ঢাকা ০৫:৪৮ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১৩ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
কুতুবদিয়া কালী মন্দিরে শারদীয় দুর্গাপূজা উপলক্ষে মতবিনিময় সভা রাজাপুরে ধানের শীষের পক্ষে গোলাম আজম সৈকতের গণসংযোগ শার্শায় সাংবাদিক মনি’র মুক্তির দাবিতে মানববন্ধন কাউখালি বেকুটিয়ায় বিশ্ব নদী দিবস ২০২৫ইং পালিত শাল্লায় বাংলাদেশ মাদ্রাসা শিক্ষক কর্মচারী ফোরাম’র উপজেলা শাখায় কমিটি গঠন করা হয় বিশ্ব নদী দিবস ২০২৫ উপলক্ষে গ্রীন ভয়েসের মানববন্ধন কুলিয়া চরবালিথা মুনষ্টার তরুণ সংঘের নবনির্বাচিত কমিটির সদস্যদের সংবর্ধনা উজিরপুরে বিএনপি নেতা বহিষ্কার: ধর্মীয় সম্প্রীতি ভাঙা ও কুকীর্তির গল্প শ্যামনগরে বিশ্ব নদী দিবসে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত পবিপ্রবিতে নারী শিক্ষার্থীদের জন্য নতুন সুযোগ-সুবিধা চালু

ইউরোপের কয়েকটি দেশের সঙ্গে শ্রমচুক্তি করতে চায় সরকার

নিজেস্ব প্রতিবেদক
  • আপডেট সময় : ১২:৪২:৫৬ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৬ জুলাই ২০২৪ ৯৩ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ রিয়াজ মিয়া

ইউরোপে বৈধ পথে দক্ষ কর্মজীবীদের পাঠানোর জন্য কয়েকটি দেশের সঙ্গে মাইগ্রেশন অ্যান্ড মবিলিটি সমঝোতা করতে চায় সরকার। ইতোমধ্যে ইউরোপের শুধু গ্রিসের সঙ্গে মাইগ্রেশন অ্যান্ড মবিলিটি সমঝোতা রয়েছে বাংলাদেশের। পাশাপাশি ইতালি, স্পেন, অস্ট্রিয়া, মাল্টা ও পর্তুগালের সঙ্গেও এ ধরনের চুক্তি করতে চায় সরকার।

এ বিষয়ে নাম প্রকাশ না করার শর্তে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা বলেন, ‘গ্রিসের সঙ্গে ২০২২ সালে আমরা ওই সমঝোতা করেছি। এর অধীনে প্রতি বছর ওই দেশ অবৈধভাবে অবস্থিত ১১ হাজার বাংলাদেশিকে বৈধতার সুযোগ দেওয়ার পাশাপাশি প্রতি বছর চার হাজার বাংলাদেশি কর্মজীবীকে নেওয়ার কথা বলা আছে।’

নতুন যে দেশগুলোর সঙ্গে আলোচনা চলছে, সেখানে তাদের চাহিদার ভিত্তিতে বাংলাদেশিদের পাঠানোর বিষয়টি নিয়ে উল্লেখ থাকবে বলেও তিনি জানান। কোন কোন খাতে ইউরোপের দেশগুলো লোক নিতে আগ্রহী, জানতে চাইলে এই কর্মকর্তা বলেন, ‘কৃষি, পর্যটন, নির্মাণ খাত, ট্রাকচালক ও অন্যান্য সেবা খাত রয়েছে।’

সমঝোতাগুলোর সর্বশেষ অবস্থা
মাল্টা: ইউরোপের দেশ মাল্টা পর্যটন ও সেবা খাতে লোক নিতে আগ্রহী। তাদের সঙ্গে মাইগ্রেশন ও মবিলিটি চুক্তির আলোচনা শেষ হয়ে গেছে। এখন এটি সইয়ের অপেক্ষায় আছে।

ইতালি: বাংলাদেশসহ বিভিন্ন দেশকে নিজস্বভাবে ইতালি তাদের ‘ফ্লুসি’ স্কিমের আওতায় সিজনাল ওয়ার্কার নিয়ে থাকে। এর বাইরে বাংলাদেশ ও ইতালির মধ্যে একটি চুক্তির মাধ্যমে কর্মজীবী পাঠানোর বিষয়ে আলোচনা চলছে। ইতালির দেওয়া প্রস্তাব এখন বাংলাদেশ বিবেচনা করছে এবং আশা করা হচ্ছে, এটি দ্রুত শেষ হবে।

