ঢাকা ০৩:৩৩ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১৪ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
নতুন কুঁড়ি ও মার্কস অলরাউন্ডার কৃতিত্বে ফেনীর দুই শিক্ষার্থী কুতুবদিয়া কালী মন্দিরে শারদীয় দুর্গাপূজা উপলক্ষে মতবিনিময় সভা রাজাপুরে ধানের শীষের পক্ষে গোলাম আজম সৈকতের গণসংযোগ শার্শায় সাংবাদিক মনি’র মুক্তির দাবিতে মানববন্ধন কাউখালি বেকুটিয়ায় বিশ্ব নদী দিবস ২০২৫ইং পালিত শাল্লায় বাংলাদেশ মাদ্রাসা শিক্ষক কর্মচারী ফোরাম’র উপজেলা শাখায় কমিটি গঠন করা হয় বিশ্ব নদী দিবস ২০২৫ উপলক্ষে গ্রীন ভয়েসের মানববন্ধন কুলিয়া চরবালিথা মুনষ্টার তরুণ সংঘের নবনির্বাচিত কমিটির সদস্যদের সংবর্ধনা উজিরপুরে বিএনপি নেতা বহিষ্কার: ধর্মীয় সম্প্রীতি ভাঙা ও কুকীর্তির গল্প শ্যামনগরে বিশ্ব নদী দিবসে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত

গাইবান্ধার ঘগোয়া বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের সকল পরীক্ষার্থী অকৃতকার্য

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৭:৫৯:০৬ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৩ মে ২০২৪ ৯৭ বার পড়া হয়েছে

স্টাফ রিপোর্টার:-

গাইবান্ধার সদর উপজেলা ঘগোয়া বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের সব পরীক্ষার্থী অকৃতকার্য হয়েছে। এই বিদ্যালয়ে ১৩ জন শিক্ষক আছেন। পরীক্ষায় অংশ নেন ১৪ শিক্ষার্থী।
উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, ১৯৯৪ সালে ঘগোয়া বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠিত হয়। প্রতিষ্ঠার ১০ বছর পর ২০০৪ সালে বিদ্যালয়টি এমপিওভুক্ত হয়। বিদ্যালয়টিতে বর্তমানে প্রধান শিক্ষকসহ ১৩ জন শিক্ষক ও তিনজন কর্মচারী রয়েছেন। গত বছর এই বিদ্যালয় থেকে ১৬ জন পরীক্ষার্থী অংশ নিয়ে ১৩ জন পাস করেছিল।
স্থানীয়রা বলছেন, বিদ্যালয়টি প্রতিদিন খোলা থাকলেও শিক্ষার্থীদের স্কুলে আসার প্রতি তেমন আগ্রহ নেই। শিক্ষক-কর্মচারীরা গল্পগুজব করে সময় কাটিয়ে বাড়িতে চলে যান।
নাম প্রকাশ্যে অনিচ্ছুক এক অভিভাবক ভোরের বাংলা নিউজ কে বলেন, ১৬ জন শিক্ষক-কর্মচারীর স্কুলে পরীক্ষার্থী ছিল মাত্র ১৪ জন। একজনও পাস করল না, বিষয়টি দুঃখজনক। এই বিদ্যালয়ে শিক্ষকরা প্রতিদিন আসে কি না, ঠিকমতো ক্লাস নেয় কি না সেটি সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের দেখা প্রয়োজন।
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আব্দুল হাকিম বলেন, এবার এসএসসি পরীক্ষায় ১৪ শিক্ষার্থী অংশ নিয়েছিল। প্রত্যেক শিক্ষার্থী পাস করার যোগ্যতা রাখে। কেন তাদের রেজাল্ট ফেল আসল আমরা বুঝতে পারছি না। আমরা শিক্ষা বোর্ডে এ বিষয়ে চ্যালেঞ্জ করব।
জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা রোকসানা বেগম বলেন, গাইবান্ধার মধ্যে একটি বিদ্যালয়ে ফলাফলের শতকরা হার শূন্য। বিষয়টি দুঃখজনক। এই উপজেলার ঘগোয়া বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় থেকে ১৪ জন পরীক্ষার্থীর কেউ পাস করেনি। ইতোমধ্যে ওই বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা যে যে বিষয়ে ফেল করেছে সংশ্লিষ্ট শিক্ষকদের কারণ দর্শানোর জন্য প্রধান শিক্ষককে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য

