ঢাকা ০৪:৫২ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ০১ অক্টোবর ২০২৫, ১৫ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
আলমডাঙ্গায় পূজামণ্ডপে শামসুজ্জামান দুদু দুমকিতে মা ইলিশ সংরক্ষণে প্রস্তুতিমূলক সভা  নিবন্ধন ব্যতীত সার মজুদ রাখায় ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে ২ লক্ষ টাকা জরিমানা গাজীরহাট পূজা মন্ডপ পরিদর্শক ও মতবিনিময় করেন জেলা প্রশাসক মোস্তাক আহমেদ চুরির অভিযোগে কিশোরকে নির্যাতন, ভিডিও ভাইরাল বাকৃবিতে ‘দেশে খাদ্য পুষ্টি সমৃদ্ধকরণের গুরুত্ব’ শীর্ষক কর্মশালা অনুষ্ঠিত মৃত্যুর চেয়েও মারাত্মক সময় অপচয়: সফল জীবনের পথে সতর্কবার্তা ১৩ বছরে কোন পুঁজোয় একটা সিঁদুরের কৌটাও ভাগ্যে জোটেনি নীলফামারীর সমিতার: তবুও ফিরতে চান স্বামীর সংসারে শ্যামনগর কৈখালীতে বিশুদ্ধ পানির প্লান্ট উদ্বোধন করলেন বিজিবি মহাপরিচালক ফেনীতে স্বামীকে হ’ত্যার অভিযোগে স্ত্রী আটক

গাইবান্ধার ফুলছড়ির শুকনো মরিচের হাটে এ হাটে কোটি টাকার শুকনো মরিচ কেনাবেচা হয়

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ১০:০৪:২০ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২ এপ্রিল ২০২৪ ৮০ বার পড়া হয়েছে

স্টাফ রিপোর্টার:-

লাল টুকটুকে মরিচে সাজানো পুরো হাট। সূর্য ওঠার পর থেকেই হাটে আসতে শুরু করে মরিচ। নৌকা এবং ঘোড়ার গাড়িতে করে ফুলছড়ি উপজেলার টেংরাকান্দি, মোল্লারচর, খোলাবাড়ি, ফজলুপুর, এরেন্ডবাড়ি, উড়িয়া, ফুলছড়ি, সাঘাটা ও সুন্দরগঞ্জ উপজেলার চরাঞ্চল এবং জামালপুর জেলার দেওয়ানগঞ্জের বকশিগঞ্জের কয়েকটি চর থেকে মরিচ বিক্রি করতে আসেন কৃষক ও পাইকাররা। এরপর শুরু হয় বেচাকেনার হাঁকডাক। 

বেলা বাড়ার সঙ্গে বেড়ে যায় ক্রেতা–বিক্রেতার ছোটাছুটি ও ব্যস্ততা। ক্রেতার সঙ্গে বিক্রেতার দরদাম মিটলে তা তোলা হয় বড় বড় দাঁড়িপাল্লায়। সেখান থেকে বস্তাবোঝাই হয়ে তা ওঠে ট্রাক ও ভটভটির ওপর। চলে যায় বিভিন্ন গন্তব্যে।

এটি গাইবান্ধার ফুলছড়ির শুকনো মরিচের হাটের চিত্র। এ উপজেলায় মরিচ চাষ বেশি হওয়ায় জেলার একমাত্র মরিচের হাট বসে এখানে। গজারিয়া ইউনিয়নে ব্রহ্মপুত্র সংলগ্ন হাটে বিভিন্ন চর থেকে প্রচুর মরিচ আসে। সপ্তাহের শনি ও মঙ্গলবার দুই দিন সকাল ৭টা থেকে দুপুর পর্যন্ত এই হাট বসে। এই অঞ্চলে ফুলছড়ি হাট মরিচের বাজার হিসেবে বেশ প্রসিদ্ধ। প্রতি হাটে কোটি টাকার ওপর মরিচ কেনাবেচা হয়।

ফুলছড়ি মরিচ হাট নামে পরিচিত এই হাট এখন লাল মরিচে রঙিন হয়ে উঠেছে। গাইবান্ধা সদর, ফুলছড়ি, সাঘাটা ও সুন্দরগঞ্জ উপজেলার চরাঞ্চল এবং জামালপুরের দেওয়ানগঞ্জের কয়েকটি চর থেকে কৃষকরা মরিচ বিক্রি করতে আসেন।

