ঢাকা ০২:২২ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ০৫ অক্টোবর ২০২৫, ১৯ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
ঝালকাঠতে জেলা জাতীয় পার্টির বর্ধিত সভা অনুষ্ঠিত ৯দিনের ছুটি শেষে প্রাণচাঞ্চল্যে মুখরিত পবিপ্রবি ক্যাম্পাস দেবহাটা বহেরা উপস্বাস্থ্য কেন্দ্রের ফার্মাসিস্ট হেলাল উদ্দিন ও সাদিয়া অনৈতিক অবস্থায় জনগণের হাতে আটক স্বামীর লোভের কারনে আত্মহত্যার পথ বেচে নিল চট্টগ্রামের মেয়ে আবিদা তাসমিন আগৈলঝাড়ায় গৃহবধূ ধর্ষণ মামলার আসামি আব্দুল্লাহ সরদার গ্রেপ্তার রাণীশংকৈলে জাল টাকা সহ আটক ১ রাউজানে শ্যামা সংঘের উদ্যোগে সর্বজনীন কালিপূজা ও ৪৩ তম বার্ষিক মহোৎসব রাণীশংকৈলে বিএনপি ও শিক্ষার্থীদের পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন কার্যক্রম রাণীশংকৈলে গলা টিপে হত্যা করতে না পেরে দা দিয়ে কোপ দিয়ে হত্যা করার চেষ্টা শ্যামনগরে বিএনপি নেতা সোলাইমান কবীরের বহিষ্কারের দাবীতে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে

আনন্দ মিছিলে যোগ দিয়ে, ফিরে আসল লাশ হয়ে

নিজেস্ব প্রতিবেদক
  • আপডেট সময় : ১০:৫৫:৩০ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৭ অগাস্ট ২০২৪ ১২১ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ রিয়াজ মিয়া:-
সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পদত্যাগের খবর ছড়িয়ে পড়ায় আনন্দ উল্লাসে নামেন রাজধানী বাড্ডার অনেকে। শিক্ষার্থীরাও অনেকে যোগ দেন সেই বিজয় মিছিলে। এমন সময় হঠাৎ মাথায় ও পিঠে গুলি এসে লাগে এক কিশোরের। ঢলে পড়ে যায় মাটিতে। সেই কিশোরের নাম মো. রায়হান। আনন্দ মিছিলে যোগ দেওয়াই কাল হলো তার জন্য।

সোমবার (৫ আগস্ট) বাড্ডায় এ ঘটনা ঘটে। এরপর দিন মঙ্গলবার (৬ আগস্ট) দুপুরে জানাজা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়। রায়হান নোয়াখালীর সদর উপজেলার নোয়ান্নই ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডের পূর্ব দুর্গানগর গ্রামের আমজাদ হাজী বাড়ির মো. মোজাম্মেল হোসেনের ছেলে।

জানা গেছে, রায়হান মেস থেকে নামাজ পড়ে বের হয়ে দেখে শিক্ষার্থীরা আনন্দ মিছিল করছে। সে মিছিলে যোগ দেয়। তারপর মিছিলটি বাড্ডা থানার সামনে গেলে পুলিশ অতর্কিতভাবে গুলি চালায়। একটা গুলি রায়হানের পিঠে লাগে এবং সে মাটিতে লুটে পড়ে। আরেকটা গুলি তার মাথায় লাগে। শিক্ষার্থীরা তাকে একটা ভ্যানে করে হাসপাতালে পাঠায়। সেখান থেকে ঢাকা মেডিকেলে ভর্তি করানো হয়।
রায়হানের বাবা মো. মোজাম্মেল হোসেন জানান, গোলাগুলির খবর পেয়ে আমার ছেলেকে ফোন দেই। তার ফোন এক ছেলে ধরে বলে আংকেল রায়হানকে হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। আমি হাসপাতালে হাসপাতালে পাগলের মতো খুঁজি। তারপর শেষে ঢাকা মেডিকেলের মর্গে মরদেহ পাই। আমার ছেলেটার এইচএসসি পরীক্ষা দেওয়া হলো না। আনন্দ মিছিলে যোগ দেওয়া তার কাল হয়েছে।

