ঢাকা ১২:৩৬ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১৪ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
মুন্ডুমালা বাজারে অব্যবস্হাপনায় ও যানজটে জনজীবনে চরম দুর্ভোগ নেই সংযোগ সড়ক,২৭ লাখ টাকার সেতুতে উঠতে হয় মই বেয়ে নোয়াখালী সংগঠকদের নিয়ে এবি পাটির মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয় দুমকীতে গাঁজা সেবনে বৃদ্ধকে এক মাসের কারাদণ্ড দুমকীতে ডেঙ্গুর ছোবলে প্রাণ হারালেন ছাত্র হিজবুল্লাহ নেতা জাকারিয়া র‌্যাবের অভিযানে নীলফামারীর চাঞ্চল্যকর ধর্ষণ মামলার পলাতক অভিযুক্ত গ্রেফতার চুয়াডাঙ্গা জেলা কারাগারে হাজতির মৃত্যু মা ইলিশ সংরক্ষন অভিযান/২৫ উপজেলা টাস্কফোর্স কমিটির প্রস্তুতি সভা বিশ্ব নদী দিবসে সাতক্ষীরায় নৌকায় মানববন্ধন শৈলকূপায় হচ্ছে প্রবাসী কর্মীদের বিশাল প্রশিক্ষণ কেন্দ্র! ৮০টি কেন্দ্রের মেগা প্রকল্পে ভিআইপি অগ্রাধিকার ঝিনাইদহে

আগুনের ঝুঁকিতে গোটা যশোর

নিজেস্ব প্রতিনিধি
  • আপডেট সময় : ০৪:৩২:৩৫ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৬ মার্চ ২০২৪ ২০৯ বার পড়া হয়েছে

