ঢাকা ১০:৩৮ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ০৩ অক্টোবর ২০২৫, ১৮ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
না ফেরার দেশে পাড়ি জমালেন ভাষা সংগ্রামী আহমদ রফিক গাজীপুরে হাইওয়ে রোডে দেহ ব্যবসার আড়ালে চাঁদাবাজি, এলাকাবাসীর প্রশাসনের হস্তক্ষেপ দাবি ঝিনাইদহে বাসচাপায় শিশুসহ ২ জন নিহত রাণীশংকৈলে সিঁদুর খেলার মধ্য দিয়ে শেষ হলো শারদীয় দুর্গোৎসব দুমকীতে পূজা মন্ডপে এনসিপির শুভেচ্ছা বিনিময় বিদায়ের সুরে শ্যামনগরের পূজা মণ্ডপগুলো পটুয়াখালীতে পূজা মণ্ডপ পরিদর্শন করেন শহীদ জিয়া গবেষণা পরিষদের কেন্দ্রীয় সভাপতি ‎ ঝিনাইদহ প্রেসক্লাবের সভাপতি সাংবাদিক আসিফ কাজলের আজ জন্মদিন বিজয়া দশমী, আজ শেষ দিন দেবী দুর্গার বিসর্জনের বিএনপি বিশ্বাস করে ধর্ম যার যার, রাষ্ট্র সবার: তারেক রহমান

‘এ’ পজিটিভ রক্তের রোগীকে দেওয়া হলো ‘বি’ পজিটিভ

নিজেস্ব প্রতিবেদক
  • আপডেট সময় : ০৯:২৭:৪০ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৬ জুন ২০২৪ ৭৮ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক:রিয়াজ মিয়া:-
যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে এক বৃদ্ধার শরীরে দেওয়া হয়েছে অন্য গ্রুপের রক্ত। ভিন্ন গ্রুপের রক্ত দেওয়ায় ওই রোগী মৃত্যুমুখে পড়েছেন। ঘটনাটি গত ২০ মে ঘটলেও সোমবার (৩ জুন) সকালে নতুন করে রক্ত দিতে গেলে বিষয়টি জানাজানি হয়।

বর্তমানে ওই বৃদ্ধা সালেহা বেগম (৭৭) জেনারেল হাসপাতালের মহিলা পেয়িং ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন। তিনি মনিরামপুর উপজেলার খেদাপাড়া ইউনিয়নের খড়িঞ্চা হেলাঞ্চি গ্রামের মৃত শামসুর রহমানের স্ত্রী।

রোগীর স্বজনেরা জানান, বাধর্ক্যজনিত রোগে ২০ মে যশোর মেডিকেল কলেজের মেডিসিন বিভাগের চিকিৎসক গৌতম কুমার আচার্য্যের পরামর্শে সালেহা বেগমকে যশোর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। রক্তশূন্যতার কারণে রক্ত দেওয়ার পরামর্শ দেন চিকিৎসক। হাসপাতালের ট্রান্সফিউশন মেডিসিন বিভাগ থেকে সালেহার রক্তের গ্রুপ নির্ণয় করা হয়। রক্তের গ্রুপ আসে ‘বি পজিটিভ’।

পরে সালেহার শরীরে ‘বি পজিটিভ’ রক্ত দেওয়া হয়। তিন ব্যাগ রক্ত দেওয়ার পরে দুদিন পর সালেহাকে বাড়িতে নেওয়া হয়। এই অবস্থায় তার শরীরে জ্বালাপোড়া, বমিসহ খিঁচুনি শুরু হয়। সোমবার আবারও তাকে যশোর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। মঙ্গলবার সকালে শরীরে রক্ত দিতে গেলে সেই ট্রান্সফিউশন মেডিসিন বিভাগের দায়িত্বরত কর্মকর্তারাই জানান তার রক্তের গ্রুপ ‘এ পজিটিভ’

