ঢাকা ০১:০২ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ৩১ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
১৭ দিন পর হাসপাতাল ছাড়লেন সাবেক ভিপি নুর কুতুবদিয়ায় জলদস্যু,মাদক ও সন্ত্রাস দমনে থানা, কোস্ট গার্ড এবং মৎস্য অফিসের যৌথ সচেতনতামূলক সভা তারেক রহমান শিগগিরই দেশে ফিরবেন এম রশিদুজ্জামান মিল্লাত জামালপুরের বকশীগঞ্জে দশানি নদীতে অভিযান চালিয়ে বিপুল চায়না জাল ও কারেন্ট জাল জব্দ করা হয়েছে বর্ণাঢ্য আয়োজনে পবিপ্রবির তাপসী রাবেয়া হলে নবীনবরণ উৎসব ঠাকুরগায়ের হরিপুরে প্রীতি ফুটবল টুর্নামেন্ট অনুষ্ঠিত শ্যামনগরে জলবায়ু পরিবর্তনে মানবাধিকার নিশ্চিতকরনে এনগেজ প্রকল্পের অবহিতকরণ সভা অনুষ্ঠিত শাল্লায় বিএনপির নাছির চৌধুরী’র জনসভা ক্যান্সার আক্রান্ত হেফাজত নেতা মাওলানা ফারুকী’র পাশে তারেক রহমান যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে দুদক অভিযানে চালিয়ে ব‍্যপক অনিয়ম খুঁজে পেলেন

ঢাকুরিয়া বাজারে ঈদুল আযহা উপলক্ষে জমজমাট গরু-ছাগলের হাট, স্থায়ীকরণের সিদ্ধান্ত

নিজস্ব প্রতিনিধি
  • আপডেট সময় : ০৮:৪৬:১৭ অপরাহ্ন, রবিবার, ১ জুন ২০২৫ ১৭৮ বার পড়া হয়েছে

ক্রাইম রিপোর্টার এমদাদুল হক মনিরামপুর:-

আসন্ন ঈদুল আযহা উপলক্ষে যশোর জেলার মনিরামপুর উপজেলার ঢাকুরিয়া বাজারে বসেছে বিশাল গরু-ছাগল ও মহিষের হাট। ঈদের কোরবানিকে কেন্দ্র করে জমে উঠেছে এই অস্থায়ী হাটটি, যা সপ্তাহে দুই দিন—বৃহস্পতিবার ও রবিবার—বসছে নিয়মিতভাবে।

এই গরু-ছাগলের হাটটি বসানো হয়েছে ঢাকুরিয়া বাজার ফুটবল খেলার মাঠের পূর্ব পাশে “রথখোলা” নামক স্থানে। আজ রবিবার দুপুর থেকেই শুরু হয়েছে পশু কেনাবেচা। হাটে ক্রেতা-বিক্রেতাদের উপচে পড়া ভিড় লক্ষ করা গেছে। যশোর জেলার বিভিন্ন অঞ্চল থেকে ব্যাপারীরা নিয়ে এসেছেন বিভিন্ন জাতের গরু, ছাগল ও মহিষ। পাশের হাটগুলোর তুলনায় এখানে হাটের খাজনা বা “হার” কম হওয়ায় ব্যবসায়ীরা ঢাকুরিয়া বাজারকেই পছন্দ করছেন।

এই হাটের সার্বিক ব্যবস্থাপনায় রয়েছেন মনিরামপুর রিপোর্টার্স ক্লাবের সভাপতি মোঃ জাকির হোসেন। ঢাকুরিয়া বাজার বণিক সমিতির সভাপতি মোঃ আব্দুল হান্নান এবং সাধারণ সম্পাদক আবিদুর রহমান টুকুন-এর নেতৃত্বে হাটটি সুশৃঙ্খলভাবে পরিচালিত হচ্ছে।

তাদের সম্মিলিত উদ্যোগে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, ঈদের পর এই অস্থায়ী হাটটি স্থায়ীভাবে বসানো হবে। প্রস্তাবিত স্থায়ী হাটের স্থান নির্ধারণ করা হয়েছে ঢাকুরিয়া বাজারের গোডাউনের সামনের খালি জায়গায়। এতে করে বাজার এলাকার ব্যবসা বাণিজ্য আরও প্রসারিত হবে এবং স্থানীয় কৃষক ও গবাদিপশু পালনকারীরা সারাবছর নিয়মিতভাবে পশু বিক্রি করতে পারবেন।

