ঢাকা ০৬:৩৫ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১১ এপ্রিল ২০২৫, ২৮ চৈত্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
এলাকার প্রভাবশালী নেতার কারণে বলি হতে যাচ্ছে নবদম্পতির নতুন জীবন মাদারগঞ্জে ইউনিয়ন বিএনপির সম্মেলন বাতিলের দাবীতে প্রতিবাদ সমাবেশ ও বিক্ষোভ মিছিল  সাতক্ষীরায় এক নারীকে ডেকে নিয়ে ধর্ষণ, আদালতের নির্দেশে সদর থানায় মামলা জীবননগর থানাধীন শাহাপুর পুলিশ ক্যাম্প কর্তৃক মাদক বিরোধী অভিযানে ২০ পিস ইয়াবা ট্যাবলেট উদ্ধার গ্রেফতার-০১জন চাঞ্চল্যকর অপহরণ পলাতক আসামী গ্রেফতার: ভিকটিম উদ্ধার রাণীশংকৈলে বৈরী আবহাওয়ার কারণে শাপলা রানীর পরীক্ষা কেন্দ্রে পৌঁছাতে দেরী হয়ায় পরীক্ষা দেওয়া হলো না ঝিনাইদহে বিনামূল্যে পাট বীজ ও সার পেলেন ৮’শত কৃষক জাতীয়তাবাদী তরুণদল রংপুর বিভাগীয় পূর্ব কমিটি বিলুপ্তি ও নতুন কমিটির অনুমোদন সম্প্রীতির কালিগঞ্জ গড়ার প্রত্যয় ব্যক্ত করলেন কালিগঞ্জবাসী কৃষিগুচ্ছের সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন বাকৃবির, পরীক্ষা আগামী শনিবার

কোটাধারী হয়েও কোটা চান না খুবির সাইফ নেওয়াজ ও আরিয়ান

নিজেস্ব প্রতিনিধি
  • আপডেট সময় : ১০:৩৭:২৪ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১১ জুলাই ২০২৪ ১৩১ বার পড়া হয়েছে

সঞ্চিতা সরকার,খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি:
২০১৮ সালে কোটা সংস্কার আন্দোলনের প্রেক্ষাপটে প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণির সরকারি চাকরির নিয়োগে ৩০ শতাংশ মুক্তিযোদ্ধা কোটা বাতিলের সিদ্ধান্ত অবৈধ ঘোষণা করে গত ৫ জুন রায় দেন হাইকোর্ট। হাইকোর্টের সিদ্ধান্তে প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণির সরকারি চাকরিতে ৩০ শতাংশ মুক্তিযোদ্ধা কোটাসহ ৫৬ শতাংশ কোটা পুনর্বহালের আদেশ বাতিলের দাবিতে সারাদেশে একযোগে আন্দোলন করছেন বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজের শিক্ষার্থীরা।

এ আন্দোলনের সাথে অংশীদার হয়ে শ্রেণিকক্ষ ছেড়ে রাস্তায় নেমেছেন খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের (খুবি) শিক্ষার্থীরা। কোটা বিরোধী আন্দোলনের সাথে একাত্মতা পোষণ করেছেন মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের নাতি খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী সাইফ নেওয়াজ ও এস এম আরিয়ান। সারা দেশের মতো খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের কোটা সংস্কারের আন্দোলন কর্মসূচিতে স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণ করতে দেখা যায় তাদের।

খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফার্মেসি ডিসিপ্লিনের শিক্ষার্থী সাইফ নেওয়াজ। তিনি বলেন, কোটা এক ধরনের বৈষম্য। তাই আমি কোটাধারী হয়েও কোটা নামক প্রহসনের অবসান চাই। আমার দাদা একাত্তরে মুক্তিযুদ্ধ করেছিলেন পশ্চিম পাকিস্তানি বৈষম্যের বিরুদ্ধে। আজ আমি যুদ্ধে নেমেছি কোটা নামক বৈষম্যের বিরুদ্ধে। আর এই যুদ্ধে জয় না হওয়া পর্যন্ত রাজপথ ছাড়বো না।

