ঢাকা ১২:৫৪ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ০৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ২১ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
রাউজানে আশরাফিয়া আবুশাহ মিয়া জব্বারিয়া মঈনীয়া এতিমখানা ও হেফজখানা উদ্বোধন চট্টগ্রামে বাগীশিকের মাস্টার ট্রেইনার কর্মশালা সম্পন্ন সিবিসি পরীক্ষা”করতে না চাওয়ায় রোগীর মুখে থাপ্পড় চিকিৎসকের জামালপুরে গ্রেপ্তারকৃত যুব মহিলালীগ সভাপতি কারাগারে চুয়াডাঙ্গায় অনলাইন জুয়ার মাস্টার এজেন্টসহ গ্রেফতার-০২জন শ্যামনগর উপজেলায় তারেক জিয়া পরিষদের কমিটি অনুমোদন ৩য় তম বার্ষিকী দৈনিক সাতক্ষীরা সকাল শ্যামনগর থানা পুলিশের বিশেষ অভিযানে চুরি মামলার গ্রেফতার ২ শ্যামনগরে নারীদের মাঝে সেলাই মেশিন বিতরন রাণীশংকৈলে সামাজিক সম্প্রীতি বজায় রেখে শারদীয় দূর্গা পূজা পালন করা হবে সহকারী পুলিশ সুপার

“চুয়াডাঙ্গার ঠাকুরপুরের ঐতিহ্যবাহী মসজিদে বার্ষিক ইছালে সওয়াব আজ”

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৬:৪৬:০৩ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৫ ফেব্রুয়ারী ২০২৪ ১৯১ বার পড়া হয়েছে

“চুয়াডাঙ্গার ঠাকুরপুরের ঐতিহ্যবাহী মসজিদে বার্ষিক ইছালে সওয়াব আজ”

