ঢাকা ১১:৫৯ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১৪ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
নতুন কুঁড়ি ও মার্কস অলরাউন্ডার কৃতিত্বে ফেনীর দুই শিক্ষার্থী কুতুবদিয়া কালী মন্দিরে শারদীয় দুর্গাপূজা উপলক্ষে মতবিনিময় সভা রাজাপুরে ধানের শীষের পক্ষে গোলাম আজম সৈকতের গণসংযোগ শার্শায় সাংবাদিক মনি’র মুক্তির দাবিতে মানববন্ধন কাউখালি বেকুটিয়ায় বিশ্ব নদী দিবস ২০২৫ইং পালিত শাল্লায় বাংলাদেশ মাদ্রাসা শিক্ষক কর্মচারী ফোরাম’র উপজেলা শাখায় কমিটি গঠন করা হয় বিশ্ব নদী দিবস ২০২৫ উপলক্ষে গ্রীন ভয়েসের মানববন্ধন কুলিয়া চরবালিথা মুনষ্টার তরুণ সংঘের নবনির্বাচিত কমিটির সদস্যদের সংবর্ধনা উজিরপুরে বিএনপি নেতা বহিষ্কার: ধর্মীয় সম্প্রীতি ভাঙা ও কুকীর্তির গল্প শ্যামনগরে বিশ্ব নদী দিবসে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত

ফরিপুরের বেইলি ব্রিজ অপসারণ করে স্থায়ী ব্রিজ নির্মাণ দাবিতে মানববন্ধন

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০১:৫১:৩২ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪ ১২৪ বার পড়া হয়েছে

স্টাফ রিপোর্টার:-

ফরিদপুর শহরের প্রাণকেন্দ্রে কুমার নদের উপর স্থাপিত আলীমুজ্জামান বেইলি ব্রিজ অপসারণ করে স্থায়ী ব্রিজ নির্মাণের দাবিতে মানববন্ধন করা হয়েছে।

আজ বুধবার (২৪ এপ্রিল) দুপুরে ব্রিজের পশ্চিম পাড়ে মুজিব সড়কে অনুষ্ঠিত এ মানববন্ধনে শহরের বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ অংশ নেন। মানববন্ধনে বক্তব্য দেন হাজী শরীয়তুল্লাহ বাজারের ব্যবসায়ী মোহাম্মদ জিয়াউর রহমান, মোহাম্মদ দেলোয়ার হোসেন, ফিরোজ হোসেন, মোহাম্মদ মোস্তফা, শাহজাহান সিরাজ চুন্নু, ইঞ্জিনিয়ার রিয়াজুল ইসলাম, ইঞ্জিনিয়ার মোহাম্মদ শহিদুল ইসলাম টুটুল প্রমুখ।

অংশগ্রহণকারীরা বলেন, ফরিদপুর শহরের সবচেয়ে প্রাচীন এই সেতুটি কুমার নদের দুই পাড়ে মুজিব সড়কের সংযোগ সেতু। ৮৮ সালের বন্যায় ব্রিজটি ধ্বসে যাওয়ার পরে এখানে অস্থায়ী বেইলি ব্রিজ নির্মাণ করা হয়। এরপর থেকে এই ব্রিজ দিয়ে যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। এতে শহরের মানুষ বাইপাস ব্রিজ দিয়ে চলাচল করতে বাধ্য হন।

তারা বলেন, বেইলি ব্রিজ একটি অস্থায়ী ব্যবস্থা। অথচ ৩৬ বছর পেরিয়ে গেলেও এই অস্থায়ী ব্যবস্থাই জেঁকে বসেছে শহরের বুকে।
পরিকল্পিত নগরায়নের পথে এই অস্থায়ী লোহার ব্রিজটি বড় বাধা উল্লেখ করে তারা বলেন, এমন একটি বেঢপ ব্রিজের কারণে শহরে পরিকল্পিত যান চলাচল ব্যবস্থা গড়ে উঠছে না। এটি স্মার্ট সিটি নির্মাণের বড় অন্তরায়।

তারা বলেন, শহরে যানজট নিরসণ সহ ক্রমবর্ধমান জনসংখ্যার কারণে এখানে একটি স্থায়ী ব্রিজ নির্মাণ জরুরি হয়ে পড়েছে। আমরা চাই স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও প্রশাসনের কর্মকর্তাগণ এবিষয়ে কার্যকর ব্যবস্থা নিবেন। তারা অবিলম্বে এখানে প্রশস্ত আকারে যান চলাচলের উপযোগী একটি স্মার্ট ব্রিজ নির্মাণের জোর দাবি জানান।

