ঢাকা ০৮:১৮ অপরাহ্ন, শনিবার, ০৪ অক্টোবর ২০২৫, ১৯ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
আগৈলঝাড়ায় গৃহবধূ ধর্ষণ মামলার আসামি আব্দুল্লাহ সরদার গ্রেপ্তার রাণীশংকৈলে জাল টাকা সহ আটক ১ রাউজানে শ্যামা সংঘের উদ্যোগে সর্বজনীন কালিপূজা ও ৪৩ তম বার্ষিক মহোৎসব রাণীশংকৈলে বিএনপি ও শিক্ষার্থীদের পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন কার্যক্রম রাণীশংকৈলে গলা টিপে হত্যা করতে না পেরে দা দিয়ে কোপ দিয়ে হত্যা করার চেষ্টা শ্যামনগরে বিএনপি নেতা সোলাইমান কবীরের বহিষ্কারের দাবীতে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে উদয়ন দুর্গা মন্দিরে ৮৪ তম দুর্গোৎসব ও অষ্টপ্রহর ব্যাপী মহোৎসব উদযাপিত আলমডাঙ্গায় জমি বিরোধে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ আহত ৩ চুয়াডাঙ্গায় কাঁচা ঝালের কেজি ৩২০ টাকা দিশেহারা ক্রেতা ইসরায়েলকে গাজায় হামলা থামাতে বললেন ট্রাম্প

দৃশ্যমান ৮৬ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মাণাধীন চুয়াডাঙ্গা ফ্লাইওভার

নিজেস্ব প্রতিনিধি
  • আপডেট সময় : ০২:১৩:৫৭ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৯ জুলাই ২০২৪ ৯৩ বার পড়া হয়েছে

মোঃ আসাদুজ্জামান আসাদ,চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রতিনিধি:- (২৯-৭-২৪ তারিখ)
ধীরগতিতে চলছে চুয়াডাঙ্গা রেলবাজার রেলগেটে ওভারপাস নির্মাণ কাজ। ৭৫ কোটি টাকা ব্যয়ে পৌনে ১ কিলোমিটার দীর্ঘ ফ্লাইওভার (ওভারপাস) নির্মাণাধীন রেলওয়ে ওভারপাসের নকশায় ত্রুটি সংশোধনে ব্যয় বেড়েছে আরও ১১ কোটি টাকা। নতুন নকশায় বেড়েছে ওভারপাসের র‌্যাম্পের আয়তন। সেই সঙ্গে সময় বেড়েছে আরও এক বছর। প্রায় বছর খানেক ধরে চলা নির্মাণ কাজে এখন অনেকটাই দৃশ্যমান দৃষ্টিনন্দন ওভারপাস। একের পর এক বসছে স্প্যান। ওভারপাসে মোট ১৩টি স্প্যান থাকবে।অপরদিকে, প্রধান সড়কের দুই সাইডে (পাশে) রাস্তা তৈরি করে ওভারপাসের কাজ না করায় হাজারো মানুষের জনদুর্ভোগ চরমে উঠেছে। উঁচু নিচু রাস্তায় যান চলাচল কঠিন হয়ে পড়েছে। সেই সঙ্গে বৃষ্টি হলে রাস্তাটি কাদা পানিতে একাকার হয়ে যায়। আবার রোদ পড়লে ধুলা বালিতে সয়লাব হয়ে পড়ে। এর বাইরে লোহার রডসহ বিভিন্ন নির্মাণ সামগ্রী রাস্তার মাঝে ছড়িয়ে ছিটিয়ে রেখে কাজ করায় যে কোন সময় বড় ধরনের দুর্ঘটনার আশঙ্কা করছেন অনেকে। বিষয়টি নিয়ে প্রশাসন ও সওজকে একাধিকবার জানালে কাজের কাজ কিছুই হয়নি। প্রতিদিন এই সড়ক দিয়ে হাজার হাজার যানবাহনে ২৫/৩০ হাজার মানুষ চলাচল করে বলে জানিয়েছে স্থানীয়রা।