ঐতিহ্যবাহী ঠাকুরপুর মসজিদে বার্ষিক ইছালে সওয়াব অনুষ্ঠিত হবে আজ রবিবার। প্রতি বছরের বাংলা মাসের ১২ ফাল্গুন বার্ষিক ইছালে সওয়াব ও হালকায়ে জিকিরের আয়োজন করা হয়। এ মসজিদ নিয়ে রয়েছে নানা জনের নানা কল্পকথা। তবে কেউই নিশ্চিত করে বলতে পারেনি মসজিদের মূল কাহিনি।
চুয়াডাঙ্গা শহর থেকে প্রায় দু’কিলোমিটার দূরে অবস্থিত ঠাকুরপুর গ্রাম। প্রতি বছরের বাংলা মাসের ১২ ফাল্গুন বার্ষিক ইছালে সওয়াব ও হালকায়ে জিকিরের তথা বার্ষিক ওরশ আয়োজন করে এলাকাবাসী। খাতা-কলমে এবার ৯৯ বছর হলেও প্রবীণ ব্যক্তিরা জানান প্রায় ৩শ বছরেরও অধিক সময় ধরে হয়ে আসছে।
কালক্রমে অবশ্য নামও পরিবর্তনের সূত্রপাত ঘটেছে। স্থানটি কালক্রমে পীরগঞ্জ হিসেবেও পরিচিতি পেয়েছে। নাম পরিবর্তন অবশ্য স্থানীয়দের প্রচেষ্টারই ফসল। ঠাকুরপুরের নাম পীরগঞ্জ করার আড়ালে নিহীত রয়েছে ওই বিশাল আকৃতির গম্বুজের মসজিদটি। ইসলাম ধর্ম প্রচার করার জন্য যুগে যুগে এলাকায় আলো ছড়িয়েছেন যারা, তাদেরই একজন ছিলেন আফু শাহ্। নির্দিষ্ট করে বলা না গেলেও ১৬৯৮ সালে পশ্চিমবঙ্গ থেকে মাথাভাঙ্গা, নবগঙ্গা বেয়ে তিনি যে স্থানটি পছন্দ করে নোঙর গাড়েন, মালসামিয়ানা নামিয়ে আস্তানা গড়ে তোলেন, সেই স্থানটির নাম তখন ছিলো ঠাকুরপুর, এখন পীরগঞ্জ। এখানেই রয়েছে বড় গম্বুজের মসজিদ। হযরত আফু শাহ ছিলেন সাধক পুরুষ, গুণীজন। তাকে নিয়ে বহু আলোচনা রয়েছে। কথিত রয়েছে তারই বিশেষ গুণে মসজিদটি এক রাতেই নির্মিত হয়। এ মসজিদের মূল কাঠামো অক্ষুন্ন রেখেই পরবর্তীতে সংস্কার করা হয়েছে। সম্প্রসারণের পাশাপাশি আধুনিকায়নেরও ছোঁয়া লেগেছে বিভিন্ন সময় দায়িত্বে থাকা কমিটির নেতৃবৃন্দের বিশেষ উদ্যোগে। প্রধান ফটকটি টাইলস দিয়ে নির্মাণ করা হয়েছে যেমন, তেমনই মসজিদের অভ্যন্তর অংশেও লাগানো হয়েছে টাইলস, তৈরি করা হয়েছে ২য় তলা পর্যন্ত। এ মসজিদেই প্রতিবছর ইছালে সওয়াব হালকায়ে জিকিরের আয়োজন করা হয়।
আয়োজকরা জানান, এবার ইছালে সওয়াব হালকায়ে জিকিরের প্রধান বক্তা হিসেবে থাকছেন আন্তর্জাতিক খ্যাতি সম্পন্ন ইসলামীদ্বীন, মিডিয়া ব্যাক্তিত্ব ইসলামিক স্কলার হযরত মাওলানা আব্দুল্লহ্ আল-আমীন, ঢাকা। দ্বিতীয় বক্তা হিসেবে থাকছেন ঝিনাইদহ মহেশপুরের হযরত মাওলানা আব্দুল মুকিত সাহেব। বিশেষ বক্তা হিসেবে থাকছেন পীরগঞ্জ ঠাকুরপুর জামে মসজিদের ইমাম ও খতিব এবং চুয়াডাঙ্গা আদর্শ মহিলা কওমী মাদরাসার সিনিয়র মুহাদ্দিস মুফতি মুহাম্মদ আব্দুর রশীদ।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য

দৈনিক বাংলাদেশের চিত্র একটি অনলাইন নিউজ পোর্টাল। এই পত্রিকার মূল স্লোগান হলো "সত্য প্রকাশে আপোষহীন"।আমরা এ দেশের নিপীড়িত ও নির্যাতিত মানুষের কথা বলি।একজন অসহায় মানুষের পাশে দাড়িয়ে অন্যায় প্রতিরোধে সাহায্য করতে আমরা সর্বদা অঙ্গীকারবদ্ধ।দৈনিক বাংলাদেশের চিত্র পত্রিকা গনমানুষের কথা বলে।
ট্যাগস :

“চুয়াডাঙ্গার ঠাকুরপুরের ঐতিহ্যবাহী মসজিদে বার্ষিক ইছালে সওয়াব আজ”

আপডেট সময় : ০৬:৪৬:০৩ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৫ ফেব্রুয়ারী ২০২৪

“চুয়াডাঙ্গার ঠাকুরপুরের ঐতিহ্যবাহী মসজিদে বার্ষিক ইছালে সওয়াব আজ”

