ঢাকা ১০:২১ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১৪ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
নতুন কুঁড়ি ও মার্কস অলরাউন্ডার কৃতিত্বে ফেনীর দুই শিক্ষার্থী কুতুবদিয়া কালী মন্দিরে শারদীয় দুর্গাপূজা উপলক্ষে মতবিনিময় সভা রাজাপুরে ধানের শীষের পক্ষে গোলাম আজম সৈকতের গণসংযোগ শার্শায় সাংবাদিক মনি’র মুক্তির দাবিতে মানববন্ধন কাউখালি বেকুটিয়ায় বিশ্ব নদী দিবস ২০২৫ইং পালিত শাল্লায় বাংলাদেশ মাদ্রাসা শিক্ষক কর্মচারী ফোরাম’র উপজেলা শাখায় কমিটি গঠন করা হয় বিশ্ব নদী দিবস ২০২৫ উপলক্ষে গ্রীন ভয়েসের মানববন্ধন কুলিয়া চরবালিথা মুনষ্টার তরুণ সংঘের নবনির্বাচিত কমিটির সদস্যদের সংবর্ধনা উজিরপুরে বিএনপি নেতা বহিষ্কার: ধর্মীয় সম্প্রীতি ভাঙা ও কুকীর্তির গল্প শ্যামনগরে বিশ্ব নদী দিবসে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত

চুয়াডাঙ্গায় ডায়রিয়া-নিউমোনিয়া ঠাঁসা হাসপাতালে বেগ

নিজেস্ব প্রতিনিধি
  • আপডেট সময় : ১০:১৯:৪৮ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪ ১০০ বার পড়া হয়েছে

মোঃ আসাদুজ্জামান আসাদ।

চুয়াডাঙ্গা প্রতিনিধি:-চুয়াডাঙ্গার ওপর দিয়ে বয়ে যাচ্ছে তাপপ্রবাহ। এর প্রভাবে জেলায় বাড়ছে গরমজনিত রোগের প্রকোপ। চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে ভিড় বাড়ছে নিউমোনিয়া ও ডায়রিয়া রোগীর। প্রতিদিনই বাড়ছে রোগীর সংখ্যা। এর মধ্যে সব বয়সীরা তীব্র গরমে ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হচ্ছেন। আর শিশুরা আক্রান্ত হচ্ছে নিউমোনিয়ায়। রোগির চাপ এতোটায় বেশি যে শয্যা সংকটে পড়েছে রোগীরা। শিশু ও ডায়রিয়া ওয়ার্ডে বেড না পেয়ে রোগীরা মেঝেতে অবস্থান করেছে। রোগীর চাপ সামলাতে গিয়ে হিমশিম খাচ্ছে দায়িত্বরত ডাক্তার ও নার্সরা।
চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে শিশু ও ডায়রিয়া ওয়ার্ড ঘুরে দেখা গেছে,আজ বুধবার দুপুর ১২টার দিকে নিউমোনিয়া আক্রান্ত শিশু রোগী ভর্তি ছিল ৭১ জন। আর এই ওয়ার্ডে প্রতিদিন গড়ে রোগী আসছে ৪০ থেকে ৫০ জন। তাদের সবার বয়স ৩ মাস বয়স থেকে ১ বছর পর্যন্ত। বেশিরভাগই নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত। গত এক সপ্তাহে নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত রোগী চিকিৎসা নিয়েছে তিন শতাধিক রোগী।