ঢাকা ১০:৫০ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৯ অক্টোবর ২০২৫, ৪ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
রাজনীতিতে ঝড় তুলে শৈলকুপার ইতিহাসে নতুন মোড়: বিএনপির নেত্রী হলেন আইনশৃঙ্খলা কমিটির সদস্য অসুস্থ ওয়ার্ড নেতাকে দেখতে ছুটে এলেন , কামাল আনোয়ার বরিশালে পদোন্নতিপ্রাপ্ত ৮ কর্মকর্তাকে র‌্যাংক ব্যাজ পরালেন রেঞ্জ কমান্ডার দুমকীতে শিক্ষকতার নামে সরকারি অর্থ আত্মসাৎ-দুই চাকরিতে তিন শিক্ষক ঝালকাঠি-১ আসনে ইসলামী আন্দোলনের মোটর শোভাযাত্রা উত্তর ধুলিয়ার ইকবাল হোসেন রুবেলের প্রতারণা শিকার হয়ে বহু যুবক নিঃস্ব হয়ে মানবতর জীবন যাপন করছে সোনাগাজী উপজেলা ইমাম পরিষদ’র কমিটি ঘোষণা কুতুবদিয়া উপজেলার দক্ষিণ ধুরুং ইউনিয়ন যুবদলের সম্মেলন ও কাউন্সিল সম্পন্ন সাগর-রুনি হত্যাকাণ্ড মামলার পথেই হাঁটছে বকশীগঞ্জের সাংবাদিক নাদিম হত্যা মামলা দেবহাটা চীনেডাঙ্গা এতিম খানা মাঠে উন্মুক্ত ওয়ার্ড সভা

দুমকীতে শিক্ষকতার নামে সরকারি অর্থ আত্মসাৎ-দুই চাকরিতে তিন শিক্ষক

নিজেস্ব প্রতিনিধি
  • আপডেট সময় : ০৫:৩৪:০৮ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৯ অক্টোবর ২০২৫ ৩৯ বার পড়া হয়েছে



‎মোঃ সজিব সরদার,স্টাফ রিপোর্টার:পটুয়াখালীর দুমকীতে একসাথে দুই প্রতিষ্ঠানে নিয়োগ নিয়ে চাকরি করার অভিযোগ প্রমানিত হওয়ায় আজিজ আহম্মেদ ডিগ্রি কলেজের তিন শিক্ষককে কারণ দর্শানো চিঠি  দিয়েছেন মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর ( মাউশি)ঢাকা।
‎অভিযুক্ত শিক্ষকরা হলেন জীববিজ্ঞান বিষয়ের প্রভাষক মো. সিদ্দিকুর রহমান (ইনডেক্স- ৩০৭৯৭১২) , বাংলা বিষয়ের প্রভাষক শাহিনা আক্তার ( ইনডেক্স-৩০৭৯৭১৬) ও ইসলাম শিক্ষা বিষয়ের প্রভাষক মো. মোশারেফ হোসেন ( ইনডেক্স – ৩০৮৬৮৪৪)।

‎এ বছরের ২৬ ফেব্রুয়ারী দৈনিক শিক্ষা ডটকম  অনলাইন পোর্টালে এ বিষয়ে  সংবাদ প্রকাশিত হয়। পরে ১৯ মার্চ  মাউশির সহকারী পরিচালক মো.মাঈন উদ্দিনের সই করা চিঠিতে উক্ত তিন শিক্ষকের বিরুদ্ধে অভিযোগ তদন্তের জন্য মাউশি বরিশালের আঞ্চলিক পরিচালককে মনোনীত করেন এবং তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করতে বলেন। মাউশি বরিশাল অঞ্চলের আঞ্চলিক পরিচালক প্রফেসর মো. ওমর ফারুকসহ তিন সদস্যর প্রতিনিধি সরেজমিন তদন্ত পূর্বক প্রতিবেদন দাখিল করেন।

