ঢাকা ০৩:৫১ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১৪ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
নতুন কুঁড়ি ও মার্কস অলরাউন্ডার কৃতিত্বে ফেনীর দুই শিক্ষার্থী কুতুবদিয়া কালী মন্দিরে শারদীয় দুর্গাপূজা উপলক্ষে মতবিনিময় সভা রাজাপুরে ধানের শীষের পক্ষে গোলাম আজম সৈকতের গণসংযোগ শার্শায় সাংবাদিক মনি’র মুক্তির দাবিতে মানববন্ধন কাউখালি বেকুটিয়ায় বিশ্ব নদী দিবস ২০২৫ইং পালিত শাল্লায় বাংলাদেশ মাদ্রাসা শিক্ষক কর্মচারী ফোরাম’র উপজেলা শাখায় কমিটি গঠন করা হয় বিশ্ব নদী দিবস ২০২৫ উপলক্ষে গ্রীন ভয়েসের মানববন্ধন কুলিয়া চরবালিথা মুনষ্টার তরুণ সংঘের নবনির্বাচিত কমিটির সদস্যদের সংবর্ধনা উজিরপুরে বিএনপি নেতা বহিষ্কার: ধর্মীয় সম্প্রীতি ভাঙা ও কুকীর্তির গল্প শ্যামনগরে বিশ্ব নদী দিবসে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত

চুয়াডাঙ্গার ডিঙ্গেদহে ৩ লক্ষাধিক টাকায় নির্মিত শেডে জুয়ার আড্ডা”

নিজেস্ব প্রতিনিধি
  • আপডেট সময় : ০৪:৪১:৩২ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১১ মার্চ ২০২৪ ১৯৯ বার পড়া হয়েছে

“চুয়াডাঙ্গার ডিঙ্গেদহে ৩ লক্ষাধিক টাকায় নির্মিত শেডে জুয়ার আড্ডা”
মোঃ আসাদুজ্জামান আসাদ।
চুয়াডাঙ্গা প্রতিনিধি-চুয়াডাঙ্গার প্রান্তিক পর্যায়ের কৃষকদের উৎপাদিত বিষমুক্ত শাক-সবজি সরাসরি বিক্রির জন্য চালু হয়েছিল কৃষকের বাজার। এর জন্য কৃষি বিপণন অধিদপ্তর ৩ লক্ষাধিক টাকা ব্যয়ে নির্মাণ করে একটি শেড। কিন্তু তিন দিন পরই বন্ধ হয়ে যায় বাজারটি। এখন ওই শেডটি ৫মাস ধরে পড়ে থাকায় তা জুয়াড়িদের আড্ডাখানায় পরিণত হয়েছে। কেউ কেউ সেখানে রান্নার খড়ি স্তূপ করে রাখছেন। এছাড়া নির্বাচনী প্রচারের ক্যাম্প হিসেবেও ব্যবহৃত হয়েছে শেডটি।কৃষি বিপণন অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, জেলা পর্যায়ে কৃষকের বাজার স্থাপনের মাধ্যমে নিরাপদ শাক-সবজি বাজারজাতকরণ সম্প্রসারণ কর্মসূচির আওতায় সদর উপজেলার ডিঙ্গেদহ হাটখোলা বাজারের অদূরে শেড নির্মাণ করা হয়। ২০২৩ সালের ১৫ অক্টোবর কৃষকের বাজার নামের ওই শেড উদ্বোধন করা হয়। তখন জেলা বাজার ও বিপণন অফিস জানায়, বাজারটিতে প্রান্তিক পর্যায়ের কৃষকেরা উৎপাদিত বিষমুক্ত সবজি সরাসরি বিক্রির সুবিধা পাবেন। ক্রেতারা ন্যায্যমূল্যে কৃষকের কাছ থেকে পণ্য কেনার সুযোগ পাবেন।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, উদ্বোধনের পরে মাত্র দুই দিন বাজারটি চালু ছিল। তারপর বন্ধ হয়ে যায়। সম্প্রতি সেখানে গিয়ে দেখা গেছে, চেয়ার-টেবিল পেতে শেডের মধ্যে চলছে তাসের আড্ডা। অনেকে মোটরসাইকেল রাখার জায়গা হিসেবেও ব্যবহার করছে। একটি নির্বাচনী প্রচার ক্যাম্পও করা হয়েছে। কেউ কেউ জ্বালানি কাঠ-খড়ি রেখেছে।
পাশের চা দোকানি আব্দুর রহিম বলেন, ‘বাজারটি উদ্বোধনের পর এক-দুটি হাট বসতে দেখেছি। পরে আর কোনো হাট বসেনি, কৃষকরাও আসেন না।’স্থানীয় বাসিন্দা কাশেম আলী বলেন, এখন তো লোকজন বসে আড্ডা দেয়। কেউ কেউ তাসও খেলে। আবার খড়িও রেখেছে অনেকে।এ বিষয়ে যোগাযোগ করা হলে জেলা বাজার ও বিপণন কর্মকর্তা সহিদুল ইসলাম জানান, স্থান নির্ধারণে ভুল হওয়ায় বাজারটি জমে ওঠেনি। তিনি বলেন, ‘কৃষকরা সরাসরি আসছেন না। সেখানে আমাদের লোকজন দেওয়ার ব্যাপারে আলাপ চলছে। আমরা বাজারটি পুনরায় চালু করতে উদ্যোগ নিয়েছি। আমি চেষ্টা করেছি।’শেড নির্মাণের খরচের বিষয়ে এই কর্মকর্তা বলেন, ‘বিপণন অধিদপ্তর থেকে একটি প্রকল্পের মাধ্যমে শেডটি করা হয়। নির্মাণের ব্যয় সম্পর্কে আমাদের জেলা পর্যায়ে কিছু বলেনি। ঢাকা থেকে লোক এসেছে, সেখান থেকেই করে চলে গেছে। আমি যদিও নিশ্চিত না, তবে খুব সম্ভবত ৪ লাখের ওপরে না, ৩ লাখের কিছু বেশি হবে। আমাকে কোনো চিঠিও দেয়নি।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য
ট্যাগস :

