নির্বাচনের প্রতীক্ষা: সময়ের স্রোতে গণতন্ত্রের সন্ধান এবং জনতার জয়গান

- আপডেট সময় : ১০:৫৮:৪৫ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ৩০ মে ২০২৫ ১৩৬ বার পড়া হয়েছে

প্রতিবেদক: গালিব খাঁন:-
ঢাকার আকাশে আজও মেঘের আনাগোনা। বৃষ্টির ফোঁটায় ভিজে যাচ্ছে রাজপথ, আর রাজনীতির মঞ্চে জমছে উত্তাপ। এমন এক সকালে, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারপ্রধান ড. মুহাম্মদ ইউনুস জাতীয় নির্বাচনের সময়সূচি ঘোষণা করলেন—ডিসেম্বর ২০২৫ থেকে জুন ২০২৬-এর মধ্যে। এই ঘোষণায় যেন নতুন করে আলোড়ন সৃষ্টি হলো রাজনৈতিক অঙ্গনে।
ড. ইউনুসের কণ্ঠে ছিলো দৃঢ়তা, চোখে ছিলো প্রত্যয়ের দীপ্তি। তিনি বললেন, “কিছু রাজনীতিবিদ অধৈর্য হয়ে পড়েছেন, কিন্তু গণতন্ত্রের পথে ধৈর্যই আমাদের সবচেয়ে বড় শক্তি।” এই বক্তব্যে স্পষ্ট হলো, তিনি সময় নিয়ে একটি সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন নিশ্চিত করতে চান।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, এই সময়সূচি দেশের রাজনৈতিক স্থিতিশীলতার জন্য গুরুত্বপূর্ণ। তারা মনে করেন, নির্বাচন কমিশন, রাজনৈতিক দলসমূহ এবং নাগরিক সমাজের সমন্বয়ে একটি স্বচ্ছ নির্বাচন সম্ভব।
অন্যদিকে, বিরোধী দলগুলোর মধ্যে কিছুটা অসন্তোষ দেখা দিয়েছে। তারা দ্রুত নির্বাচনের দাবি জানাচ্ছেন, কারণ তাদের মতে, দীর্ঘ সময়ের অপেক্ষা গণতন্ত্রের জন্য ক্ষতিকর হতে পারে।
আন্তর্জাতিক মহলও বাংলাদেশের নির্বাচন নিয়ে নজর রাখছে। ভারত সরকার দ্রুত, অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠানের আহ্বান জানিয়েছে। যুক্তরাষ্ট্র তার নাগরিকদের সতর্ক থাকতে বলেছে, কারণ বিক্ষোভের সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে।
এই প্রেক্ষাপটে, ড. ইউনুসের নেতৃত্বে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার একটি ভারসাম্যপূর্ণ পথ খুঁজে বের করার চেষ্টা করছে। তারা চাইছেন, নির্বাচন যেন শান্তিপূর্ণ ও গ্রহণযোগ্য হয়, যাতে দেশের গণতান্ত্রিক অগ্রযাত্রা অব্যাহত থাকে।
রাজপথে এখনো বৃষ্টির ফোঁটা পড়ছে, কিন্তু মানুষের চোখে রয়েছে আশার আলো। তারা অপেক্ষা করছে সেই দিনের, যখন তারা তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারবে। গণতন্ত্রের এই যাত্রায়, ধৈর্য, সংলাপ এবং সহনশীলতাই হতে পারে আমাদের সবচেয়ে বড় পাথেয়।
তথ্যসূত্র:
The Financial Express
Times of India
India Today