ভোক্তভোগী ওই রোগীর মেয়ে শিরিনা আক্তার বলেন, ২০ তারিখে এই হাসপাতালের ব্লাড ব্যাংক থেকে রক্তের গ্রুপ নির্ণয় করে তারা বলে মায়ের রক্তের গ্রুপ ‘বি’ পজেটিভ। তাদের কথামতো ‘বি’ পজেটিভ ডোনার এনে মাকে তিন দিন তিন ব্যাগ রক্ত দিয়েছি। রক্ত দেওয়ার পরে মাকে বাড়িতে নিয়ে যেয়ে তিনি খুব অসুস্থ হয়ে পড়েন। খিচুনি-বমিসহ শরীর দুর্বল হয়ে যান। স্থানীয় ডাক্তারদের চিকিৎসা নিয়েও তিনি আরও অসুস্থ হয়ে যান। এমন পরিস্থিতিতে গতকাল আবার হাসপাতালে নিয়ে এসে রক্ত দিতে গেলে ব্লাড ব্যাংক বলে মায়ের রক্তের গ্রুপ ‘বি’ পজেটিভ না। তার রক্তের গ্রুপের ‘এ’ পজিটিভ।

তিনি অভিযোগ করেন, হাসপাতালের ব্লাড ব্যাংকের ভুলের কারণে আমার মা এখন জীবন মৃত্যুর সন্নিক্ষণে। তিনি এখন খুব অসুস্থ। ট্রান্সফিউশন মেডিসিন বিভাগের ইনচার্জ চঞ্চল হোসেন বলেন, নার্সরা রোগীর রক্তের নমুনা দেন স্বজনদের কাছে। তারা সেই নমুনা নিয়ে ব্লাড ব্যাংকে আসেন। এরপর পরীক্ষা করে ডোনারের রক্তের ম্যাচিং করে ডোনারের রক্ত নেওয়া হয়। সালেহার রক্তের গ্রুপ পরিবর্তনের বিষয়টি কীভাবে হলো বুঝতে পারছি না। একই নামের একাধিক নমুনা থাকলে এ রকম সমস্যা হতে পারে।

হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. হারুন আর রশিদ গণমাধ্যমকে বলেন, রোগীর স্বজনরা মৌখিকভাবে অভিযোগ দিয়েছে। বিষয়টি তদন্ত করা হবে।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য

দৈনিক বাংলাদেশের চিত্র একটি অনলাইন নিউজ পোর্টাল। এই পত্রিকার মূল স্লোগান হলো "সত্য প্রকাশে আপোষহীন"।আমরা এ দেশের নিপীড়িত ও নির্যাতিত মানুষের কথা বলি।একজন অসহায় মানুষের পাশে দাড়িয়ে অন্যায় প্রতিরোধে সাহায্য করতে আমরা সর্বদা অঙ্গীকারবদ্ধ।দৈনিক বাংলাদেশের চিত্র পত্রিকা গনমানুষের কথা বলে।
ট্যাগস :

‘এ’ পজিটিভ রক্তের রোগীকে দেওয়া হলো ‘বি’ পজিটিভ

আপডেট সময় : ০৯:২৭:৪০ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৬ জুন ২০২৪

নিজস্ব প্রতিবেদক:রিয়াজ মিয়া:-
যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে এক বৃদ্ধার শরীরে দেওয়া হয়েছে অন্য গ্রুপের রক্ত। ভিন্ন গ্রুপের রক্ত দেওয়ায় ওই রোগী মৃত্যুমুখে পড়েছেন। ঘটনাটি গত ২০ মে ঘটলেও সোমবার (৩ জুন) সকালে নতুন করে রক্ত দিতে গেলে বিষয়টি জানাজানি হয়।