ব্যবসায় প্রশাসন ডিসিপ্লিনের আরেক শিক্ষার্থী এস এম আরিয়ান বলেন, দেশ স্বাধীন হয়েছিল বৈষম্য দূর করার জন্য। কিন্তু বর্তমানে যে হারে কোটা রয়েছে সেখানে মেধাবীদের সাথে বৈষম্য করা হচ্ছে। আমি একজন দেশপ্রেমিক ও সচেতন নাগরিক হিসেবে এই কোটা সংস্কার চাই।
তিনি আরও বলেন, আমি ভবিষ্যতে কর্মজীবনে নিজের নামের সাথে এই কোটা নামক শীলমোহর ব্যবহার করতে চাই না। আমি মনে করি কোটা বৈষম্য তৈরি করে, একটি জাতিকে পিছিয়ে দেয়।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য

দৈনিক বাংলাদেশের চিত্র একটি অনলাইন নিউজ পোর্টাল। এই পত্রিকার মূল স্লোগান হলো "সত্য প্রকাশে আপোষহীন"।আমরা এ দেশের নিপীড়িত ও নির্যাতিত মানুষের কথা বলি।একজন অসহায় মানুষের পাশে দাড়িয়ে অন্যায় প্রতিরোধে সাহায্য করতে আমরা সর্বদা অঙ্গীকারবদ্ধ।দৈনিক বাংলাদেশের চিত্র পত্রিকা গনমানুষের কথা বলে।
ট্যাগস :

কোটাধারী হয়েও কোটা চান না খুবির সাইফ নেওয়াজ ও আরিয়ান

আপডেট সময় : ১০:৩৭:২৪ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১১ জুলাই ২০২৪

সঞ্চিতা সরকার,খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি:
২০১৮ সালে কোটা সংস্কার আন্দোলনের প্রেক্ষাপটে প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণির সরকারি চাকরির নিয়োগে ৩০ শতাংশ মুক্তিযোদ্ধা কোটা বাতিলের সিদ্ধান্ত অবৈধ ঘোষণা করে গত ৫ জুন রায় দেন হাইকোর্ট। হাইকোর্টের সিদ্ধান্তে প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণির সরকারি চাকরিতে ৩০ শতাংশ মুক্তিযোদ্ধা কোটাসহ ৫৬ শতাংশ কোটা পুনর্বহালের আদেশ বাতিলের দাবিতে সারাদেশে একযোগে আন্দোলন করছেন বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজের শিক্ষার্থীরা।

এ আন্দোলনের সাথে অংশীদার হয়ে শ্রেণিকক্ষ ছেড়ে রাস্তায় নেমেছেন খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের (খুবি) শিক্ষার্থীরা। কোটা বিরোধী আন্দোলনের সাথে একাত্মতা পোষণ করেছেন মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের নাতি খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী সাইফ নেওয়াজ ও এস এম আরিয়ান। সারা দেশের মতো খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের কোটা সংস্কারের আন্দোলন কর্মসূচিতে স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণ করতে দেখা যায় তাদের।

খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফার্মেসি ডিসিপ্লিনের শিক্ষার্থী সাইফ নেওয়াজ। তিনি বলেন, কোটা এক ধরনের বৈষম্য। তাই আমি কোটাধারী হয়েও কোটা নামক প্রহসনের অবসান চাই। আমার দাদা একাত্তরে মুক্তিযুদ্ধ করেছিলেন পশ্চিম পাকিস্তানি বৈষম্যের বিরুদ্ধে। আজ আমি যুদ্ধে নেমেছি কোটা নামক বৈষম্যের বিরুদ্ধে। আর এই যুদ্ধে জয় না হওয়া পর্যন্ত রাজপথ ছাড়বো না।

ব্যবসায় প্রশাসন ডিসিপ্লিনের আরেক শিক্ষার্থী এস এম আরিয়ান বলেন, দেশ স্বাধীন হয়েছিল বৈষম্য দূর করার জন্য। কিন্তু বর্তমানে যে হারে কোটা রয়েছে সেখানে মেধাবীদের সাথে বৈষম্য করা হচ্ছে। আমি একজন দেশপ্রেমিক ও সচেতন নাগরিক হিসেবে এই কোটা সংস্কার চাই।
তিনি আরও বলেন, আমি ভবিষ্যতে কর্মজীবনে নিজের নামের সাথে এই কোটা নামক শীলমোহর ব্যবহার করতে চাই না। আমি মনে করি কোটা বৈষম্য তৈরি করে, একটি জাতিকে পিছিয়ে দেয়।