দৈনিক বাংলাদেশের চিত্র একটি অনলাইন নিউজ পোর্টাল। এই পত্রিকার মূল স্লোগান হলো "সত্য প্রকাশে আপোষহীন"।আমরা এ দেশের নিপীড়িত ও নির্যাতিত মানুষের কথা বলি।একজন অসহায় মানুষের পাশে দাড়িয়ে অন্যায় প্রতিরোধে সাহায্য করতে আমরা সর্বদা অঙ্গীকারবদ্ধ।দৈনিক বাংলাদেশের চিত্র পত্রিকা গনমানুষের কথা বলে।
ট্যাগস :

গাইবান্ধার ঘগোয়া বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের সকল পরীক্ষার্থী অকৃতকার্য

আপডেট সময় : ০৭:৫৯:০৬ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৩ মে ২০২৪

স্টাফ রিপোর্টার:-

গাইবান্ধার সদর উপজেলা ঘগোয়া বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের সব পরীক্ষার্থী অকৃতকার্য হয়েছে। এই বিদ্যালয়ে ১৩ জন শিক্ষক আছেন। পরীক্ষায় অংশ নেন ১৪ শিক্ষার্থী।
উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, ১৯৯৪ সালে ঘগোয়া বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠিত হয়। প্রতিষ্ঠার ১০ বছর পর ২০০৪ সালে বিদ্যালয়টি এমপিওভুক্ত হয়। বিদ্যালয়টিতে বর্তমানে প্রধান শিক্ষকসহ ১৩ জন শিক্ষক ও তিনজন কর্মচারী রয়েছেন। গত বছর এই বিদ্যালয় থেকে ১৬ জন পরীক্ষার্থী অংশ নিয়ে ১৩ জন পাস করেছিল।
স্থানীয়রা বলছেন, বিদ্যালয়টি প্রতিদিন খোলা থাকলেও শিক্ষার্থীদের স্কুলে আসার প্রতি তেমন আগ্রহ নেই। শিক্ষক-কর্মচারীরা গল্পগুজব করে সময় কাটিয়ে বাড়িতে চলে যান।
নাম প্রকাশ্যে অনিচ্ছুক এক অভিভাবক ভোরের বাংলা নিউজ কে বলেন, ১৬ জন শিক্ষক-কর্মচারীর স্কুলে পরীক্ষার্থী ছিল মাত্র ১৪ জন। একজনও পাস করল না, বিষয়টি দুঃখজনক। এই বিদ্যালয়ে শিক্ষকরা প্রতিদিন আসে কি না, ঠিকমতো ক্লাস নেয় কি না সেটি সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের দেখা প্রয়োজন।
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আব্দুল হাকিম বলেন, এবার এসএসসি পরীক্ষায় ১৪ শিক্ষার্থী অংশ নিয়েছিল। প্রত্যেক শিক্ষার্থী পাস করার যোগ্যতা রাখে। কেন তাদের রেজাল্ট ফেল আসল আমরা বুঝতে পারছি না। আমরা শিক্ষা বোর্ডে এ বিষয়ে চ্যালেঞ্জ করব।
জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা রোকসানা বেগম বলেন, গাইবান্ধার মধ্যে একটি বিদ্যালয়ে ফলাফলের শতকরা হার শূন্য। বিষয়টি দুঃখজনক। এই উপজেলার ঘগোয়া বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় থেকে ১৪ জন পরীক্ষার্থীর কেউ পাস করেনি। ইতোমধ্যে ওই বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা যে যে বিষয়ে ফেল করেছে সংশ্লিষ্ট শিক্ষকদের কারণ দর্শানোর জন্য প্রধান শিক্ষককে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।