আগুনের ঝুঁকিতে গোটা যশোর
মো:আরিফুল ইসলাম
যশোর জেলা প্রতিনিধি।
অগ্নিকান্ডের ঝুঁকিতে রয়েছে গোটা যশোর। শহরের প্রায় কোন ভবনেই মানা হচ্ছে না ফায়ার সেফটি প্লান। বহুতল ভবন, বাণিজ্যিক সুপার মার্কেট, হোটেল ও রেস্তোরায় নেই কোন ফায়ার সেফটি ব্যবস্থা। ইতিমধ্যে যশোর ফায়ার সার্ভিস কর্তৃপক্ষ শহরের ৭শ’ ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও ভবনে অগ্নি নিরাপত্তা ব্যবস্থার জন্য নোটিশ দিয়েছে। কিন্তু তাদের এ নোটিশে কর্ণপাত করছেন না ভবন মালিকসহ ব্যবসায়ীরা।
গত ২৯ ফেব্রুয়ারি রাজধানী ঢাকার বেইলি রোডে গ্রিন কজি কটেজে ভয়াবহ অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটে। এ ভবনের সাততলা জুড়েই ছিল রেস্তোরা আর উঠানামার একমাত্র সিড়িতে ছিল সারি সারি এলপিজি গ্যাসের সিলিন্ডার। নিচতলার চা চুমুক রেস্তোরার সিড়িতে রাখা এলপিজি সিলিন্ডার লিক করে আগুন ধরে যায়। এতে মুহূর্তে আগুন সিড়িতে রাখা গ্যাস সিলিন্ডারের মাধ্যমে গোটা ভবনে ছড়িয়ে যায়। এসময় নিচে নামতে বা ছাদে উঠতে না পেরে আটকা পড়ে ৪৬ জন নিরীহ নারী, শিশু ও পুরুষ মৃত্যুবরণ করেন। নৃশংসতম এ আগুন ট্রাজেডি ও মৃুত্যর ঘটনা গোটা দেশের মানুষকে নাড়া দিয়েছে।
এ ঘটনার পর থেকে গোটা দেশের প্রশাসন ও ফায়ার সার্ভিস এন্ড সিভিল ডিফেন্স কর্তৃপক্ষ নড়েচড়ে বসেছে। তারা ঢাকাসহ সারাদেশে বহুতল ভবন, বাণিজ্যিক মার্কেট ও রেস্তোরায় অভিযান চালাচ্ছে এবং পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য নোটিশ প্রদান করছে। ইতিমধ্যে ঢাকায় কয়েকটি অপরিকল্পিত রেস্তোরা সিলগালা, মালিক ও ম্যানেজার আটকসহ কারাদণ্ড এবং জরিমানা করা হয়েছে।
এদিকে, যশোর রয়েছে ভয়াবহ অগ্নিকান্ডের ঝুঁকিতে। শহরের বিভিন্ন বহুতল ভবন, সুপার মার্কেট এবং হোটেল রেস্তোরায় নেই পর্যাপ্ত অগ্নি নির্বাপক ব্যবস্থা। বর্তমান পরিস্থিতিতে খোঁজ নিতে গিয়ে যশোর ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স কর্তৃপক্ষের হাতে ধরা পড়েছে এ জাতীয় নানা অনিয়মের চিত্র। শহরের বহুতল প্রায় কোন ভবনে নেই ফায়ার সেফটি প্লান। ঢাকায় ভয়াবহ অগ্নিকান্ডের পরও যশোরের বহুতল ভবন মালিক ও ব্যবসায়ীরা এ বিষয়ে কোন পদক্ষেপ গ্রহণ করছেন না। ফলে তালিকা করে একের পর এক নোটিশ দিয়ে যাচ্ছেন যশোর ফায়ার সার্ভিস কর্তৃপক্ষ।যশোর ফায়ার সার্ভিস সূত্রে জানা যায়, বর্তমানে অগ্নি নিরাপত্তা ঝুঁকিতে রয়েছে যশোর শহরের ৬৯২টি ভবন ও ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠান। এরমধ্যে বিভিন্ন ভবনের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান রয়েছে ৮৭ টি, হোটেল ও রেস্তোরা রয়েছে ৫৫টি, ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার, ফার্মেসিসহ ব্যবসা প্রতিষ্ঠান রয়েছে ৫০৫টি এবং ঝুকিঁপূর্ণ বহুতল ভবন রয়েছে ৪৫টি। এসব ভবন, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, মার্কেটগুলোতে ইতিমধ্যে ফায়ার সার্ভিস বিভাগ থেকে নোটিশ পাঠানো হয়েছে। একইসাথে ভবন মালিক কর্তৃপক্ষ পরবর্তী কি ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে সে বিষয়ে খোঁজ নিচ্ছে ও ঝুঁকিপূর্ণ ব্যবসা প্রতিষ্ঠান এবং ভবনের নতুন তালিকা করা হচ্ছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য

দৈনিক বাংলাদেশের চিত্র একটি অনলাইন নিউজ পোর্টাল। এই পত্রিকার মূল স্লোগান হলো "সত্য প্রকাশে আপোষহীন"।আমরা এ দেশের নিপীড়িত ও নির্যাতিত মানুষের কথা বলি।একজন অসহায় মানুষের পাশে দাড়িয়ে অন্যায় প্রতিরোধে সাহায্য করতে আমরা সর্বদা অঙ্গীকারবদ্ধ।দৈনিক বাংলাদেশের চিত্র পত্রিকা গনমানুষের কথা বলে।
ট্যাগস :

আগুনের ঝুঁকিতে গোটা যশোর

আপডেট সময় : ০৪:৩২:৩৫ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৬ মার্চ ২০২৪

