ঢাকা ১০:২৩ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১০ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ২৬ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
বিশেষ অভিযানে অবৈধ বেহুন্দী,চড়গড়া জাল জব্দ ও বিনষ্ট শ্যামনগর থানা পুলিশের বিশেষ অভিযানে অপহরণ মামলার সাথে জড়িত অজ্ঞাতনামা পলাতক ০৩ আসামী গ্রেফতার শ্যামনগরে বাগদা চিংড়িতে জেলি পুশের সময় আটক ১ ও জরিমানা আদায় রাউজানে আদ্যাপীঠ মন্দিরে দুর্ধর্ষ চুরি সুনামগঞ্জের শাল্লায় স্বেচ্ছাসেবক দলের কর্মী সভা অনুষ্ঠিত পবিপ্রবিতে বিজয়-২৪ হলের নবীনবরণ অনুষ্ঠিত রাণীশংকৈলে ছেলের চুরির অভিযোগের অপবাদে বাবাকে কুপিয়ে হত্যা, গ্রেপ্তার ৫ সোনাগাজী মডেল থানায় ‘চুরি-ডাকাতি’ হয়, মামলা হয় না বাবা চুয়াডাঙ্গা জেলা গোয়েন্দা শাখা মাদক বিরোধী অভিযানে এক কেজি গাঁজা উদ্ধার গ্রেফতার-০১ জন

চুয়াডাঙ্গায় গ্রাম পুলিশকে বেধড়ক পেটালো ক্যাম্প আইসি

নিজেস্ব প্রতিনিধি
  • আপডেট সময় : ১০:৫৭:২৬ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ৩ মে ২০২৪ ১২৭ বার পড়া হয়েছে

মোঃ আসাদুজ্জামান আসাদ।
চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রতিনিধি:-

আলমডাঙ্গার মধুপুরে এক কিশোরী বধূর আত্মহত্যাকে পুঁজি করে আর্থিক লেনদেনের কথা চলছিল ক্যাম্প পুলিশ ও স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতাদের মধ্যে। কিন্তু স্থানীয় গ্রাম পুলিশের এক ফোনকল তাদের সব কৌশল ভেস্তে দেয়। লেনদেন ভেস্তে যাওয়ার ঘটনায় দোষী সাব্যস্ত করে ওই গ্রাম পুলিশকে বেধড়ক মারধরের অভিযোগ উঠেছে জামজামি ক্যাম্প পুলিশের ক্ষুদ্ধ ইনচার্জ (এসআই) শরিয়তউল্লাহর বিরুদ্ধে। গত মঙ্গলবার গ্রাম পুলিশ জাফিরুলকে ডেকে নিয়ে মারধর করেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।গত ২৮ এপ্রিল রবিবার বিকেলে আলমডাঙ্গা উপজেলার মধুপুর গ্রামে স্বামী ইমনের বাড়িতে কিশোরী বধূ ইসমত আরা (১৭) আত্মহত্যা করেন। ইসমত আরা আত্মহত্যার পর জামজামি ক্যাম্পের আইসি এসআই শরিয়তউল্লাহ থানার ওসিকে আত্মহত্যার ঘটনা না জানিয়ে গোপনে আপোষরফার চেষ্টা করেন বলে অভিযোগ উঠে। এ চেষ্টায় মধুপুর গ্রামের আওয়ামীলীগের কয়েকজন নেতা যোগ দেন। কিন্ত ক্যাম্পের আইসি ও আওয়ামীলীগ নেতার অর্থনৈতিক সব আয়োজন ভন্ডুল করে দেয় স্থানীয় গ্রাম পুলিশ জাফিরুল। তিনি নিজের ডিউটি ভেবে নিয়মমাফিক আত্মহত্যার ঘটনা থানার ওসিকে মোবাইলফোনে রিং দিয়ে জানিয়ে দেন। খবর পেয়ে থানা পুুলিশ গভীর রাতে লাশ উদ্ধার করে থানা হেফাজতে নেন। পরদিন সকালে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়। আর গ্রাম পুলিশের ওই এক মোবাইলফোনেই আইসির সব অর্থনৈতিক আয়োজন ভেস্তে যায়।
জাফিরুল জানান, এতে ক্যাম্পের আইসি ও স্থানীয় আওয়ামীলীগ নেতারা ভীষণ চটে যান তার ওপর। মঙ্গলবার রাতে মাঠের ভেতর এক ব্রীজের পাশে জাফিরুলকে ডেকে নেওয়া হয়। ‘‘তোর ওসি বাপকে কেন মোবাইল করেছিস? তোর ওসি বাপকে ডাক।’’ বলেই জাফিরুলকে বেধড়ক মারপিট করেন আইসি শরিয়তউল্লাহ। এসময় ক্যাম্পের কনস্টেবল আনোয়ারও জাফিরুলকে মারতে থাকেন।
নির্যাতিত গ্রাম পুলিশ জাফিরুল বলেন, ‘আমাদের গ্রামে ইমনের স্ত্রী আত্মহত্যা করে। আমি ডিউটি মনে করে ওসিকে জানায়। এতেই আইসি রেগে গিয়ে তোর ওসি বাপকে ডাক বলেই আমাকে মারধর শুরু করেন। কনস্টেবল আনোয়ার আমার মোবাইলফোন কেড়ে নেন। এ ঘটনায় আমি থানায় লিখিত অভিযোগ করেছি।’
এ ব্যাপারে জামজামী ক্যাম্পের আইসি শরিয়তউল্লাহ নিজের অপরাধ স্বীকার করে বলেন, ‘আত্মহত্যার ঘটনা গ্রাম পুলিশ জাফিরুল প্রথমে আমাকে না জানিয়ে ওসিকে জানান। এতে আমি রেগে গিয়ে একটু মারধর করেছি। পরে আমি ভুল বুঝতে পেরেছি।’ তিনি এই বিষয়টি পত্রিকায় নিউজ না করতেও সাংবাদিককে অনুরোধ করেন। আলমডাঙ্গা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শেখ আব্দুল গণি জানান, এ বিষয়টি সম্পর্কে আমি অবগত নই।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য

