ঢাকা ০৪:০৯ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১৪ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
নতুন কুঁড়ি ও মার্কস অলরাউন্ডার কৃতিত্বে ফেনীর দুই শিক্ষার্থী কুতুবদিয়া কালী মন্দিরে শারদীয় দুর্গাপূজা উপলক্ষে মতবিনিময় সভা রাজাপুরে ধানের শীষের পক্ষে গোলাম আজম সৈকতের গণসংযোগ শার্শায় সাংবাদিক মনি’র মুক্তির দাবিতে মানববন্ধন কাউখালি বেকুটিয়ায় বিশ্ব নদী দিবস ২০২৫ইং পালিত শাল্লায় বাংলাদেশ মাদ্রাসা শিক্ষক কর্মচারী ফোরাম’র উপজেলা শাখায় কমিটি গঠন করা হয় বিশ্ব নদী দিবস ২০২৫ উপলক্ষে গ্রীন ভয়েসের মানববন্ধন কুলিয়া চরবালিথা মুনষ্টার তরুণ সংঘের নবনির্বাচিত কমিটির সদস্যদের সংবর্ধনা উজিরপুরে বিএনপি নেতা বহিষ্কার: ধর্মীয় সম্প্রীতি ভাঙা ও কুকীর্তির গল্প শ্যামনগরে বিশ্ব নদী দিবসে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত

জাবির শিক্ষক নিয়োগ ও পদন্নোতিতে অধ্যাদেশ লঙ্ঘনের দাবি শিক্ষক ঐক্য পরিষদের

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০১:১৫:১২ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪ ৮৯ বার পড়া হয়েছে

স্টাফ রিপোর্টার:-

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) শিক্ষক নিয়োগ ও পদন্নোতিতে ১৯৭৩ এর অধ্যাদেশ লঙ্ঘনের মাধ্যমে শিক্ষা পর্ষদের (একাডেমিক কাউন্সিল) এখতিয়ার খর্ব হয়েছে বলে দাবি করেছে বিশ্ববিদ্যালয়ের আওয়ামীপন্থী শিক্ষকদের একাংশ ও বিএনপিপন্থী শিক্ষকদের সম্মিলিত জোট ‘শিক্ষক ঐক্য পরিষদ’।

মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা পর্ষদের ১৩৮ তম সভায় এ দাবি করে একটি লিখিত আবেদনপত্রে উপাচার্যের উদ্দেশ্যে প্রশ্ন ছুড়ে দেন ‘শিক্ষক ঐক্য জোটের’ শিক্ষকবৃন্দ।

লিখিত আবেদনপত্রে উল্লেখ করা হয়, ‘সম্প্রতি জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের নিয়োগ ও পদোন্নয়ন নীতিমালা বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনে (ইউজিসি) প্রেরিত হয়েছে বলে অনানুষ্ঠানিক সূত্রে জানতে পেরেছি (তারিখ: ২৮.০৩.২০২৪, সূত্র: জাবি/প্রশা/টিচিং/১০২২৩)। উক্ত নীতিমালা গত বছরের ১৩ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত সিন্ডিকেটের জরুরি সভায় অনুমোদিত হলেও নীতিমালাটি প্রণয়নের কোনো পর্যায়েই বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা পর্ষদে আলোচিত হয়নি।’

আবেদনপত্রে শিক্ষা পর্ষদের (একাডেমিক কাউন্সিল) সভাপতি উপচার্য অধ্যাপক নুরুল আলমকে একাধিক প্রশ্ন ছুড়ে দিয়ে জানতে চাওয়া হয়, ‘শিক্ষকগণের নিয়োগ ও পদোন্নতি কি একাডেমিক (শিক্ষা-গবেষণা) বিষয়, নাকি প্রশাসনিক বিষয়? যদি একাডেমিক বিষয় হয়ে থাকে তাহলে একাডেমিক কাউন্সিলে কেন আলোচিত হয়নি? একাডেমিক কাউন্সিলে অনুমোদনের পূর্বে সিন্ডিকেটের জরুরী সভায় অনুমোদিত ‘শিক্ষক নিয়োগ ও পদোন্নতি নীতিমালা’ প্রয়োগ করে সম্পূর্ণ নতুন শিক্ষক নিয়োগ কেন বেআইনি ও বাতিল বলে গণ্য হবে না?’

