ঢাকা ০৭:১৫ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১৪ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
কুতুবদিয়া কালী মন্দিরে শারদীয় দুর্গাপূজা উপলক্ষে মতবিনিময় সভা রাজাপুরে ধানের শীষের পক্ষে গোলাম আজম সৈকতের গণসংযোগ শার্শায় সাংবাদিক মনি’র মুক্তির দাবিতে মানববন্ধন কাউখালি বেকুটিয়ায় বিশ্ব নদী দিবস ২০২৫ইং পালিত শাল্লায় বাংলাদেশ মাদ্রাসা শিক্ষক কর্মচারী ফোরাম’র উপজেলা শাখায় কমিটি গঠন করা হয় বিশ্ব নদী দিবস ২০২৫ উপলক্ষে গ্রীন ভয়েসের মানববন্ধন কুলিয়া চরবালিথা মুনষ্টার তরুণ সংঘের নবনির্বাচিত কমিটির সদস্যদের সংবর্ধনা উজিরপুরে বিএনপি নেতা বহিষ্কার: ধর্মীয় সম্প্রীতি ভাঙা ও কুকীর্তির গল্প শ্যামনগরে বিশ্ব নদী দিবসে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত পবিপ্রবিতে নারী শিক্ষার্থীদের জন্য নতুন সুযোগ-সুবিধা চালু

সিরাজগঞ্জের ৪ টি মাদ্রাসা থেকে ১ জন শিক্ষার্থীও পাশ করেনি

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ১১:৪৫:০৩ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৩ মে ২০২৪ ১০৯ বার পড়া হয়েছে

স্টাফ রিপোর্টার:-

সিরাজগঞ্জ জেলার উল্লাপাড়া উপজেলার এসএসসি বা সমমান পরীক্ষার প্রকাশিত ফলাফলে দেখা যায় ৪টি মাদ্রাসার মোট পরীক্ষার্থী ছিল ৫২ জন তারা সবাই অকৃতকার্য হয়েছে।

রোববার ফল প্রকাশের পর এ তথ্য জানা গেছে। পাস না করা প্রতিষ্ঠান ও পরিক্ষার্থীর সংখ্যা হলো,হাজী আহমেদ আলী দাখিল মাদ্রাসা ১৩ জন, বগুড়া দাখিল মাদ্রাসা ১৫ জন,বড় কোয়ালীবেড় দাখিল মাদ্রাসা ১২ জন ও এলংজানী দাখিল মাদ্রাসা ১২।

আলহাজ্ব আহমদ আলী দাখিল মাদ্রাসার সুপার মোঃ সেফায়েত উল্লাহ্ বলেন, প্রতিষ্ঠানটি ১৯৮৫ সালে প্রতিষ্ঠিত হলেও এমপিও হয় ১৯৯৮ সালে। প্রতি বছরই শিক্ষার্থীরা পাস করে। কিন্তু করোনার প্রভাব পরায় শিক্ষার্থীরা নিয়মিত ক্লাস না করা এবং মেয়েদের বাল্যবিয়ে হওয়াতে কেউ পাস করতে পারেনি। সোমবার (১৩ মে) সরেজমিনে গিয়ে কথা হয় ছাত্র ছাত্রী,অভিভাবকবৃন্দ ও এলাকার সাধারণ জনগনের সাথে, তাঁরা জানান সুপার সাহেবের চরম অবহেলার কারণে এমনটা হয়েছে। প্রায় দিনই তিনি মাদ্রাসায় অনুপস্থিত থাকেন।

বড় কোয়ালিবেড় দাখিল মাদ্রাসার সুপার শফিক উদ্দিন বলেন,মাদ্রাসাটি প্রত্যন্ত অঞ্চলে হওয়ায় বেশির ভাগ শিক্ষার্থীরাই প্রতিষ্ঠানে অনুপস্থিত থাকে। যার ফলে এবার কেউ পাস করতে পারেনি।

এলংজানী দাখিল মাদ্রাসার সুপার শাহাদৎ হোসেন বলেন,ক্লাস না করার ফলে সবাই ফেল করেছে। আর এ কারনেই আমরা এখন লজ্জিত।

বগুড়া দাখিল মাদ্রাসার সুপার আতিকুর রহমান জানান,শিক্ষার্থীরা ঠিকমতে পড়াশনা না করার কারণে ফেল করেছে। পড়াশনার জন্য বার বার তাগিদ দিয়েও কাজ হলো না। সবাই ফেল করলো। প্রতিষ্ঠানের সুনাম আর থাকলো না।

