর্টার:-

আবু সাঈদ মো.ফরহাদ নওরোজ নাহিন: ‘নদী রক্ষার পরিবর্তে নদী ধ্বংস করতে কাজ করছে নদী রক্ষাকারী প্রতিষ্ঠান’ এমন মন্তব্য করেন বেসকারী সংস্থা রিভাইন পিপল এর পরিচালক, বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়, রংপুর এর বাংলা বিভাগের অধ্যাপক ড. তুহিন।

বৃহস্পতিবার (২ মে) নীলফামারীর কুমলাই নদী থেকে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ, নদীর জমি নদীর নামে অন্তর্ভুক্ত করা, নদীর প্রবাহ সচলসহ দশ দফা দাবী আদায়ের লক্ষ্যে বেসরকারী সংস্থা রিভাইন পিপল কর্তৃক নীলফামারী প্রেসক্লাবের কনফারেন্স রুমে স্থানীয় গণমাধ্যম কর্মীদের নিয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন তিনি।

সংবাদ সম্মেলনে তিনি আরও বলেন, ‘রংপুর বিভাগের যে নদীগুলো আছে তার মধ্যে সবচেয়ে সংকটে থাকা নদীগুলোর একটি কুমলাই নদী। এ নদীটির ওপর ভয়াবহ নির্যাতন করা হয়েছে। কেবল তাই নয়, নদীটিকে খুন করার ব্যবস্থা করা হয়েছে। পানি উন্নয়ন বোর্ড এর বিজ্ঞ প্রকৌশলীগণ কুমলাই নদীর উৎপত্তিস্থল এবং মিলনস্থল তিস্তা রক্ষা বাধের নামে নির্মমভাবে বন্ধ করেছে। উৎসমুখ বন্ধ হলেও বর্ষায় প্রচুর পানি আসে। শুস্ক মৌসুমেও ঝিরি ঝিরি পানি প্রবাহিত হয়। পানি উন্নয়ন বোর্ড নদীটি খুন করার জন্য প্রথম অস্ত্র চালালেও নদীটি মিলনস্থল ছোটখাতা থেকে প্রায় দুকিলোমিটার উজানে গয়াবাড়ী নামক গ্রামে নতুন একটি প্রবাহ তৈরী করে নেয়। এই প্রবাহটি প্রায় ২৫ কিলোমিটার দুরে ধুম নদীতে মিলিত হয়েছে’।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে তিনি আরো বলেন, জেলার ডিমলা উপজেলার পুর্ব ছাতনাই ইউনিয়নের ঝাড়সিংহেশ্বর নামক স্থানে উৎপত্তি হয় কুমলাই নদীর। তিস্তা নদীর আন্তশাখা এই নদীর দৈর্ঘ্য ২০কিলোমিটার। খালিশা চাপানি ও টেপাখড়িবাড়ি ইউনিয়নের উপর দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে এই নদী। বর্তমানের নদীখেকোদের কারণে নদীটি মরণাপন্ন। বিভিন্ন স্থাপনা তৈরি করা হয়েছে নদীটি ভরাট করে। পুকুর ও আবাদী জমিও বানিয়েছেন অনেকে। ২০১৯ সালে দেশের উচ্চ আদালত নদীকে জীবন্ত সত্তা ঘোষণা করে রায় দিয়েছে। এতে নদীকে হত্যা করা ফৌজদারী অপরাধ হিসেবেও গণ্য করা হয়। ২৭০ জন অবৈধ দখলদারের স্থাপনা উচ্ছেদ, সীমানা চিহিৃত করণ, নদীটির পুরোনো প্রবাহপথ সচল করা, নদীর উপর থেকে স্কুল কলেজ সুবিধাজনক স্থানে স্থানান্তর এবং নদীর অবৈধ দখল, খাজনা খারিজ, ক্রয় বিক্রয়, রেকর্ডভুক্ত করার কাজে জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণসহ দশদফা দাবী বাস্তবায়নের আহবান জানানো হয় সংশ্লিষ্ঠদের প্রতি।

সংবাদ সম্মেলনে সভাপতিত্ব করেন রিভারাইন পিপল’র জেলা সমন্বয়কারী আব্দুল ওয়াদুদ। অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিতি ছিলেন নীলফামারী জেলা জজ আদালতের আইনজীবী জাহাঙ্গীর আলম সাগর, নীলফামারী প্রেসক্লাবের সভাপতি এবিএম মঞ্জুরুল আলম সিয়াম, সহ-সভাপতি, আতিয়ার রহমান, মোস্তাফিজুর রহমান সবুজ, সাধারণ সম্পাদক নুর আলম, প্রথম আলো’র নীলফামারী প্রতিনিধি মীর মাহমুদুল হাসান আস্তাক, কালের কণ্ঠ এর নীলফামারী প্রতিনিধি ভুবন রায় নিখিল, আরটিভি’র জেলা প্রতিনিধি হাসান রাব্বী প্রধান, নীলফামারী প্রেসক্লাবের দপ্তর সম্পাদক এম.আর.রাজুসহ বিভিন্ন গণমাধ্যমের সংবাদকর্মীরা।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য

দৈনিক বাংলাদেশের চিত্র একটি অনলাইন নিউজ পোর্টাল। এই পত্রিকার মূল স্লোগান হলো "সত্য প্রকাশে আপোষহীন"।আমরা এ দেশের নিপীড়িত ও নির্যাতিত মানুষের কথা বলি।একজন অসহায় মানুষের পাশে দাড়িয়ে অন্যায় প্রতিরোধে সাহায্য করতে আমরা সর্বদা অঙ্গীকারবদ্ধ।দৈনিক বাংলাদেশের চিত্র পত্রিকা গনমানুষের কথা বলে।
ট্যাগস :