এতে আরও জানতে চাওয়া হয়, ‘শিক্ষক পদের পুনর্বিন্যাস (পদ সৃষ্টি/পরিবর্তন) কি একাডেমিক বিষয়? নাকি প্রশাসনিক বিষয়? যদি একাডেমিক বিষয় হয়ে থাকে তাহলে একাডেমিক কাউন্সিলে কেন আলোচিত হয়না? বিশ্ববিদ্যালয়ের ১ম, ৩য় (২.২ গ), ও ৫ম (২.২ গ) সংবিধির আলোকে ও ২৪/৩/১৯৭৮ ইং তারিখে অনুষ্ঠিত শিক্ষা পর্ষদের ২৯ তম সভার সুপারিশ অনুযায়ী (২০১৮ সালে প্রকাশিত চাকুরিবিধির পৃষ্ঠা ২৩) সকল প্রকার পদ সৃষ্টি/পরিবর্তনের সুপারিশ অনুষদ কমিটি ও শিক্ষা পর্ষদে প্রেরণের বাধ্যবাধকতা থাকলেও কেন প্রেরণ করা হয়নি?’

আবেদনপত্রে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্বৃতি দিয়ে উল্লেখ করা হয়, ‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) সহযোগী অধ্যাপক ও অধ্যাপক হতে হলে শিক্ষকদের পিএইচডি ডিগ্রি থাকা বাধ্যতামূলক করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিলো ২০২২ সালের ২১ মার্চ অনুষ্ঠিত এক একাডেমিক কাউন্সিলের সভায়। অথচ জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে এরকম একটি সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে একাডেমিক কাউন্সিলে কোনো প্রকার আলোচনা না করেই। জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় অধ্যাদেশ ১৯৭৩ এর ২৪ ধারায় বলা আছে যে শিক্ষা পর্ষদ বিশ্ববিদ্যালয়ের সর্বোচ্চ প্রাতিষ্ঠানিক সংস্থা হবে।’

এছাড়া আবেদনপত্রে বলা হয়, দীর্ঘদিন ধরেই শিক্ষা পর্ষদের বিষয়গুলি প্রশাসনিকভাবে সিদ্ধান্ত গ্রহণের মাধ্যমে পুরো বিশ্ববিদ্যালয়ের উপর চাপিয়ে দেয়া হচ্ছে। এতে উপাচার্যকে উক্ত প্রশ্নের উত্তরের পাশাপাশি একটি রিভিউ কমিটি করার মাধ্যমে শিক্ষা পর্ষদের এখতিয়ারের বিষয়টি স্পষ্ট করার দাবি জানান শিক্ষকরা।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য

দৈনিক বাংলাদেশের চিত্র একটি অনলাইন নিউজ পোর্টাল। এই পত্রিকার মূল স্লোগান হলো "সত্য প্রকাশে আপোষহীন"।আমরা এ দেশের নিপীড়িত ও নির্যাতিত মানুষের কথা বলি।একজন অসহায় মানুষের পাশে দাড়িয়ে অন্যায় প্রতিরোধে সাহায্য করতে আমরা সর্বদা অঙ্গীকারবদ্ধ।দৈনিক বাংলাদেশের চিত্র পত্রিকা গনমানুষের কথা বলে।
ট্যাগস :

জাবির শিক্ষক নিয়োগ ও পদন্নোতিতে অধ্যাদেশ লঙ্ঘনের দাবি শিক্ষক ঐক্য পরিষদের

আপডেট সময় : ০১:১৫:১২ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪

স্টাফ রিপোর্টার:-

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) শিক্ষক নিয়োগ ও পদন্নোতিতে ১৯৭৩ এর অধ্যাদেশ লঙ্ঘনের মাধ্যমে শিক্ষা পর্ষদের (একাডেমিক কাউন্সিল) এখতিয়ার খর্ব হয়েছে বলে দাবি করেছে বিশ্ববিদ্যালয়ের আওয়ামীপন্থী শিক্ষকদের একাংশ ও বিএনপিপন্থী শিক্ষকদের সম্মিলিত জোট ‘শিক্ষক ঐক্য পরিষদ’।

মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা পর্ষদের ১৩৮ তম সভায় এ দাবি করে একটি লিখিত আবেদনপত্রে উপাচার্যের উদ্দেশ্যে প্রশ্ন ছুড়ে দেন ‘শিক্ষক ঐক্য জোটের’ শিক্ষকবৃন্দ।

