কলেজে অতিরিক্ত তালা, অধ্যক্ষকে চেয়ারে বসতে দিলেন না

- আপডেট সময় : ০১:১১:৫৩ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৬ এপ্রিল ২০২৪ ১৫০ বার পড়া হয়েছে

স্টাফ রিপোটার :
দীর্ঘ সাড়ে তিন বৎসর সাময়িক বরখাস্ত থাকার পর এবং দীর্ঘ আইনি লড়াই শেষে সোলায়মান সিকদার তার অধ্যক্ষের চেয়ার ফিরে পেলেন। কিন্তু অধ্যক্ষ সোলায়মান গতকাল ১৬ এপ্রিল মঙ্গলবার অফিস সময়ে তার শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বরইবাড়ি এ কে ইউ ইনস্টিটিউশন ও কলেজে গিয়ে দেখেন ভেতর থেকে কে বা কাহারা কলেজ, গেট অফিস এবং অন্যান্য দপ্তরে অতিরিক্ত তালা ঝুলিয়ে রেখেছেন।
পরে তিনি স্থানীয়দের সম্মুখে সে অবৈধ তালা কেটে তার অফিস কক্ষে প্রবেশ করার চেষ্টা করলে স্থানীয় রতন সরকার ও মনির সহ বেশ কয়েকজন অধ্যক্ষ সোলায়মানকে বাধা প্রদান করেন। এবং এ নিয়ে অধ্যক্ষ সোলায়মানের সাথে উত্তপ্ত বাকবিতন্ডে জড়িয়ে পড়েন। অধ্যক্ষ সোলায়মান, স্হানীয় রতন সরকার ও মনিরের নিকট জানতে চান কে তালা দিয়েছেন ?এর কোন সদুত্তর তারা দিতে পারেননি অধ্যক্ষ সোলায়মান স্থানীয় গণমাধ্যম কর্মীদের জানান ,যেহেতু আজ ১৬ এপ্রিল থেকে এসএসসি পরীক্ষার্থীদের ফরম ফিলাপের কাজ শুরু হয়েছে সুতরাং শিক্ষার্থীরা যাতে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে এসে তাদের ফরম ফিলাপের কাজ শুরু করতে পারেন সে কারণেই আজকে আমি অফিসে এসেছি কিন্তু কোনোভাবেই গুটি কয়েক ব্যক্তির বাধার মুখে অফিস কক্ষে প্রবেশ করতে পারিনি।
এ ব্যাপারে রতন সরকার ও মনির কে জিজ্ঞাসা করা হলে তারা বলেন অধ্যক্ষ সোলায়মান সিকদারকে বহিষ্কার করা হয়েছে এখন তিনি এ পদে আর থাকতে পারবেন না। অধ্যক্ষ সুলাইমান শিকদারের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন বিগত ১০/৫/২০১৮ সালে সম্পূর্ণ নিয়ম অনুযায়ী এবং নিয়োগ বিধি অনুযায়ী ইন্টারভিউ এর মাধ্যমে আমি এই কলেজে অধ্যক্ষ হিসেবে যোগদান করে কৃতিত্বের সাথে আমি আমার দায়িত্ব পালন করেছি বিগত ২৫/২/২০২১ সালে তৎকালীন গভর্নিং বডি আমাকে বেআইনি অবৈধ এবং এখতিয়ার বহির্ভূতভাবে এবং ভিত্তিহীন কারণ দেখিয়ে আমাকে সাময়িক বরখাস্ত করেন পরবর্তীতে আমি সেই সাময়িক বরখাস্তকে চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে দ্বারস্থ হই। কোর্ট আমার সেই সাময়িক বহিষ্কারাদেশকে অবৈধ ঘোষণা করেন। এবং আইন শাখার মতামতের জন্য গাজীপুর (জিপি) বরাবরে একটি চিঠি প্রদান করেন সেই আইন শাখার মতামতেও আমাকে অধ্যক্ষের পদে বহাল করা যেতে পারে মর্মে গভর্নিং বডির সভাপতি বরাবর একটি নির্দেশনামা প্রদান করেন। তিনি আরো বলেন মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক তপন কুমার দাস স্বাক্ষরিত একটি আদেশনামা (২৬-১১-২৩ইং) উক্ত কলেজের গভর্নিং বডি বরাবর এবং ১)পরিচালক, মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা ঢাকা অঞ্চল, ২) শিক্ষা কর্মকর্তা (আইন১) মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর, ৩) জেলা শিক্ষা অফিসার, গাজীপুর, ৪) উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার, এবং জনাব মোহাম্মদ সোলায়মান সিকদার, অধ্যক্ষ ( সাময়িক বরখাস্ত) বড়ইবাড়ী এ কে ইউ ইনস্টিটিউশন ও কলেজ।
এরই আলোকে গভর্নিং বডির সভাপতি আমাকে গত ০২/০৪/ ২০২৪ইং তারিখে আমাকে চিঠির মাধ্যমে স্বপদে বহাল থাকার হওয়ার জন্য নির্দেশনা প্রদান করলে আমি গত ৬ এপ্রিল চলতি বছরে দায়িত্ব বুঝে নিয়ে আমি আমার কর্মকান্ড পরিচালনা করে এরই মধ্যে ঈদুল ফিতর উপলক্ষে সকল শিক্ষক ও স্টাফদের বেতন ভাতা উত্তোলন করে প্রদান করেছি। আজ ১৬ এপ্রিল মঙ্গলবার যথারীতি অফিস খোলা কিন্তু পাঠদান শুরু হবে আগামী ২১ তারিখ থেকে । তাই আমি আমার অফিসে বসে এসএসসি পরীক্ষার্থীদের জন্য যে ফরম ফিলাপের কার্যক্রম শুরু হয়েছে তা চলমান রাখার জন্য অফিস কক্ষে প্রবেশের চেষ্টা করি। এবং দেখতে পাই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রধান ফটক সহ অন্যান্য অফিস কক্ষেও সাবেক ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ সুশীল চন্দ্র সরকার সম্পূর্ণ বেআইনি ও এখতিয়ার বহির্ভূত ভাবে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ও অন্যান্য অফিস কক্ষে তালা ঝুলিয়ে রেখেছেন। আমি বিষয়টি স্থানীয় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও গভর্নিং বডির সভাপতি সহ সংশ্লিষ্ট সকলকে অবহিত করেছি।