দৈনিক বাংলাদেশের চিত্র একটি অনলাইন নিউজ পোর্টাল। এই পত্রিকার মূল স্লোগান হলো "সত্য প্রকাশে আপোষহীন"।আমরা এ দেশের নিপীড়িত ও নির্যাতিত মানুষের কথা বলি।একজন অসহায় মানুষের পাশে দাড়িয়ে অন্যায় প্রতিরোধে সাহায্য করতে আমরা সর্বদা অঙ্গীকারবদ্ধ।দৈনিক বাংলাদেশের চিত্র পত্রিকা গনমানুষের কথা বলে।
ট্যাগস :

চুয়াডাঙ্গায় গ্রাম পুলিশকে বেধড়ক পেটালো ক্যাম্প আইসি

আপডেট সময় : ১০:৫৭:২৬ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ৩ মে ২০২৪

মোঃ আসাদুজ্জামান আসাদ।
চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রতিনিধি:-

আলমডাঙ্গার মধুপুরে এক কিশোরী বধূর আত্মহত্যাকে পুঁজি করে আর্থিক লেনদেনের কথা চলছিল ক্যাম্প পুলিশ ও স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতাদের মধ্যে। কিন্তু স্থানীয় গ্রাম পুলিশের এক ফোনকল তাদের সব কৌশল ভেস্তে দেয়। লেনদেন ভেস্তে যাওয়ার ঘটনায় দোষী সাব্যস্ত করে ওই গ্রাম পুলিশকে বেধড়ক মারধরের অভিযোগ উঠেছে জামজামি ক্যাম্প পুলিশের ক্ষুদ্ধ ইনচার্জ (এসআই) শরিয়তউল্লাহর বিরুদ্ধে। গত মঙ্গলবার গ্রাম পুলিশ জাফিরুলকে ডেকে নিয়ে মারধর করেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।গত ২৮ এপ্রিল রবিবার বিকেলে আলমডাঙ্গা উপজেলার মধুপুর গ্রামে স্বামী ইমনের বাড়িতে কিশোরী বধূ ইসমত আরা (১৭) আত্মহত্যা করেন। ইসমত আরা আত্মহত্যার পর জামজামি ক্যাম্পের আইসি এসআই শরিয়তউল্লাহ থানার ওসিকে আত্মহত্যার ঘটনা না জানিয়ে গোপনে আপোষরফার চেষ্টা করেন বলে অভিযোগ উঠে। এ চেষ্টায় মধুপুর গ্রামের আওয়ামীলীগের কয়েকজন নেতা যোগ দেন। কিন্ত ক্যাম্পের আইসি ও আওয়ামীলীগ নেতার অর্থনৈতিক সব আয়োজন ভন্ডুল করে দেয় স্থানীয় গ্রাম পুলিশ জাফিরুল। তিনি নিজের ডিউটি ভেবে নিয়মমাফিক আত্মহত্যার ঘটনা থানার ওসিকে মোবাইলফোনে রিং দিয়ে জানিয়ে দেন। খবর পেয়ে থানা পুুলিশ গভীর রাতে লাশ উদ্ধার করে থানা হেফাজতে নেন। পরদিন সকালে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়। আর গ্রাম পুলিশের ওই এক মোবাইলফোনেই আইসির সব অর্থনৈতিক আয়োজন ভেস্তে যায়।
জাফিরুল জানান, এতে ক্যাম্পের আইসি ও স্থানীয় আওয়ামীলীগ নেতারা ভীষণ চটে যান তার ওপর। মঙ্গলবার রাতে মাঠের ভেতর এক ব্রীজের পাশে জাফিরুলকে ডেকে নেওয়া হয়। ‘‘তোর ওসি বাপকে কেন মোবাইল করেছিস? তোর ওসি বাপকে ডাক।’’ বলেই জাফিরুলকে বেধড়ক মারপিট করেন আইসি শরিয়তউল্লাহ। এসময় ক্যাম্পের কনস্টেবল আনোয়ারও জাফিরুলকে মারতে থাকেন।
নির্যাতিত গ্রাম পুলিশ জাফিরুল বলেন, ‘আমাদের গ্রামে ইমনের স্ত্রী আত্মহত্যা করে। আমি ডিউটি মনে করে ওসিকে জানায়। এতেই আইসি রেগে গিয়ে তোর ওসি বাপকে ডাক বলেই আমাকে মারধর শুরু করেন। কনস্টেবল আনোয়ার আমার মোবাইলফোন কেড়ে নেন। এ ঘটনায় আমি থানায় লিখিত অভিযোগ করেছি।’
এ ব্যাপারে জামজামী ক্যাম্পের আইসি শরিয়তউল্লাহ নিজের অপরাধ স্বীকার করে বলেন, ‘আত্মহত্যার ঘটনা গ্রাম পুলিশ জাফিরুল প্রথমে আমাকে না জানিয়ে ওসিকে জানান। এতে আমি রেগে গিয়ে একটু মারধর করেছি। পরে আমি ভুল বুঝতে পেরেছি।’ তিনি এই বিষয়টি পত্রিকায় নিউজ না করতেও সাংবাদিককে অনুরোধ করেন। আলমডাঙ্গা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শেখ আব্দুল গণি জানান, এ বিষয়টি সম্পর্কে আমি অবগত নই।