নীলফামারীতে নদী রক্ষার পরিবর্তে ধ্বংস করছে, নদী রক্ষাকারী প্রতিষ্ঠান’: সংবাদ সম্মেলনে ড. তুহিন

আপডেট সময় : ০৬:৪৯:০৫ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২ মে ২০২৪

স্টাফ রিপোর্টার:-

আবু সাঈদ মো.ফরহাদ নওরোজ নাহিন: ‘নদী রক্ষার পরিবর্তে নদী ধ্বংস করতে কাজ করছে নদী রক্ষাকারী প্রতিষ্ঠান’ এমন মন্তব্য করেন বেসকারী সংস্থা রিভাইন পিপল এর পরিচালক, বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়, রংপুর এর বাংলা বিভাগের অধ্যাপক ড. তুহিন।

বৃহস্পতিবার (২ মে) নীলফামারীর কুমলাই নদী থেকে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ, নদীর জমি নদীর নামে অন্তর্ভুক্ত করা, নদীর প্রবাহ সচলসহ দশ দফা দাবী আদায়ের লক্ষ্যে বেসরকারী সংস্থা রিভাইন পিপল কর্তৃক নীলফামারী প্রেসক্লাবের কনফারেন্স রুমে স্থানীয় গণমাধ্যম কর্মীদের নিয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন তিনি।

সংবাদ সম্মেলনে তিনি আরও বলেন, ‘রংপুর বিভাগের যে নদীগুলো আছে তার মধ্যে সবচেয়ে সংকটে থাকা নদীগুলোর একটি কুমলাই নদী। এ নদীটির ওপর ভয়াবহ নির্যাতন করা হয়েছে। কেবল তাই নয়, নদীটিকে খুন করার ব্যবস্থা করা হয়েছে। পানি উন্নয়ন বোর্ড এর বিজ্ঞ প্রকৌশলীগণ কুমলাই নদীর উৎপত্তিস্থল এবং মিলনস্থল তিস্তা রক্ষা বাধের নামে নির্মমভাবে বন্ধ করেছে। উৎসমুখ বন্ধ হলেও বর্ষায় প্রচুর পানি আসে। শুস্ক মৌসুমেও ঝিরি ঝিরি পানি প্রবাহিত হয়। পানি উন্নয়ন বোর্ড নদীটি খুন করার জন্য প্রথম অস্ত্র চালালেও নদীটি মিলনস্থল ছোটখাতা থেকে প্রায় দুকিলোমিটার উজানে গয়াবাড়ী নামক গ্রামে নতুন একটি প্রবাহ তৈরী করে নেয়। এই প্রবাহটি প্রায় ২৫ কিলোমিটার দুরে ধুম নদীতে মিলিত হয়েছে’।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে তিনি আরো বলেন, জেলার ডিমলা উপজেলার পুর্ব ছাতনাই ইউনিয়নের ঝাড়সিংহেশ্বর নামক স্থানে উৎপত্তি হয় কুমলাই নদীর। তিস্তা নদীর আন্তশাখা এই নদীর দৈর্ঘ্য ২০কিলোমিটার। খালিশা চাপানি ও টেপাখড়িবাড়ি ইউনিয়নের উপর দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে এই নদী। বর্তমানের নদীখেকোদের কারণে নদীটি মরণাপন্ন। বিভিন্ন স্থাপনা তৈরি করা হয়েছে নদীটি ভরাট করে। পুকুর ও আবাদী জমিও বানিয়েছেন অনেকে। ২০১৯ সালে দেশের উচ্চ আদালত নদীকে জীবন্ত সত্তা ঘোষণা করে রায় দিয়েছে। এতে নদীকে হত্যা করা ফৌজদারী অপরাধ হিসেবেও গণ্য করা হয়। ২৭০ জন অবৈধ দখলদারের স্থাপনা উচ্ছেদ, সীমানা চিহিৃত করণ, নদীটির পুরোনো প্রবাহপথ সচল করা, নদীর উপর থেকে স্কুল কলেজ সুবিধাজনক স্থানে স্থানান্তর এবং নদীর অবৈধ দখল, খাজনা খারিজ, ক্রয় বিক্রয়, রেকর্ডভুক্ত করার কাজে জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণসহ দশদফা দাবী বাস্তবায়নের আহবান জানানো হয় সংশ্লিষ্ঠদের প্রতি।

সংবাদ সম্মেলনে সভাপতিত্ব করেন রিভারাইন পিপল’র জেলা সমন্বয়কারী আব্দুল ওয়াদুদ। অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিতি ছিলেন নীলফামারী জেলা জজ আদালতের আইনজীবী জাহাঙ্গীর আলম সাগর, নীলফামারী প্রেসক্লাবের সভাপতি এবিএম মঞ্জুরুল আলম সিয়াম, সহ-সভাপতি, আতিয়ার রহমান, মোস্তাফিজুর রহমান সবুজ, সাধারণ সম্পাদক নুর আলম, প্রথম আলো’র নীলফামারী প্রতিনিধি মীর মাহমুদুল হাসান আস্তাক, কালের কণ্ঠ এর নীলফামারী প্রতিনিধি ভুবন রায় নিখিল, আরটিভি’র জেলা প্রতিনিধি হাসান রাব্বী প্রধান, নীলফামারী প্রেসক্লাবের দপ্তর সম্পাদক এম.আর.রাজুসহ বিভিন্ন গণমাধ্যমের সংবাদকর্মীরা।