ঢাকা ০৩:৪৪ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ০৫ অক্টোবর ২০২৫, ১৯ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
ঝালকাঠতে জেলা জাতীয় পার্টির বর্ধিত সভা অনুষ্ঠিত ৯দিনের ছুটি শেষে প্রাণচাঞ্চল্যে মুখরিত পবিপ্রবি ক্যাম্পাস দেবহাটা বহেরা উপস্বাস্থ্য কেন্দ্রের ফার্মাসিস্ট হেলাল উদ্দিন ও সাদিয়া অনৈতিক অবস্থায় জনগণের হাতে আটক স্বামীর লোভের কারনে আত্মহত্যার পথ বেচে নিল চট্টগ্রামের মেয়ে আবিদা তাসমিন আগৈলঝাড়ায় গৃহবধূ ধর্ষণ মামলার আসামি আব্দুল্লাহ সরদার গ্রেপ্তার রাণীশংকৈলে জাল টাকা সহ আটক ১ রাউজানে শ্যামা সংঘের উদ্যোগে সর্বজনীন কালিপূজা ও ৪৩ তম বার্ষিক মহোৎসব রাণীশংকৈলে বিএনপি ও শিক্ষার্থীদের পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন কার্যক্রম রাণীশংকৈলে গলা টিপে হত্যা করতে না পেরে দা দিয়ে কোপ দিয়ে হত্যা করার চেষ্টা শ্যামনগরে বিএনপি নেতা সোলাইমান কবীরের বহিষ্কারের দাবীতে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে

কয়েদি-বিদ্রোহ ব্যাপক গোলাগুলি চট্টগ্রাম কারাগারে

নিজেস্ব প্রতিনিধি
  • আপডেট সময় : ০৯:৪৫:৫১ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১০ অগাস্ট ২০২৪ ৭৬ বার পড়া হয়েছে

মোহাম্মদ মাসুদ:-
চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগার এলাকায় ব্যাপক গোলাগুলির খবর পাওয়া গেছে। কয়েদিরা  পালিয়ে যেতে কয়েদিরা বিদ্রোহ করেছেন। কারারক্ষীদের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়িয়েছেন তারা।
শুক্রবার (৯ আগস্ট) দুপুর ২টা থেকে এ গোলাগুলি শুরু হয়।
চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগারের ‘কে’ আদ্যক্ষরের এক সিনিয়র কারারক্ষী জানান, কয়েদিরা বিদ্রোহ ঘোষণা করে পালিয়ে যেতে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে কারারক্ষীরা এ সময় ৫/৬ রাউন্ড ফাঁকা গুলি ছুঁড়েন। পরে সব কয়েদিদের মারধর করে স্ব স্ব ভবনের রুমে প্রবেশ করাতে সক্ষম হন তারা। তবে সাঙ্গু ভবনের দেয়াল ও অনেক ভবনের রুমের লোহার গেইট ভাঙতে চেষ্টা করেন কয়েদিরা। এতে নড়েচড়ে গেছে অনেক লোহার গেইট। সেনা ও জেলা কারাগার কতৃপক্ষের ৩০ মিনিটের চেষ্টায় পরে শান্ত হয় জেলা কারাগারের পরিবেশ।
এর আগে দুপুর ২টার দিকে হঠাৎ কারাগারের ভেতরের সাঙ্গু ভবনের দেয়াল কুঁচিয়ে ইট বের করে কয়েদিরা। তারপর ইট গুলো গুড়ি করে কারারক্ষীদের দিকে ছুঁড়তে থাকে ওই ভবনের ৯০০ কয়েদি। একই সময়ে সব ভবনে থাকা কয়েদিরা বিদ্রোহ ঘোষণা করে পালিয়ে যেতে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে কারা কতৃপক্ষ সেনাবাহিনীর সহযোগিতা চান। তাৎক্ষণিক একদল সেনাবাহিনীর মাত্র ৫ জন সদস্য কারাগারে প্রবেশ করে চেষ্টা করেন পরিস্থিতি নিযন্ত্রণে আনতে।

চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগারের সিনিয়র জেল সুপার মো. মঞ্জুর হোসেন বলেন, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সেনাবাহিনীর টিম আসে। আসামিরা পালাতে বিদ্রোহ করছে, কেউ পালাতে পারেনি, বাহির থেকেও কেউ ভেতরে প্রবেশ করেনি।

টহল ডিউটিরত সেনা কর্মকর্তা বলেন, খবর পাবার সাথে সাথে আমরা ঘটনাস্থলে এসে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করি। এবং পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হই।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য

দৈনিক বাংলাদেশের চিত্র একটি অনলাইন নিউজ পোর্টাল। এই পত্রিকার মূল স্লোগান হলো "সত্য প্রকাশে আপোষহীন"।আমরা এ দেশের নিপীড়িত ও নির্যাতিত মানুষের কথা বলি।একজন অসহায় মানুষের পাশে দাড়িয়ে অন্যায় প্রতিরোধে সাহায্য করতে আমরা সর্বদা অঙ্গীকারবদ্ধ।দৈনিক বাংলাদেশের চিত্র পত্রিকা গনমানুষের কথা বলে।
ট্যাগস :

কয়েদি-বিদ্রোহ ব্যাপক গোলাগুলি চট্টগ্রাম কারাগারে

আপডেট সময় : ০৯:৪৫:৫১ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১০ অগাস্ট ২০২৪

মোহাম্মদ মাসুদ:-
চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগার এলাকায় ব্যাপক গোলাগুলির খবর পাওয়া গেছে। কয়েদিরা  পালিয়ে যেতে কয়েদিরা বিদ্রোহ করেছেন। কারারক্ষীদের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়িয়েছেন তারা।
শুক্রবার (৯ আগস্ট) দুপুর ২টা থেকে এ গোলাগুলি শুরু হয়।
চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগারের ‘কে’ আদ্যক্ষরের এক সিনিয়র কারারক্ষী জানান, কয়েদিরা বিদ্রোহ ঘোষণা করে পালিয়ে যেতে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে কারারক্ষীরা এ সময় ৫/৬ রাউন্ড ফাঁকা গুলি ছুঁড়েন। পরে সব কয়েদিদের মারধর করে স্ব স্ব ভবনের রুমে প্রবেশ করাতে সক্ষম হন তারা। তবে সাঙ্গু ভবনের দেয়াল ও অনেক ভবনের রুমের লোহার গেইট ভাঙতে চেষ্টা করেন কয়েদিরা। এতে নড়েচড়ে গেছে অনেক লোহার গেইট। সেনা ও জেলা কারাগার কতৃপক্ষের ৩০ মিনিটের চেষ্টায় পরে শান্ত হয় জেলা কারাগারের পরিবেশ।
এর আগে দুপুর ২টার দিকে হঠাৎ কারাগারের ভেতরের সাঙ্গু ভবনের দেয়াল কুঁচিয়ে ইট বের করে কয়েদিরা। তারপর ইট গুলো গুড়ি করে কারারক্ষীদের দিকে ছুঁড়তে থাকে ওই ভবনের ৯০০ কয়েদি। একই সময়ে সব ভবনে থাকা কয়েদিরা বিদ্রোহ ঘোষণা করে পালিয়ে যেতে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে কারা কতৃপক্ষ সেনাবাহিনীর সহযোগিতা চান। তাৎক্ষণিক একদল সেনাবাহিনীর মাত্র ৫ জন সদস্য কারাগারে প্রবেশ করে চেষ্টা করেন পরিস্থিতি নিযন্ত্রণে আনতে।

চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগারের সিনিয়র জেল সুপার মো. মঞ্জুর হোসেন বলেন, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সেনাবাহিনীর টিম আসে। আসামিরা পালাতে বিদ্রোহ করছে, কেউ পালাতে পারেনি, বাহির থেকেও কেউ ভেতরে প্রবেশ করেনি।

টহল ডিউটিরত সেনা কর্মকর্তা বলেন, খবর পাবার সাথে সাথে আমরা ঘটনাস্থলে এসে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করি। এবং পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হই।