ঢাকা ০৫:০৯ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ০৪ নভেম্বর ২০২৫, ২০ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
তৃণমূলে উদ্বেগ উৎকণ্ঠা ঝিনাইদহ-২ আসন শরীকদের ছেড়ে দিলে অস্তিত্ব সংকটে পড়বে বিএনপি কাঠালিয়ায় বিএনপির নির্বাচনী প্রস্তুতি সভায় গোলাম আজম সৈকত নীলফামারীর ৪টি আসনের মধ্যে ২টিতে বিএনপি মনোনীত প্রার্থী ঘোষণা রংপুরের গঙ্গাচড়ায় 18 মাস বয়সের শিশুকন্যা আনহা বলাৎকারের শিকার সোনাগাজীর মুন্সি খুরশিদ আলম বালিকা বিদ্যালয়ের পরিচালনা ও উপদেষ্টা পরিষদ গঠিত এনামুল হক এনাম সভাপতি ফেনীতে বিএনপি’র তিন আসনের প্রার্থী ঘোষণা আজ যশোর উন্নয়নের কারিগর তরিকুল ইসলামের ৭ম মৃত্যুবার্ষিকী চট্টগ্রামে বিএনপি’র ১০ প্রার্থী ঘোষণা কোন্দল শংকায় ৬টি বাকি: মহাসড়ক অবরোধ নরসিংদীর ৫টি আসনের মধ্যে ৪টি আসনে বিএনপি’র মনোনয়ন পেলেন যারা ‎আমরা ভোট মূখি আমরা আপনাদের কাছে ভোটের সহযোগিতা চাই -স্নেহাংশু সরকার কুট্টি ‎

আধিপত্য বিস্তারের জেরে সংঘর্ষ! ফরিদপুরের উপজেলা চেয়ারম্যানসহ “৩০ জন” কারাগারে

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ১২:৪৩:৩০ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৭ এপ্রিল ২০২৪ ১১২ বার পড়া হয়েছে

স্টাফ রিপোর্টার:-

এলাকায় আধিপত্য বিস্তারের জেরে সংঘর্ষের ঘটনায় ফরিদপুরের সালথা উপজেলা চেয়ারম্যান মোহাম্মদ ওয়াদুদ মাতব্বরসহ ৩০ জনকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত।

রোববার (১৪ এপ্রিল) দিবাগত রাত ১টা থেকে সোমবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) সকাল পর্যন্ত ফরিদপুর শহর ও সালথা উপজেলার কয়েকটি ইউনিয়নে অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।

এর আগে রোববার রাতে গট্টি ইউনিয়নের কাঠালবাড়ী গ্রামের বাসিন্দা মোহাম্মদ সৈয়দ আলী শেখ (৫০) বাদী হয়ে উপজেলা চেয়ারম্যান ওয়াদুদসহ ৫৯ জনের নাম উল্লেখ করে একটি মামলা করেন। ওই মামলায় আরও ৩০০ থেকে ৪০০ জনকে অজ্ঞাত আসামি করা হয়েছে।

জানা যায়, ঈদের পরদিন শুক্রবার ক্যারম খেলাকে কেন্দ্র করে লক্ষনদিয়া গ্রামের কয়েক যুবকের সঙ্গে জুগিডাঙ্গা ও কাঠালবাড়িয়া গ্রামের যুবকদের কথা কাটাকাটি হয়। এরপর ওই রাতেই এক দফা হামলা করে জুগিডাঙ্গা গ্রামের ৩ জনকে আহত করা হয়। পরে তাদেরকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

এরই জেরে রোববার বিকালে দ্বিতীয় দফায় আবারও সংঘর্ষ হয়। এ সময় ৫টি বাড়ি ভাঙচুর করা হয় এবং আরও তিনটি ঘরে অগ্নিসংযোগ করে জ্বালিয়ে দেওয়া হয়। এ ছাড়া ৪টি গরু ও পেঁয়াজসহ বিভিন্ন বাড়ি থেকে মালামাল লুট করে নিয়ে যায়।

পরে রোববার রাতে অভিযান চালিয়ে ৪৪ জনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। গ্রেপ্তারদের মধ্যে রয়েছেন উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মোহাম্মদ ওয়াদুদ মাতব্বর, উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি ও মাঝারদিয়া ইউপির সাবেক চেয়ারম্যান মোহাম্মদ সাহিদুজ্জামান ওরফে সাহিদ ও গট্টি ইউনিয়নের ইউপি চেয়ারম্যান হাবিবুর রহমানের ভাই মোহাম্মদ আবুল।

সালথা থানার ওসি মোহাম্মাদ ফায়েজুর রহমান বলেন, গত ১৪ এপ্রিল হামলা ভাঙচুর অগ্নিসংযোগের ঘটনায় দ্রুত বিচার আইনে মামলা হওয়ার পর বিভিন্ন জায়গায় অভিযান চালিয়ে উপজেলা চেয়ারম্যান ওয়াদুদসহ ৪৪ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