স্পেন: বাংলাদেশের সমঝোতা প্রস্তাব ইতোমধ্যে স্পেনকে দেওয়া হয়েছে এবং সেটি তারা বিবেচনা করছে।

অস্ট্রিয়া: বাংলাদেশকে ইতোমধ্যে অস্ট্রিয়া তাদের প্রস্তাব দিয়েছে, যা সরকার বিবেচনা করছে।

অভিবাসন রাজনীতি
রাজনৈতিকভাবে অভিবাসন অত্যন্ত স্পর্শকাতর বিষয়। ইউরোপে দক্ষিণপন্থিরা এর বিরোধী এবং তাদের জনতুষ্টিমূলক প্রচারণা জনপ্রিয় হয়ে উঠছে। নেদারল্যান্ডসে বর্তমানে দক্ষিণপন্থি সরকার ক্ষমতায় এবং অন্যান্য দেশেও তাদের রাজনৈতিক অবস্থান দিন দিন শক্ত হচ্ছে।

এ বিষয়ে এক কূটনীতিক বলেন, ‘অভিবাসন রাজনৈতিকভাবে ইউরোপে স্পর্শকাতর বিষয়। কিন্তু অর্থনীতিকে সচল রাখতে হলে তাদের কর্মজীবীদের প্রয়োজন।’

জার্মানির উদাহরণ দিয়ে তিনি বলেন, ‘দেশটি গাড়ি উৎপাদনের জন্য বিখ্যাত। কিন্তু এখন কারখানায় কাজ করার জন্য যথেষ্ট দক্ষ শ্রমিক তাদের পক্ষে জোগাড় করা মুশকিল হয়ে পড়েছে।’

অভিবাসনের প্রতি ইউরোপের অনীহা এবং তাদের অর্থনৈতিক প্রয়োজনের মাঝামাঝি একটি ভারসাম্য তৈরি হবে এবং সেখানে বাংলাদেশের মতো দেশ থেকে তারা লোক নেবে বলে তিনি জানান।

তিনি বলেন, ‘এখানে বড় চ্যালেঞ্জ হচ্ছে সুষ্ঠু ও স্বচ্ছ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে লোক পাঠানো এবং ইউরোপে পৌঁছানোর পর বাংলাদেশিরা ভবিষ্যৎ সম্ভাবনার আশায় পালিয়ে না যাওয়া।’

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য

দৈনিক বাংলাদেশের চিত্র একটি অনলাইন নিউজ পোর্টাল। এই পত্রিকার মূল স্লোগান হলো "সত্য প্রকাশে আপোষহীন"।আমরা এ দেশের নিপীড়িত ও নির্যাতিত মানুষের কথা বলি।একজন অসহায় মানুষের পাশে দাড়িয়ে অন্যায় প্রতিরোধে সাহায্য করতে আমরা সর্বদা অঙ্গীকারবদ্ধ।দৈনিক বাংলাদেশের চিত্র পত্রিকা গনমানুষের কথা বলে।
ট্যাগস :

ইউরোপের কয়েকটি দেশের সঙ্গে শ্রমচুক্তি করতে চায় সরকার

আপডেট সময় : ১২:৪২:৫৬ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৬ জুলাই ২০২৪

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ রিয়াজ মিয়া

ইউরোপে বৈধ পথে দক্ষ কর্মজীবীদের পাঠানোর জন্য কয়েকটি দেশের সঙ্গে মাইগ্রেশন অ্যান্ড মবিলিটি সমঝোতা করতে চায় সরকার। ইতোমধ্যে ইউরোপের শুধু গ্রিসের সঙ্গে মাইগ্রেশন অ্যান্ড মবিলিটি সমঝোতা রয়েছে বাংলাদেশের। পাশাপাশি ইতালি, স্পেন, অস্ট্রিয়া, মাল্টা ও পর্তুগালের সঙ্গেও এ ধরনের চুক্তি করতে চায় সরকার।

