ঢাকা ১১:৫৬ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৬ এপ্রিল ২০২৫, ৩ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
জীবননগর আসামিবিহীন ঔষধ উদ্ধার করেছে বিজিবি তুরস্কে আন্তর্জাতিক সম্মেলনে বিএসপি চেয়ারম্যান সৈয়দ সাইফুদ্দীন আহমদ মাইজভাণ্ডারী ২০২৪-২০২৫ শিক্ষাবর্ষের কৃষিগুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশিত কালিগঞ্জে প্লাস্টিক পলিথিন দূষণ প্রতিরোধে রূপান্তরের গনশুনানি অনুষ্ঠিত বরিশালের গৌরনদী উপজেলায় মহানবীকে নিয়ে কটূক্তিকারি মিলন খান কে গ্রেপ্তার করা হয়েছে কালীগঞ্জে যথাযোগ্য মর্যাদায় নানা অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে নববর্ষকে বরণ রাউজানে বর্ণাঢ্য আয়োজনে পহেলা বৈশাখ উদযাপন ঝিনাইদহে ৮ দফা দাবি আদায়ে এটিআই শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ ফটিকছড়ি দাঁতমারার ইউ.পি চেয়ারম্যান আদালত হতে কারাগারে নীলফামারীতে স্ত্রীর মামলায় স্বাস্থ্য কর্মকর্তা স্বামী শ্রীঘরে

তুরস্কে আন্তর্জাতিক সম্মেলনে বিএসপি চেয়ারম্যান সৈয়দ সাইফুদ্দীন আহমদ মাইজভাণ্ডারী

নিজস্ব প্রতিনিধি
  • আপডেট সময় : ১১:৪৫:১৬ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৫ এপ্রিল ২০২৫ ১০ বার পড়া হয়েছে

মাসুদুল ইসলাম মাসুদ:- গাজায় যা ঘটছে তা কোনো সংঘাত নয়, এটি একটি গণহত্যা’ মঙ্গলবার ১৫ এপ্রিল ২০২৫ তুরস্কে ইন্টারন্যাশনাল একাডেমি অব সুফি স্কলার্স আয়োজিত ১২তম আন্তর্জাতিক সুফি সম্মেলন -এ এক গুরুত্বপূর্ণ ভাষণ প্রদান করেন মাইজভান্ডার দরবার শরীফের বর্তমান সাজ্জাদানশীন ও বাংলাদেশ সুপ্রিম পার্টির চেয়ারম্যান শাহসুফি ড. সৈয়দ সাইফুদ্দীন আহমদ আল হাসানী। তাঁর বক্তব্যের শিরোনাম ছিল “ডিজিটাল প্রযুক্তির নিয়ন্ত্রিত ব্যবহার: নীতিমালা ও চ্যালেঞ্জ”। সৈয়দ সাইফুদ্দীন আহমদ কুরআনের ভারসাম্যের নীতির ওপর গুরুত্বারোপ করে বলেন, মুসলিম উম্মাহকে ডিজিটাল প্রযুক্তির ব্যবহারে প্রজ্ঞা ও দায়িত্ববোধের সাথে অগ্রসর হতে হবে। তিনি বলেন, “প্রযুক্তি মানবতার সেবা করার জন্য, মানবতাকে বন্দি করার জন্য নয়।” তিনি ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে উদ্ভূত তথ্য বিভ্রান্তি, গোপনীয়তা লঙ্ঘন ও নৈতিক অবক্ষয়ের মতো চ্যালেঞ্জগুলো তুলে ধরেন এবং ইসলামি মূল্যবোধ অনুযায়ী সত্যবাদিতা ও ন্যায়বিচারভিত্তিক একটি নৈতিক কাঠামো গড়ে তোলার ওপর জোর দেন। তিনি ডিজিটাল জগতে ব্যবহারকারীদের আত্মনিয়ন্ত্রণ, তরুণ প্রজন্মের মাঝে প্রযুক্তি ব্যবহারে শৃঙ্খলা ও আলেম-নীতি-নির্ধারকদের সমন্বয়ে একটি নৈতিক গাইডলাইন প্রণয়নের প্রয়োজনীয়তার কথা বলেন। তাঁর বক্তব্যের সবচেয়ে আবেগঘন অংশটি ছিল গাজার চলমান মানবিক বিপর্যয় নিয়ে। তিনি বলেন, “গাজায় যা ঘটছে তা কোনো সংঘাত নয়, এটি একটি গণহত্যা।” তিনি বিশ্বের ১.৮ বিলিয়ন মুসলমানকে কূটনৈতিক, অর্থনৈতিক ও নৈতিকভাবে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানান। গাজার জন্য মুসলিম বিশ্বে একটি জরুরি তহবিল গঠনের প্রস্তাব দেন, যা মুসলিম দেশগুলোর অর্থনৈতিক শক্তির মাধ্যমে পরিচালিত হবে। একইসাথে তিনি জাতিসংঘ ও অন্যান্য আন্তর্জাতিক প্ল্যাটফর্মে মুসলিম দেশগুলোকে একটি শক্তিশালী কণ্ঠস্বর হিসেবে একত্রিত হওয়ার আহ্বান জানান। সৈয়দ সাইফুদ্দীন আহমদ আল হাসানী তাঁর বক্তব্য শেষ করেন গাজার মানুষের জন্য দোয়া করে। তিনি আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করেন, যেন তিনি গাজার জনগণকে রক্ষা করেন, শহীদদের কবুল করেন এবং মুসলিম উম্মাহর বিবেককে জাগ্রত করেন। তুরস্ক সরকারের সহযোগিতায় আয়োজিত এ আন্তর্জাতিক সম্মেলনে ২৫টি দেশের অর্ধশতাধিক স্কলার, বুদ্ধিজীবী ও গবেষক অংশগ্রহণ করেছেন।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য