‎গত ৭ অক্টোবর মাউশির সহকারী পরিচালক মো. মাঈন উদ্দিন আজিজ আহম্মেদ কলেজের উপরোক্ত  তিন শিক্ষকের বিরুদ্ধে অভিযোগের সত্যতা প্রমানিত হওয়ায় কেন তাঁদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে না এ মর্মে  ৭ কার্যদিবসের মধ্যে জবাব দিতে কারণ দর্শানো চিঠি দেন।

‎সূত্র জানা যায় , মো. সিদ্দিকুর রহমান ২০০৪ সালে উত্তর মুরাদিয়া বশিরিয়া আলিম মাদ্রাসায় নিয়োগ নিয়ে এমপিওভুক্ত হন। ২০১০ সাল পর্যন্ত উক্ত প্রতিষ্ঠান থেকে বেতন ভাতা উত্তোলন করেন। একই সাথে আজিজ আহম্মেদ কলেজে ২০০৪ সালে নিয়োগ নেন। শাহিনা আক্তার কারখানা আলিম মাদ্রাসায় নিয়োগ নিয়ে ২০১০ সালের জুন মাস পর্যন্ত বেতন ভাতা উত্তোলন করেন। একইসাথে আজিজ আহম্মেদ কলেজে ২০০৫ সালে নিয়োগ নেন।মোশারেফ হোসেন সালামপুর আমিনিয়া সিনিয়র মাদ্রাসায় নিয়োগ নিয়ে ২০১০ সালের পরও বেতনভাতা উত্তোলন করেন। তিনিও আজিজ আহম্মেদ কলেজে ২০০৪ সালে নিয়োগ নেন।  সিনিয়র স্কেল নিয়ে নিয়ে নিজেদের মধ্যে দ্বন্দ্ব শুরু হলে আসল তথ্য বেড়িয়ে আসে।

‎এবিষয়ে অভিযুক্ত প্রভাষক মো. সিদ্দিকুর রহমান বলেন, দুই প্রতিষ্ঠানে নিয়োগ নেয়া অপরাধ কিনা তা আইন বলতে পারবে।

‎শাহিনা আক্তারের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি এ প্রতিবেদককে তথ্য দিতে রাজি হয়নি।

‎মো. মোশারেফ হোসেন বলেন,১৯৯৫ সালের বিধান অনুযায়ী নিয়োগ নিয়েছি। আমি কারণ দর্শানো চিঠির জবাব দিয়েছেন।

‎আজিজ আহম্মেদ কলেজের অধ্যক্ষ মো. আহসানুল হক বলেন,এবিষয়ে মাউশির চিঠি পেয়েছি। সংশ্লিষ্ট শিক্ষকদের কারণ দর্শানো চিঠির বিষয়টি অবহিত করা হয়েছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য

দৈনিক বাংলাদেশের চিত্র একটি অনলাইন নিউজ পোর্টাল। এই পত্রিকার মূল স্লোগান হলো "সত্য প্রকাশে আপোষহীন"।আমরা এ দেশের নিপীড়িত ও নির্যাতিত মানুষের কথা বলি।একজন অসহায় মানুষের পাশে দাড়িয়ে অন্যায় প্রতিরোধে সাহায্য করতে আমরা সর্বদা অঙ্গীকারবদ্ধ।দৈনিক বাংলাদেশের চিত্র পত্রিকা গনমানুষের কথা বলে।
ট্যাগস :

দুমকীতে শিক্ষকতার নামে সরকারি অর্থ আত্মসাৎ-দুই চাকরিতে তিন শিক্ষক

আপডেট সময় : ০৫:৩৪:০৮ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৯ অক্টোবর ২০২৫



‎মোঃ সজিব সরদার,স্টাফ রিপোর্টার:পটুয়াখালীর দুমকীতে একসাথে দুই প্রতিষ্ঠানে নিয়োগ নিয়ে চাকরি করার অভিযোগ প্রমানিত হওয়ায় আজিজ আহম্মেদ ডিগ্রি কলেজের তিন শিক্ষককে কারণ দর্শানো চিঠি  দিয়েছেন মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর ( মাউশি)ঢাকা।
‎অভিযুক্ত শিক্ষকরা হলেন জীববিজ্ঞান বিষয়ের প্রভাষক মো. সিদ্দিকুর রহমান (ইনডেক্স- ৩০৭৯৭১২) , বাংলা বিষয়ের প্রভাষক শাহিনা আক্তার ( ইনডেক্স-৩০৭৯৭১৬) ও ইসলাম শিক্ষা বিষয়ের প্রভাষক মো. মোশারেফ হোসেন ( ইনডেক্স – ৩০৮৬৮৪৪)।

