আজ যশোর উন্নয়নের কারিগর তরিকুল ইসলামের ৭ম মৃত্যুবার্ষিকী
																
								
							
                                - আপডেট সময় : ১০:২৯:০৮ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ৪ নভেম্বর ২০২৫ ৬৩ বার পড়া হয়েছে
 

সুলাইমান কবির রাব্বি, জেলা প্রতিনিধি: যশোর
আজ ৪ নভেম্বর বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী তরিকুল ইসলামের ৫ম মৃত্যুবার্ষিকী। ২০১৮ সালের এদিনে ঢাকার একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান।
তরিকুল ইসলাম ১৯৪৬ সালের ১৬ নভেম্বর যশোর শহরে জন্মগ্রহণ করেন। পিতা আলহাজ্জ্ব আব্দুল আজিজ একজন ব্যবসায়ী ছিলেন। মাতা মোসাম্মৎ নূরজাহান বেগম ছিলেন একজন গৃহিণী। তিনি দুই পুত্র সন্তানের জনক। স্ত্রী নার্গিস ইসলাম তাঁর অন্যতম রাজনৈতিক সহযোদ্ধা ও যশোর সরকারি সিটি কলেজে বাংলা বিভাগের সাবেক উপাধ্যাক্ষ।
১৯৬১ সালে তিনি যশোর জিলা স্কুল থেকে প্রবেশিকা পরীক্ষা, ১৯৬৩ সালে যশোর মাইকেল মধুসূদন মহাবিদ্যালয় থেকে আইএ এবং ১৯৬৮ সালে একই কলেজ থেকে অর্থনীতিতে বিএ (অনার্স) পাশ করেন। ১৯৬৯ সালে তিনি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে অর্থনীতিতে এমএ ডিগ্রি লাভ করেন।
পেশাগতভাবে তিনি একজন ব্যবসায়ী ছিলেন। ছাত্রজীবন থেকে জনাব ইসলাম ছাত্র ইউনিয়নের মাধ্যমে ছাত্র রাজনীতিতে সম্পৃক্ত হন।
১৯৭৩ সালে তরিকুল ইসলাম যশোর পৌরসভার ভাইস চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। ১৯৭৫ সালে আওয়ামী লীগ শাসনামলে তিনি তিন মাস কারাভোগ করেন।
১৯৭৮ সালে তিনি যশোর পৌরসভার চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। ১৯৭৮ সালে তিনি ফ্রন্টের হ্যাঁ/না নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেন।
মরহুম মশিউর যাদু মিয়ার নেতৃত্বে ন্যাপ (ভাসানী) বিলুপ্ত হলে তিনি ১৯৭৯ সালে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির আহবায়কের দায়িত্ব পালন করেন।
যশোর সদর নির্বাচনী এলাকা (যশোর-৩) থেকে জাতীয় সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। এ সময়ে তিনি জাতীয়তাবাদী দলের জেলা আহবায়ক ও কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য হিসাবে দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৮০ সালে তিনি জাতীয়তাবাদী দলের চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করেন।
১৯৮২ সালের ৫ মার্চ জনাব তরিকুল ইসলাম সড়ক ও রেলপথ মন্ত্রণালয়ের মাননীয় প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্বপ্রাপ্ত হন।
১৯৮৬ সালে তাঁকে বিএনপির যুগ্ম মহাসচিবের দায়িত্ব প্রদান করা হয়। এ সময়ে তিনি ভারপ্রাপ্ত মহাসচিবের দায়িত্বও পালন করেন।
১৯৯০’র গণতান্ত্রিক আন্দোলনে তরিকুল ইসলাম অগ্রণী ভূমিকা পালন করেন। গণতান্ত্রিক উত্তরণের পর ১৯৯১ এর সংসদ নির্বাচনে অংশ নিয়ে তিনি পরাজিত হন। ১৯৯৪ সালের উপ-নির্বাচনে তিনি বিনা প্রতিদ্বন্দীতায় সংসদ নির্বাচিত হন।
১৯৯১ সালে জনাব তরিকুল ইসলাম সমাজকল্যাণ ও মহিলা বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী এবং ১৯৯২ সালে ঐ মন্ত্রণালয়ের পূর্ণমন্ত্রী হিসাবে দায়িত্বপ্রাপ্ত হন। এ সময়ে তিনি ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয়ের ভারপ্রাপ্ত মন্ত্রী হিসাবেও দায়িত্ব পালন করেন। পরবর্তীতে তিনি ঐ মন্ত্রণালয়ের পূর্ণ মন্ত্রী হিসাবে দায়িত্ব পালন করেন।
২০০১ সালের নির্বাচনে তিনি যশোর-৩ আসনের এমপি নির্বাচিত হন। বিএনপি’র মন্ত্রী পরিষদ গঠিত হলে তিনি বাংলাদেশ সরকারের খাদ্যমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। পরবর্তীতে তিনি তথ্য মন্ত্রণালয় এবং পরে বন ও পরিবেশ মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত হন। ২০০৯ সালে অনুষ্ঠিত দলের ৫ম কাউন্সিলে বিএনপি’র স্থায়ী কমিটির সদস্য পদ পান।
আজ ৪ নভেম্বর, ২০১৮ দীর্ঘদিন অসুস্থ থাকার পর বিকাল ৫ ঘটিকায় ঢাকা অ্যাপোলো হসপিটালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ইন্তেকাল করেন।
সারা যশোর জুড়ে বিভিন্ন মাদ্রাসায় এতিমদের মধ্যে খাবার বিতরণ করা হয়েছে। আজ মঙ্গলবার তার কবর জিয়ারত করা হবে পরিবারের পক্ষ থেকে।
																			
										

















