মধুখালীতে দুই ভাইকে পিটিয়ে হত্যার ঘটনায় দোষীদের সর্বচ্চ শাস্তির আওতায় আনা হবে- মৎস ও প্রানী সম্পদ মন্ত্রী

- আপডেট সময় : ০৩:১৩:৩০ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪ ৯৪ বার পড়া হয়েছে

স্টাফ রিপোর্টার:-
ফরিদপুরের মধুখালী পঞ্চপল্লীতে প্রতিমার কাপড়ে আগুন লাগার সুত্র নিয়ে সন্দেহবসত নির্মান শ্রমিক দুই ভাই কে পিটিয়ে হত্যার ঘটনা দুঃজনক ও হৃদয় বিদারক।
এই ঘটনার সাথে যারা জড়িত তাদের বেশ কয়েকজন গ্রেপ্তার হয়েছে বাকীদেরও আটকের জন্য অভিযান চলছে। এই বাংলার মাটিতে দোষীদের দৃষ্টান্ত মুলক শাস্তি কার্যকর করা হবে। যা দেখে আগামীতে কেউ এমন অপরাধ করার সাহস যাতে না পায়।
বুধবার সন্ধ্যায় ফরিদপুর-১ আসনের এমপি ও মৎস ও প্রানী সম্পদ মন্ত্রী আবদুর রহমান তার নির্বাচনী এলাকায় এসে মধুখালী উপজেলার নওপাড়া চোপেরঘাট গ্রামে নিহত সহদরের বাড়িতে পরিবারের সাথে দেখা করে এসব কথা বলেন।
এসময় মন্ত্রী আরো বলেন, তবে এই ঘটনার পিছনে অন্য কোন চক্রান্ত থাকতে পারে। সুতারাং এই চক্রান্ত কারা, কেন করেছে তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে গতকাল মঙ্গলবার মহাসড়ক অবরোধ করে পুলিশের উপর হামলার মধ্য দিয়ে তারা আবার আরেকটা ঘটনার জন্ম দিতে চেয়েছিল। এই দেশ সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির বাংলাদেশ, কেউ ধর্যহারা হবেন না। প্রশাসন তদন্ত করে সকল দোষীদের আইনের আওতায় আনবে।
পরে তিনি ঘটনাস্থল ডুমাইন ইউনিয়নের কৃষ্ণনগর পঞ্চপল্লী স্কুল ও মন্দির পরিদর্শন করেন।
এসময় জেলা প্রশাসক কামরুল আহসান তালুকদার, পুলিশ সুপার মোর্শেদ আলম, জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি শামিম হক, সাধারণ সম্পাদক ইশতিয়াক আরিফসহ বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য, গত ১৮ এপ্রিল রাতে জেলার মধুখালী উপজেলার ডুমাইন ইউনিয়নের কৃষ্ণনগর গ্রামের পঞ্চপল্লীতে প্রতিমায় আগুন লাগার ঘটনাকে কেন্দ্র করে সন্দেহ জনকভাবে বিক্ষুব্ধ কিছু লোক স্কুল রুমের মধ্যে হাত বেধে মারপিটে দুই শ্রমিক নিহত হয়। এছাড়া আরো ৫ শ্রমিক জন আহত হয়। এ ঘটনায় তিনটি মামলা দায়ের করা হয়। অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিষ্ট্রেট কে প্রধান করে তিন সদস্য বিশিষ্ট কমিটি গঠন করেছে জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ কামরুল আহসান তালুকদার। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে রাখতে ৪ প্লাটুন বিজিবিসহ অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়ান রাখা হয়েছে।