ঢাকা ১১:২০ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ০৩ অক্টোবর ২০২৫, ১৮ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
হরিপুরে সরাসরি গোখরা সাপ দিয়ে ঐতিহ্যবাহী পাতা খেলা দক্ষিণ রাউজানে মহানবমী পূজা উদযাপন ফেনী পৌরসভার উদ্যোগে ১৯টি পূজা মন্ডপে অনুদানের চেক বিতরণ বিজয়া দশমী অনুষ্ঠানে পুলিশ সুপার হাবিবুর রহমান এবং জেলা প্রশাসক জনাব মোঃ সাইফুল ইসলাম পশ্চিম গুজরায় জ্বালা কুমারী তরুণ সংঘে উগ্যােগে দুর্গোৎসব উদযাপন না ফেরার দেশে পাড়ি জমালেন ভাষা সংগ্রামী আহমদ রফিক গাজীপুরে হাইওয়ে রোডে দেহ ব্যবসার আড়ালে চাঁদাবাজি, এলাকাবাসীর প্রশাসনের হস্তক্ষেপ দাবি ঝিনাইদহে বাসচাপায় শিশুসহ ২ জন নিহত রাণীশংকৈলে সিঁদুর খেলার মধ্য দিয়ে শেষ হলো শারদীয় দুর্গোৎসব দুমকীতে পূজা মন্ডপে এনসিপির শুভেচ্ছা বিনিময়

আপনি জানেন ফেরারী গাড়ীর চেয়ে ভেড়ার দাম বেশী

নিজেস্ব প্রতিবেদক
  • আপডেট সময় : ০১:৫০:০৪ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৪ জুন ২০২৪ ৭৭ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ রিয়াজ মিয়া:-

সেনেগালের এক ২৪ বছর বয়সী মেষপালক শেখ মুস্তাফা সেক। যখন তিনি তাঁর ভেড়াগুলো সম্পর্কে কথা বলেন, মুখ উজ্জ্বল হয়ে ওঠে তাঁর। পরম মমতায় তাঁর সনকো নামের একটি ভেড়ার গায়ে হাত বোলাতে বোলাতে তিনি বলছিলেন, ভেড়া পালতে গেলে এটির প্রতি আপনার ভালোবাসা ও ধৈর্য থাকতে হবে। সেনেগালের নতুন প্রধানমন্ত্রীর (ওসমান সনকো) নামে তিনি ভেড়াটির নামকরণ করেছেন।

সনকো কোনো সাধারণ ভেড়া নয়। এটি স্থানীয় লাদুম প্রজাতির ভেড়া। এ প্রজাতির একেকটি ভেড়া বিলাসবহুল ফেরারি গাড়ির চেয়েও দামি। রাজকীয় চেহারার এ ভেড়ার ওজন ৩৯৭ পাউন্ড বা ১৮০ কেজি। এ কারণে প্রজাতিটি পশ্চিম আফ্রিকার উপকূলীয় দেশগুলোর মেষপালকদের কাছে অনেক জনপ্রিয়।
মুস্তাফা সেক বলেন, গত বছর সনকোর জন্ম হয়। তখন ওসমান সনকো সেনেগালের প্রধানমন্ত্রী হননি। তিনি তখন বিরোধীদলীয় নেতা হিসেবে কারাগারে। তাঁর মতোই সনকো নামের ভেড়াটি ছিল ক্ষিপ্রগতির ও তাঁদের আশার প্রতীক।

ঝকঝকে সাদা পশম এবং প্যাঁচানো সিংয়ের জন্য লাদুম প্রসিদ্ধ। পবিত্র ঈদুল আজহা বা কোরবানির ঈদের সময় এ প্রজাতির ভেড়া জবাই দেওয়া হয় না। মর্যাদাপূর্ণ পশু পালনের প্রতীক হিসেবে মূলত এটি লালন-পালন করেন সেনেগালের মানুষ। এসব ভেড়ার বিউটি কনটেস্টও (সুন্দরী প্রতিযোগিতা) সেখানে ব্যাপক জনপ্রিয়।

সেনেগালের খুব কম মানুষেরই লাদুম কেনার সক্ষমতা আছে। দেশটির মাথাপিছু জিডিপি ১ হাজার ৬০০ ডলারের কম। লাদুম জাতের একেকটি ভেড়ার দাম ৭০ হাজার ডলার পর্যন্ত।

দিনের বেশির ভাগ সময়ই একটি লাদুমের কাটে সাজসজ্জা, মালিশ ও বিশেষ পারলারে ভিটামিন খাওয়ার মধ্য দিয়ে। এমনই একটি পারলারের মালিক বালা গাদিগা। তিনি তাঁর মা–বাবার কাছ থেকে ভেড়া পালনে উৎসাহিত হয়েছেন। বালা গাদিগার সবচেয়ে পছন্দের ভেড়ার নাম বিআরটি। সেনেগালের রাজধানী ডাকারে চলাচল করা বাস সার্ভিসের নামে তিনি এটির নামকরণ করেছেন।