এ অবস্থায় সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা বলছেন, কাজ শেষ হয়েছে প্রায় ৪০ শতাংশ। নির্ধারিত সময়ের আগেই বাকি কাজ শেষ হবে।৭৫ কোটি টাকা ব্যয়ে পৌনে এক কিলোমিটার দীর্ঘ ফ্লাইওভার (ওভারপাস) নির্মাণ কাজ গত বছরের (২০২৩ সালের) ১২ আগস্ট শহরের একাডেমি মোড়ে উদ্বোধন করেন চুয়াডাঙ্গা-১ আসনের এমপি সোলায়মান হক জোয়াদ্দার ছেলুন।এরপর শহরের প্রবেশদার বাসটার্মিনাল থেকে একাডেমি মোড় পর্যন্ত ফ্লাইওভার নির্মাণ কাজ শুরু হয়। পৌনে ১ কিলোমিটার দীর্ঘ ফ্লাইওভার নির্মাণ করতে মূল সড়কের বেশির অংশ ঠিকাদাররা ঘিরে রেখেছে। এতে রাস্তাটি এতোটাই শরু হয়ে গেছে, যান চলাচল করা দুরূহ হয়ে পড়েছে। দুই পাশে রাস্তা না বাড়ানোর কারণে মাটির রাস্তায় ছোট বড় অনেক গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। এতে সড়কে চলাচলরত বাস, ট্রাক, প্রাইভেটকার, ইজিবাইক, মোটরসাইকেলসহ পথচারী চলাচল দুরূহ হয়ে পড়েছে। একটু বৃষ্টি হলে রাস্তাটি কাঁদা পানিতে সয়লাব হয়ে যায়। আবার শুকনো মৌসুমে পুরো রাস্তা ধুলোবালুতে একাকার হয়ে যায়।অপরদিকে, ট্রেন আসা যাওয়ার সময় দীর্ঘক্ষণ এসড়কের রেলগেট বন্ধ রাখায় ভোগান্তির মাত্রা আরো একধাপ বেড়ে যায়। এ সময় রাস্তার দুধারে রোদ গরম ও বৃষ্টিতে ১৫/২০ মিনিট যানবাহন আটকা পড়ে।জানা গেছে, চুয়াডাঙ্গার প্রধান সড়কটি রাত ও দিনের অধিকাংশ সময় রেল লাইনের গেট পড়ে থাকায় নিরবচ্ছিন্ন যোগাযোগ বিঘ্ন ঘটে। জনসাধারণকে পড়তে হয় দীর্ঘ যানজটের কবলে। যানজট কমানো ও নিরবচ্ছিন্ন সড়ক যোগাযোগ স্থাপনসহ নানা সমস্যার সমাধানে চুয়াডাঙ্গা শহরের রেলবাজার এলাকায় রেলওয়ে ওভারপাস নির্মাণ করা চলছে। ২০২২ সালের ২৮ জুন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত একনেকের বৈঠকে ওভারপাস নির্মাণ প্রকল্পটির অনুমোদন দেওয়া হয়। পরে সড়ক ও জনপথ (সওজ) বিভাগ দরপত্র আহ্বান করে। ঢাকা বনানীর ন্যাশনাল ডেভেলপমেন্ট ইঞ্জিনিয়ারিং লিমিটেড (এনডিই) নামের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান কাজটি পায়। ৭৪৮ দশমিক ৬৯৬ মিটার আয়তনের এ অবকাঠামো নির্মানে ব্যয় ধরা হয়েছিল ৭৫ কোটি ১১ লাখ ৭ হাজার টাকা। প্রথম কার্যাদাশে সময় ছিল চলতি বছরের গেল জুন মাস পর্যন্ত। আনুষ্ঠানিকভাবে কাজ শুরু হয় ২০২৩ সালের ১২ আগস্ট। কাজ শুরুর পর প্রথম দিকে বেশ দ্রুত গতিতেই চলছিল নির্মান কাজ। ধীরে ধীরে অজ্ঞাত কারণ ঝিমিয়ে পড়ে এই নির্মাণ কাজ।খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, নির্মান কাজ চলাকালেই বিপত্তি দেখা দেয় ওভারপাসের নকশার র‌্যাম্পের আয়তন নিয়ে। দু প্রান্তের র‌্যাম্পের নকশায় প্রথমে আয়তন ধরা হয়েছিল ৩৩০ মিটার। এতে ওভারপাসে উঠতে সংযোগ পথ অনেকটা খাড়াখাড়ি হচ্ছিল। এজন্য সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ে সংশোধিত উন্নয়ন প্রকল্প প্রস্তাব (আরডিপিপি) পাঠানো হয়। সংশোধিত নকশায় ওভারপাসে উঠতে সংযোগ সড়ক অর্থাৎ র‌্যাম্পের আয়তন বাড়ানো হয়েছে। দু প্রান্তে র‌্যাম্পের আয়তন বেড়েছে আরও ১১২ মিটার। এতে নতুন করে আরও ব্যয় বেড়েছে ১০ কোটি ৯৮ লাখ ৯৪ হাজার টাকা। এ অবকাঠামো নির্মানে এখন মোট ব্যয় দাঁড়িয়েছে ৮৬ কোটি ১০ লাখ ১ হাজার টাকায়। সেই সাথে সময়ও বেড়েছে আগামী ২০২৫ সালের জুন মাস পর্যন্ত।ব্যয় ও সময়ের সঙ্গে বাড়ছে সাধারণ মানুষের ভোগান্তি। অভিযোগ, ধীরগতির কাজে চলাচল করতে গিয়ে দুর্ভোগে পড়ছেন তারা। দ্রুতই উন্নয়নের ভোগান্তি লাঘবের দাবি তাদের।গণমাধ্যমকর্মী চুয়াডাঙ্গা প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক বিপুল আশরাফ জানান, চুয়াডাঙ্গা শহরের প্রবেশদার এটি। সদর উপজেলার বেশিরভাগ ইউনিয়ন এই এলাকায়। প্রতিদিন এই সড়ক দিয়ে হাজার হাজার মানুষ চলাচল করে। কিছুদিন আগে পথচারীদের মন বোঝানোর জন্য দুই সাইডে মাটি ও ইট দিয়ে রোলার করা হয়। পরে বৃষ্টিতে সড়কটি কাঁদা পানিতে আরো ভয়াবহ আকার ধারন করে। এখন রাস্তাটিতে আরো বড় বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। দ্রুত সাইড রাস্তা নির্মাণ করে জনগণের ভোগান্তি কমানোর দাবি জানিয়েছেন তিনি।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য

দৈনিক বাংলাদেশের চিত্র একটি অনলাইন নিউজ পোর্টাল। এই পত্রিকার মূল স্লোগান হলো "সত্য প্রকাশে আপোষহীন"।আমরা এ দেশের নিপীড়িত ও নির্যাতিত মানুষের কথা বলি।একজন অসহায় মানুষের পাশে দাড়িয়ে অন্যায় প্রতিরোধে সাহায্য করতে আমরা সর্বদা অঙ্গীকারবদ্ধ।দৈনিক বাংলাদেশের চিত্র পত্রিকা গনমানুষের কথা বলে।
ট্যাগস :

দৃশ্যমান ৮৬ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মাণাধীন চুয়াডাঙ্গা ফ্লাইওভার

আপডেট সময় : ০২:১৩:৫৭ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৯ জুলাই ২০২৪

মোঃ আসাদুজ্জামান আসাদ,চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রতিনিধি:- (২৯-৭-২৪ তারিখ)
