ঢাকা ০৭:১৭ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৯ অক্টোবর ২০২৫, ৪ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
বরিশালে পদোন্নতিপ্রাপ্ত ৮ কর্মকর্তাকে র‌্যাংক ব্যাজ পরালেন রেঞ্জ কমান্ডার দুমকীতে শিক্ষকতার নামে সরকারি অর্থ আত্মসাৎ-দুই চাকরিতে তিন শিক্ষক ঝালকাঠি-১ আসনে ইসলামী আন্দোলনের মোটর শোভাযাত্রা উত্তর ধুলিয়ার ইকবাল হোসেন রুবেলের প্রতারণা শিকার হয়ে বহু যুবক নিঃস্ব হয়ে মানবতর জীবন যাপন করছে সোনাগাজী উপজেলা ইমাম পরিষদ’র কমিটি ঘোষণা কুতুবদিয়া উপজেলার দক্ষিণ ধুরুং ইউনিয়ন যুবদলের সম্মেলন ও কাউন্সিল সম্পন্ন সাগর-রুনি হত্যাকাণ্ড মামলার পথেই হাঁটছে বকশীগঞ্জের সাংবাদিক নাদিম হত্যা মামলা দেবহাটা চীনেডাঙ্গা এতিম খানা মাঠে উন্মুক্ত ওয়ার্ড সভা পবিপ্রবিতে ইউজিসি চেয়ারম্যানের জিমনেসিয়াম ভবন উদ্বোধন সাতক্ষীরা পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির ইলেকট্রিশিয়ানদের মতবিনিময় সভা

ছাতকে প্রবাসীর জায়গা আত্মসাতের অভিযোগ

নিজেস্ব প্রতিনিধি
  • আপডেট সময় : ০৩:২০:০৩ অপরাহ্ন, শনিবার, ২ মার্চ ২০২৪ ১৮৮ বার পড়া হয়েছে

ছাতকে প্রবাসীর জায়গা আত্মসাতের অভিযোগ

সুনামগঞ্জের ছাতকে এক ভাই কর্তৃক অপর দুই প্রবাসী সহোদরের খরিদা ও মৌরশী ভূমি আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে। প্রতিকার চেয়ে দুই সহোদরের পক্ষে যুক্তরাষ্ট্র থেকে বিশ্বস্থ প্রতিনিধির মাধ্যমে সুনামগঞ্জ জেলা প্রশাসক বরাবরে একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন ভূক্তভোগি প্রবাসী কাজী মমিনুল ইসলাম।

জানা যায়, উপজেলার ছৈলা-আফজলাবাদ ইউনিয়নের ছৈলা গ্রামের মৃত কাজী ওয়ারিদ আলীর ৩ ছেলে, ৪ মেয়ে ও ২য় স্ত্রী রেখে মারা যান। ছেলেরা যুক্তরাষ্ট্রে স্থায়ীভাবে বসবাস করে আসছে। এর মধ্যে বড় ছেলে কাজী কবিরুল ইসলাম সম্প্রতি দেশে এসে সৎ মাসহ চার বোনকে গোপন রেখে ছোট ভাই কাজী মমিনুল ইসলাম ও কাজী আনোয়ারুল ইসলামসহ তিন ভাইয়ের নামে ইউনিয়ন পরিষদ থেকে গত ২৬ জুলাই ২০২৩ইং একটি উত্তরাধিকারি সনদ গ্রহণ করেন। এ সনদের মাধ্যমে পৈতৃক সম্পত্তি নিজের নামে এনে কিছু ভূমি বিক্রি করেছেন।

এদিকে, উত্তরাধিকারি সনদে চার বোন ও সৎ মাকে বাদ দিলেও গত ২৮ জানুয়ারি ২০২৪ সালে কাজী কবিরুল ইসলাম কর্তৃক তার সকল ভাই-বোনদেন কাছে লিগ্যাল নোটিশ প্রেরণ করে। পরবর্তীতে আইনজীবির মাধ্যমে আনিত বিষয়গুলো সত্য নয় বলে সকলের পক্ষে ওই নোটিশের জবাব দেন কাজী মমিনুল ইসলাম। পাশাপাশি এই ধরণের বিভ্রান্তিমূলক নোটিশ প্রদানে বিরত থাকার জন্য জবাব নোটিশে অনুরোধ করা হয়।

সুনামগঞ্জ জেলা প্রশাসক বরাবরে দায়ের করা লিখিত অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, মৃত কাজী ওয়ারিদ আলী ছেলে কাজী মমিনুল ইসলাম ও কাজী আনোয়ারুল ইসলাম স্ব-পরিবারে যুক্তরাষ্ট্রে বসবাস করে আসছেন। বাড়িতে কেউ না থাকায় এই সুযোগে তাদের প্রবাসী বড় ভাই কাজী কবিরুল ইসলাম দেশে এসে তাদের জায়গা সম্পত্তি জোরপূর্বক জবর-দখলের পায়তারা করছে। ইনাম মৌজার ৮৪৮, ৮৮১ দাগের ২৩ শতক পৈতৃক ভূমি ও ৮৫২ দাগের ১৮শতক খরিদা ভূমি কাজী মমিনুল ইসলাম ও কাজী আনোয়ারুল ইসলামের নামে রয়েছে। এইসব ভূমিতে স্কুল প্রতিষ্ঠান নির্মাণাধীন রয়েছে। সম্পূর্ণ অন্যায় ভাবে শিক্ষা সচিব, মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বিভাগ, শিক্ষা মন্ত্রনালয় বাংলাদেশ সচিবালয় ঢাকা বরাবরে দলীল সম্পাদন করে দেন কাজী কবিরুল ইসলাম। গত বছরের ১৩ ডিসেম্বর জোর পূর্বক ভাবে তাদের ভূমি দখল করে স্কুল ঘর নির্মাণ কাজ শুরু করে। নিরুপায় হয়ে প্রবাস থেকে জাহিদপুর পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রে একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়। অভিযোগের প্রেক্ষিতে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য

