ঢাকা ০২:৩০ অপরাহ্ন, শনিবার, ০৪ অক্টোবর ২০২৫, ১৯ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
চুয়াডাঙ্গায় কাঁচা ঝালের কেজি ৩২০ টাকা দিশেহারা ক্রেতা ইসরায়েলকে গাজায় হামলা থামাতে বললেন ট্রাম্প বাগেরহাটে সাংবাদিককে কুপিয়ে হত্যা হরিপুরে সরাসরি গোখরা সাপ দিয়ে ঐতিহ্যবাহী পাতা খেলা দক্ষিণ রাউজানে মহানবমী পূজা উদযাপন ফেনী পৌরসভার উদ্যোগে ১৯টি পূজা মন্ডপে অনুদানের চেক বিতরণ বিজয়া দশমী অনুষ্ঠানে পুলিশ সুপার হাবিবুর রহমান এবং জেলা প্রশাসক জনাব মোঃ সাইফুল ইসলাম পশ্চিম গুজরায় জ্বালা কুমারী তরুণ সংঘে উগ্যােগে দুর্গোৎসব উদযাপন না ফেরার দেশে পাড়ি জমালেন ভাষা সংগ্রামী আহমদ রফিক গাজীপুরে হাইওয়ে রোডে দেহ ব্যবসার আড়ালে চাঁদাবাজি, এলাকাবাসীর প্রশাসনের হস্তক্ষেপ দাবি

টাঙ্গাইলে বন্যায় শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ

নিজেস্ব প্রতিবেদক
  • আপডেট সময় : ০৬:৫৬:৪৫ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১২ জুলাই ২০২৪ ৭৮ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ রিয়াজ মিয়া
টাঙ্গাইলে উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ী ঢল ও বৃষ্টিপাতের কারণে দীর্ঘদিন ধরে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের মাঠে ও লোকালয়ে পানি জমে আছে। এর মধ্যে ফের বাড়তে শুরু করেছে যমুনা নদীর পানি। ফলে বিদ্যালয়ে পাঠদান বন্ধ রেখেছে কর্তৃপক্ষ। তবে স্কুলে নিয়মিত যাচ্ছেন শিক্ষকরা।
জেলার বিভিন্ন উপজেলার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে গিয়ে দেখা গেছে, বিদ্যালয় মাঠ ও চতুর্দিক প্লাবিত। এতে করে কোমলমতি শিক্ষার্থীরা পানি মাড়িয়ে বিদ্যালয়ে যেতে পারছে না।

এদিকে উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়গুলোতে ষান্মাসিক পরীক্ষা শুরু হওয়ায় বন্যার মধ্যেও শিক্ষার্থীরা বিদ্যালয়ে যাচ্ছে। তবে কয়েকটি বিদ্যালয়ে পানি থাকায় পরীক্ষা কার্যক্রম পার্শ্ববর্তী প্রাইমারি বিদ্যালয়ে অনুষ্ঠিত হচ্ছে।
জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, বিদ্যালয়ের শ্রেণিকক্ষ ও আঙ্গিনায় বন্যার পানি প্রবেশ করায় জেলার ভূঞাপুরে ১২টি এবং টাঙ্গাইল সদর উপজেলার ৩১টি বিদ্যালয়ে পাঠদান কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে। তবে বিদ্যালয়গুলো নিয়মিত খোলা রয়েছে। অন্যদিকে কিছু মাধ্যমিক বিদ্যালয়েও ক্লাশ কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে।
এদিকে জেলার অনেক জায়গার বানভাসীরা ত্রাণ সহায়তা না পাওয়ায় মানবেতর জীবনযাপন করছেন। সপ্তাহখানেক ধরে এসব মানুষজন পানিবন্দি থাকায় তীব্র সুপেয় পানির অভাবে পড়েছেন। এছাড়া অনেক এলাকায় পানির স্রোতে রাস্তা ভেঙে যাওয়ায় যোগাযোগ ব্যবস্থা বন্ধ রয়েছে। এতে নিম্ন পরিবারের খেটে খাওয়ার মানুষজন নিদারুণ কষ্টে দিন পার করছেন।

