নিরাপত্তাহীনতায় রয়েছে হাবিপ্রবির হল ব্যবস্থাপনা

- আপডেট সময় : ১১:০৬:৩২ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১১ অগাস্ট ২০২৪ ১৯৭ বার পড়া হয়েছে

হায়দার, হাবিপ্রবি প্রতিনিধি:-
অনির্দিষ্টকালের জন্য হল বন্ধ ঘোষণা দিলেও বন্ধ হয়নি হলে অনুপ্রবেশ৷ হল সুপারের অনুমতি ক্রমে কখনো এন্ট্রি খাতায় নাম লিখে কখনো এন্ট্রি খাতায় নাম না লিখেই প্রবেশ করেছে অনেকেই৷ এ নিয়ে সাধারণ শিক্ষার্থীদের মধ্যে ছড়িয়েছে নিরাপত্তাহীনতার ভয়৷
শনিবার (১০ই আগষ্ট) হল সুপারের পদত্যাগের খবর পাওয়ার পর আনুমানিক রাত সাড়ে ৯ টায় হলে প্রবেশ করে দুইজন শিক্ষার্থী ৷ ঘটনা তাৎক্ষণিক ছড়িয়ে পড়লে জড়ো হয় সাধারণ শিক্ষার্থীরা৷ সাধারণ শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি টের পেয়েই পালিয়ে যায় অনুপ্রবেশকারী শিক্ষার্থীরা ৷
এমত অবস্থায় দায়িত্বরত গার্ডকে জিগ্গাসাবাদ করে জানা যায় ,তিনি দায়িত্ব রত অবস্থায় তারা আসেন এবং তাকে বলেন হল সুপার প্রফেসর ড. রাশেদ স্যারের সাথে কথা হয়েছে তিনি তাদের জিনিস পত্র নিতে বলেছে৷ এক পর্যায়ে বার্গেডিং না করার হুমকি দেখিয়ে প্রবেশ করে৷
একই সাথে সাধারন শিক্ষার্থীরা ছেলেদের প্রতিটা হলের সিকুইরিটি গার্ডদের সাথে কথা বলেন এবং এন্ট্রি খাতা চেইক করেন৷ সেখানে হল বন্ধ থাকা সত্ত্বেও প্রবেশের নজির দেখা যায় ৷ এছাড়াও ডরমিটরি ২ তে রাত ১০ টায় কোনো গার্ডের উপস্থিতি পাওয়া যায়নি৷
এমত অবস্থায় সাধারণ শিক্ষার্থীরা এমন নিরাপত্তা ব্যবস্থা দেখে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন৷ এ বিষয়ে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতৃত্ব দানকারী শিক্ষার্থী
মোঃতোফাজ্জল হোসেন তপু বলেন,আমরা জানতে পারলাম যে হলের মধ্যে বিভিন্ন অপ্রিতিকর ঘটনা ঘটছে।এমতাবস্থায় আমরা সাধারণ শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন হলে টহলরত অবস্থা দেখতে পাচ্ছি যে নাম না লিখে কে বা কারা সীলগালা হলে ঢুকে বিভিন্ন জিনিসপত্র নিয়ে যাচ্ছে বা অনেক কিছু রেখে যাচ্ছে এবং সেটা বিস্ফোরক হতে পারে বা অন্য কিছু এবং সেটা হল সুপারের মাধ্যমেই হচ্ছে।এখন আমরা বর্তমানে জিয়াউর রহমান হলে অবস্থান করছি।এবং আমরা একটু আগেই এসে দেখছি এখানে কোন সিকিউরিটি গার্ড নেই।আমরা এমতাবস্থায় সিকিউরিটি গার্ড প্রধান কে ফোন দিলে তিনি বলছেন যে আমাদের সিকিউরিটি গার্ড আছে। কিন্ত দুঃখজনক হলেও সত্য যে এখানে কোন গার্ড নেই এমতাবস্থায় তাকে আমরা ইনফরম করি যে এখানে আসতে কিন্তু ১৫-২০ মিনিট হয়ে যাচ্ছে উনি এখানে উপস্থিত হননি।এমতাবস্থায় এটি একটি ইন্টারন্যাশনাল হল এখানে ফরেইনার রা আছে যদি তাদের কোন সমস্যা ঘটে তাহলে এর দায়ভার টা কে নিবে?এখানে আমরা দেখতে পাচ্ছি যে নিরাপত্তার একটা প্রচন্ড ঘাটতি এই অবস্থায় আমরা রেজিস্ট্রার বরাবরের মাধ্যমে আমাদের ক্যাম্পাসে সেনাবাহিনী মোতায়েন এর জন্য অনুরোধ করছি।
একই সাথে এই ঘটনার তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন সাধারণ শিক্ষার্থী অনেকেই৷
উল্লেখ্য যে আজ শনিবার পদত্যাগ করেছেন সহকারী প্রক্টর ও আবাসিক হলসমূহের হল সুপাররা৷ ব্যক্তিগত কারণ দেখিয়ে ইমেইলের মাধ্যমে তারা পদত্যাগপত্র পাঠিয়েছেন বলে জানান রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ড. সাইফুর রহমান।