এদিকে ডায়রিয়া ওয়ার্ডে গতকাল রোগী ভর্তি ছিল ১৭১ জন। গত এক সপ্তাহে ডায়রিয়া ওয়ার্ডে চিকিৎসা নিয়েছে পাঁচ শতাধিক রোগী। ডায়রিয়া ওয়ার্ডে সকল বয়সীরা ভর্তি হচ্ছেন। রোগীর চাপ সামলাতে হিমশিম খাচ্ছে ডাক্তার ও নার্সরা। আবার দেখা দিয়েছে জায়গা সংকট। একদিকে সংকট বেড, অপরদিকে রোগী ভর্তি হয়ে আছে শিশু ও ডায়রিয়া ওয়ার্ডের বাইরের বারান্দায়। নিউমোনিয়া ও ডায়রিয়া এমন ভয়াবহ আক্রান্ত যেন শিশুদের কান্নায় ভারি হয়ে উঠেছে হাসপাতালের চারপাশ। এই তীব্র তাপদাহ আর গরমের কারণে হঠাৎ করে নিউমোনিয়া ও ডায়রিয়ার প্রকোপ বেড়েছে বলছেন চিকিৎসকরা।রোগীর স্বজনরা জানান, গত এক সপ্তাহ ধরে তীব্র রোদের তাপমাত্রা ও অস্বস্তিকর গরম লাগছে। তাই এখন এই সময়টা শিশু ও সব বয়সীরা নিউমোনিয়া ডায়রিয়া আক্রান্ত হচ্ছে। কিন্তু এবার মনে হচ্ছে অনেক বেশি। গরম বাতাসটা যখন শিশুদের গায়ে এসে লাগছে। তখন শিশুরা হালকা ঠান্ডা জ¦র হয়ে যাওয়ার পর নিউমোনিয়া আক্রান্ত হচ্ছে। হাসপাতালের শিশু ওয়ার্ডে রোগীর অনেক চাপ। মেঝেতে পা ফেলার কায়দা নেই। সব জায়গায় রোগি ভর্তি। রোগীভর্তি হয়ে আছে সব বেডে।এসময় এক রোগীর মা আমেনা খাতুন বলেন, গত কালকে এসেছি আমার ছেলেকে নিয়ে। এই রোদ গরমে হঠাৎ করে ডায়রিয়া আক্রান্ত হয়েছে। তাই হাসপাতালে নিয়ে এসে স্যালাইন দেয়া হয়েছে। ডাক্তার দেখছে।অপর রোগী আজিজুল হাকিম বলেন, এই তীব্র রোদ আর অস্বস্তি গরমের কারণে আমি এবং আমার ছেলে দুই জনই অসুস্থ হয়ে পড়েছি। এখন ডাক্তার দেখছে দেখার পর কিছুটা ভালো আছি। ডায়রিয়া ও শিশু ওয়ার্ডে অনেক রোগির চাপ। বেড না পেয়ে। এখন মেঝেতে অবস্থান করছি।
চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের শিশু বিশেষজ্ঞ আসাদুর রহমান মালিক খোকন বলেন, গেল কয়েকদিন ধরে সদর হাসপাতালে নিউমোনিয়া ও ডায়রিয়ার প্রকোপ বেড়েছে। ফলে হাসপাতালে অনেক রোগির চাপ বেড়েছে। এই তীব্র তাপপ্রবাহ আর তীব্র গরমের কারণে এমন অবস্থা। তবে ডাক্তার ও নার্সরা নিয়মিতভাবে রোগী দেখছে। একই সাথে পরামর্শ দিচ্ছি।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য