ঐতিহ্যবাহী ঠাকুরপুর মসজিদে বার্ষিক ইছালে সওয়াব অনুষ্ঠিত হবে আজ রবিবার। প্রতি বছরের বাংলা মাসের ১২ ফাল্গুন বার্ষিক ইছালে সওয়াব ও হালকায়ে জিকিরের আয়োজন করা হয়। এ মসজিদ নিয়ে রয়েছে নানা জনের নানা কল্পকথা। তবে কেউই নিশ্চিত করে বলতে পারেনি মসজিদের মূল কাহিনি।
চুয়াডাঙ্গা শহর থেকে প্রায় দু’কিলোমিটার দূরে অবস্থিত ঠাকুরপুর গ্রাম। প্রতি বছরের বাংলা মাসের ১২ ফাল্গুন বার্ষিক ইছালে সওয়াব ও হালকায়ে জিকিরের তথা বার্ষিক ওরশ আয়োজন করে এলাকাবাসী। খাতা-কলমে এবার ৯৯ বছর হলেও প্রবীণ ব্যক্তিরা জানান প্রায় ৩শ বছরেরও অধিক সময় ধরে হয়ে আসছে।
কালক্রমে অবশ্য নামও পরিবর্তনের সূত্রপাত ঘটেছে। স্থানটি কালক্রমে পীরগঞ্জ হিসেবেও পরিচিতি পেয়েছে। নাম পরিবর্তন অবশ্য স্থানীয়দের প্রচেষ্টারই ফসল। ঠাকুরপুরের নাম পীরগঞ্জ করার আড়ালে নিহীত রয়েছে ওই বিশাল আকৃতির গম্বুজের মসজিদটি। ইসলাম ধর্ম প্রচার করার জন্য যুগে যুগে এলাকায় আলো ছড়িয়েছেন যারা, তাদেরই একজন ছিলেন আফু শাহ্। নির্দিষ্ট করে বলা না গেলেও ১৬৯৮ সালে পশ্চিমবঙ্গ থেকে মাথাভাঙ্গা, নবগঙ্গা বেয়ে তিনি যে স্থানটি পছন্দ করে নোঙর গাড়েন, মালসামিয়ানা নামিয়ে আস্তানা গড়ে তোলেন, সেই স্থানটির নাম তখন ছিলো ঠাকুরপুর, এখন পীরগঞ্জ। এখানেই রয়েছে বড় গম্বুজের মসজিদ। হযরত আফু শাহ ছিলেন সাধক পুরুষ, গুণীজন। তাকে নিয়ে বহু আলোচনা রয়েছে। কথিত রয়েছে তারই বিশেষ গুণে মসজিদটি এক রাতেই নির্মিত হয়। এ মসজিদের মূল কাঠামো অক্ষুন্ন রেখেই পরবর্তীতে সংস্কার করা হয়েছে। সম্প্রসারণের পাশাপাশি আধুনিকায়নেরও ছোঁয়া লেগেছে বিভিন্ন সময় দায়িত্বে থাকা কমিটির নেতৃবৃন্দের বিশেষ উদ্যোগে। প্রধান ফটকটি টাইলস দিয়ে নির্মাণ করা হয়েছে যেমন, তেমনই মসজিদের অভ্যন্তর অংশেও লাগানো হয়েছে টাইলস, তৈরি করা হয়েছে ২য় তলা পর্যন্ত। এ মসজিদেই প্রতিবছর ইছালে সওয়াব হালকায়ে জিকিরের আয়োজন করা হয়।
আয়োজকরা জানান, এবার ইছালে সওয়াব হালকায়ে জিকিরের প্রধান বক্তা হিসেবে থাকছেন আন্তর্জাতিক খ্যাতি সম্পন্ন ইসলামীদ্বীন, মিডিয়া ব্যাক্তিত্ব ইসলামিক স্কলার হযরত মাওলানা আব্দুল্লহ্ আল-আমীন, ঢাকা। দ্বিতীয় বক্তা হিসেবে থাকছেন ঝিনাইদহ মহেশপুরের হযরত মাওলানা আব্দুল মুকিত সাহেব। বিশেষ বক্তা হিসেবে থাকছেন পীরগঞ্জ ঠাকুরপুর জামে মসজিদের ইমাম ও খতিব এবং চুয়াডাঙ্গা আদর্শ মহিলা কওমী মাদরাসার সিনিয়র মুহাদ্দিস মুফতি মুহাম্মদ আব্দুর রশীদ।