ঢাকা ০৬:৩২ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১১ এপ্রিল ২০২৫, ২৮ চৈত্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
এলাকার প্রভাবশালী নেতার কারণে বলি হতে যাচ্ছে নবদম্পতির নতুন জীবন মাদারগঞ্জে ইউনিয়ন বিএনপির সম্মেলন বাতিলের দাবীতে প্রতিবাদ সমাবেশ ও বিক্ষোভ মিছিল  সাতক্ষীরায় এক নারীকে ডেকে নিয়ে ধর্ষণ, আদালতের নির্দেশে সদর থানায় মামলা জীবননগর থানাধীন শাহাপুর পুলিশ ক্যাম্প কর্তৃক মাদক বিরোধী অভিযানে ২০ পিস ইয়াবা ট্যাবলেট উদ্ধার গ্রেফতার-০১জন চাঞ্চল্যকর অপহরণ পলাতক আসামী গ্রেফতার: ভিকটিম উদ্ধার রাণীশংকৈলে বৈরী আবহাওয়ার কারণে শাপলা রানীর পরীক্ষা কেন্দ্রে পৌঁছাতে দেরী হয়ায় পরীক্ষা দেওয়া হলো না ঝিনাইদহে বিনামূল্যে পাট বীজ ও সার পেলেন ৮’শত কৃষক জাতীয়তাবাদী তরুণদল রংপুর বিভাগীয় পূর্ব কমিটি বিলুপ্তি ও নতুন কমিটির অনুমোদন সম্প্রীতির কালিগঞ্জ গড়ার প্রত্যয় ব্যক্ত করলেন কালিগঞ্জবাসী কৃষিগুচ্ছের সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন বাকৃবির, পরীক্ষা আগামী শনিবার

আগামী বাজেটে থাকছে কালো টাকা সাদা করার `বিরল“ সুযোগ

নিজেস্ব প্রতিবেদক
  • আপডেট সময় : ০৭:২৫:২২ অপরাহ্ন, বুধবার, ৫ জুন ২০২৪ ৫৬ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ রিয়াজ মিয়া

২০২০-২১ অর্থবছরে ১০ শতাংশ কর পরিশোধ সাপেক্ষ কালো টাকা বা অপ্রদর্শিত অর্থ সাদা করার সুযোগ দিয়েছিল সরকার। চার বছর পর আগামী ২০২৪-২৫ অর্থ বছরে আবারও কালো টাকা সাদা করার সুযোগ দেওয়া হচ্ছে বলে জানা গেছে।
প্রথমবারের মতো ব্যক্তি পর্যায়ের পাশাপাশি কোম্পানি বা প্রতিষ্ঠান কোনো রকম প্রশ্ন ছাড়াই কালো টাকা সাদা করতে পারবে। তাও আবার ১৫ শতাংশ হারে কর পরিশোধ করলেই বৈধতা নেওয়া যাবে। অর্থাৎ ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান যে কোনো প্ল্যাটফর্মে কালো টাকা সাদা করার সুযোগ থাকছে আগামী প্রস্তাবিত বাজেটে। বিগত দিনে কালো টাকা সাদার করার যত সুযোগ দেওয়া হয়, তা মূলত ব্যক্তি হিসেবে সুযোগ গ্রহণ করতে পারতো বলে জানা গেছে।