লিখিত আবেদনপত্রে উল্লেখ করা হয়, ‘সম্প্রতি জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের নিয়োগ ও পদোন্নয়ন নীতিমালা বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনে (ইউজিসি) প্রেরিত হয়েছে বলে অনানুষ্ঠানিক সূত্রে জানতে পেরেছি (তারিখ: ২৮.০৩.২০২৪, সূত্র: জাবি/প্রশা/টিচিং/১০২২৩)। উক্ত নীতিমালা গত বছরের ১৩ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত সিন্ডিকেটের জরুরি সভায় অনুমোদিত হলেও নীতিমালাটি প্রণয়নের কোনো পর্যায়েই বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা পর্ষদে আলোচিত হয়নি।’

আবেদনপত্রে শিক্ষা পর্ষদের (একাডেমিক কাউন্সিল) সভাপতি উপচার্য অধ্যাপক নুরুল আলমকে একাধিক প্রশ্ন ছুড়ে দিয়ে জানতে চাওয়া হয়, ‘শিক্ষকগণের নিয়োগ ও পদোন্নতি কি একাডেমিক (শিক্ষা-গবেষণা) বিষয়, নাকি প্রশাসনিক বিষয়? যদি একাডেমিক বিষয় হয়ে থাকে তাহলে একাডেমিক কাউন্সিলে কেন আলোচিত হয়নি? একাডেমিক কাউন্সিলে অনুমোদনের পূর্বে সিন্ডিকেটের জরুরী সভায় অনুমোদিত ‘শিক্ষক নিয়োগ ও পদোন্নতি নীতিমালা’ প্রয়োগ করে সম্পূর্ণ নতুন শিক্ষক নিয়োগ কেন বেআইনি ও বাতিল বলে গণ্য হবে না?’

এতে আরও জানতে চাওয়া হয়, ‘শিক্ষক পদের পুনর্বিন্যাস (পদ সৃষ্টি/পরিবর্তন) কি একাডেমিক বিষয়? নাকি প্রশাসনিক বিষয়? যদি একাডেমিক বিষয় হয়ে থাকে তাহলে একাডেমিক কাউন্সিলে কেন আলোচিত হয়না? বিশ্ববিদ্যালয়ের ১ম, ৩য় (২.২ গ), ও ৫ম (২.২ গ) সংবিধির আলোকে ও ২৪/৩/১৯৭৮ ইং তারিখে অনুষ্ঠিত শিক্ষা পর্ষদের ২৯ তম সভার সুপারিশ অনুযায়ী (২০১৮ সালে প্রকাশিত চাকুরিবিধির পৃষ্ঠা ২৩) সকল প্রকার পদ সৃষ্টি/পরিবর্তনের সুপারিশ অনুষদ কমিটি ও শিক্ষা পর্ষদে প্রেরণের বাধ্যবাধকতা থাকলেও কেন প্রেরণ করা হয়নি?’

আবেদনপত্রে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্বৃতি দিয়ে উল্লেখ করা হয়, ‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) সহযোগী অধ্যাপক ও অধ্যাপক হতে হলে শিক্ষকদের পিএইচডি ডিগ্রি থাকা বাধ্যতামূলক করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিলো ২০২২ সালের ২১ মার্চ অনুষ্ঠিত এক একাডেমিক কাউন্সিলের সভায়। অথচ জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে এরকম একটি সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে একাডেমিক কাউন্সিলে কোনো প্রকার আলোচনা না করেই। জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় অধ্যাদেশ ১৯৭৩ এর ২৪ ধারায় বলা আছে যে শিক্ষা পর্ষদ বিশ্ববিদ্যালয়ের সর্বোচ্চ প্রাতিষ্ঠানিক সংস্থা হবে।’

এছাড়া আবেদনপত্রে বলা হয়, দীর্ঘদিন ধরেই শিক্ষা পর্ষদের বিষয়গুলি প্রশাসনিকভাবে সিদ্ধান্ত গ্রহণের মাধ্যমে পুরো বিশ্ববিদ্যালয়ের উপর চাপিয়ে দেয়া হচ্ছে। এতে উপাচার্যকে উক্ত প্রশ্নের উত্তরের পাশাপাশি একটি রিভিউ কমিটি করার মাধ্যমে শিক্ষা পর্ষদের এখতিয়ারের বিষয়টি স্পষ্ট করার দাবি জানান শিক্ষকরা।