একমাত্র সন্তানকে হারিয়ে শোকে মূর্ছা যাচ্ছেন মা আমেনা খাতুন। তিনি বলেন, আমার বুকের সন্তান আমাকে রেখে চলে গেছে। কত স্বপ্ন নিয়ে তারে ঢাকায় পড়ালেখা করাইসি। আমার ছেলে আমাকে মা বলে ডাক দেবে না। আমার বুকটা ফেটে যাচ্ছে। আল্লাহ আমাকে নিতো তাও আমার ছেলেকে যদি ফিরিয়ে দিতো। আমার সব শেষ হয়ে গেছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য

দৈনিক বাংলাদেশের চিত্র একটি অনলাইন নিউজ পোর্টাল। এই পত্রিকার মূল স্লোগান হলো "সত্য প্রকাশে আপোষহীন"।আমরা এ দেশের নিপীড়িত ও নির্যাতিত মানুষের কথা বলি।একজন অসহায় মানুষের পাশে দাড়িয়ে অন্যায় প্রতিরোধে সাহায্য করতে আমরা সর্বদা অঙ্গীকারবদ্ধ।দৈনিক বাংলাদেশের চিত্র পত্রিকা গনমানুষের কথা বলে।
ট্যাগস :

আনন্দ মিছিলে যোগ দিয়ে, ফিরে আসল লাশ হয়ে

আপডেট সময় : ১০:৫৫:৩০ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৭ অগাস্ট ২০২৪

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ রিয়াজ মিয়া:-
সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পদত্যাগের খবর ছড়িয়ে পড়ায় আনন্দ উল্লাসে নামেন রাজধানী বাড্ডার অনেকে। শিক্ষার্থীরাও অনেকে যোগ দেন সেই বিজয় মিছিলে। এমন সময় হঠাৎ মাথায় ও পিঠে গুলি এসে লাগে এক কিশোরের। ঢলে পড়ে যায় মাটিতে। সেই কিশোরের নাম মো. রায়হান। আনন্দ মিছিলে যোগ দেওয়াই কাল হলো তার জন্য।

সোমবার (৫ আগস্ট) বাড্ডায় এ ঘটনা ঘটে। এরপর দিন মঙ্গলবার (৬ আগস্ট) দুপুরে জানাজা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়। রায়হান নোয়াখালীর সদর উপজেলার নোয়ান্নই ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডের পূর্ব দুর্গানগর গ্রামের আমজাদ হাজী বাড়ির মো. মোজাম্মেল হোসেনের ছেলে।

জানা গেছে, রায়হান মেস থেকে নামাজ পড়ে বের হয়ে দেখে শিক্ষার্থীরা আনন্দ মিছিল করছে। সে মিছিলে যোগ দেয়। তারপর মিছিলটি বাড্ডা থানার সামনে গেলে পুলিশ অতর্কিতভাবে গুলি চালায়। একটা গুলি রায়হানের পিঠে লাগে এবং সে মাটিতে লুটে পড়ে। আরেকটা গুলি তার মাথায় লাগে। শিক্ষার্থীরা তাকে একটা ভ্যানে করে হাসপাতালে পাঠায়। সেখান থেকে ঢাকা মেডিকেলে ভর্তি করানো হয়।
রায়হানের বাবা মো. মোজাম্মেল হোসেন জানান, গোলাগুলির খবর পেয়ে আমার ছেলেকে ফোন দেই। তার ফোন এক ছেলে ধরে বলে আংকেল রায়হানকে হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। আমি হাসপাতালে হাসপাতালে পাগলের মতো খুঁজি। তারপর শেষে ঢাকা মেডিকেলের মর্গে মরদেহ পাই। আমার ছেলেটার এইচএসসি পরীক্ষা দেওয়া হলো না। আনন্দ মিছিলে যোগ দেওয়া তার কাল হয়েছে।

একমাত্র সন্তানকে হারিয়ে শোকে মূর্ছা যাচ্ছেন মা আমেনা খাতুন। তিনি বলেন, আমার বুকের সন্তান আমাকে রেখে চলে গেছে। কত স্বপ্ন নিয়ে তারে ঢাকায় পড়ালেখা করাইসি। আমার ছেলে আমাকে মা বলে ডাক দেবে না। আমার বুকটা ফেটে যাচ্ছে। আল্লাহ আমাকে নিতো তাও আমার ছেলেকে যদি ফিরিয়ে দিতো। আমার সব শেষ হয়ে গেছে।