পরিসংখ্যান বিবেচনা করলে দেখা যায়, ২০২০-২১ অর্থ বছরে সর্বাধিক ২০ হাজার ২৪৬ কোটি টাকা সরাসরি বিনিয়োগের মাধ্যমে বৈধ করা হয়েছিল। ওই অর্থবছরেও ৯৮ শতাংশ করদাতা বিভিন্ন আমানত, এফডিআর, সঞ্চয়পত্র বা নগদ টাকার ওপর ১০ শতাংশ কর দিয়ে ঘোষণার মাধ্যমে সাদা বা বৈধ করার সুযোগ নিয়েছেন।
৪ বছর বিরতির পর সাধারণ ক্ষমার আওতায় আগামী অর্থবছরে ফেরত আসতে পারে অপ্রদর্শিত অর্থ বৈধ করার করার সুযোগ। এ বিষয়ে এনবিআরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা গণমাধ্যমকে বলেন, ১৫ শতাংশ কর পরিশোধ করে যে কেউ কালো টাকা টাকা সাদা করার সুযোগ পাবে, আগামী বাজেটে এমন বিধান যুক্ত করার প্রস্তাবনা থাকছে। অ্যামনেস্টি বা সাধারণ ক্ষমাসহ এ সুযোগ দেওয়ার ফলে অর্থের বিষয়ে কোনো সংস্থা প্রশ্ন করতে পারবে না।
অন্যদিকে বর্তমানে ব্যক্তি করদাতাদের সর্বোচ্চ করহার ২৫ শতাংশ, যা আগামী অর্থবছরে ৩০ শতাংশ করার পরিকল্পনা করছে এনবিআর। বর্তমানে আয়কর আইন অনুযায়ী, যেকোন করদাতা সর্বোচ্চ ২৫ শতাংশ কর দিয়ে এরসঙ্গে ১০ শতাংশ জরিমানা দিয়ে কালো টাকা সাদা করার সুযোগ নিতে পারে। তবে অর্থের উৎস নিয়ে প্রশ্ন করার সুযোগ রয়েছে। যে কোনো সংস্থা চাইলে পরবর্তী সময়ে ওই টাকার উৎস সম্পর্কে প্রশ্ন করতে পারবে।
স্বাধীনতার পর থেকে বিভিন্ন সরকার কালো টাকা সাদা করার সুযোগ দিয়ে আসছে। কিন্তু তেমন উল্লেখযোগ্যভাবে সাড়া না পাওয়ায় এসব উদ্যোগের বেশিরভাগই ব্যর্থ হয়েছে। কারণ সরকারের বিভিন্ন সংস্থাকে এসব অর্থের উৎস সম্পর্কে প্রশ্ন তোলার সুযোগ রাখা হয়েছিল। কালো টাকা সাদা করার সময় বা এ প্রক্রিয়া সম্পন্ন হওয়ার পরে কেউ যেন অর্থের উৎস সম্পর্কে প্রশ্ন না তুলতে পারে, এজন্য ২০২০ সালে সংশ্লিষ্ট আইন সংশোধন করে এনবিআর।
২০২০-২১ অর্থবছরে রেকর্ড প্রায় ২০ হাজার ৬৫০ কোটি অপ্রদর্শিত অর্থ বা কালো টাকা বৈধ বা সাদা হয়। যেখানে ১১ হাজার ৮৫৯ জন করদাতা কালো টাকা বৈধ করেছেন। যা দেশের স্বাধীনতার পর থেকে এক বছরের হিসাবে সর্বোচ্চ পরিমাণ। যাদের মধ্যে ৬০ শতাংশের বেশি ব্যাংকে রাখা বিভিন্ন আমানত, এফডিআর, সঞ্চয়পত্র বা নগদ টাকার ওপর ১০ শতাংশ কর দিয়ে ঘোষণা দিয়েছেন।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য

দৈনিক বাংলাদেশের চিত্র একটি অনলাইন নিউজ পোর্টাল। এই পত্রিকার মূল স্লোগান হলো "সত্য প্রকাশে আপোষহীন"।আমরা এ দেশের নিপীড়িত ও নির্যাতিত মানুষের কথা বলি।একজন অসহায় মানুষের পাশে দাড়িয়ে অন্যায় প্রতিরোধে সাহায্য করতে আমরা সর্বদা অঙ্গীকারবদ্ধ।দৈনিক বাংলাদেশের চিত্র পত্রিকা গনমানুষের কথা বলে।
ট্যাগস :

আগামী বাজেটে থাকছে কালো টাকা সাদা করার `বিরল“ সুযোগ

আপডেট সময় : ০৭:২৫:২২ অপরাহ্ন, বুধবার, ৫ জুন ২০২৪

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ রিয়াজ মিয়া

২০২০-২১ অর্থবছরে ১০ শতাংশ কর পরিশোধ সাপেক্ষ কালো টাকা বা অপ্রদর্শিত অর্থ সাদা করার সুযোগ দিয়েছিল সরকার। চার বছর পর আগামী ২০২৪-২৫ অর্থ বছরে আবারও কালো টাকা সাদা করার সুযোগ দেওয়া হচ্ছে বলে জানা গেছে।
প্রথমবারের মতো ব্যক্তি পর্যায়ের পাশাপাশি কোম্পানি বা প্রতিষ্ঠান কোনো রকম প্রশ্ন ছাড়াই কালো টাকা সাদা করতে পারবে। তাও আবার ১৫ শতাংশ হারে কর পরিশোধ করলেই বৈধতা নেওয়া যাবে। অর্থাৎ ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান যে কোনো প্ল্যাটফর্মে কালো টাকা সাদা করার সুযোগ থাকছে আগামী প্রস্তাবিত বাজেটে। বিগত দিনে কালো টাকা সাদার করার যত সুযোগ দেওয়া হয়, তা মূলত ব্যক্তি হিসেবে সুযোগ গ্রহণ করতে পারতো বলে জানা গেছে।