আগুনের ঝুঁকিতে গোটা যশোর
মো:আরিফুল ইসলাম
যশোর জেলা প্রতিনিধি।
অগ্নিকান্ডের ঝুঁকিতে রয়েছে গোটা যশোর। শহরের প্রায় কোন ভবনেই মানা হচ্ছে না ফায়ার সেফটি প্লান। বহুতল ভবন, বাণিজ্যিক সুপার মার্কেট, হোটেল ও রেস্তোরায় নেই কোন ফায়ার সেফটি ব্যবস্থা। ইতিমধ্যে যশোর ফায়ার সার্ভিস কর্তৃপক্ষ শহরের ৭শ’ ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও ভবনে অগ্নি নিরাপত্তা ব্যবস্থার জন্য নোটিশ দিয়েছে। কিন্তু তাদের এ নোটিশে কর্ণপাত করছেন না ভবন মালিকসহ ব্যবসায়ীরা।
গত ২৯ ফেব্রুয়ারি রাজধানী ঢাকার বেইলি রোডে গ্রিন কজি কটেজে ভয়াবহ অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটে। এ ভবনের সাততলা জুড়েই ছিল রেস্তোরা আর উঠানামার একমাত্র সিড়িতে ছিল সারি সারি এলপিজি গ্যাসের সিলিন্ডার। নিচতলার চা চুমুক রেস্তোরার সিড়িতে রাখা এলপিজি সিলিন্ডার লিক করে আগুন ধরে যায়। এতে মুহূর্তে আগুন সিড়িতে রাখা গ্যাস সিলিন্ডারের মাধ্যমে গোটা ভবনে ছড়িয়ে যায়। এসময় নিচে নামতে বা ছাদে উঠতে না পেরে আটকা পড়ে ৪৬ জন নিরীহ নারী, শিশু ও পুরুষ মৃত্যুবরণ করেন। নৃশংসতম এ আগুন ট্রাজেডি ও মৃুত্যর ঘটনা গোটা দেশের মানুষকে নাড়া দিয়েছে।
এ ঘটনার পর থেকে গোটা দেশের প্রশাসন ও ফায়ার সার্ভিস এন্ড সিভিল ডিফেন্স কর্তৃপক্ষ নড়েচড়ে বসেছে। তারা ঢাকাসহ সারাদেশে বহুতল ভবন, বাণিজ্যিক মার্কেট ও রেস্তোরায় অভিযান চালাচ্ছে এবং পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য নোটিশ প্রদান করছে। ইতিমধ্যে ঢাকায় কয়েকটি অপরিকল্পিত রেস্তোরা সিলগালা, মালিক ও ম্যানেজার আটকসহ কারাদণ্ড এবং জরিমানা করা হয়েছে।
এদিকে, যশোর রয়েছে ভয়াবহ অগ্নিকান্ডের ঝুঁকিতে। শহরের বিভিন্ন বহুতল ভবন, সুপার মার্কেট এবং হোটেল রেস্তোরায় নেই পর্যাপ্ত অগ্নি নির্বাপক ব্যবস্থা। বর্তমান পরিস্থিতিতে খোঁজ নিতে গিয়ে যশোর ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স কর্তৃপক্ষের হাতে ধরা পড়েছে এ জাতীয় নানা অনিয়মের চিত্র। শহরের বহুতল প্রায় কোন ভবনে নেই ফায়ার সেফটি প্লান। ঢাকায় ভয়াবহ অগ্নিকান্ডের পরও যশোরের বহুতল ভবন মালিক ও ব্যবসায়ীরা এ বিষয়ে কোন পদক্ষেপ গ্রহণ করছেন না। ফলে তালিকা করে একের পর এক নোটিশ দিয়ে যাচ্ছেন যশোর ফায়ার সার্ভিস কর্তৃপক্ষ।যশোর ফায়ার সার্ভিস সূত্রে জানা যায়, বর্তমানে অগ্নি নিরাপত্তা ঝুঁকিতে রয়েছে যশোর শহরের ৬৯২টি ভবন ও ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠান। এরমধ্যে বিভিন্ন ভবনের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান রয়েছে ৮৭ টি, হোটেল ও রেস্তোরা রয়েছে ৫৫টি, ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার, ফার্মেসিসহ ব্যবসা প্রতিষ্ঠান রয়েছে ৫০৫টি এবং ঝুকিঁপূর্ণ বহুতল ভবন রয়েছে ৪৫টি। এসব ভবন, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, মার্কেটগুলোতে ইতিমধ্যে ফায়ার সার্ভিস বিভাগ থেকে নোটিশ পাঠানো হয়েছে। একইসাথে ভবন মালিক কর্তৃপক্ষ পরবর্তী কি ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে সে বিষয়ে খোঁজ নিচ্ছে ও ঝুঁকিপূর্ণ ব্যবসা প্রতিষ্ঠান এবং ভবনের নতুন তালিকা করা হচ্ছে।