ঝিনাইদহে রাত্রে একই গ্রামের একটি বাড়িতে দুর্ধর্ষ চুরি ও একটি বাড়িতে বন্দুক ঠেকিয়ে ডাকাতির চেষ্টা

- আপডেট সময় : ০৯:২৫:৪৭ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫ ৩১ বার পড়া হয়েছে

রাসেল হোসেন, ঝিনাইদহ জেলা প্রতিনিধি:১৭ ই সেপ্টেম্বর রোজ বুধবার রাত আনুমানিক ৩টার দিকে ঝিনাইদহ সদর উপজেলার পোড়াহাটি ইউনিয়নের ভুবপতিপুর মিস্ত্রিপাড়ার প্রশান্ত কুমারের বাড়িতে চেতনা নাশক ওষুধ স্প্রে করে দুর্ধর্ষ চুরি ও সুনিল হালদারের বাড়িতে ডাকাতির বন্দুক ঠেকিয়ে ডাকাতের চেষ্টা ঘটনা ঘটেছে।
চুরির ঘটনা শুনে প্রশান্ত কুমারের বাড়িতে গেলে প্রশান্ত কুমারের ছেলের স্ত্রী জানান যে রাত সাড়ে তিনটার দিকে চোরেরা তার বাড়িতে চুরি করতে আসে এই সময়ে তার স্বামীকে এবং তাদের চেতনা নাশক ঔষধ স্প্রে করে দিলে তারা কিছু বুঝতে পারে না। এখন তাদের বাড়ির ঘরে থাকাকালীন এক লক্ষ টাকা ও সাড়ে চার ভরি স্বর্ণের বিভিন্ন গণনা চুরি করে নিয়ে গেছে। তার মেয়ে শ্রাবণী জেগে উঠলে চোরেরা তার গলার উপর দাও ধরে এবং বলে যদি চেঁচামেচি করিস তাহলে তোর বাবা মাকে মেরে ফেলবো এই কথা শোনার পরে শ্রাবণী চুপ করে ছিল। দরিদ্র এই পরিবারের এই এক লক্ষ টাকা এবং সাড়ে চার বার স্বর্ণ চুরি হয়ে যাওয়াতে তারা এখন কি করবে অসহায় অবস্থায় বুঝতে পারছে না। ওই বাড়িতে যাওয়ার পর প্রশান্ত কুমারের ছেলে প্রদীপ কুমার এখন পর্যন্ত অচেতন অবস্থায় ঘরে শুয়ে ছিল। টাকা পয়সা না থাকার কারণে তারা তাকে ডাক্তারের কাছে নিতে পারেনি। এই বাড়ির প্রদীপের মা বাবা দুই জনই প্রতিবন্ধী প্যারালাইস রোগী। তারা জানায় এই ঘটনা সাড়ে তিনটের দিকে ঘটেছে।
একই গ্রামের একই সময় এই ঘটনার পরেই সুনীল হাওলাদারের বাড়িতে তিনজন তার বাড়ির দরজায় সিটকানি ভেঙে ঘরে ঢোকার চেষ্টা করে। এই সময়ে সুনীলের ছেলে জেগে উঠলে তাদের দেখতে পেয়ে চিৎকার দেয়। এই চিৎকার দেয়ার ফলে ডাকাত দল তার দিকে বন্দুক ধরলে সে আরো চিৎকার দিয়ে ওঠে তখন তারা ডাকাতি না করে দৌড়ে পালিয়ে যায়। এই ঘটনার পর ঝিনাইদহ সদর থানার পুলিশ সকালবেলায় দুই বাড়িতেই গিয়েছে।
ঝিনাইদহ সদর থানার অফিসার্স ইনচার্জ সাথে কথা বললে তিনি বলেন যে চুরির ঘটনা ঘটেছে সেখানে আমি থানা থেকে লোক পাঠিয়েছিলাম তবে যে বাড়িতে বলছেন ডাকাতির চেষ্টা চলেছে সেখানে বন্দুক ঠেকিয়েছে এমন কোন ইনফরমেশন আমি পাইনি তবে কথাটা হয়তো সত্য নয় বলে তিনি দাবি করেন।