ঢাকা ০৮:০৯ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ৩১ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
বৃহৎ জনস্বার্থে চট্টগ্রাম জেলা আইন-শৃঙ্খলা কমিটির সভা অনুষ্ঠিত ফেনীতে মাদ্রাসা বোর্ড প্রধানের সাথে মাদ্রাসা প্রধানদের মত বিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয় বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী স্বেচ্ছাসেবক দল, সোনাগাজী পৌর শাখার উদ্যোগে কর্মী সম্মেলন অনুষ্ঠিত জুলাই সনদ নিয়ে সমঝোতায় আসতেই হবে : প্রধান উপদেষ্টা সূফীকথা’র ব্যবস্থাপনায় আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত ভূমিকম্পে কাঁপল বাংলাদেশসহ ৬ দেশ রাণীশংকৈলে নারী ও কন্যাশিশুদের মানবাধিকার রক্ষার্থে গণ শুনানি শ্যামনগরে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোছাঃ রনি খাতুনের বদলি প্রত্যাহারের দাবিতে মানববন্ধন আগৈলঝাড়ায় ৭শ পিচ ইয়াবা ও ১ কেজি ৮শ গ্রাম গাঁজা ব্যবসায়ীসহ ৩ জন আটক বরিশালের গৌরনদীতে ৮ মাসে কোরআনে হাফেজ ১০ বছরের শিশু আবদুল্লাহ

ছিনতাই নয়, ছিল সাজানো নাটক ২৪ ঘণ্টায় রহস্য উদঘাটন: গ্রেফতার ৭, উদ্ধার ৩২ লাখ টাকা

নিজস্ব প্রতিনিধি
  • আপডেট সময় : ১০:৪৮:৫৬ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৮ জুন ২০২৫ ৬৪ বার পড়া হয়েছে

এমদাদুল হক,ক্রাইম রিপোর্টার মনিরামপুর:-

যশোরের মণিরামপুর উপজেলায় ৫৫ লাখ টাকা ছিনতাইয়ের ঘটনায় এক চাঞ্চল্যকর মোড় নিয়েছে। যা প্রথমে সংঘবদ্ধ ছিনতাই মনে করা হলেও, যশোর জেলা পুলিশের দক্ষতা ও দ্রুত তদন্তে বেরিয়ে আসে—এটি ছিল পূর্বপরিকল্পিত একটি ছিনতাই নাটক। আর এই নাটকের মূল হোতা ছিলেন ভুক্তভোগী প্রতিষ্ঠানের গাড়িচালক নিজেই।

গত ১৭ জুন, মঙ্গলবার সকাল ৯টা ৪৫ মিনিটে ‘নগদ’-এর এক ডিস্ট্রিবিউটর ঢাকা মেট্রো-গ ১৫-৫৯-২৩ নম্বর প্রাইভেটকারযোগে যশোর থেকে মণিরামপুরে যাচ্ছিলেন। পথে বেগারিতলার দোনাহার জামতলা এলাকায় হঠাৎ মোটরসাইকেলযোগে ৩-৪ জন ছিনতাইকারী তার গাড়ি আটকায় এবং চাপাতি হাতে ভয়ভীতি দেখিয়ে নগদ ৫৫ লাখ টাকা ছিনিয়ে নেয়। এছাড়া গাড়িচালক ইউসুফ আলী ও সঙ্গে থাকা কর্মকর্তাকে মারধরও করা হয় বলে অভিযোগ উঠে।

ঘটনার পরপরই ভুক্তভোগী ৯৯৯-এ ফোন করলে ঘটনাস্থলে ছুটে আসে পুলিশ। যশোর জেলা পুলিশ সুপার মুহাম্মদ মহিবুল ইসলাম খান বিপিএম-এর নির্দেশনায় একাধিক টিম গঠন করে তদন্তে নামে। পুলিশ প্রযুক্তির সহায়তায় এলাকার সিসিটিভি ফুটেজ, মোবাইল ট্র্যাকিং ও গোয়েন্দা তথ্য বিশ্লেষণ করে মাত্র ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই চাঞ্চল্যকর তথ্য উদঘাটন করে।

তদন্তে উঠে আসে, ছিনতাইয়ের পুরো ঘটনাটি ছিল পূর্বপরিকল্পিত নাটক, যাতে সরাসরি সম্পৃক্ত ছিল চালক ইউসুফ আলী। তার পরিকল্পনায় বাকি সহযোগীদের নিয়ে পুরো নাটক সাজানো হয়। গ্রেফতারদের স্বীকারোক্তিতে জানা যায়, ছিনতাইয়ের টাকা ভাগাভাগির পরিকল্পনাও আগেই করা ছিল।

এ পর্যন্ত ৭ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে এবং অভিযানে উদ্ধার করা হয়েছে ৩২ লাখ ৫ হাজার ৫০০ শত টাকা। টাকা লুকানোর কাজে ব্যবহৃত স্থানগুলোতে অভিযান চালিয়ে পুলিশ উদ্ধার করে বিপুল পরিমাণ নগদ অর্থ। এ ছাড়াও উদ্ধার করা হয়েছে ছিনতাইয়ে ব্যবহৃত মোটরসাইকেল ও কিছু আলামত।

পুলিশ সুপার জানিয়েছেন, “ঘটনার পর থেকেই আমরা সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে তদন্ত শুরু করি। তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তা ও মাঠপর্যায়ের কর্মকর্তাদের দক্ষতায় আমরা দ্রুত রহস্য উদঘাটন করতে সক্ষম হয়েছি।”

