ঢাকা ০৯:১৫ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ০১ নভেম্বর ২০২৫, ১৭ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
৩১ দফা বাস্তবায়নে অটল অঙ্গীকার—দুমকিতে সদস্য নবায়নে নতুন চ্যালেঞ্জ যশোরের শার্শায় বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ঘোষিত রাষ্ট্র কাঠামো সংস্কারের ৩১ দফা জনসাধারণের মাঝে প্রচারের লক্ষ্যে লিফলেট বিতরণ সরকারি অর্থের অপচয়ের আরেক নজির-দুমকিতে সংযোগ সড়ক ছাড়া সেতু সোনাগাজীর শাহজাহান সাজু কে ঢাকায় অপহরণ ও নির্যাতনের অভিযোগ ‎খেলাধুলায় শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণে গর্বিত- পবিপ্রবি উপাচার্য ‎ চুয়াডাঙ্গায় মাদকসহ যুবক গ্রেফতার, ১৫ দিনের কারাদণ্ড কুতুবদিয়া থানা পুলিশের বিশেষ অভিযানে শ্রমিকলীগ নেতা গ্রেফতার কালিগঞ্জে দীর্ঘদিন অনুপস্থিত থাকায় প্রাথমিকের ২ শিক্ষক বিভাগীয় জবাবদিহির মুখে বহমান বাংলা পত্রিকার প্রতিষ্ঠাতা বরেণ্য শিক্ষাবিদ মো. জিয়াউর রহমান’র ওফাতে গভীর শোক প্রকাশ সাতক্ষীরা-৪ (শ্যামনগর) আসনে এবি পার্টির আনুষ্ঠানিক নির্বাচনী প্রচারণা শুরু

দুমকীতে স্কুলপথে ঝুঁকিপূর্ণ বাঁশের সাঁকো

নিজস্ব প্রতিনিধি
  • আপডেট সময় : ০৫:১০:০২ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫ ৪৮ বার পড়া হয়েছে



‎মোঃ সজিব সরদার,‎স্টাফ রিপোর্টারঃ পটুয়াখালীর দুমকী উপজেলার শ্রীরামপুর ও  মুরাদিয়া ইউনিয়নের পাঁচটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীসহ স্থানীয় এলাকাবাসী জীবনের ঝুঁকি নিয়ে বাঁশের সাঁকো দিয়ে যাতায়াত করছে। মুরাদিয়া  ইউনিয়নের দক্ষিণ  মুরাদিয়ার পশ্চিম মুরাদিয়া সরকারি মডেল প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সামনে মুরাদিয়া নদীর (বর্তমানে খাল) ওপর স্থানীয়দের সহযোগিতায় নির্মিত এ বাঁশের সাঁকোটি। বর্তমানে সাঁকোটি জরাজীর্ণ ও নড়বড়ে হয়ে যাওয়ায় ঝুঁকিপূর্ণ।

‎স্থানীয়রা জানান, পশ্চিম মুরাদিয়া সরকারি মডেল প্রাথমিক বিদ্যালয়, সালামপুর মাইনুল উলুম মাদ্রাসা, লতিফ মোহসেনা মাধ্যমিক বিদ্যালয়, মুরাদিয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়,দক্ষিণ মুরাদিয়া মহিলা ফাজিল মাদ্রাসার ছাত্রছাত্রীদের জীবনের ঝুঁকি নিয়ে এ সাঁকোর ওপর দিয়ে প্রতিদিন চলাচল করতে হচ্ছে। এছাড়া স্থানীয় এলাকাবাসী বিভিন্ন প্রয়োজনে উপজেলা শহর সহ পার্শ্ববর্তী জামলা ও কলবাড়ী বাজারে যাতায়াতের জন্য এই সাঁকো ব্যবহার করে থাকেন।

‎স্হানীয়দের অভিযোগ বিষয়টি জনপ্রতিনিধিদের কাছে বহুবার অবহিত করা হলেও কার্যকর  কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করেননি।

‎পঞ্চম শ্রেণিতে পড়ুয়া আয়েশা আক্তার  সহ কয়েকজন শিক্ষার্থী জানায়, ঝুঁকিপূর্ণ এ সাঁকোটি পারাপার হতে তাদের অনেক ভোগান্তি পোহাতে হয়। অনেক সময় পা পিছলে পানিতে পড়ে বইপত্র নষ্ট হয়। কেউ কেউ আহতও হয়েছেন।  ঝুঁকিপূর্ণ এ সাঁকোর স্থানে  ব্রিজ নির্মাণ হলে আমাদের সুবিধা হতো।

‎কামাল হাওলাদার নামে এক  শিক্ষার্থীর অভিভাবক বলেন, সাঁকোটি অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ হওয়ার পরও ছেলেমেয়েদের এই বাঁশের সাঁকো পার করেই স্কুলে পাঠাতে হয়। 

