ফাঁকা মাঠ ব্রিজ আছে কিন্তু সংযোগ সড়ক নেই

- আপডেট সময় : ০৩:৪৭:৪৮ অপরাহ্ন, বুধবার, ৮ মে ২০২৪ ১২২ বার পড়া হয়েছে

স্টাফ রিপোর্টারঃ
ব্রিজ আছে, কিন্তু একযুগের পার হলেও নেই কোনো সংযোগ সড়ক, বলছি সিরাজগঞ্জ জেলার রায়গঞ্জ উপজেলার-এক অভাগা ব্রিজের কথা।
মাঠের পর মাঠ ফসলি জমি মাঝখানে ঠায় নিয়ে দাঁড়িয়ে আছে একটি অভাগ ব্রিজ। ব্রিজের ওপর ওঠার জন্য নেই কোনো সংযোগ সড়ক। ব্রিজটি নির্মাণের এক যুগ পার হলেও নেই কোনো সংযোগ সড়ক। সংযোগ সড়কটি নির্মিত না হওয়ায় দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে হাজার হাজার মানুষকে।
সিরাজগঞ্জের রায়গঞ্জ উপজেলার নলকা ইউনিয়নের গাড়দহ ও বোয়ালিয়ার চর খালের উপর (২০১২-১৩) অর্থবছরে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রাণালয়ের অর্থায়নে প্রায় ৭৭ লাখ টাকা ব্যয়ে ব্রিজের নির্মাণ হলেও হয়নি সংযোগ সড়ক। ফলে ব্রিজের ওপর দিয়ে কোনো ধরনের যানবাহন ও মানুষ চলাচল করতে পারে না। গাড়দহ ও বোয়ালিয়ার চর গ্রামের মানুষ এ ব্রিজের ওপর দিয়ে না গিয়ে নিচের জমির ওপর দিয়ে তৈরি একটি সরু রাস্তা দিয়ে চলাচল করেন। আর বর্ষা মৌসুমে রাস্তাাটি ডুবে গেলে নৌকা দিয়ে চলাচল করতে হয় সাধারণ মানুষের।
এরান্দহ গ্রামের বাসিন্দা আব্দুল হাই অভিযোগ করে বলেন, ব্রিজটি নির্মাণ করলেও জনগণের কোনো উপকারে আসছে না। অবিলম্বে সেতুর দুই পাশে সংযোগ সড়ক নির্মাণ করে মানুষের চলাচল উপযোগী করার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে অনুরোধ জানান।
স্থানীয়রা জানান, উপজেলার নলকা ইউনিয়নের এরান্দহ, বোয়ালিয়ার চর, কাঁঠালবাড়ীয়া সহ আশপাশের কয়েকটি গ্রামের হাজার হাজার মানুষের চলাচলের জন্য এটিই একমাত্র রাস্তা বলে জানান।
ওই এলাকার আব্দুল আলীম নামের স্থানীয় এক মুদির দোকানদার বলেন, ‘সেতুর সঙ্গে কোনো রাস্তা না থাকায় বাজার থেকে দোকানের মালামাল সিএনজিচালিত অটোরিকশায় করে নেওয়া যায় না। মাথায় করে বাড়িতে আনতে হয়,কোন জিনিস ক্রয় বিক্রয় করলে মাথায় করে নিয়ে যেতে হয়,এতে অনেক কষ্ট হয়।
স্থানীয় বোয়ালিয়ার চর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রী ও শিক্ষকরা জানান, তারা প্রতিদিন এ সড়কের পাশে দিয়ে স্কুলে যান। এই ব্রিজে সংযোগ সড়ক না থাকায় বিকল্প রাস্তায় চলাচল করতে হয়। এতে প্রায় ৮/১০ কিলোমিটার রাস্তা বেশি অতিক্রম করতে হয়।
নলকা ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান (আবু বক্কর সিদ্দিক)বিষয়টি জানান, জনগণের জন্য ব্রিজটি নির্মাণ করা হলেও সংযোগ সড়ক না থাকায় মানুষ সুফল পাচ্ছেন না।
উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা গোলাম রব্বানী বলেন, এ বছর বরাদ্দ দিয়ে সেতুটির এপ্রোজের মাটি ভরাট করা হবে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোহাম্মদ নাহিদ হাসান বলেন, ত্রাণের অধিকাংশ সেতুর এপ্রোজের মাটি নেই। সেতুর তালিকা করে বরাদ্দ দিয়ে অচিরেই মাটি ভরাট করা হবে। বোয়ালিয়ার চর খালের উপর নির্মিত সেতুটি লোকজনের যাতায়াতের জন্য জরুরি। এ ব্যাপারে অচিরেই ব্যবস্থা নেওয়া হবে,বলে জানান।