ঢাকা ১১:২৪ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১৪ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
মুন্ডুমালা বাজারে অব্যবস্হাপনায় ও যানজটে জনজীবনে চরম দুর্ভোগ নেই সংযোগ সড়ক,২৭ লাখ টাকার সেতুতে উঠতে হয় মই বেয়ে নোয়াখালী সংগঠকদের নিয়ে এবি পাটির মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয় দুমকীতে গাঁজা সেবনে বৃদ্ধকে এক মাসের কারাদণ্ড দুমকীতে ডেঙ্গুর ছোবলে প্রাণ হারালেন ছাত্র হিজবুল্লাহ নেতা জাকারিয়া র‌্যাবের অভিযানে নীলফামারীর চাঞ্চল্যকর ধর্ষণ মামলার পলাতক অভিযুক্ত গ্রেফতার চুয়াডাঙ্গা জেলা কারাগারে হাজতির মৃত্যু মা ইলিশ সংরক্ষন অভিযান/২৫ উপজেলা টাস্কফোর্স কমিটির প্রস্তুতি সভা বিশ্ব নদী দিবসে সাতক্ষীরায় নৌকায় মানববন্ধন শৈলকূপায় হচ্ছে প্রবাসী কর্মীদের বিশাল প্রশিক্ষণ কেন্দ্র! ৮০টি কেন্দ্রের মেগা প্রকল্পে ভিআইপি অগ্রাধিকার ঝিনাইদহে

আবু সাঈদের মৃত্যুর ঘটনায় বরখাস্ত এএসআইসহ ২ পুলিশ

নিজেস্ব প্রতিবেদক
  • আপডেট সময় : ০৬:৫৬:০৬ অপরাহ্ন, শনিবার, ৩ অগাস্ট ২০২৪ ৭৮ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ রিয়াজ মিয়া:-
রংপুরে পুলিশের গুলিতে নিহত বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী আবু সাঈদের মৃত্যুর পর দুই পুলিশ সদস্যকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। বরখাস্ত হওয়া সদস্যরা হলেন রংপুর পুলিশ লাইনের সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) আমির হোসেন এবং তাজহাট থানার কনস্টেবল সুজন চন্দ্র রায়। তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ, তারা ‘অপেশাদারি আচরণ’ করে শটগান থেকে গুলি চালিয়েছেন।
রংপুর মহানগর পুলিশ কমিশনার মো. মনিরুজ্জামান প্রথম আলোকে নিশ্চিত করেছেন যে আবু সাঈদ নিহত হওয়ার পর ১৮ জুলাই পুলিশের পক্ষ থেকে চার সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। এই কমিটি ১ আগস্ট আংশিক প্রতিবেদন জমা দেয়, যেখানে এই দুই পুলিশ সদস্যের ‘অপেশাদারি আচরণ’ প্রমাণিত হওয়ায় তাদের সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।

পুলিশ কমিশনারের কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কারের দাবিতে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের সময় সংঘর্ষে আবু সাঈদের নিহত হওয়ার দুই দিন পর পুলিশের চার সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। কমিটিকে সাত কর্মদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয় এবং কমিটির প্রধান ছিলেন রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার মো. সায়ফুজ্জামান ফারুকী।

তদন্ত প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, ঘটনার দিন দায়িত্ব পালনের সময় এএসআই আমির হোসেন ও কনস্টেবল সুজন চন্দ্র রায় অপেশাদারি আচরণ করেছেন, যা পুলিশ বাহিনীর শৃঙ্খলার পরিপন্থী। তাদের কর্তব্যে অবহেলা এবং ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের আদেশ অমান্য করার অভিযোগে সাময়িক বরখাস্ত করে পুলিশ লাইনে সংযুক্ত করা হয়েছে।