এই ঘটনায় পুলিশি তৎপরতা এবং পেশাদারিত্বে জনসাধারণের মাঝে ব্যাপক প্রশংসা দেখা দিয়েছে। দ্রুততম সময়ে নাটকীয় এই ঘটনা উদঘাটন করায় মানুষের মধ্যে পুলিশের প্রতি আস্থা আরও সুদৃঢ় হয়েছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য

দৈনিক বাংলাদেশের চিত্র একটি অনলাইন নিউজ পোর্টাল। এই পত্রিকার মূল স্লোগান হলো "সত্য প্রকাশে আপোষহীন"।আমরা এ দেশের নিপীড়িত ও নির্যাতিত মানুষের কথা বলি।একজন অসহায় মানুষের পাশে দাড়িয়ে অন্যায় প্রতিরোধে সাহায্য করতে আমরা সর্বদা অঙ্গীকারবদ্ধ।দৈনিক বাংলাদেশের চিত্র পত্রিকা গনমানুষের কথা বলে।
ট্যাগস :

ছিনতাই নয়, ছিল সাজানো নাটক ২৪ ঘণ্টায় রহস্য উদঘাটন: গ্রেফতার ৭, উদ্ধার ৩২ লাখ টাকা

আপডেট সময় : ১০:৪৮:৫৬ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৮ জুন ২০২৫

এমদাদুল হক,ক্রাইম রিপোর্টার মনিরামপুর:-

যশোরের মণিরামপুর উপজেলায় ৫৫ লাখ টাকা ছিনতাইয়ের ঘটনায় এক চাঞ্চল্যকর মোড় নিয়েছে। যা প্রথমে সংঘবদ্ধ ছিনতাই মনে করা হলেও, যশোর জেলা পুলিশের দক্ষতা ও দ্রুত তদন্তে বেরিয়ে আসে—এটি ছিল পূর্বপরিকল্পিত একটি ছিনতাই নাটক। আর এই নাটকের মূল হোতা ছিলেন ভুক্তভোগী প্রতিষ্ঠানের গাড়িচালক নিজেই।

গত ১৭ জুন, মঙ্গলবার সকাল ৯টা ৪৫ মিনিটে ‘নগদ’-এর এক ডিস্ট্রিবিউটর ঢাকা মেট্রো-গ ১৫-৫৯-২৩ নম্বর প্রাইভেটকারযোগে যশোর থেকে মণিরামপুরে যাচ্ছিলেন। পথে বেগারিতলার দোনাহার জামতলা এলাকায় হঠাৎ মোটরসাইকেলযোগে ৩-৪ জন ছিনতাইকারী তার গাড়ি আটকায় এবং চাপাতি হাতে ভয়ভীতি দেখিয়ে নগদ ৫৫ লাখ টাকা ছিনিয়ে নেয়। এছাড়া গাড়িচালক ইউসুফ আলী ও সঙ্গে থাকা কর্মকর্তাকে মারধরও করা হয় বলে অভিযোগ উঠে।

ঘটনার পরপরই ভুক্তভোগী ৯৯৯-এ ফোন করলে ঘটনাস্থলে ছুটে আসে পুলিশ। যশোর জেলা পুলিশ সুপার মুহাম্মদ মহিবুল ইসলাম খান বিপিএম-এর নির্দেশনায় একাধিক টিম গঠন করে তদন্তে নামে। পুলিশ প্রযুক্তির সহায়তায় এলাকার সিসিটিভি ফুটেজ, মোবাইল ট্র্যাকিং ও গোয়েন্দা তথ্য বিশ্লেষণ করে মাত্র ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই চাঞ্চল্যকর তথ্য উদঘাটন করে।

তদন্তে উঠে আসে, ছিনতাইয়ের পুরো ঘটনাটি ছিল পূর্বপরিকল্পিত নাটক, যাতে সরাসরি সম্পৃক্ত ছিল চালক ইউসুফ আলী। তার পরিকল্পনায় বাকি সহযোগীদের নিয়ে পুরো নাটক সাজানো হয়। গ্রেফতারদের স্বীকারোক্তিতে জানা যায়, ছিনতাইয়ের টাকা ভাগাভাগির পরিকল্পনাও আগেই করা ছিল।

এ পর্যন্ত ৭ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে এবং অভিযানে উদ্ধার করা হয়েছে ৩২ লাখ ৫ হাজার ৫০০ শত টাকা। টাকা লুকানোর কাজে ব্যবহৃত স্থানগুলোতে অভিযান চালিয়ে পুলিশ উদ্ধার করে বিপুল পরিমাণ নগদ অর্থ। এ ছাড়াও উদ্ধার করা হয়েছে ছিনতাইয়ে ব্যবহৃত মোটরসাইকেল ও কিছু আলামত।

পুলিশ সুপার জানিয়েছেন, “ঘটনার পর থেকেই আমরা সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে তদন্ত শুরু করি। তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তা ও মাঠপর্যায়ের কর্মকর্তাদের দক্ষতায় আমরা দ্রুত রহস্য উদঘাটন করতে সক্ষম হয়েছি।”

এই ঘটনায় পুলিশি তৎপরতা এবং পেশাদারিত্বে জনসাধারণের মাঝে ব্যাপক প্রশংসা দেখা দিয়েছে। দ্রুততম সময়ে নাটকীয় এই ঘটনা উদঘাটন করায় মানুষের মধ্যে পুলিশের প্রতি আস্থা আরও সুদৃঢ় হয়েছে।