দর্শনায় শিশুর যৌনাঙ্গে আঙ্গুল ডুকিয়ে রক্তাক্ত জখম করেছে বিকৃত লালসার বৃদ্ধ দোকানী

- আপডেট সময় : ১০:০৭:৩৫ অপরাহ্ন, বুধবার, ১ মে ২০২৪ ১০৯ বার পড়া হয়েছে

মোঃ আসাদুজ্জামান আসাদ।
চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রতিনিধি:-
চুয়াডাঙ্গায় ছয় বছর বয়সী শিশু ধ*র্ষ*ণ মামলায় সুন্নত আলী (৬০) নামের এক বৃদ্ধ দোকানিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) রাতে ভুক্তভোগী শিশুটির পরিবারের পক্ষ থেকে দর্শনা থানায় একটি ধ*র্ষ*ণে*র মামলা দায়ের করেন।এরপরই পুলিশ অভিযান চালিয়ে অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করে।
গ্রেপ্তার সুন্নত আলী চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার বেগমপুর ইউনিয়নের হরিশপুর গ্রামের মৃত পিরু মণ্ডলের ছেলে।ভুক্তভোগী শিশু ও পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, গতকাল মঙ্গলবার সন্ধ্যার দিকে ভুক্তভোগী শিশুকে তার মা পাশ্ববর্তী সুন্নত আলীর দোকানে মোবাইলের রিচার্জ কার্ড (মিনিট কার্ড) কিনতে পাঠায়।
এসময় সুন্নত আলী শিশুটিকে দোকানের মধ্যে নিয়ে তার যৌনাঙ্গে জোরপূর্বক আঙ্গুল ঢুকিয়ে দেয়। এতে শিশুটির যৌনাঙ্গ থেকে রক্তক্ষরণ শুরু হয়।
পরে শিশুটি বাড়ি গিয়ে তার মাকে বিষয়টি জানালে দ্রুত দর্শনা থানায় যায়। পরে পুলিশের সহায়তায় শিশুটিকে উদ্ধার করে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়।
রাতেই শিশুর পরিবারের পক্ষ থেকে দর্শনা থানায় একটি ধর্ষণ মামলা দায়ের করা হয়েছে।চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. আব্দুল কাদের সাংবাদিকদের বলেন, পরিবারের সদস্যরা একটি শিশুকে নিয়ে জরুরি বিভাগে এসেছিলেন।
বিস্তারিত শোনার পর তাৎক্ষনিক শিশুটিকে আবাসিক মেডিকেল অফিসারের (আরএমও) নিকট পাঠানো হয়েছে।এ বিষয়ে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) ডা. ফারহানা পলাশ সাংবাদিকদের বলেন, রাতেই শিশুটির স্বাস্থ্য পরিক্ষার জন্য নির্দেশ দেয়া হয়েছে। রিপোর্ট পেলে বিস্তারিত বলা যাবে।
দর্শনা থানা পুলিশের পরিদর্শক (ওসি) বিপ্লব কুমার সাংবাদিকদের বলেন, শিশুটি তার মায়ের কথামতো দোকানে মিনিট কার্ড কিনতে গেলে দোকানি শিশুটির যৌনাঙ্গে আঙ্গুল ঢুকিয়ে রক্তাক্ত করেছে বলে মামলায় উল্লেখ করেছে।
এ ঘটনায় শিশুটির পরিবার ধর্ষণ দায়ের করলে অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করে আজ আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে। সরাসরি ধর্ষণ না হলেও ধর্ষণের মামলা দায়ের হয়েছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, এটা আইনে অনেক ব্যাখ্যা আছে।
এটা আদালতের ব্যাপার। যৌ*ন চাহিদা পূরণ করতেই এমন কাজ করেছে। ধর্ষণ হয়েছে কিনা আমরা চিকিৎসকের মতামত নিব। তদন্ত করে আমরা যেটা পাব সেই মোতাবেক আমরা আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করব।