বালা গাদিগা বলেন, এই ভেড়া আকারে চমৎকার ও দেখতে অসাধারণ। এটির দাম ৪০ হাজার ডলার। শুধু বাণিজ্যের জন্যই লাদুম লালন-পালন করা নয়; বরং এটি আনন্দ পাওয়ারও একটি উৎস। আফ্রিকা মহাদেশের সব দেশ থেকেই তাঁর কাছে এ প্রজাতির ভেড়ার গ্রাহকেরা আসেন বলেও জানান তিনি।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য

দৈনিক বাংলাদেশের চিত্র একটি অনলাইন নিউজ পোর্টাল। এই পত্রিকার মূল স্লোগান হলো "সত্য প্রকাশে আপোষহীন"।আমরা এ দেশের নিপীড়িত ও নির্যাতিত মানুষের কথা বলি।একজন অসহায় মানুষের পাশে দাড়িয়ে অন্যায় প্রতিরোধে সাহায্য করতে আমরা সর্বদা অঙ্গীকারবদ্ধ।দৈনিক বাংলাদেশের চিত্র পত্রিকা গনমানুষের কথা বলে।
ট্যাগস :

আপনি জানেন ফেরারী গাড়ীর চেয়ে ভেড়ার দাম বেশী

আপডেট সময় : ০১:৫০:০৪ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৪ জুন ২০২৪

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ রিয়াজ মিয়া:-

সেনেগালের এক ২৪ বছর বয়সী মেষপালক শেখ মুস্তাফা সেক। যখন তিনি তাঁর ভেড়াগুলো সম্পর্কে কথা বলেন, মুখ উজ্জ্বল হয়ে ওঠে তাঁর। পরম মমতায় তাঁর সনকো নামের একটি ভেড়ার গায়ে হাত বোলাতে বোলাতে তিনি বলছিলেন, ভেড়া পালতে গেলে এটির প্রতি আপনার ভালোবাসা ও ধৈর্য থাকতে হবে। সেনেগালের নতুন প্রধানমন্ত্রীর (ওসমান সনকো) নামে তিনি ভেড়াটির নামকরণ করেছেন।

সনকো কোনো সাধারণ ভেড়া নয়। এটি স্থানীয় লাদুম প্রজাতির ভেড়া। এ প্রজাতির একেকটি ভেড়া বিলাসবহুল ফেরারি গাড়ির চেয়েও দামি। রাজকীয় চেহারার এ ভেড়ার ওজন ৩৯৭ পাউন্ড বা ১৮০ কেজি। এ কারণে প্রজাতিটি পশ্চিম আফ্রিকার উপকূলীয় দেশগুলোর মেষপালকদের কাছে অনেক জনপ্রিয়।
মুস্তাফা সেক বলেন, গত বছর সনকোর জন্ম হয়। তখন ওসমান সনকো সেনেগালের প্রধানমন্ত্রী হননি। তিনি তখন বিরোধীদলীয় নেতা হিসেবে কারাগারে। তাঁর মতোই সনকো নামের ভেড়াটি ছিল ক্ষিপ্রগতির ও তাঁদের আশার প্রতীক।

ঝকঝকে সাদা পশম এবং প্যাঁচানো সিংয়ের জন্য লাদুম প্রসিদ্ধ। পবিত্র ঈদুল আজহা বা কোরবানির ঈদের সময় এ প্রজাতির ভেড়া জবাই দেওয়া হয় না। মর্যাদাপূর্ণ পশু পালনের প্রতীক হিসেবে মূলত এটি লালন-পালন করেন সেনেগালের মানুষ। এসব ভেড়ার বিউটি কনটেস্টও (সুন্দরী প্রতিযোগিতা) সেখানে ব্যাপক জনপ্রিয়।

সেনেগালের খুব কম মানুষেরই লাদুম কেনার সক্ষমতা আছে। দেশটির মাথাপিছু জিডিপি ১ হাজার ৬০০ ডলারের কম। লাদুম জাতের একেকটি ভেড়ার দাম ৭০ হাজার ডলার পর্যন্ত।

দিনের বেশির ভাগ সময়ই একটি লাদুমের কাটে সাজসজ্জা, মালিশ ও বিশেষ পারলারে ভিটামিন খাওয়ার মধ্য দিয়ে। এমনই একটি পারলারের মালিক বালা গাদিগা। তিনি তাঁর মা–বাবার কাছ থেকে ভেড়া পালনে উৎসাহিত হয়েছেন। বালা গাদিগার সবচেয়ে পছন্দের ভেড়ার নাম বিআরটি। সেনেগালের রাজধানী ডাকারে চলাচল করা বাস সার্ভিসের নামে তিনি এটির নামকরণ করেছেন।

বালা গাদিগা বলেন, এই ভেড়া আকারে চমৎকার ও দেখতে অসাধারণ। এটির দাম ৪০ হাজার ডলার। শুধু বাণিজ্যের জন্যই লাদুম লালন-পালন করা নয়; বরং এটি আনন্দ পাওয়ারও একটি উৎস। আফ্রিকা মহাদেশের সব দেশ থেকেই তাঁর কাছে এ প্রজাতির ভেড়ার গ্রাহকেরা আসেন বলেও জানান তিনি।