তারেক রহমানই হবেন নিরাপদ বাংলাদেশের স্থপতি-এটাই সকলের প্রত্যাশা: “সৈকত”

- আপডেট সময় : ১১:৫২:৩২ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৭ জুন ২০২৫ ৬২ বার পড়া হয়েছে

মোঃ কামরুল হাসান রানা,রাজাপুর ,ঝালকাঠী।
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) নানা প্রতিকূলতা ও রাজনৈতিক দুঃসময় পেরিয়ে গেলেও এখনো তৃণমূলে সংগঠনের ভিত মজবুত রয়েছে। ফ্যাসিবাদী সরকারের দমন-পীড়নের মধ্যেও নিবেদিতপ্রাণ নেতাকর্মীরা দলকে সংগঠিত রাখতে আপ্রাণ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। এমনই একজন হলেন গোলাম আজম সৈকত।
ছাত্রদল কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের সাবেক যুগ্ম সম্পাদক এবং ঝালকাঠি জেলা বিএনপির সাবেক ছাত্র বিষয়ক সম্পাদক গোলাম আজম সৈকত বর্তমানে ঝালকাঠি-১ (রাজাপুর-কাঠালিয়া) আসন থেকে বিএনপির মনোনয়ন প্রত্যাশী।
দলের দুর্দিনেও মাঠে সক্রিয় থাকা এই নেতা দীর্ঘদিন ধরে তৃণমূল নেতাকর্মীদের পাশে থেকে রাজাপুর-কাঠালিয়া অঞ্চলে সংগঠনকে সুসংগঠিত রেখেছেন। হামলা-মামলার ভয় উপেক্ষা করে রাজপথে সক্রিয় থেকেছেন এবং দলের দিকনির্দেশনায় লিফলেট বিতরণসহ নানা কার্যক্রম পরিচালনা করেছেন।
একান্ত সাক্ষাৎকারে গোলাম আজম সৈকত বলেন, “এই ঝালকাঠি-১ আসনটি বিএনপির আসন। আমার হাত ধরেই এই আসনটি পুনরুদ্ধার করতে চাই। বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নির্দেশে রাজপথের আন্দোলনসহ সকল কার্যক্রমে আমি যুক্ত থেকেছি।”
তিনি আরও বলেন, “দেশে গণতন্ত্র ও বাকস্বাধীনতা ফিরিয়ে আনতে হলে সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে। আমাদের লক্ষ্য একটাই—তারেক রহমানকে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দেখতে চাই।”
তৃণমূল নেতাকর্মীরা মনে করেন, সৈকতের মতো নেতারা বিএনপির মূল শক্তি। তিনি শুধু এলাকায় নয়, কেন্দ্রীয় নেতাদের সঙ্গেও সুসম্পর্ক বজায় রেখে চলছেন। আওয়ামী শাসনামলে একাধিকবার রাজনৈতিক হামলা ও হয়রানির শিকার হয়েছেন বলেও তিনি জানান।
বর্তমানে তিনি গণসংযোগে ব্যস্ত সময় পার করছেন। বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষের সঙ্গে মতবিনিময় করছেন। তার আশা, এমপি নির্বাচিত হয়ে এলাকার মানুষের ভাগ্য উন্নয়নে কাজ করতে পারবেন।
গোলাম আজম সৈকতের মতে, “নতুন চিন্তা ও রাজনৈতিক চেতনায় দেশকে এগিয়ে নিতে হবে। তরুণদের সঙ্গে নিয়ে উন্নত বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে আমি ধানের শীষ প্রতীকে প্রার্থী হতে চাই। ইনশাআল্লাহ, আমি নির্বাচিত হলে রাজাপুর-কাঠালিয়ার মানুষের জন্যই কাজ করব।”