দৈনিক বাংলাদেশের চিত্র একটি অনলাইন নিউজ পোর্টাল। এই পত্রিকার মূল স্লোগান হলো "সত্য প্রকাশে আপোষহীন"।আমরা এ দেশের নিপীড়িত ও নির্যাতিত মানুষের কথা বলি।একজন অসহায় মানুষের পাশে দাড়িয়ে অন্যায় প্রতিরোধে সাহায্য করতে আমরা সর্বদা অঙ্গীকারবদ্ধ।দৈনিক বাংলাদেশের চিত্র পত্রিকা গনমানুষের কথা বলে।
ট্যাগস :

ছাতকে প্রবাসীর জায়গা আত্মসাতের অভিযোগ

আপডেট সময় : ০৩:২০:০৩ অপরাহ্ন, শনিবার, ২ মার্চ ২০২৪

ছাতকে প্রবাসীর জায়গা আত্মসাতের অভিযোগ

সুনামগঞ্জের ছাতকে এক ভাই কর্তৃক অপর দুই প্রবাসী সহোদরের খরিদা ও মৌরশী ভূমি আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে। প্রতিকার চেয়ে দুই সহোদরের পক্ষে যুক্তরাষ্ট্র থেকে বিশ্বস্থ প্রতিনিধির মাধ্যমে সুনামগঞ্জ জেলা প্রশাসক বরাবরে একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন ভূক্তভোগি প্রবাসী কাজী মমিনুল ইসলাম।

জানা যায়, উপজেলার ছৈলা-আফজলাবাদ ইউনিয়নের ছৈলা গ্রামের মৃত কাজী ওয়ারিদ আলীর ৩ ছেলে, ৪ মেয়ে ও ২য় স্ত্রী রেখে মারা যান। ছেলেরা যুক্তরাষ্ট্রে স্থায়ীভাবে বসবাস করে আসছে। এর মধ্যে বড় ছেলে কাজী কবিরুল ইসলাম সম্প্রতি দেশে এসে সৎ মাসহ চার বোনকে গোপন রেখে ছোট ভাই কাজী মমিনুল ইসলাম ও কাজী আনোয়ারুল ইসলামসহ তিন ভাইয়ের নামে ইউনিয়ন পরিষদ থেকে গত ২৬ জুলাই ২০২৩ইং একটি উত্তরাধিকারি সনদ গ্রহণ করেন। এ সনদের মাধ্যমে পৈতৃক সম্পত্তি নিজের নামে এনে কিছু ভূমি বিক্রি করেছেন।

এদিকে, উত্তরাধিকারি সনদে চার বোন ও সৎ মাকে বাদ দিলেও গত ২৮ জানুয়ারি ২০২৪ সালে কাজী কবিরুল ইসলাম কর্তৃক তার সকল ভাই-বোনদেন কাছে লিগ্যাল নোটিশ প্রেরণ করে। পরবর্তীতে আইনজীবির মাধ্যমে আনিত বিষয়গুলো সত্য নয় বলে সকলের পক্ষে ওই নোটিশের জবাব দেন কাজী মমিনুল ইসলাম। পাশাপাশি এই ধরণের বিভ্রান্তিমূলক নোটিশ প্রদানে বিরত থাকার জন্য জবাব নোটিশে অনুরোধ করা হয়।

সুনামগঞ্জ জেলা প্রশাসক বরাবরে দায়ের করা লিখিত অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, মৃত কাজী ওয়ারিদ আলী ছেলে কাজী মমিনুল ইসলাম ও কাজী আনোয়ারুল ইসলাম স্ব-পরিবারে যুক্তরাষ্ট্রে বসবাস করে আসছেন। বাড়িতে কেউ না থাকায় এই সুযোগে তাদের প্রবাসী বড় ভাই কাজী কবিরুল ইসলাম দেশে এসে তাদের জায়গা সম্পত্তি জোরপূর্বক জবর-দখলের পায়তারা করছে। ইনাম মৌজার ৮৪৮, ৮৮১ দাগের ২৩ শতক পৈতৃক ভূমি ও ৮৫২ দাগের ১৮শতক খরিদা ভূমি কাজী মমিনুল ইসলাম ও কাজী আনোয়ারুল ইসলামের নামে রয়েছে। এইসব ভূমিতে স্কুল প্রতিষ্ঠান নির্মাণাধীন রয়েছে। সম্পূর্ণ অন্যায় ভাবে শিক্ষা সচিব, মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বিভাগ, শিক্ষা মন্ত্রনালয় বাংলাদেশ সচিবালয় ঢাকা বরাবরে দলীল সম্পাদন করে দেন কাজী কবিরুল ইসলাম। গত বছরের ১৩ ডিসেম্বর জোর পূর্বক ভাবে তাদের ভূমি দখল করে স্কুল ঘর নির্মাণ কাজ শুরু করে। নিরুপায় হয়ে প্রবাস থেকে জাহিদপুর পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রে একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়। অভিযোগের প্রেক্ষিতে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।