দৈনিক বাংলাদেশের চিত্র একটি অনলাইন নিউজ পোর্টাল। এই পত্রিকার মূল স্লোগান হলো "সত্য প্রকাশে আপোষহীন"।আমরা এ দেশের নিপীড়িত ও নির্যাতিত মানুষের কথা বলি।একজন অসহায় মানুষের পাশে দাড়িয়ে অন্যায় প্রতিরোধে সাহায্য করতে আমরা সর্বদা অঙ্গীকারবদ্ধ।দৈনিক বাংলাদেশের চিত্র পত্রিকা গনমানুষের কথা বলে।
ট্যাগস :

চুয়াডাঙ্গায় ডায়রিয়া-নিউমোনিয়া ঠাঁসা হাসপাতালে বেগ

আপডেট সময় : ১০:১৯:৪৮ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪

মোঃ আসাদুজ্জামান আসাদ।

চুয়াডাঙ্গা প্রতিনিধি:-চুয়াডাঙ্গার ওপর দিয়ে বয়ে যাচ্ছে তাপপ্রবাহ। এর প্রভাবে জেলায় বাড়ছে গরমজনিত রোগের প্রকোপ। চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে ভিড় বাড়ছে নিউমোনিয়া ও ডায়রিয়া রোগীর। প্রতিদিনই বাড়ছে রোগীর সংখ্যা। এর মধ্যে সব বয়সীরা তীব্র গরমে ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হচ্ছেন। আর শিশুরা আক্রান্ত হচ্ছে নিউমোনিয়ায়। রোগির চাপ এতোটায় বেশি যে শয্যা সংকটে পড়েছে রোগীরা। শিশু ও ডায়রিয়া ওয়ার্ডে বেড না পেয়ে রোগীরা মেঝেতে অবস্থান করেছে। রোগীর চাপ সামলাতে গিয়ে হিমশিম খাচ্ছে দায়িত্বরত ডাক্তার ও নার্সরা।
চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে শিশু ও ডায়রিয়া ওয়ার্ড ঘুরে দেখা গেছে,আজ বুধবার দুপুর ১২টার দিকে নিউমোনিয়া আক্রান্ত শিশু রোগী ভর্তি ছিল ৭১ জন। আর এই ওয়ার্ডে প্রতিদিন গড়ে রোগী আসছে ৪০ থেকে ৫০ জন। তাদের সবার বয়স ৩ মাস বয়স থেকে ১ বছর পর্যন্ত। বেশিরভাগই নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত। গত এক সপ্তাহে নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত রোগী চিকিৎসা নিয়েছে তিন শতাধিক রোগী।এদিকে ডায়রিয়া ওয়ার্ডে গতকাল রোগী ভর্তি ছিল ১৭১ জন। গত এক সপ্তাহে ডায়রিয়া ওয়ার্ডে চিকিৎসা নিয়েছে পাঁচ শতাধিক রোগী। ডায়রিয়া ওয়ার্ডে সকল বয়সীরা ভর্তি হচ্ছেন। রোগীর চাপ সামলাতে হিমশিম খাচ্ছে ডাক্তার ও নার্সরা। আবার দেখা দিয়েছে জায়গা সংকট। একদিকে সংকট বেড, অপরদিকে রোগী ভর্তি হয়ে আছে শিশু ও ডায়রিয়া ওয়ার্ডের বাইরের বারান্দায়। নিউমোনিয়া ও ডায়রিয়া এমন ভয়াবহ আক্রান্ত যেন শিশুদের কান্নায় ভারি হয়ে উঠেছে হাসপাতালের চারপাশ। এই তীব্র তাপদাহ আর গরমের কারণে হঠাৎ করে নিউমোনিয়া ও ডায়রিয়ার প্রকোপ বেড়েছে বলছেন চিকিৎসকরা।রোগীর স্বজনরা জানান, গত এক সপ্তাহ ধরে তীব্র রোদের তাপমাত্রা ও অস্বস্তিকর গরম লাগছে। তাই এখন এই সময়টা শিশু ও সব বয়সীরা নিউমোনিয়া ডায়রিয়া আক্রান্ত হচ্ছে। কিন্তু এবার মনে হচ্ছে অনেক বেশি। গরম বাতাসটা যখন শিশুদের গায়ে এসে লাগছে। তখন শিশুরা হালকা ঠান্ডা জ¦র হয়ে যাওয়ার পর নিউমোনিয়া আক্রান্ত হচ্ছে। হাসপাতালের শিশু ওয়ার্ডে রোগীর অনেক চাপ। মেঝেতে পা ফেলার কায়দা নেই। সব জায়গায় রোগি ভর্তি। রোগীভর্তি হয়ে আছে সব বেডে।এসময় এক রোগীর মা আমেনা খাতুন বলেন, গত কালকে এসেছি আমার ছেলেকে নিয়ে। এই রোদ গরমে হঠাৎ করে ডায়রিয়া আক্রান্ত হয়েছে। তাই হাসপাতালে নিয়ে এসে স্যালাইন দেয়া হয়েছে। ডাক্তার দেখছে।অপর রোগী আজিজুল হাকিম বলেন, এই তীব্র রোদ আর অস্বস্তি গরমের কারণে আমি এবং আমার ছেলে দুই জনই অসুস্থ হয়ে পড়েছি। এখন ডাক্তার দেখছে দেখার পর কিছুটা ভালো আছি। ডায়রিয়া ও শিশু ওয়ার্ডে অনেক রোগির চাপ। বেড না পেয়ে। এখন মেঝেতে অবস্থান করছি।
চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের শিশু বিশেষজ্ঞ আসাদুর রহমান মালিক খোকন বলেন, গেল কয়েকদিন ধরে সদর হাসপাতালে নিউমোনিয়া ও ডায়রিয়ার প্রকোপ বেড়েছে। ফলে হাসপাতালে অনেক রোগির চাপ বেড়েছে। এই তীব্র তাপপ্রবাহ আর তীব্র গরমের কারণে এমন অবস্থা। তবে ডাক্তার ও নার্সরা নিয়মিতভাবে রোগী দেখছে। একই সাথে পরামর্শ দিচ্ছি।