‎এ বছরের ২৬ ফেব্রুয়ারী দৈনিক শিক্ষা ডটকম  অনলাইন পোর্টালে এ বিষয়ে  সংবাদ প্রকাশিত হয়। পরে ১৯ মার্চ  মাউশির সহকারী পরিচালক মো.মাঈন উদ্দিনের সই করা চিঠিতে উক্ত তিন শিক্ষকের বিরুদ্ধে অভিযোগ তদন্তের জন্য মাউশি বরিশালের আঞ্চলিক পরিচালককে মনোনীত করেন এবং তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করতে বলেন। মাউশি বরিশাল অঞ্চলের আঞ্চলিক পরিচালক প্রফেসর মো. ওমর ফারুকসহ তিন সদস্যর প্রতিনিধি সরেজমিন তদন্ত পূর্বক প্রতিবেদন দাখিল করেন।

‎গত ৭ অক্টোবর মাউশির সহকারী পরিচালক মো. মাঈন উদ্দিন আজিজ আহম্মেদ কলেজের উপরোক্ত  তিন শিক্ষকের বিরুদ্ধে অভিযোগের সত্যতা প্রমানিত হওয়ায় কেন তাঁদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে না এ মর্মে  ৭ কার্যদিবসের মধ্যে জবাব দিতে কারণ দর্শানো চিঠি দেন।

‎সূত্র জানা যায় , মো. সিদ্দিকুর রহমান ২০০৪ সালে উত্তর মুরাদিয়া বশিরিয়া আলিম মাদ্রাসায় নিয়োগ নিয়ে এমপিওভুক্ত হন। ২০১০ সাল পর্যন্ত উক্ত প্রতিষ্ঠান থেকে বেতন ভাতা উত্তোলন করেন। একই সাথে আজিজ আহম্মেদ কলেজে ২০০৪ সালে নিয়োগ নেন। শাহিনা আক্তার কারখানা আলিম মাদ্রাসায় নিয়োগ নিয়ে ২০১০ সালের জুন মাস পর্যন্ত বেতন ভাতা উত্তোলন করেন। একইসাথে আজিজ আহম্মেদ কলেজে ২০০৫ সালে নিয়োগ নেন।মোশারেফ হোসেন সালামপুর আমিনিয়া সিনিয়র মাদ্রাসায় নিয়োগ নিয়ে ২০১০ সালের পরও বেতনভাতা উত্তোলন করেন। তিনিও আজিজ আহম্মেদ কলেজে ২০০৪ সালে নিয়োগ নেন।  সিনিয়র স্কেল নিয়ে নিয়ে নিজেদের মধ্যে দ্বন্দ্ব শুরু হলে আসল তথ্য বেড়িয়ে আসে।

‎এবিষয়ে অভিযুক্ত প্রভাষক মো. সিদ্দিকুর রহমান বলেন, দুই প্রতিষ্ঠানে নিয়োগ নেয়া অপরাধ কিনা তা আইন বলতে পারবে।

‎শাহিনা আক্তারের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি এ প্রতিবেদককে তথ্য দিতে রাজি হয়নি।

‎মো. মোশারেফ হোসেন বলেন,১৯৯৫ সালের বিধান অনুযায়ী নিয়োগ নিয়েছি। আমি কারণ দর্শানো চিঠির জবাব দিয়েছেন।

‎আজিজ আহম্মেদ কলেজের অধ্যক্ষ মো. আহসানুল হক বলেন,এবিষয়ে মাউশির চিঠি পেয়েছি। সংশ্লিষ্ট শিক্ষকদের কারণ দর্শানো চিঠির বিষয়টি অবহিত করা হয়েছে।