উল্লাপাড়া উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা এ,কে,এম শামছুল হক বলেন,ফেল করা স্ব স্ব প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।

উল্লাপাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সানজিদা সুলতানা বলেন , ফলাফল বিপর্যয়ের কারণ খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য

দৈনিক বাংলাদেশের চিত্র একটি অনলাইন নিউজ পোর্টাল। এই পত্রিকার মূল স্লোগান হলো "সত্য প্রকাশে আপোষহীন"।আমরা এ দেশের নিপীড়িত ও নির্যাতিত মানুষের কথা বলি।একজন অসহায় মানুষের পাশে দাড়িয়ে অন্যায় প্রতিরোধে সাহায্য করতে আমরা সর্বদা অঙ্গীকারবদ্ধ।দৈনিক বাংলাদেশের চিত্র পত্রিকা গনমানুষের কথা বলে।
ট্যাগস :

সিরাজগঞ্জের ৪ টি মাদ্রাসা থেকে ১ জন শিক্ষার্থীও পাশ করেনি

আপডেট সময় : ১১:৪৫:০৩ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৩ মে ২০২৪

স্টাফ রিপোর্টার:-

সিরাজগঞ্জ জেলার উল্লাপাড়া উপজেলার এসএসসি বা সমমান পরীক্ষার প্রকাশিত ফলাফলে দেখা যায় ৪টি মাদ্রাসার মোট পরীক্ষার্থী ছিল ৫২ জন তারা সবাই অকৃতকার্য হয়েছে।

রোববার ফল প্রকাশের পর এ তথ্য জানা গেছে। পাস না করা প্রতিষ্ঠান ও পরিক্ষার্থীর সংখ্যা হলো,হাজী আহমেদ আলী দাখিল মাদ্রাসা ১৩ জন, বগুড়া দাখিল মাদ্রাসা ১৫ জন,বড় কোয়ালীবেড় দাখিল মাদ্রাসা ১২ জন ও এলংজানী দাখিল মাদ্রাসা ১২।

আলহাজ্ব আহমদ আলী দাখিল মাদ্রাসার সুপার মোঃ সেফায়েত উল্লাহ্ বলেন, প্রতিষ্ঠানটি ১৯৮৫ সালে প্রতিষ্ঠিত হলেও এমপিও হয় ১৯৯৮ সালে। প্রতি বছরই শিক্ষার্থীরা পাস করে। কিন্তু করোনার প্রভাব পরায় শিক্ষার্থীরা নিয়মিত ক্লাস না করা এবং মেয়েদের বাল্যবিয়ে হওয়াতে কেউ পাস করতে পারেনি। সোমবার (১৩ মে) সরেজমিনে গিয়ে কথা হয় ছাত্র ছাত্রী,অভিভাবকবৃন্দ ও এলাকার সাধারণ জনগনের সাথে, তাঁরা জানান সুপার সাহেবের চরম অবহেলার কারণে এমনটা হয়েছে। প্রায় দিনই তিনি মাদ্রাসায় অনুপস্থিত থাকেন।

বড় কোয়ালিবেড় দাখিল মাদ্রাসার সুপার শফিক উদ্দিন বলেন,মাদ্রাসাটি প্রত্যন্ত অঞ্চলে হওয়ায় বেশির ভাগ শিক্ষার্থীরাই প্রতিষ্ঠানে অনুপস্থিত থাকে। যার ফলে এবার কেউ পাস করতে পারেনি।

এলংজানী দাখিল মাদ্রাসার সুপার শাহাদৎ হোসেন বলেন,ক্লাস না করার ফলে সবাই ফেল করেছে। আর এ কারনেই আমরা এখন লজ্জিত।

বগুড়া দাখিল মাদ্রাসার সুপার আতিকুর রহমান জানান,শিক্ষার্থীরা ঠিকমতে পড়াশনা না করার কারণে ফেল করেছে। পড়াশনার জন্য বার বার তাগিদ দিয়েও কাজ হলো না। সবাই ফেল করলো। প্রতিষ্ঠানের সুনাম আর থাকলো না।

উল্লাপাড়া উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা এ,কে,এম শামছুল হক বলেন,ফেল করা স্ব স্ব প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।

উল্লাপাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সানজিদা সুলতানা বলেন , ফলাফল বিপর্যয়ের কারণ খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।