আরও জানা যায় এখন পর্যন্ত সরকারি বা বেসরকারিভাবে কোনো ত্রাণ সহায়তা পৌঁছায়নি বন্যার্তদের মাঝে। অনেক দুস্থ পরিবার কর্মহীন হয়ে মানবেতর জীবন যাপন করছেন।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য

দৈনিক বাংলাদেশের চিত্র একটি অনলাইন নিউজ পোর্টাল। এই পত্রিকার মূল স্লোগান হলো "সত্য প্রকাশে আপোষহীন"।আমরা এ দেশের নিপীড়িত ও নির্যাতিত মানুষের কথা বলি।একজন অসহায় মানুষের পাশে দাড়িয়ে অন্যায় প্রতিরোধে সাহায্য করতে আমরা সর্বদা অঙ্গীকারবদ্ধ।দৈনিক বাংলাদেশের চিত্র পত্রিকা গনমানুষের কথা বলে।
ট্যাগস :

টাঙ্গাইলে বন্যায় শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ

আপডেট সময় : ০৬:৫৬:৪৫ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১২ জুলাই ২০২৪

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ রিয়াজ মিয়া
টাঙ্গাইলে উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ী ঢল ও বৃষ্টিপাতের কারণে দীর্ঘদিন ধরে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের মাঠে ও লোকালয়ে পানি জমে আছে। এর মধ্যে ফের বাড়তে শুরু করেছে যমুনা নদীর পানি। ফলে বিদ্যালয়ে পাঠদান বন্ধ রেখেছে কর্তৃপক্ষ। তবে স্কুলে নিয়মিত যাচ্ছেন শিক্ষকরা।
জেলার বিভিন্ন উপজেলার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে গিয়ে দেখা গেছে, বিদ্যালয় মাঠ ও চতুর্দিক প্লাবিত। এতে করে কোমলমতি শিক্ষার্থীরা পানি মাড়িয়ে বিদ্যালয়ে যেতে পারছে না।

এদিকে উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়গুলোতে ষান্মাসিক পরীক্ষা শুরু হওয়ায় বন্যার মধ্যেও শিক্ষার্থীরা বিদ্যালয়ে যাচ্ছে। তবে কয়েকটি বিদ্যালয়ে পানি থাকায় পরীক্ষা কার্যক্রম পার্শ্ববর্তী প্রাইমারি বিদ্যালয়ে অনুষ্ঠিত হচ্ছে।
জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, বিদ্যালয়ের শ্রেণিকক্ষ ও আঙ্গিনায় বন্যার পানি প্রবেশ করায় জেলার ভূঞাপুরে ১২টি এবং টাঙ্গাইল সদর উপজেলার ৩১টি বিদ্যালয়ে পাঠদান কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে। তবে বিদ্যালয়গুলো নিয়মিত খোলা রয়েছে। অন্যদিকে কিছু মাধ্যমিক বিদ্যালয়েও ক্লাশ কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে।
এদিকে জেলার অনেক জায়গার বানভাসীরা ত্রাণ সহায়তা না পাওয়ায় মানবেতর জীবনযাপন করছেন। সপ্তাহখানেক ধরে এসব মানুষজন পানিবন্দি থাকায় তীব্র সুপেয় পানির অভাবে পড়েছেন। এছাড়া অনেক এলাকায় পানির স্রোতে রাস্তা ভেঙে যাওয়ায় যোগাযোগ ব্যবস্থা বন্ধ রয়েছে। এতে নিম্ন পরিবারের খেটে খাওয়ার মানুষজন নিদারুণ কষ্টে দিন পার করছেন।

আরও জানা যায় এখন পর্যন্ত সরকারি বা বেসরকারিভাবে কোনো ত্রাণ সহায়তা পৌঁছায়নি বন্যার্তদের মাঝে। অনেক দুস্থ পরিবার কর্মহীন হয়ে মানবেতর জীবন যাপন করছেন।