ধীরগতিতে চলছে চুয়াডাঙ্গা রেলবাজার রেলগেটে ওভারপাস নির্মাণ কাজ। ৭৫ কোটি টাকা ব্যয়ে পৌনে ১ কিলোমিটার দীর্ঘ ফ্লাইওভার (ওভারপাস) নির্মাণাধীন রেলওয়ে ওভারপাসের নকশায় ত্রুটি সংশোধনে ব্যয় বেড়েছে আরও ১১ কোটি টাকা। নতুন নকশায় বেড়েছে ওভারপাসের র‌্যাম্পের আয়তন। সেই সঙ্গে সময় বেড়েছে আরও এক বছর। প্রায় বছর খানেক ধরে চলা নির্মাণ কাজে এখন অনেকটাই দৃশ্যমান দৃষ্টিনন্দন ওভারপাস। একের পর এক বসছে স্প্যান। ওভারপাসে মোট ১৩টি স্প্যান থাকবে।অপরদিকে, প্রধান সড়কের দুই সাইডে (পাশে) রাস্তা তৈরি করে ওভারপাসের কাজ না করায় হাজারো মানুষের জনদুর্ভোগ চরমে উঠেছে। উঁচু নিচু রাস্তায় যান চলাচল কঠিন হয়ে পড়েছে। সেই সঙ্গে বৃষ্টি হলে রাস্তাটি কাদা পানিতে একাকার হয়ে যায়। আবার রোদ পড়লে ধুলা বালিতে সয়লাব হয়ে পড়ে। এর বাইরে লোহার রডসহ বিভিন্ন নির্মাণ সামগ্রী রাস্তার মাঝে ছড়িয়ে ছিটিয়ে রেখে কাজ করায় যে কোন সময় বড় ধরনের দুর্ঘটনার আশঙ্কা করছেন অনেকে। বিষয়টি নিয়ে প্রশাসন ও সওজকে একাধিকবার জানালে কাজের কাজ কিছুই হয়নি। প্রতিদিন এই সড়ক দিয়ে হাজার হাজার যানবাহনে ২৫/৩০ হাজার মানুষ চলাচল করে বলে জানিয়েছে স্থানীয়রা।
এ অবস্থায় সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা বলছেন, কাজ শেষ হয়েছে প্রায় ৪০ শতাংশ। নির্ধারিত সময়ের আগেই বাকি কাজ শেষ হবে।৭৫ কোটি টাকা ব্যয়ে পৌনে এক কিলোমিটার দীর্ঘ ফ্লাইওভার (ওভারপাস) নির্মাণ কাজ গত বছরের (২০২৩ সালের) ১২ আগস্ট শহরের একাডেমি মোড়ে উদ্বোধন করেন চুয়াডাঙ্গা-১ আসনের এমপি সোলায়মান হক জোয়াদ্দার ছেলুন।এরপর শহরের প্রবেশদার বাসটার্মিনাল থেকে একাডেমি মোড় পর্যন্ত ফ্লাইওভার নির্মাণ কাজ শুরু হয়। পৌনে ১ কিলোমিটার দীর্ঘ ফ্লাইওভার নির্মাণ করতে মূল সড়কের বেশির অংশ ঠিকাদাররা ঘিরে রেখেছে। এতে রাস্তাটি এতোটাই শরু হয়ে গেছে, যান চলাচল করা দুরূহ হয়ে পড়েছে। দুই পাশে রাস্তা না বাড়ানোর কারণে মাটির রাস্তায় ছোট বড় অনেক গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। এতে সড়কে চলাচলরত বাস, ট্রাক, প্রাইভেটকার, ইজিবাইক, মোটরসাইকেলসহ পথচারী চলাচল দুরূহ হয়ে পড়েছে। একটু বৃষ্টি হলে রাস্তাটি কাঁদা পানিতে সয়লাব হয়ে যায়। আবার শুকনো মৌসুমে পুরো রাস্তা ধুলোবালুতে একাকার হয়ে যায়।অপরদিকে, ট্রেন আসা যাওয়ার সময় দীর্ঘক্ষণ এসড়কের রেলগেট বন্ধ রাখায় ভোগান্তির মাত্রা আরো একধাপ বেড়ে যায়। এ সময় রাস্তার দুধারে রোদ গরম ও বৃষ্টিতে ১৫/২০ মিনিট যানবাহন আটকা পড়ে।