উপজেলার গজারিয়া ইউনিয়নের গলনাচরের কৃষক আব্দুল জব্বার (৪৩) ভোরের বাংলা নিউজ কে বলেন, বিঘা প্রতি কাঁচামরিচ উৎপাদনে ব্যয় হয় ২০ থেকে ২৫ হাজার টাকা। বিঘায় ৫০ মণের বেশি মরিচ উৎপন্ন হয়। ৫০ মণ কাঁচামরিচ জমিতে লাল রং হয়ে পাকার পর তা রোদে শুকিয়ে ১০ মণের মতো শুকনো মরিচ হয়। শুকাতে শ্রমিকসহ অন্যান্য আরও খরচ হয় প্রায় হাজার দশেক টাকা। সে হিসেবে ১০ মণ মরিচ বিক্রি হচ্ছে ১ লাখ ৬০ হাজার টাকায়। ব্যয় বাদে ১ লাখ ২৫ হাজার টাকার মতো আয় হয় তার।

মরিচ বিক্রেতা ফুলছড়ি গ্রামের মনসুর মিয়া (৫২) বলেন, চরে মরিচ চাষ করে এই হাটে বিক্রি করতে আসি। শুধু আমি না এই হাটে মরিচ বিক্রি করতে আসেন আমার মতো প্রায় হাজার খানেক কৃষক।

গাইবান্ধার লাল মরিচ বা শুকনো মরিচের কদর রয়েছে দেশব্যাপী। ব্রহ্মপুত্র, তিস্তা ও যমুনা নদীবেষ্টিত জেলার চার উপজেলার চর-দ্বীপচরের শত শত বিঘা জমিতে মরিচের ব্যাপক ফল হয়ে থাকে। সাধারণত বন্যার পানি নেমে যাওয়ার পরই চরের পলি মাটিতে বীজ ছিটিয়ে দুই-তিনবার নিড়ানি দিলেই বিনা সারে বিস্তর ফলন হয় মরিচের। মাটির গুণাগুণ ও আবহাওয়ার কারণে চরাঞ্চলের মরিচের রং সুন্দর ও আকার বড় হয়। এ কারণে বগুড়া, নওগাঁ, রংপুরসহ বিভিন্ন জেলার ব্যবসায়ীরা ফুলছড়ি হাটে মরিচ কিনতে আসেন। তবে বেশি মরিচ কেনেন ভোগ্যপণ্য উৎপাদনকারী নামি দামি কয়েকটি প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিরা।

বগুড়া থেকে ফুলছড়ি হাটে মরিচ কিনতে এসেছেন জয়নাল ব্যাপারী। তিনি বলেন, ভোরবেলা ট্রাক নিয়ে এ হাটে মরিচ কিনতে এসেছি। ফুলছড়ির মরিচ ভালোমানের। প্রতি হাটে ৩০ থেকে ৪০ মণ মরিচ কিনে নিয়ে যাই। এরপর তা আমাদের স্থানীয় হাট-বাজারে বিক্রি করি।

জয়পুরহাট থেকে পাইকারি মরিচ কিনতে আসা ব্যাপারী জুয়েল মিয়া বলেন, প্রতি বছরই এ হাট থেকে শুকনো মরিচ কিনে জয়পুরহাটে বিভিন্ন হাট-বাজারের বিক্রি করে থাকি। পাশাপাশি বিভিন্ন কোম্পানিকে দিয়ে থাকি। এখানকার মরিচ দেশের বিভিন্ন জেলায় যায়। এই হাটে মরিচের মান ভালো। কিন্তু দাম কিছুটা চড়া।

উপজেলার গজারিয়া ইউনিয়নে অবস্থিত পুরাতন উপজেলা হেডকোয়ার্টার্স মাঠে ২০০৪ সাল থেকে এই মরিচের হাট বসে। ফেব্রুয়ারির মাঝামাঝি থেকে এপ্রিল পর্যন্ত ভরা মৌসুমে মরিচ বেশি বিক্রি হয়। অন্য সময়ে বিক্রি হয় কম।

ফুলছড়ি হাটের ইজারাদার বজলুর রহমান মুক্তা জানান, সপ্তাহে শনিবার ও মঙ্গলবার দুদিন সকাল ৭টা থেকে হাট বসে। এবার প্রতি মণ মরিচ ১৫ থেকে ১৬ হাজার টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। প্রতি হাটে প্রায় আড়াই থেকে তিন হাজার মণ শুকনো মরিচ বিক্রি হয়। যার বাজার মূল্য প্রায় ৩ কোটি ৭৫ লাখ টাকা।

