ঢাকা ০৬:০৩ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ৩০ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
বরিশালের গৌরনদীতে ৮ মাসে কোরআনে হাফেজ ১০ বছরের শিশু আবদুল্লাহ দুমকি প্রেসক্লাব পরিবর্তনের অঙ্গীকারে-নতুন কমিটি গঠন দুর্গাপূজা উপলক্ষে দেশের সরকারি ও বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ১৪ দিনের ছুটি যশোরে জাল ওয়ারিশ সনদ প্রদান, ইউপি প্রশাসকের বিরুদ্ধে মামলা সাবেক এমপি সাইফুলসহ ১৬ জনের বিরুদ্ধে সাক্ষ্যগ্রহণ আজ মানিকগঞ্জে মহাসড়কে সড়ক দুর্ঘটনা, ফায়ার সার্ভিসের দ্রুত তৎপরতায় প্রাণে রক্ষা ভোমরা স্থলবন্দর প্রেসক্লাবের প্রধান উপদেষ্টা হাবিবুর রহমানকে ক্রেস প্রদান সাতক্ষীরায় শহীদ আসিবের পরিবারের সাথে সাক্ষাৎ ও কবর জিয়ারত করে শিবির উঁকি দিচ্ছে ধানের শীষ স্বপ্ন দেখছেন হরিপুরের আমন চাষীরা মানিকগঞ্জে অবৈধ দোকানে দখলদারিত্ব: জনদুর্ভোগ চরমে

জীবননগর উপজেলার এক মাদ্রাসা শিক্ষার্থীকে বলাৎকারের অভিযোগ উঠেছে ওই মাদ্রাসার শিক্ষকের উপর

স্টাফ রিপোর্টার
  • আপডেট সময় : ১১:২৪:২৯ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ৩০ জুন ২০২৫ ৫৩ বার পড়া হয়েছে

স্টাফ রিপোর্টার:-

চুয়াডাঙ্গার জীবননগর উপজেলার নিধিকুন্ডু গ্রামে অবস্থিত মারকাজুল উলুম বালিহুদা মাদ্রাসার এক আবাসিক ছাত্রকে বলাৎকারের অভিযোগ উঠেছে প্রতিষ্ঠানটির এক সহকারী শিক্ষকের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় শিক্ষকসহ তিনজনের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ করেছেন ভুক্তভোগী ছাত্রের বড় ভাই মো. পারভেজ খান।

লিখিত অভিযোগে পারভেজ খান জানান, তার ছোট ভাই হাসান খান (১২) ওই মাদ্রাসার হেফজ বিভাগের আবাসিক ছাত্র। গত ২৪ জুন রাত আনুমানিক ১টার দিকে হাসান যখন ঘুমিয়ে ছিল, তখন একই কক্ষে থাকা আবাসিক শিক্ষক হাফেজ জিল্লুর রহমান (৩০) তাকে বলাৎকার করেন।

অভিযোগে আরও উল্লেখ করা হয়, ভুক্তভোগী ছাত্র আর্তচিৎকারের চেষ্টা করলে অভিযুক্ত শিক্ষক তার মুখ চেপে ধরে ও প্রাণনাশের হুমকি দেয়। পরদিন ২৫ জুন সকালে ভয়ে মাদ্রাসা থেকে পালিয়ে এসে সে পরিবারের সদস্যদের কাছে পুরো ঘটনা জানায়।

পরবর্তীতে হাসানের বড় ভাই বিষয়টি মাদ্রাসার পরিচালক জুবায়ের খান (৩৫) এবং আরেকজন শিক্ষক শাহজান খান (৬০)-এর কাছে জানালে তারা তা গুরুত্ব না দিয়ে উল্টো পরিবারকে হুমকি দেন। অভিযোগকারীর দাবি, স্থানীয়ভাবে মীমাংসার চেষ্টা করলেও অভিযুক্তরা বিষয়টি নিয়ে কালক্ষেপণ করতে থাকে এবং মামলা করলে ‘পরিণতি ভালো হবে না’ বলে হুমকি প্রদান করে।

এ বিষয়ে দৈনিক বাংলাদেশের চিত্র পত্রিকার পক্ষ থেকে মাদ্রাসার পরিচালকের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, “ঘটনার সময় আমি মাদ্রাসায় উপস্থিত ছিলাম না।’’