জানা গেছে, চুয়াডাঙ্গার প্রধান সড়কটি রাত ও দিনের অধিকাংশ সময় রেল লাইনের গেট পড়ে থাকায় নিরবচ্ছিন্ন যোগাযোগ বিঘ্ন ঘটে। জনসাধারণকে পড়তে হয় দীর্ঘ যানজটের কবলে। যানজট কমানো ও নিরবচ্ছিন্ন সড়ক যোগাযোগ স্থাপনসহ নানা সমস্যার সমাধানে চুয়াডাঙ্গা শহরের রেলবাজার এলাকায় রেলওয়ে ওভারপাস নির্মাণ করা চলছে। ২০২২ সালের ২৮ জুন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত একনেকের বৈঠকে ওভারপাস নির্মাণ প্রকল্পটির অনুমোদন দেওয়া হয়। পরে সড়ক ও জনপথ (সওজ) বিভাগ দরপত্র আহ্বান করে। ঢাকা বনানীর ন্যাশনাল ডেভেলপমেন্ট ইঞ্জিনিয়ারিং লিমিটেড (এনডিই) নামের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান কাজটি পায়। ৭৪৮ দশমিক ৬৯৬ মিটার আয়তনের এ অবকাঠামো নির্মানে ব্যয় ধরা হয়েছিল ৭৫ কোটি ১১ লাখ ৭ হাজার টাকা। প্রথম কার্যাদাশে সময় ছিল চলতি বছরের গেল জুন মাস পর্যন্ত। আনুষ্ঠানিকভাবে কাজ শুরু হয় ২০২৩ সালের ১২ আগস্ট। কাজ শুরুর পর প্রথম দিকে বেশ দ্রুত গতিতেই চলছিল নির্মান কাজ। ধীরে ধীরে অজ্ঞাত কারণ ঝিমিয়ে পড়ে এই নির্মাণ কাজ।খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, নির্মান কাজ চলাকালেই বিপত্তি দেখা দেয় ওভারপাসের নকশার র‌্যাম্পের আয়তন নিয়ে। দু প্রান্তের র‌্যাম্পের নকশায় প্রথমে আয়তন ধরা হয়েছিল ৩৩০ মিটার। এতে ওভারপাসে উঠতে সংযোগ পথ অনেকটা খাড়াখাড়ি হচ্ছিল। এজন্য সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ে সংশোধিত উন্নয়ন প্রকল্প প্রস্তাব (আরডিপিপি) পাঠানো হয়। সংশোধিত নকশায় ওভারপাসে উঠতে সংযোগ সড়ক অর্থাৎ র‌্যাম্পের আয়তন বাড়ানো হয়েছে। দু প্রান্তে র‌্যাম্পের আয়তন বেড়েছে আরও ১১২ মিটার। এতে নতুন করে আরও ব্যয় বেড়েছে ১০ কোটি ৯৮ লাখ ৯৪ হাজার টাকা। এ অবকাঠামো নির্মানে এখন মোট ব্যয় দাঁড়িয়েছে ৮৬ কোটি ১০ লাখ ১ হাজার টাকায়। সেই সাথে সময়ও বেড়েছে আগামী ২০২৫ সালের জুন মাস পর্যন্ত।ব্যয় ও সময়ের সঙ্গে বাড়ছে সাধারণ মানুষের ভোগান্তি। অভিযোগ, ধীরগতির কাজে চলাচল করতে গিয়ে দুর্ভোগে পড়ছেন তারা। দ্রুতই উন্নয়নের ভোগান্তি লাঘবের দাবি তাদের।গণমাধ্যমকর্মী চুয়াডাঙ্গা প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক বিপুল আশরাফ জানান, চুয়াডাঙ্গা শহরের প্রবেশদার এটি। সদর উপজেলার বেশিরভাগ ইউনিয়ন এই এলাকায়। প্রতিদিন এই সড়ক দিয়ে হাজার হাজার মানুষ চলাচল করে। কিছুদিন আগে পথচারীদের মন বোঝানোর জন্য দুই সাইডে মাটি ও ইট দিয়ে রোলার করা হয়। পরে বৃষ্টিতে সড়কটি কাঁদা পানিতে আরো ভয়াবহ আকার ধারন করে। এখন রাস্তাটিতে আরো বড় বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। দ্রুত সাইড রাস্তা নির্মাণ করে জনগণের ভোগান্তি কমানোর দাবি জানিয়েছেন তিনি।