এ বিষয়ে নাম প্রকাশ না করার শর্তে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা বলেন, ‘গ্রিসের সঙ্গে ২০২২ সালে আমরা ওই সমঝোতা করেছি। এর অধীনে প্রতি বছর ওই দেশ অবৈধভাবে অবস্থিত ১১ হাজার বাংলাদেশিকে বৈধতার সুযোগ দেওয়ার পাশাপাশি প্রতি বছর চার হাজার বাংলাদেশি কর্মজীবীকে নেওয়ার কথা বলা আছে।’

নতুন যে দেশগুলোর সঙ্গে আলোচনা চলছে, সেখানে তাদের চাহিদার ভিত্তিতে বাংলাদেশিদের পাঠানোর বিষয়টি নিয়ে উল্লেখ থাকবে বলেও তিনি জানান। কোন কোন খাতে ইউরোপের দেশগুলো লোক নিতে আগ্রহী, জানতে চাইলে এই কর্মকর্তা বলেন, ‘কৃষি, পর্যটন, নির্মাণ খাত, ট্রাকচালক ও অন্যান্য সেবা খাত রয়েছে।’

সমঝোতাগুলোর সর্বশেষ অবস্থা
মাল্টা: ইউরোপের দেশ মাল্টা পর্যটন ও সেবা খাতে লোক নিতে আগ্রহী। তাদের সঙ্গে মাইগ্রেশন ও মবিলিটি চুক্তির আলোচনা শেষ হয়ে গেছে। এখন এটি সইয়ের অপেক্ষায় আছে।

ইতালি: বাংলাদেশসহ বিভিন্ন দেশকে নিজস্বভাবে ইতালি তাদের ‘ফ্লুসি’ স্কিমের আওতায় সিজনাল ওয়ার্কার নিয়ে থাকে। এর বাইরে বাংলাদেশ ও ইতালির মধ্যে একটি চুক্তির মাধ্যমে কর্মজীবী পাঠানোর বিষয়ে আলোচনা চলছে। ইতালির দেওয়া প্রস্তাব এখন বাংলাদেশ বিবেচনা করছে এবং আশা করা হচ্ছে, এটি দ্রুত শেষ হবে।

স্পেন: বাংলাদেশের সমঝোতা প্রস্তাব ইতোমধ্যে স্পেনকে দেওয়া হয়েছে এবং সেটি তারা বিবেচনা করছে।

অস্ট্রিয়া: বাংলাদেশকে ইতোমধ্যে অস্ট্রিয়া তাদের প্রস্তাব দিয়েছে, যা সরকার বিবেচনা করছে।

অভিবাসন রাজনীতি
রাজনৈতিকভাবে অভিবাসন অত্যন্ত স্পর্শকাতর বিষয়। ইউরোপে দক্ষিণপন্থিরা এর বিরোধী এবং তাদের জনতুষ্টিমূলক প্রচারণা জনপ্রিয় হয়ে উঠছে। নেদারল্যান্ডসে বর্তমানে দক্ষিণপন্থি সরকার ক্ষমতায় এবং অন্যান্য দেশেও তাদের রাজনৈতিক অবস্থান দিন দিন শক্ত হচ্ছে।

এ বিষয়ে এক কূটনীতিক বলেন, ‘অভিবাসন রাজনৈতিকভাবে ইউরোপে স্পর্শকাতর বিষয়। কিন্তু অর্থনীতিকে সচল রাখতে হলে তাদের কর্মজীবীদের প্রয়োজন।’

জার্মানির উদাহরণ দিয়ে তিনি বলেন, ‘দেশটি গাড়ি উৎপাদনের জন্য বিখ্যাত। কিন্তু এখন কারখানায় কাজ করার জন্য যথেষ্ট দক্ষ শ্রমিক তাদের পক্ষে জোগাড় করা মুশকিল হয়ে পড়েছে।’

অভিবাসনের প্রতি ইউরোপের অনীহা এবং তাদের অর্থনৈতিক প্রয়োজনের মাঝামাঝি একটি ভারসাম্য তৈরি হবে এবং সেখানে বাংলাদেশের মতো দেশ থেকে তারা লোক নেবে বলে তিনি জানান।

তিনি বলেন, ‘এখানে বড় চ্যালেঞ্জ হচ্ছে সুষ্ঠু ও স্বচ্ছ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে লোক পাঠানো এবং ইউরোপে পৌঁছানোর পর বাংলাদেশিরা ভবিষ্যৎ সম্ভাবনার আশায় পালিয়ে না যাওয়া।’