হাটে নিরাপত্তা, পশু চিকিৎসা, স্যানিটেশন এবং অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত করতে স্থানীয় প্রশাসনের সহযোগিতা কামনা করেছেন আয়োজকরা।

এখন সকলেরই প্রত্যাশা, এই হাট শুধু ঈদ উপলক্ষেই নয়, বরং সারা বছরজুড়ে একটি নির্ভরযোগ্য পশুর হাট হিসেবে পরিচিতি লাভ করবে।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য

দৈনিক বাংলাদেশের চিত্র একটি অনলাইন নিউজ পোর্টাল। এই পত্রিকার মূল স্লোগান হলো "সত্য প্রকাশে আপোষহীন"।আমরা এ দেশের নিপীড়িত ও নির্যাতিত মানুষের কথা বলি।একজন অসহায় মানুষের পাশে দাড়িয়ে অন্যায় প্রতিরোধে সাহায্য করতে আমরা সর্বদা অঙ্গীকারবদ্ধ।দৈনিক বাংলাদেশের চিত্র পত্রিকা গনমানুষের কথা বলে।
ট্যাগস :

ঢাকুরিয়া বাজারে ঈদুল আযহা উপলক্ষে জমজমাট গরু-ছাগলের হাট, স্থায়ীকরণের সিদ্ধান্ত

আপডেট সময় : ০৮:৪৬:১৭ অপরাহ্ন, রবিবার, ১ জুন ২০২৫

ক্রাইম রিপোর্টার এমদাদুল হক মনিরামপুর:-

আসন্ন ঈদুল আযহা উপলক্ষে যশোর জেলার মনিরামপুর উপজেলার ঢাকুরিয়া বাজারে বসেছে বিশাল গরু-ছাগল ও মহিষের হাট। ঈদের কোরবানিকে কেন্দ্র করে জমে উঠেছে এই অস্থায়ী হাটটি, যা সপ্তাহে দুই দিন—বৃহস্পতিবার ও রবিবার—বসছে নিয়মিতভাবে।

এই গরু-ছাগলের হাটটি বসানো হয়েছে ঢাকুরিয়া বাজার ফুটবল খেলার মাঠের পূর্ব পাশে “রথখোলা” নামক স্থানে। আজ রবিবার দুপুর থেকেই শুরু হয়েছে পশু কেনাবেচা। হাটে ক্রেতা-বিক্রেতাদের উপচে পড়া ভিড় লক্ষ করা গেছে। যশোর জেলার বিভিন্ন অঞ্চল থেকে ব্যাপারীরা নিয়ে এসেছেন বিভিন্ন জাতের গরু, ছাগল ও মহিষ। পাশের হাটগুলোর তুলনায় এখানে হাটের খাজনা বা “হার” কম হওয়ায় ব্যবসায়ীরা ঢাকুরিয়া বাজারকেই পছন্দ করছেন।

এই হাটের সার্বিক ব্যবস্থাপনায় রয়েছেন মনিরামপুর রিপোর্টার্স ক্লাবের সভাপতি মোঃ জাকির হোসেন। ঢাকুরিয়া বাজার বণিক সমিতির সভাপতি মোঃ আব্দুল হান্নান এবং সাধারণ সম্পাদক আবিদুর রহমান টুকুন-এর নেতৃত্বে হাটটি সুশৃঙ্খলভাবে পরিচালিত হচ্ছে।

তাদের সম্মিলিত উদ্যোগে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, ঈদের পর এই অস্থায়ী হাটটি স্থায়ীভাবে বসানো হবে। প্রস্তাবিত স্থায়ী হাটের স্থান নির্ধারণ করা হয়েছে ঢাকুরিয়া বাজারের গোডাউনের সামনের খালি জায়গায়। এতে করে বাজার এলাকার ব্যবসা বাণিজ্য আরও প্রসারিত হবে এবং স্থানীয় কৃষক ও গবাদিপশু পালনকারীরা সারাবছর নিয়মিতভাবে পশু বিক্রি করতে পারবেন।

হাটে নিরাপত্তা, পশু চিকিৎসা, স্যানিটেশন এবং অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত করতে স্থানীয় প্রশাসনের সহযোগিতা কামনা করেছেন আয়োজকরা।

এখন সকলেরই প্রত্যাশা, এই হাট শুধু ঈদ উপলক্ষেই নয়, বরং সারা বছরজুড়ে একটি নির্ভরযোগ্য পশুর হাট হিসেবে পরিচিতি লাভ করবে।