গাইবান্ধা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মো. খোরশেদ আলম বলেন, গাইবান্ধার সাতটি উপজেলায় যে পরিমাণ মরিচের চাষ হয় তার অর্ধেকই উৎপন্ন হয় ফুলছড়ি উপজেলায়। আবহাওয়া ও চরের উর্বর মাটিতে দিন দিন মরিচ চাষের পরিমাণ বাড়ছে। চরের লোকজনও মরিচ চাষে ঝুঁকছে। কৃষি বিভাগ কৃষকদের পরামর্শসহ সব ধরনের কারিগরি সহায়তা দিয়ে যাচ্ছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য

দৈনিক বাংলাদেশের চিত্র একটি অনলাইন নিউজ পোর্টাল। এই পত্রিকার মূল স্লোগান হলো "সত্য প্রকাশে আপোষহীন"।আমরা এ দেশের নিপীড়িত ও নির্যাতিত মানুষের কথা বলি।একজন অসহায় মানুষের পাশে দাড়িয়ে অন্যায় প্রতিরোধে সাহায্য করতে আমরা সর্বদা অঙ্গীকারবদ্ধ।দৈনিক বাংলাদেশের চিত্র পত্রিকা গনমানুষের কথা বলে।
ট্যাগস :

গাইবান্ধার ফুলছড়ির শুকনো মরিচের হাটে এ হাটে কোটি টাকার শুকনো মরিচ কেনাবেচা হয়

আপডেট সময় : ১০:০৪:২০ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২ এপ্রিল ২০২৪

স্টাফ রিপোর্টার:-

লাল টুকটুকে মরিচে সাজানো পুরো হাট। সূর্য ওঠার পর থেকেই হাটে আসতে শুরু করে মরিচ। নৌকা এবং ঘোড়ার গাড়িতে করে ফুলছড়ি উপজেলার টেংরাকান্দি, মোল্লারচর, খোলাবাড়ি, ফজলুপুর, এরেন্ডবাড়ি, উড়িয়া, ফুলছড়ি, সাঘাটা ও সুন্দরগঞ্জ উপজেলার চরাঞ্চল এবং জামালপুর জেলার দেওয়ানগঞ্জের বকশিগঞ্জের কয়েকটি চর থেকে মরিচ বিক্রি করতে আসেন কৃষক ও পাইকাররা। এরপর শুরু হয় বেচাকেনার হাঁকডাক। 

বেলা বাড়ার সঙ্গে বেড়ে যায় ক্রেতা–বিক্রেতার ছোটাছুটি ও ব্যস্ততা। ক্রেতার সঙ্গে বিক্রেতার দরদাম মিটলে তা তোলা হয় বড় বড় দাঁড়িপাল্লায়। সেখান থেকে বস্তাবোঝাই হয়ে তা ওঠে ট্রাক ও ভটভটির ওপর। চলে যায় বিভিন্ন গন্তব্যে।

এটি গাইবান্ধার ফুলছড়ির শুকনো মরিচের হাটের চিত্র। এ উপজেলায় মরিচ চাষ বেশি হওয়ায় জেলার একমাত্র মরিচের হাট বসে এখানে। গজারিয়া ইউনিয়নে ব্রহ্মপুত্র সংলগ্ন হাটে বিভিন্ন চর থেকে প্রচুর মরিচ আসে। সপ্তাহের শনি ও মঙ্গলবার দুই দিন সকাল ৭টা থেকে দুপুর পর্যন্ত এই হাট বসে। এই অঞ্চলে ফুলছড়ি হাট মরিচের বাজার হিসেবে বেশ প্রসিদ্ধ। প্রতি হাটে কোটি টাকার ওপর মরিচ কেনাবেচা হয়।

ফুলছড়ি মরিচ হাট নামে পরিচিত এই হাট এখন লাল মরিচে রঙিন হয়ে উঠেছে। গাইবান্ধা সদর, ফুলছড়ি, সাঘাটা ও সুন্দরগঞ্জ উপজেলার চরাঞ্চল এবং জামালপুরের দেওয়ানগঞ্জের কয়েকটি চর থেকে কৃষকরা মরিচ বিক্রি করতে আসেন।

উপজেলার গজারিয়া ইউনিয়নের গলনাচরের কৃষক আব্দুল জব্বার (৪৩) ভোরের বাংলা নিউজ কে বলেন, বিঘা প্রতি কাঁচামরিচ উৎপাদনে ব্যয় হয় ২০ থেকে ২৫ হাজার টাকা। বিঘায় ৫০ মণের বেশি মরিচ উৎপন্ন হয়। ৫০ মণ কাঁচামরিচ জমিতে লাল রং হয়ে পাকার পর তা রোদে শুকিয়ে ১০ মণের মতো শুকনো মরিচ হয়। শুকাতে শ্রমিকসহ অন্যান্য আরও খরচ হয় প্রায় হাজার দশেক টাকা। সে হিসেবে ১০ মণ মরিচ বিক্রি হচ্ছে ১ লাখ ৬০ হাজার টাকায়। ব্যয় বাদে ১ লাখ ২৫ হাজার টাকার মতো আয় হয় তার।