পরিসংখ্যান বিবেচনা করলে দেখা যায়, ২০২০-২১ অর্থ বছরে সর্বাধিক ২০ হাজার ২৪৬ কোটি টাকা সরাসরি বিনিয়োগের মাধ্যমে বৈধ করা হয়েছিল। ওই অর্থবছরেও ৯৮ শতাংশ করদাতা বিভিন্ন আমানত, এফডিআর, সঞ্চয়পত্র বা নগদ টাকার ওপর ১০ শতাংশ কর দিয়ে ঘোষণার মাধ্যমে সাদা বা বৈধ করার সুযোগ নিয়েছেন।
৪ বছর বিরতির পর সাধারণ ক্ষমার আওতায় আগামী অর্থবছরে ফেরত আসতে পারে অপ্রদর্শিত অর্থ বৈধ করার করার সুযোগ। এ বিষয়ে এনবিআরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা গণমাধ্যমকে বলেন, ১৫ শতাংশ কর পরিশোধ করে যে কেউ কালো টাকা টাকা সাদা করার সুযোগ পাবে, আগামী বাজেটে এমন বিধান যুক্ত করার প্রস্তাবনা থাকছে। অ্যামনেস্টি বা সাধারণ ক্ষমাসহ এ সুযোগ দেওয়ার ফলে অর্থের বিষয়ে কোনো সংস্থা প্রশ্ন করতে পারবে না।
অন্যদিকে বর্তমানে ব্যক্তি করদাতাদের সর্বোচ্চ করহার ২৫ শতাংশ, যা আগামী অর্থবছরে ৩০ শতাংশ করার পরিকল্পনা করছে এনবিআর। বর্তমানে আয়কর আইন অনুযায়ী, যেকোন করদাতা সর্বোচ্চ ২৫ শতাংশ কর দিয়ে এরসঙ্গে ১০ শতাংশ জরিমানা দিয়ে কালো টাকা সাদা করার সুযোগ নিতে পারে। তবে অর্থের উৎস নিয়ে প্রশ্ন করার সুযোগ রয়েছে। যে কোনো সংস্থা চাইলে পরবর্তী সময়ে ওই টাকার উৎস সম্পর্কে প্রশ্ন করতে পারবে।
স্বাধীনতার পর থেকে বিভিন্ন সরকার কালো টাকা সাদা করার সুযোগ দিয়ে আসছে। কিন্তু তেমন উল্লেখযোগ্যভাবে সাড়া না পাওয়ায় এসব উদ্যোগের বেশিরভাগই ব্যর্থ হয়েছে। কারণ সরকারের বিভিন্ন সংস্থাকে এসব অর্থের উৎস সম্পর্কে প্রশ্ন তোলার সুযোগ রাখা হয়েছিল। কালো টাকা সাদা করার সময় বা এ প্রক্রিয়া সম্পন্ন হওয়ার পরে কেউ যেন অর্থের উৎস সম্পর্কে প্রশ্ন না তুলতে পারে, এজন্য ২০২০ সালে সংশ্লিষ্ট আইন সংশোধন করে এনবিআর।
২০২০-২১ অর্থবছরে রেকর্ড প্রায় ২০ হাজার ৬৫০ কোটি অপ্রদর্শিত অর্থ বা কালো টাকা বৈধ বা সাদা হয়। যেখানে ১১ হাজার ৮৫৯ জন করদাতা কালো টাকা বৈধ করেছেন। যা দেশের স্বাধীনতার পর থেকে এক বছরের হিসাবে সর্বোচ্চ পরিমাণ। যাদের মধ্যে ৬০ শতাংশের বেশি ব্যাংকে রাখা বিভিন্ন আমানত, এফডিআর, সঞ্চয়পত্র বা নগদ টাকার ওপর ১০ শতাংশ কর দিয়ে ঘোষণা দিয়েছেন।