ঢাকা ০৮:৩০ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১৪ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
কুতুবদিয়া কালী মন্দিরে শারদীয় দুর্গাপূজা উপলক্ষে মতবিনিময় সভা রাজাপুরে ধানের শীষের পক্ষে গোলাম আজম সৈকতের গণসংযোগ শার্শায় সাংবাদিক মনি’র মুক্তির দাবিতে মানববন্ধন কাউখালি বেকুটিয়ায় বিশ্ব নদী দিবস ২০২৫ইং পালিত শাল্লায় বাংলাদেশ মাদ্রাসা শিক্ষক কর্মচারী ফোরাম’র উপজেলা শাখায় কমিটি গঠন করা হয় বিশ্ব নদী দিবস ২০২৫ উপলক্ষে গ্রীন ভয়েসের মানববন্ধন কুলিয়া চরবালিথা মুনষ্টার তরুণ সংঘের নবনির্বাচিত কমিটির সদস্যদের সংবর্ধনা উজিরপুরে বিএনপি নেতা বহিষ্কার: ধর্মীয় সম্প্রীতি ভাঙা ও কুকীর্তির গল্প শ্যামনগরে বিশ্ব নদী দিবসে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত পবিপ্রবিতে নারী শিক্ষার্থীদের জন্য নতুন সুযোগ-সুবিধা চালু

ঈদ শেষে বাড়ছে রিজার্ভ

নিজেস্ব প্রতিবেদক
  • আপডেট সময় : ০৫:৫২:২৮ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৩ জুন ২০২৪ ১৫৪ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ রিয়াজ মিয়া:-
ঈদুল আজহা উপলক্ষে এবারও প্রবাসীরা দেশে থাকা স্বজনদের জন্য বিপুল পরিমাণ রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন। এতে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ বাড়তে শুরু করেছে। মে মাসে রিজার্ভ কমে আসা নিয়ে যে নেতিবাচক তথ্য ছড়ানো হচ্ছিল, সেটা ভুল প্রমাণ করে কেন্দ্রীয় ব্যাংক সূত্রে এই তথ্য জানানো হয়েছে।

গত এক সপ্তাহের ব্যবধানে বাংলাদেশ ব্যাংকের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ৩১৮ মিলিয়ন ডলার বেড়ে ১৯ দশমিক ৫৩ বিলিয়ন ডলারে দাঁড়িয়েছে। অর্থাৎ এক সপ্তাহে রিজার্ভ বেড়েছে ৩০০ মিলিয়ন ডলার।

এর আগে মে মাসে ২২৫ কোটি মার্কিন ডলার রেমিট্যান্স এসেছে দেশে, যা গত ৪৬ মাসের মধ্যে সর্বোচ্চ এবং এ যাবৎকালের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ প্রবাসী আয়। এর আগে এক মাসে সর্বোচ্চ রেমিট্যান্স এসেছিল ২০২০ সালের জুলাই মাসে। ওই মাসে রেমিট্যান্স এসেছিল ২৬০ কোটি ডলার।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্য বলছে, চলতি বছরের প্রথম মাস জানুয়ারিতে দেশে ২১০ কোটি ডলার রেমিট্যান্স এসেছে। ফেব্রুয়ারিতে আসে ২১৬ কো‌টি ৬০ লাখ ডলার, মার্চে ১৯৯ কোটি ৬৮ লাখ ডলার এবং এপ্রিলে আসে ২০৪ কোটি ৪২ লাখ মার্কিন ডলার।

বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য মতে, আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) হিসাবপদ্ধতি বিপিএম ৬ অনুযায়ী গত ১২ জুন রিজার্ভ ছিল ১৯ দশমিক ২১ বিলিয়ন ডলার। রিজার্ভের এই বৃদ্ধি আগামী সপ্তাহগুলোতেও অব্যাহত থাকতে পারে। কারণ চলতি মাসের শেষের আগে বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ) এবং বিশ্বব্যাংকের কাছ থেকে ১ দশমিক ৬৫ বিলিয়ন ডলার পাবে।

এদিকে, আইএমএফ জুনের শেষ সপ্তাহে ৪ দশমিক ৭ বিলিয়ন ডলার ঋণের তৃতীয় কিস্তিতে ১ দশমিক ১৫ বিলিয়ন ডলার ছাড় করতে পারে। এ ছাড়া বিশ্বব্যাংক বাজেট সহায়তা হিসেবে ৫০০ মিলিয়ন ডলার দিতে যাচ্ছে। এতে রিজার্ভ ২১ বিলিয়ন ডলার ছাড়াতে পারে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রতিবেদনের তথ্য অনুযায়ী, ঈদের আগে ১৪ দিনে তথা প্রবাসীরা জুন মাসের প্রথম ১৪ দিনে ব্যাংকিং চ্যানেলে ১৬৪ কোটি ৬৭ লাখ মার্কিন ডলারের বেশি অর্থ দেশে পাঠিয়েছেন, যা দেশি মুদ্রায় (প্র‌তি ডলার ১১৮ টাকা ধরে) ১৯ হাজার ৪৩২ কোটি টাকা। সে হিসাবে ঈদের সময় দৈনিক রেমিট্যান্স এসেছে ৯৯১ কোটি টাকার বেশি।