মরিচ বিক্রেতা ফুলছড়ি গ্রামের মনসুর মিয়া (৫২) বলেন, চরে মরিচ চাষ করে এই হাটে বিক্রি করতে আসি। শুধু আমি না এই হাটে মরিচ বিক্রি করতে আসেন আমার মতো প্রায় হাজার খানেক কৃষক।

গাইবান্ধার লাল মরিচ বা শুকনো মরিচের কদর রয়েছে দেশব্যাপী। ব্রহ্মপুত্র, তিস্তা ও যমুনা নদীবেষ্টিত জেলার চার উপজেলার চর-দ্বীপচরের শত শত বিঘা জমিতে মরিচের ব্যাপক ফল হয়ে থাকে। সাধারণত বন্যার পানি নেমে যাওয়ার পরই চরের পলি মাটিতে বীজ ছিটিয়ে দুই-তিনবার নিড়ানি দিলেই বিনা সারে বিস্তর ফলন হয় মরিচের। মাটির গুণাগুণ ও আবহাওয়ার কারণে চরাঞ্চলের মরিচের রং সুন্দর ও আকার বড় হয়। এ কারণে বগুড়া, নওগাঁ, রংপুরসহ বিভিন্ন জেলার ব্যবসায়ীরা ফুলছড়ি হাটে মরিচ কিনতে আসেন। তবে বেশি মরিচ কেনেন ভোগ্যপণ্য উৎপাদনকারী নামি দামি কয়েকটি প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিরা।

বগুড়া থেকে ফুলছড়ি হাটে মরিচ কিনতে এসেছেন জয়নাল ব্যাপারী। তিনি বলেন, ভোরবেলা ট্রাক নিয়ে এ হাটে মরিচ কিনতে এসেছি। ফুলছড়ির মরিচ ভালোমানের। প্রতি হাটে ৩০ থেকে ৪০ মণ মরিচ কিনে নিয়ে যাই। এরপর তা আমাদের স্থানীয় হাট-বাজারে বিক্রি করি।

জয়পুরহাট থেকে পাইকারি মরিচ কিনতে আসা ব্যাপারী জুয়েল মিয়া বলেন, প্রতি বছরই এ হাট থেকে শুকনো মরিচ কিনে জয়পুরহাটে বিভিন্ন হাট-বাজারের বিক্রি করে থাকি। পাশাপাশি বিভিন্ন কোম্পানিকে দিয়ে থাকি। এখানকার মরিচ দেশের বিভিন্ন জেলায় যায়। এই হাটে মরিচের মান ভালো। কিন্তু দাম কিছুটা চড়া।

উপজেলার গজারিয়া ইউনিয়নে অবস্থিত পুরাতন উপজেলা হেডকোয়ার্টার্স মাঠে ২০০৪ সাল থেকে এই মরিচের হাট বসে। ফেব্রুয়ারির মাঝামাঝি থেকে এপ্রিল পর্যন্ত ভরা মৌসুমে মরিচ বেশি বিক্রি হয়। অন্য সময়ে বিক্রি হয় কম।

ফুলছড়ি হাটের ইজারাদার বজলুর রহমান মুক্তা জানান, সপ্তাহে শনিবার ও মঙ্গলবার দুদিন সকাল ৭টা থেকে হাট বসে। এবার প্রতি মণ মরিচ ১৫ থেকে ১৬ হাজার টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। প্রতি হাটে প্রায় আড়াই থেকে তিন হাজার মণ শুকনো মরিচ বিক্রি হয়। যার বাজার মূল্য প্রায় ৩ কোটি ৭৫ লাখ টাকা।

গাইবান্ধা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মো. খোরশেদ আলম বলেন, গাইবান্ধার সাতটি উপজেলায় যে পরিমাণ মরিচের চাষ হয় তার অর্ধেকই উৎপন্ন হয় ফুলছড়ি উপজেলায়। আবহাওয়া ও চরের উর্বর মাটিতে দিন দিন মরিচ চাষের পরিমাণ বাড়ছে। চরের লোকজনও মরিচ চাষে ঝুঁকছে। কৃষি বিভাগ কৃষকদের পরামর্শসহ সব ধরনের কারিগরি সহায়তা দিয়ে যাচ্ছে।