পত্রিকার প্রতিবেদক যখন অভিযুক্ত শিক্ষক হাফেজ জিল্লুর রহমানের অবস্থান জানতে চান, তখন পরিচালক জানান, তিনি বিশেষ কাজে যশোর গিয়েছেন। পরবর্তীতে জিল্লুর রহমানের মোবাইল নম্বর চাইলে পরিচালক শাহজান খান জানান, “তার মোবাইল নম্বর আমার কাছে নেই।”

ভুক্তভোগী পরিবারের পক্ষ থেকে এ ঘটনায় দ্রুত তদন্ত ও অভিযুক্তদের গ্রেফতারের দাবি জানানো হয়েছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য

দৈনিক বাংলাদেশের চিত্র একটি অনলাইন নিউজ পোর্টাল। এই পত্রিকার মূল স্লোগান হলো "সত্য প্রকাশে আপোষহীন"।আমরা এ দেশের নিপীড়িত ও নির্যাতিত মানুষের কথা বলি।একজন অসহায় মানুষের পাশে দাড়িয়ে অন্যায় প্রতিরোধে সাহায্য করতে আমরা সর্বদা অঙ্গীকারবদ্ধ।দৈনিক বাংলাদেশের চিত্র পত্রিকা গনমানুষের কথা বলে।
ট্যাগস :

জীবননগর উপজেলার এক মাদ্রাসা শিক্ষার্থীকে বলাৎকারের অভিযোগ উঠেছে ওই মাদ্রাসার শিক্ষকের উপর

আপডেট সময় : ১১:২৪:২৯ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ৩০ জুন ২০২৫

স্টাফ রিপোর্টার:-

চুয়াডাঙ্গার জীবননগর উপজেলার নিধিকুন্ডু গ্রামে অবস্থিত মারকাজুল উলুম বালিহুদা মাদ্রাসার এক আবাসিক ছাত্রকে বলাৎকারের অভিযোগ উঠেছে প্রতিষ্ঠানটির এক সহকারী শিক্ষকের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় শিক্ষকসহ তিনজনের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ করেছেন ভুক্তভোগী ছাত্রের বড় ভাই মো. পারভেজ খান।

লিখিত অভিযোগে পারভেজ খান জানান, তার ছোট ভাই হাসান খান (১২) ওই মাদ্রাসার হেফজ বিভাগের আবাসিক ছাত্র। গত ২৪ জুন রাত আনুমানিক ১টার দিকে হাসান যখন ঘুমিয়ে ছিল, তখন একই কক্ষে থাকা আবাসিক শিক্ষক হাফেজ জিল্লুর রহমান (৩০) তাকে বলাৎকার করেন।

অভিযোগে আরও উল্লেখ করা হয়, ভুক্তভোগী ছাত্র আর্তচিৎকারের চেষ্টা করলে অভিযুক্ত শিক্ষক তার মুখ চেপে ধরে ও প্রাণনাশের হুমকি দেয়। পরদিন ২৫ জুন সকালে ভয়ে মাদ্রাসা থেকে পালিয়ে এসে সে পরিবারের সদস্যদের কাছে পুরো ঘটনা জানায়।

পরবর্তীতে হাসানের বড় ভাই বিষয়টি মাদ্রাসার পরিচালক জুবায়ের খান (৩৫) এবং আরেকজন শিক্ষক শাহজান খান (৬০)-এর কাছে জানালে তারা তা গুরুত্ব না দিয়ে উল্টো পরিবারকে হুমকি দেন। অভিযোগকারীর দাবি, স্থানীয়ভাবে মীমাংসার চেষ্টা করলেও অভিযুক্তরা বিষয়টি নিয়ে কালক্ষেপণ করতে থাকে এবং মামলা করলে ‘পরিণতি ভালো হবে না’ বলে হুমকি প্রদান করে।

এ বিষয়ে দৈনিক বাংলাদেশের চিত্র পত্রিকার পক্ষ থেকে মাদ্রাসার পরিচালকের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, “ঘটনার সময় আমি মাদ্রাসায় উপস্থিত ছিলাম না।’’

পত্রিকার প্রতিবেদক যখন অভিযুক্ত শিক্ষক হাফেজ জিল্লুর রহমানের অবস্থান জানতে চান, তখন পরিচালক জানান, তিনি বিশেষ কাজে যশোর গিয়েছেন। পরবর্তীতে জিল্লুর রহমানের মোবাইল নম্বর চাইলে পরিচালক শাহজান খান জানান, “তার মোবাইল নম্বর আমার কাছে নেই।”

ভুক্তভোগী পরিবারের পক্ষ থেকে এ ঘটনায় দ্রুত তদন্ত ও অভিযুক্তদের গ্রেফতারের দাবি জানানো হয়েছে।