দৈনিক বাংলাদেশের চিত্র একটি অনলাইন নিউজ পোর্টাল। এই পত্রিকার মূল স্লোগান হলো "সত্য প্রকাশে আপোষহীন"।আমরা এ দেশের নিপীড়িত ও নির্যাতিত মানুষের কথা বলি।একজন অসহায় মানুষের পাশে দাড়িয়ে অন্যায় প্রতিরোধে সাহায্য করতে আমরা সর্বদা অঙ্গীকারবদ্ধ।দৈনিক বাংলাদেশের চিত্র পত্রিকা গনমানুষের কথা বলে।
ট্যাগস :

তুরস্কে আন্তর্জাতিক সম্মেলনে বিএসপি চেয়ারম্যান সৈয়দ সাইফুদ্দীন আহমদ মাইজভাণ্ডারী

আপডেট সময় : ১১:৪৫:১৬ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৫ এপ্রিল ২০২৫

মাসুদুল ইসলাম মাসুদ:- গাজায় যা ঘটছে তা কোনো সংঘাত নয়, এটি একটি গণহত্যা’ মঙ্গলবার ১৫ এপ্রিল ২০২৫ তুরস্কে ইন্টারন্যাশনাল একাডেমি অব সুফি স্কলার্স আয়োজিত ১২তম আন্তর্জাতিক সুফি সম্মেলন -এ এক গুরুত্বপূর্ণ ভাষণ প্রদান করেন মাইজভান্ডার দরবার শরীফের বর্তমান সাজ্জাদানশীন ও বাংলাদেশ সুপ্রিম পার্টির চেয়ারম্যান শাহসুফি ড. সৈয়দ সাইফুদ্দীন আহমদ আল হাসানী। তাঁর বক্তব্যের শিরোনাম ছিল “ডিজিটাল প্রযুক্তির নিয়ন্ত্রিত ব্যবহার: নীতিমালা ও চ্যালেঞ্জ”। সৈয়দ সাইফুদ্দীন আহমদ কুরআনের ভারসাম্যের নীতির ওপর গুরুত্বারোপ করে বলেন, মুসলিম উম্মাহকে ডিজিটাল প্রযুক্তির ব্যবহারে প্রজ্ঞা ও দায়িত্ববোধের সাথে অগ্রসর হতে হবে। তিনি বলেন, “প্রযুক্তি মানবতার সেবা করার জন্য, মানবতাকে বন্দি করার জন্য নয়।” তিনি ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে উদ্ভূত তথ্য বিভ্রান্তি, গোপনীয়তা লঙ্ঘন ও নৈতিক অবক্ষয়ের মতো চ্যালেঞ্জগুলো তুলে ধরেন এবং ইসলামি মূল্যবোধ অনুযায়ী সত্যবাদিতা ও ন্যায়বিচারভিত্তিক একটি নৈতিক কাঠামো গড়ে তোলার ওপর জোর দেন। তিনি ডিজিটাল জগতে ব্যবহারকারীদের আত্মনিয়ন্ত্রণ, তরুণ প্রজন্মের মাঝে প্রযুক্তি ব্যবহারে শৃঙ্খলা ও আলেম-নীতি-নির্ধারকদের সমন্বয়ে একটি নৈতিক গাইডলাইন প্রণয়নের প্রয়োজনীয়তার কথা বলেন। তাঁর বক্তব্যের সবচেয়ে আবেগঘন অংশটি ছিল গাজার চলমান মানবিক বিপর্যয় নিয়ে। তিনি বলেন, “গাজায় যা ঘটছে তা কোনো সংঘাত নয়, এটি একটি গণহত্যা।” তিনি বিশ্বের ১.৮ বিলিয়ন মুসলমানকে কূটনৈতিক, অর্থনৈতিক ও নৈতিকভাবে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানান। গাজার জন্য মুসলিম বিশ্বে একটি জরুরি তহবিল গঠনের প্রস্তাব দেন, যা মুসলিম দেশগুলোর অর্থনৈতিক শক্তির মাধ্যমে পরিচালিত হবে। একইসাথে তিনি জাতিসংঘ ও অন্যান্য আন্তর্জাতিক প্ল্যাটফর্মে মুসলিম দেশগুলোকে একটি শক্তিশালী কণ্ঠস্বর হিসেবে একত্রিত হওয়ার আহ্বান জানান। সৈয়দ সাইফুদ্দীন আহমদ আল হাসানী তাঁর বক্তব্য শেষ করেন গাজার মানুষের জন্য দোয়া করে। তিনি আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করেন, যেন তিনি গাজার জনগণকে রক্ষা করেন, শহীদদের কবুল করেন এবং মুসলিম উম্মাহর বিবেককে জাগ্রত করেন। তুরস্ক সরকারের সহযোগিতায় আয়োজিত এ আন্তর্জাতিক সম্মেলনে ২৫টি দেশের অর্ধশতাধিক স্কলার, বুদ্ধিজীবী ও গবেষক অংশগ্রহণ করেছেন।