চুয়াডাঙ্গার ডিঙ্গেদহে ৩ লক্ষাধিক টাকায় নির্মিত শেডে জুয়ার আড্ডা”

আপডেট সময় : ০৪:৪১:৩২ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১১ মার্চ ২০২৪

“চুয়াডাঙ্গার ডিঙ্গেদহে ৩ লক্ষাধিক টাকায় নির্মিত শেডে জুয়ার আড্ডা”
মোঃ আসাদুজ্জামান আসাদ।
চুয়াডাঙ্গা প্রতিনিধি-চুয়াডাঙ্গার প্রান্তিক পর্যায়ের কৃষকদের উৎপাদিত বিষমুক্ত শাক-সবজি সরাসরি বিক্রির জন্য চালু হয়েছিল কৃষকের বাজার। এর জন্য কৃষি বিপণন অধিদপ্তর ৩ লক্ষাধিক টাকা ব্যয়ে নির্মাণ করে একটি শেড। কিন্তু তিন দিন পরই বন্ধ হয়ে যায় বাজারটি। এখন ওই শেডটি ৫মাস ধরে পড়ে থাকায় তা জুয়াড়িদের আড্ডাখানায় পরিণত হয়েছে। কেউ কেউ সেখানে রান্নার খড়ি স্তূপ করে রাখছেন। এছাড়া নির্বাচনী প্রচারের ক্যাম্প হিসেবেও ব্যবহৃত হয়েছে শেডটি।কৃষি বিপণন অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, জেলা পর্যায়ে কৃষকের বাজার স্থাপনের মাধ্যমে নিরাপদ শাক-সবজি বাজারজাতকরণ সম্প্রসারণ কর্মসূচির আওতায় সদর উপজেলার ডিঙ্গেদহ হাটখোলা বাজারের অদূরে শেড নির্মাণ করা হয়। ২০২৩ সালের ১৫ অক্টোবর কৃষকের বাজার নামের ওই শেড উদ্বোধন করা হয়। তখন জেলা বাজার ও বিপণন অফিস জানায়, বাজারটিতে প্রান্তিক পর্যায়ের কৃষকেরা উৎপাদিত বিষমুক্ত সবজি সরাসরি বিক্রির সুবিধা পাবেন। ক্রেতারা ন্যায্যমূল্যে কৃষকের কাছ থেকে পণ্য কেনার সুযোগ পাবেন।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, উদ্বোধনের পরে মাত্র দুই দিন বাজারটি চালু ছিল। তারপর বন্ধ হয়ে যায়। সম্প্রতি সেখানে গিয়ে দেখা গেছে, চেয়ার-টেবিল পেতে শেডের মধ্যে চলছে তাসের আড্ডা। অনেকে মোটরসাইকেল রাখার জায়গা হিসেবেও ব্যবহার করছে। একটি নির্বাচনী প্রচার ক্যাম্পও করা হয়েছে। কেউ কেউ জ্বালানি কাঠ-খড়ি রেখেছে।
পাশের চা দোকানি আব্দুর রহিম বলেন, ‘বাজারটি উদ্বোধনের পর এক-দুটি হাট বসতে দেখেছি। পরে আর কোনো হাট বসেনি, কৃষকরাও আসেন না।’স্থানীয় বাসিন্দা কাশেম আলী বলেন, এখন তো লোকজন বসে আড্ডা দেয়। কেউ কেউ তাসও খেলে। আবার খড়িও রেখেছে অনেকে।এ বিষয়ে যোগাযোগ করা হলে জেলা বাজার ও বিপণন কর্মকর্তা সহিদুল ইসলাম জানান, স্থান নির্ধারণে ভুল হওয়ায় বাজারটি জমে ওঠেনি। তিনি বলেন, ‘কৃষকরা সরাসরি আসছেন না। সেখানে আমাদের লোকজন দেওয়ার ব্যাপারে আলাপ চলছে। আমরা বাজারটি পুনরায় চালু করতে উদ্যোগ নিয়েছি। আমি চেষ্টা করেছি।’শেড নির্মাণের খরচের বিষয়ে এই কর্মকর্তা বলেন, ‘বিপণন অধিদপ্তর থেকে একটি প্রকল্পের মাধ্যমে শেডটি করা হয়। নির্মাণের ব্যয় সম্পর্কে আমাদের জেলা পর্যায়ে কিছু বলেনি। ঢাকা থেকে লোক এসেছে, সেখান থেকেই করে চলে গেছে। আমি যদিও নিশ্চিত না, তবে খুব সম্ভবত ৪ লাখের ওপরে না, ৩ লাখের কিছু বেশি হবে। আমাকে কোনো চিঠিও দেয়নি।