পরে সোমবার বিকালে ওয়াদুদসহ ৩০ জনকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়। তাদের বিরুদ্ধে রিমান্ডের আবেদন করা হবে। বাকি ১৪ জনের বিরুদ্ধে পূর্বের বিভিন্ন অভিযোগে মামলা থাকায় তাদের সে সব মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য

দৈনিক বাংলাদেশের চিত্র একটি অনলাইন নিউজ পোর্টাল। এই পত্রিকার মূল স্লোগান হলো "সত্য প্রকাশে আপোষহীন"।আমরা এ দেশের নিপীড়িত ও নির্যাতিত মানুষের কথা বলি।একজন অসহায় মানুষের পাশে দাড়িয়ে অন্যায় প্রতিরোধে সাহায্য করতে আমরা সর্বদা অঙ্গীকারবদ্ধ।দৈনিক বাংলাদেশের চিত্র পত্রিকা গনমানুষের কথা বলে।
ট্যাগস :

আধিপত্য বিস্তারের জেরে সংঘর্ষ! ফরিদপুরের উপজেলা চেয়ারম্যানসহ “৩০ জন” কারাগারে

আপডেট সময় : ১২:৪৩:৩০ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৭ এপ্রিল ২০২৪

স্টাফ রিপোর্টার:-

এলাকায় আধিপত্য বিস্তারের জেরে সংঘর্ষের ঘটনায় ফরিদপুরের সালথা উপজেলা চেয়ারম্যান মোহাম্মদ ওয়াদুদ মাতব্বরসহ ৩০ জনকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত।

রোববার (১৪ এপ্রিল) দিবাগত রাত ১টা থেকে সোমবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) সকাল পর্যন্ত ফরিদপুর শহর ও সালথা উপজেলার কয়েকটি ইউনিয়নে অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।

এর আগে রোববার রাতে গট্টি ইউনিয়নের কাঠালবাড়ী গ্রামের বাসিন্দা মোহাম্মদ সৈয়দ আলী শেখ (৫০) বাদী হয়ে উপজেলা চেয়ারম্যান ওয়াদুদসহ ৫৯ জনের নাম উল্লেখ করে একটি মামলা করেন। ওই মামলায় আরও ৩০০ থেকে ৪০০ জনকে অজ্ঞাত আসামি করা হয়েছে।

জানা যায়, ঈদের পরদিন শুক্রবার ক্যারম খেলাকে কেন্দ্র করে লক্ষনদিয়া গ্রামের কয়েক যুবকের সঙ্গে জুগিডাঙ্গা ও কাঠালবাড়িয়া গ্রামের যুবকদের কথা কাটাকাটি হয়। এরপর ওই রাতেই এক দফা হামলা করে জুগিডাঙ্গা গ্রামের ৩ জনকে আহত করা হয়। পরে তাদেরকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

এরই জেরে রোববার বিকালে দ্বিতীয় দফায় আবারও সংঘর্ষ হয়। এ সময় ৫টি বাড়ি ভাঙচুর করা হয় এবং আরও তিনটি ঘরে অগ্নিসংযোগ করে জ্বালিয়ে দেওয়া হয়। এ ছাড়া ৪টি গরু ও পেঁয়াজসহ বিভিন্ন বাড়ি থেকে মালামাল লুট করে নিয়ে যায়।

পরে রোববার রাতে অভিযান চালিয়ে ৪৪ জনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। গ্রেপ্তারদের মধ্যে রয়েছেন উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মোহাম্মদ ওয়াদুদ মাতব্বর, উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি ও মাঝারদিয়া ইউপির সাবেক চেয়ারম্যান মোহাম্মদ সাহিদুজ্জামান ওরফে সাহিদ ও গট্টি ইউনিয়নের ইউপি চেয়ারম্যান হাবিবুর রহমানের ভাই মোহাম্মদ আবুল।

সালথা থানার ওসি মোহাম্মাদ ফায়েজুর রহমান বলেন, গত ১৪ এপ্রিল হামলা ভাঙচুর অগ্নিসংযোগের ঘটনায় দ্রুত বিচার আইনে মামলা হওয়ার পর বিভিন্ন জায়গায় অভিযান চালিয়ে উপজেলা চেয়ারম্যান ওয়াদুদসহ ৪৪ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

পরে সোমবার বিকালে ওয়াদুদসহ ৩০ জনকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়। তাদের বিরুদ্ধে রিমান্ডের আবেদন করা হবে। বাকি ১৪ জনের বিরুদ্ধে পূর্বের বিভিন্ন অভিযোগে মামলা থাকায় তাদের সে সব মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।