আলোচ্য সময়ের মধ্যে রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে ৩৯ কোটি ৪০ লাখ ডলার, বিশেষায়িত একটি ব্যাংকের মাধ্যমে ৪ কোটি মার্কিন ডলার, বেসরকারি ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে ১২০ কোটি ৮১ লাখ ডলার এবং বিদেশি ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে ৪২ লাখ ডলার রেমিট্যান্স এসেছে দেশে।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য

দৈনিক বাংলাদেশের চিত্র একটি অনলাইন নিউজ পোর্টাল। এই পত্রিকার মূল স্লোগান হলো "সত্য প্রকাশে আপোষহীন"।আমরা এ দেশের নিপীড়িত ও নির্যাতিত মানুষের কথা বলি।একজন অসহায় মানুষের পাশে দাড়িয়ে অন্যায় প্রতিরোধে সাহায্য করতে আমরা সর্বদা অঙ্গীকারবদ্ধ।দৈনিক বাংলাদেশের চিত্র পত্রিকা গনমানুষের কথা বলে।
ট্যাগস :

ঈদ শেষে বাড়ছে রিজার্ভ

আপডেট সময় : ০৫:৫২:২৮ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৩ জুন ২০২৪

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ রিয়াজ মিয়া:-
ঈদুল আজহা উপলক্ষে এবারও প্রবাসীরা দেশে থাকা স্বজনদের জন্য বিপুল পরিমাণ রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন। এতে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ বাড়তে শুরু করেছে। মে মাসে রিজার্ভ কমে আসা নিয়ে যে নেতিবাচক তথ্য ছড়ানো হচ্ছিল, সেটা ভুল প্রমাণ করে কেন্দ্রীয় ব্যাংক সূত্রে এই তথ্য জানানো হয়েছে।

গত এক সপ্তাহের ব্যবধানে বাংলাদেশ ব্যাংকের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ৩১৮ মিলিয়ন ডলার বেড়ে ১৯ দশমিক ৫৩ বিলিয়ন ডলারে দাঁড়িয়েছে। অর্থাৎ এক সপ্তাহে রিজার্ভ বেড়েছে ৩০০ মিলিয়ন ডলার।

এর আগে মে মাসে ২২৫ কোটি মার্কিন ডলার রেমিট্যান্স এসেছে দেশে, যা গত ৪৬ মাসের মধ্যে সর্বোচ্চ এবং এ যাবৎকালের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ প্রবাসী আয়। এর আগে এক মাসে সর্বোচ্চ রেমিট্যান্স এসেছিল ২০২০ সালের জুলাই মাসে। ওই মাসে রেমিট্যান্স এসেছিল ২৬০ কোটি ডলার।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্য বলছে, চলতি বছরের প্রথম মাস জানুয়ারিতে দেশে ২১০ কোটি ডলার রেমিট্যান্স এসেছে। ফেব্রুয়ারিতে আসে ২১৬ কো‌টি ৬০ লাখ ডলার, মার্চে ১৯৯ কোটি ৬৮ লাখ ডলার এবং এপ্রিলে আসে ২০৪ কোটি ৪২ লাখ মার্কিন ডলার।

বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য মতে, আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) হিসাবপদ্ধতি বিপিএম ৬ অনুযায়ী গত ১২ জুন রিজার্ভ ছিল ১৯ দশমিক ২১ বিলিয়ন ডলার। রিজার্ভের এই বৃদ্ধি আগামী সপ্তাহগুলোতেও অব্যাহত থাকতে পারে। কারণ চলতি মাসের শেষের আগে বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ) এবং বিশ্বব্যাংকের কাছ থেকে ১ দশমিক ৬৫ বিলিয়ন ডলার পাবে।

এদিকে, আইএমএফ জুনের শেষ সপ্তাহে ৪ দশমিক ৭ বিলিয়ন ডলার ঋণের তৃতীয় কিস্তিতে ১ দশমিক ১৫ বিলিয়ন ডলার ছাড় করতে পারে। এ ছাড়া বিশ্বব্যাংক বাজেট সহায়তা হিসেবে ৫০০ মিলিয়ন ডলার দিতে যাচ্ছে। এতে রিজার্ভ ২১ বিলিয়ন ডলার ছাড়াতে পারে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রতিবেদনের তথ্য অনুযায়ী, ঈদের আগে ১৪ দিনে তথা প্রবাসীরা জুন মাসের প্রথম ১৪ দিনে ব্যাংকিং চ্যানেলে ১৬৪ কোটি ৬৭ লাখ মার্কিন ডলারের বেশি অর্থ দেশে পাঠিয়েছেন, যা দেশি মুদ্রায় (প্র‌তি ডলার ১১৮ টাকা ধরে) ১৯ হাজার ৪৩২ কোটি টাকা। সে হিসাবে ঈদের সময় দৈনিক রেমিট্যান্স এসেছে ৯৯১ কোটি টাকার বেশি।

আলোচ্য সময়ের মধ্যে রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে ৩৯ কোটি ৪০ লাখ ডলার, বিশেষায়িত একটি ব্যাংকের মাধ্যমে ৪ কোটি মার্কিন ডলার, বেসরকারি ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে ১২০ কোটি ৮১ লাখ ডলার এবং বিদেশি ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে ৪২ লাখ ডলার রেমিট্যান্স এসেছে দেশে।