জীবননগর উপজেলার এক মাদ্রাসা শিক্ষার্থীকে বলাৎকারের অভিযোগ উঠেছে ওই মাদ্রাসার শিক্ষকের উপর

- আপডেট সময় : ১১:২৪:২৯ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ৩০ জুন ২০২৫ ৫৩ বার পড়া হয়েছে

স্টাফ রিপোর্টার:-
চুয়াডাঙ্গার জীবননগর উপজেলার নিধিকুন্ডু গ্রামে অবস্থিত মারকাজুল উলুম বালিহুদা মাদ্রাসার এক আবাসিক ছাত্রকে বলাৎকারের অভিযোগ উঠেছে প্রতিষ্ঠানটির এক সহকারী শিক্ষকের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় শিক্ষকসহ তিনজনের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ করেছেন ভুক্তভোগী ছাত্রের বড় ভাই মো. পারভেজ খান।
লিখিত অভিযোগে পারভেজ খান জানান, তার ছোট ভাই হাসান খান (১২) ওই মাদ্রাসার হেফজ বিভাগের আবাসিক ছাত্র। গত ২৪ জুন রাত আনুমানিক ১টার দিকে হাসান যখন ঘুমিয়ে ছিল, তখন একই কক্ষে থাকা আবাসিক শিক্ষক হাফেজ জিল্লুর রহমান (৩০) তাকে বলাৎকার করেন।
অভিযোগে আরও উল্লেখ করা হয়, ভুক্তভোগী ছাত্র আর্তচিৎকারের চেষ্টা করলে অভিযুক্ত শিক্ষক তার মুখ চেপে ধরে ও প্রাণনাশের হুমকি দেয়। পরদিন ২৫ জুন সকালে ভয়ে মাদ্রাসা থেকে পালিয়ে এসে সে পরিবারের সদস্যদের কাছে পুরো ঘটনা জানায়।
পরবর্তীতে হাসানের বড় ভাই বিষয়টি মাদ্রাসার পরিচালক জুবায়ের খান (৩৫) এবং আরেকজন শিক্ষক শাহজান খান (৬০)-এর কাছে জানালে তারা তা গুরুত্ব না দিয়ে উল্টো পরিবারকে হুমকি দেন। অভিযোগকারীর দাবি, স্থানীয়ভাবে মীমাংসার চেষ্টা করলেও অভিযুক্তরা বিষয়টি নিয়ে কালক্ষেপণ করতে থাকে এবং মামলা করলে ‘পরিণতি ভালো হবে না’ বলে হুমকি প্রদান করে।
এ বিষয়ে দৈনিক বাংলাদেশের চিত্র পত্রিকার পক্ষ থেকে মাদ্রাসার পরিচালকের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, “ঘটনার সময় আমি মাদ্রাসায় উপস্থিত ছিলাম না।’’
পত্রিকার প্রতিবেদক যখন অভিযুক্ত শিক্ষক হাফেজ জিল্লুর রহমানের অবস্থান জানতে চান, তখন পরিচালক জানান, তিনি বিশেষ কাজে যশোর গিয়েছেন। পরবর্তীতে জিল্লুর রহমানের মোবাইল নম্বর চাইলে পরিচালক শাহজান খান জানান, “তার মোবাইল নম্বর আমার কাছে নেই।”
ভুক্তভোগী পরিবারের পক্ষ থেকে এ ঘটনায় দ্রুত তদন্ত ও অভিযুক্তদের গ্রেফতারের দাবি জানানো হয়েছে।