বর্তমানে ওই বৃদ্ধা সালেহা বেগম (৭৭) জেনারেল হাসপাতালের মহিলা পেয়িং ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন। তিনি মনিরামপুর উপজেলার খেদাপাড়া ইউনিয়নের খড়িঞ্চা হেলাঞ্চি গ্রামের মৃত শামসুর রহমানের স্ত্রী।

রোগীর স্বজনেরা জানান, বাধর্ক্যজনিত রোগে ২০ মে যশোর মেডিকেল কলেজের মেডিসিন বিভাগের চিকিৎসক গৌতম কুমার আচার্য্যের পরামর্শে সালেহা বেগমকে যশোর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। রক্তশূন্যতার কারণে রক্ত দেওয়ার পরামর্শ দেন চিকিৎসক। হাসপাতালের ট্রান্সফিউশন মেডিসিন বিভাগ থেকে সালেহার রক্তের গ্রুপ নির্ণয় করা হয়। রক্তের গ্রুপ আসে ‘বি পজিটিভ’।

পরে সালেহার শরীরে ‘বি পজিটিভ’ রক্ত দেওয়া হয়। তিন ব্যাগ রক্ত দেওয়ার পরে দুদিন পর সালেহাকে বাড়িতে নেওয়া হয়। এই অবস্থায় তার শরীরে জ্বালাপোড়া, বমিসহ খিঁচুনি শুরু হয়। সোমবার আবারও তাকে যশোর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। মঙ্গলবার সকালে শরীরে রক্ত দিতে গেলে সেই ট্রান্সফিউশন মেডিসিন বিভাগের দায়িত্বরত কর্মকর্তারাই জানান তার রক্তের গ্রুপ ‘এ পজিটিভ’

ভোক্তভোগী ওই রোগীর মেয়ে শিরিনা আক্তার বলেন, ২০ তারিখে এই হাসপাতালের ব্লাড ব্যাংক থেকে রক্তের গ্রুপ নির্ণয় করে তারা বলে মায়ের রক্তের গ্রুপ ‘বি’ পজেটিভ। তাদের কথামতো ‘বি’ পজেটিভ ডোনার এনে মাকে তিন দিন তিন ব্যাগ রক্ত দিয়েছি। রক্ত দেওয়ার পরে মাকে বাড়িতে নিয়ে যেয়ে তিনি খুব অসুস্থ হয়ে পড়েন। খিচুনি-বমিসহ শরীর দুর্বল হয়ে যান। স্থানীয় ডাক্তারদের চিকিৎসা নিয়েও তিনি আরও অসুস্থ হয়ে যান। এমন পরিস্থিতিতে গতকাল আবার হাসপাতালে নিয়ে এসে রক্ত দিতে গেলে ব্লাড ব্যাংক বলে মায়ের রক্তের গ্রুপ ‘বি’ পজেটিভ না। তার রক্তের গ্রুপের ‘এ’ পজিটিভ।

তিনি অভিযোগ করেন, হাসপাতালের ব্লাড ব্যাংকের ভুলের কারণে আমার মা এখন জীবন মৃত্যুর সন্নিক্ষণে। তিনি এখন খুব অসুস্থ। ট্রান্সফিউশন মেডিসিন বিভাগের ইনচার্জ চঞ্চল হোসেন বলেন, নার্সরা রোগীর রক্তের নমুনা দেন স্বজনদের কাছে। তারা সেই নমুনা নিয়ে ব্লাড ব্যাংকে আসেন। এরপর পরীক্ষা করে ডোনারের রক্তের ম্যাচিং করে ডোনারের রক্ত নেওয়া হয়। সালেহার রক্তের গ্রুপ পরিবর্তনের বিষয়টি কীভাবে হলো বুঝতে পারছি না। একই নামের একাধিক নমুনা থাকলে এ রকম সমস্যা হতে পারে।

হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. হারুন আর রশিদ গণমাধ্যমকে বলেন, রোগীর স্বজনরা মৌখিকভাবে অভিযোগ দিয়েছে। বিষয়টি তদন্ত করা হবে।