গত ১৬ জুলাই বেলা আড়াইটার দিকে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনের সড়কে কোটা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের সঙ্গে পুলিশ ও ছাত্রলীগের সংঘর্ষের সময় আবু সাঈদ গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত হন। বিভিন্ন ভিডিও ফুটেজে দেখা যায়, পুলিশ আবু সাঈদকে খুব কাছ থেকে গুলি করে, যখন তিনি একটি ক্রিকেট স্ট্যাম্প হাতে নিয়ে বুক পেতে দাঁড়িয়ে ছিলেন। কিছুক্ষণের মধ্যেই তিনি মাটিতে লুটিয়ে পড়েন।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য

দৈনিক বাংলাদেশের চিত্র একটি অনলাইন নিউজ পোর্টাল। এই পত্রিকার মূল স্লোগান হলো "সত্য প্রকাশে আপোষহীন"।আমরা এ দেশের নিপীড়িত ও নির্যাতিত মানুষের কথা বলি।একজন অসহায় মানুষের পাশে দাড়িয়ে অন্যায় প্রতিরোধে সাহায্য করতে আমরা সর্বদা অঙ্গীকারবদ্ধ।দৈনিক বাংলাদেশের চিত্র পত্রিকা গনমানুষের কথা বলে।
ট্যাগস :

আবু সাঈদের মৃত্যুর ঘটনায় বরখাস্ত এএসআইসহ ২ পুলিশ

আপডেট সময় : ০৬:৫৬:০৬ অপরাহ্ন, শনিবার, ৩ অগাস্ট ২০২৪

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ রিয়াজ মিয়া:-
রংপুরে পুলিশের গুলিতে নিহত বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী আবু সাঈদের মৃত্যুর পর দুই পুলিশ সদস্যকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। বরখাস্ত হওয়া সদস্যরা হলেন রংপুর পুলিশ লাইনের সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) আমির হোসেন এবং তাজহাট থানার কনস্টেবল সুজন চন্দ্র রায়। তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ, তারা ‘অপেশাদারি আচরণ’ করে শটগান থেকে গুলি চালিয়েছেন।
রংপুর মহানগর পুলিশ কমিশনার মো. মনিরুজ্জামান প্রথম আলোকে নিশ্চিত করেছেন যে আবু সাঈদ নিহত হওয়ার পর ১৮ জুলাই পুলিশের পক্ষ থেকে চার সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। এই কমিটি ১ আগস্ট আংশিক প্রতিবেদন জমা দেয়, যেখানে এই দুই পুলিশ সদস্যের ‘অপেশাদারি আচরণ’ প্রমাণিত হওয়ায় তাদের সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।

পুলিশ কমিশনারের কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কারের দাবিতে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের সময় সংঘর্ষে আবু সাঈদের নিহত হওয়ার দুই দিন পর পুলিশের চার সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। কমিটিকে সাত কর্মদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয় এবং কমিটির প্রধান ছিলেন রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার মো. সায়ফুজ্জামান ফারুকী।

তদন্ত প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, ঘটনার দিন দায়িত্ব পালনের সময় এএসআই আমির হোসেন ও কনস্টেবল সুজন চন্দ্র রায় অপেশাদারি আচরণ করেছেন, যা পুলিশ বাহিনীর শৃঙ্খলার পরিপন্থী। তাদের কর্তব্যে অবহেলা এবং ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের আদেশ অমান্য করার অভিযোগে সাময়িক বরখাস্ত করে পুলিশ লাইনে সংযুক্ত করা হয়েছে।

গত ১৬ জুলাই বেলা আড়াইটার দিকে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনের সড়কে কোটা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের সঙ্গে পুলিশ ও ছাত্রলীগের সংঘর্ষের সময় আবু সাঈদ গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত হন। বিভিন্ন ভিডিও ফুটেজে দেখা যায়, পুলিশ আবু সাঈদকে খুব কাছ থেকে গুলি করে, যখন তিনি একটি ক্রিকেট স্ট্যাম্প হাতে নিয়ে বুক পেতে দাঁড়িয়ে ছিলেন। কিছুক্ষণের মধ্যেই তিনি মাটিতে লুটিয়ে পড়েন।