‎মুরাদিয়া ইউনিয়ন পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান হাফিজুর রহমান ফোরকান  বলেন, এলাকাবাসীর কল্যাণ এবং কোমলমতি শিক্ষার্থীদের জন্য এই বাঁশের সাকোটির পরিবর্তে একটা  আয়রন ব্রীজ নির্মাণের প্রয়োজন। ইউনিয়ন পরিষদে অন্য কয়েকটি ব্রীজের মালামাল আছে। উপজেলা পরিষদ থেকে কিছু টাকা বরাদ্ধ পেলেই এখানে একটি আয়রন ব্রীজ নির্মান করা হবে। এ ছাড়াও  বিষয়টি আমরা এলজিইডিকে অবহিত করে রেখেছি।

‎উপজেলা নির্বাহী অফিসার আবুজর মো. ইজাজুল হক বলেন,বিষয়টি তদারকি সাপেক্ষে বিধি মোতাবেক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য

দৈনিক বাংলাদেশের চিত্র একটি অনলাইন নিউজ পোর্টাল। এই পত্রিকার মূল স্লোগান হলো "সত্য প্রকাশে আপোষহীন"।আমরা এ দেশের নিপীড়িত ও নির্যাতিত মানুষের কথা বলি।একজন অসহায় মানুষের পাশে দাড়িয়ে অন্যায় প্রতিরোধে সাহায্য করতে আমরা সর্বদা অঙ্গীকারবদ্ধ।দৈনিক বাংলাদেশের চিত্র পত্রিকা গনমানুষের কথা বলে।
ট্যাগস :

দুমকীতে স্কুলপথে ঝুঁকিপূর্ণ বাঁশের সাঁকো

আপডেট সময় : ০৫:১০:০২ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫



‎মোঃ সজিব সরদার,‎স্টাফ রিপোর্টারঃ পটুয়াখালীর দুমকী উপজেলার শ্রীরামপুর ও  মুরাদিয়া ইউনিয়নের পাঁচটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীসহ স্থানীয় এলাকাবাসী জীবনের ঝুঁকি নিয়ে বাঁশের সাঁকো দিয়ে যাতায়াত করছে। মুরাদিয়া  ইউনিয়নের দক্ষিণ  মুরাদিয়ার পশ্চিম মুরাদিয়া সরকারি মডেল প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সামনে মুরাদিয়া নদীর (বর্তমানে খাল) ওপর স্থানীয়দের সহযোগিতায় নির্মিত এ বাঁশের সাঁকোটি। বর্তমানে সাঁকোটি জরাজীর্ণ ও নড়বড়ে হয়ে যাওয়ায় ঝুঁকিপূর্ণ।

‎স্থানীয়রা জানান, পশ্চিম মুরাদিয়া সরকারি মডেল প্রাথমিক বিদ্যালয়, সালামপুর মাইনুল উলুম মাদ্রাসা, লতিফ মোহসেনা মাধ্যমিক বিদ্যালয়, মুরাদিয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়,দক্ষিণ মুরাদিয়া মহিলা ফাজিল মাদ্রাসার ছাত্রছাত্রীদের জীবনের ঝুঁকি নিয়ে এ সাঁকোর ওপর দিয়ে প্রতিদিন চলাচল করতে হচ্ছে। এছাড়া স্থানীয় এলাকাবাসী বিভিন্ন প্রয়োজনে উপজেলা শহর সহ পার্শ্ববর্তী জামলা ও কলবাড়ী বাজারে যাতায়াতের জন্য এই সাঁকো ব্যবহার করে থাকেন।

‎স্হানীয়দের অভিযোগ বিষয়টি জনপ্রতিনিধিদের কাছে বহুবার অবহিত করা হলেও কার্যকর  কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করেননি।

‎পঞ্চম শ্রেণিতে পড়ুয়া আয়েশা আক্তার  সহ কয়েকজন শিক্ষার্থী জানায়, ঝুঁকিপূর্ণ এ সাঁকোটি পারাপার হতে তাদের অনেক ভোগান্তি পোহাতে হয়। অনেক সময় পা পিছলে পানিতে পড়ে বইপত্র নষ্ট হয়। কেউ কেউ আহতও হয়েছেন।  ঝুঁকিপূর্ণ এ সাঁকোর স্থানে  ব্রিজ নির্মাণ হলে আমাদের সুবিধা হতো।

‎কামাল হাওলাদার নামে এক  শিক্ষার্থীর অভিভাবক বলেন, সাঁকোটি অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ হওয়ার পরও ছেলেমেয়েদের এই বাঁশের সাঁকো পার করেই স্কুলে পাঠাতে হয়। 

‎মুরাদিয়া ইউনিয়ন পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান হাফিজুর রহমান ফোরকান  বলেন, এলাকাবাসীর কল্যাণ এবং কোমলমতি শিক্ষার্থীদের জন্য এই বাঁশের সাকোটির পরিবর্তে একটা  আয়রন ব্রীজ নির্মাণের প্রয়োজন। ইউনিয়ন পরিষদে অন্য কয়েকটি ব্রীজের মালামাল আছে। উপজেলা পরিষদ থেকে কিছু টাকা বরাদ্ধ পেলেই এখানে একটি আয়রন ব্রীজ নির্মান করা হবে। এ ছাড়াও  বিষয়টি আমরা এলজিইডিকে অবহিত করে রেখেছি।

‎উপজেলা নির্বাহী অফিসার আবুজর মো. ইজাজুল হক বলেন,বিষয়টি তদারকি সাপেক্ষে বিধি মোতাবেক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।