প্রসঙ্গত, ১৯৩৫ সালে ফরিদপুর জেলা পরিষদের তৎকালীন চেয়ারম্যান খান বাহাদুর আলীমুজ্জামান চৌধুরী কুমার নদের বুকে শহরের দুই প্রান্তের সংযোগবর্তী এই আলীমুজ্জামান ব্রিজটি নির্মাণ করেন। ৮৮’র বন্যায় ব্রিজটি ধ্বসে যাওয়ার পরে ৯৩ সালের দিকে এখানে অস্থায়ী বেইলি ব্রিজ তৈরি করা হয়। ব্রিজের দুই পাড়ে শহরের ব্যস্ততম তিতুমীর মার্কেট ও হাজী শরীয়তুল্লাহ বাজার অবস্থিত। ব্রিজটিতে যান চলাচল বন্ধ থাকায় নিদারুণ দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে শহরবাসীকে।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য

দৈনিক বাংলাদেশের চিত্র একটি অনলাইন নিউজ পোর্টাল। এই পত্রিকার মূল স্লোগান হলো "সত্য প্রকাশে আপোষহীন"।আমরা এ দেশের নিপীড়িত ও নির্যাতিত মানুষের কথা বলি।একজন অসহায় মানুষের পাশে দাড়িয়ে অন্যায় প্রতিরোধে সাহায্য করতে আমরা সর্বদা অঙ্গীকারবদ্ধ।দৈনিক বাংলাদেশের চিত্র পত্রিকা গনমানুষের কথা বলে।
ট্যাগস :

ফরিপুরের বেইলি ব্রিজ অপসারণ করে স্থায়ী ব্রিজ নির্মাণ দাবিতে মানববন্ধন

আপডেট সময় : ০১:৫১:৩২ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪

স্টাফ রিপোর্টার:-

ফরিদপুর শহরের প্রাণকেন্দ্রে কুমার নদের উপর স্থাপিত আলীমুজ্জামান বেইলি ব্রিজ অপসারণ করে স্থায়ী ব্রিজ নির্মাণের দাবিতে মানববন্ধন করা হয়েছে।

আজ বুধবার (২৪ এপ্রিল) দুপুরে ব্রিজের পশ্চিম পাড়ে মুজিব সড়কে অনুষ্ঠিত এ মানববন্ধনে শহরের বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ অংশ নেন। মানববন্ধনে বক্তব্য দেন হাজী শরীয়তুল্লাহ বাজারের ব্যবসায়ী মোহাম্মদ জিয়াউর রহমান, মোহাম্মদ দেলোয়ার হোসেন, ফিরোজ হোসেন, মোহাম্মদ মোস্তফা, শাহজাহান সিরাজ চুন্নু, ইঞ্জিনিয়ার রিয়াজুল ইসলাম, ইঞ্জিনিয়ার মোহাম্মদ শহিদুল ইসলাম টুটুল প্রমুখ।

অংশগ্রহণকারীরা বলেন, ফরিদপুর শহরের সবচেয়ে প্রাচীন এই সেতুটি কুমার নদের দুই পাড়ে মুজিব সড়কের সংযোগ সেতু। ৮৮ সালের বন্যায় ব্রিজটি ধ্বসে যাওয়ার পরে এখানে অস্থায়ী বেইলি ব্রিজ নির্মাণ করা হয়। এরপর থেকে এই ব্রিজ দিয়ে যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। এতে শহরের মানুষ বাইপাস ব্রিজ দিয়ে চলাচল করতে বাধ্য হন।

তারা বলেন, বেইলি ব্রিজ একটি অস্থায়ী ব্যবস্থা। অথচ ৩৬ বছর পেরিয়ে গেলেও এই অস্থায়ী ব্যবস্থাই জেঁকে বসেছে শহরের বুকে।
পরিকল্পিত নগরায়নের পথে এই অস্থায়ী লোহার ব্রিজটি বড় বাধা উল্লেখ করে তারা বলেন, এমন একটি বেঢপ ব্রিজের কারণে শহরে পরিকল্পিত যান চলাচল ব্যবস্থা গড়ে উঠছে না। এটি স্মার্ট সিটি নির্মাণের বড় অন্তরায়।

তারা বলেন, শহরে যানজট নিরসণ সহ ক্রমবর্ধমান জনসংখ্যার কারণে এখানে একটি স্থায়ী ব্রিজ নির্মাণ জরুরি হয়ে পড়েছে। আমরা চাই স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও প্রশাসনের কর্মকর্তাগণ এবিষয়ে কার্যকর ব্যবস্থা নিবেন। তারা অবিলম্বে এখানে প্রশস্ত আকারে যান চলাচলের উপযোগী একটি স্মার্ট ব্রিজ নির্মাণের জোর দাবি জানান।

প্রসঙ্গত, ১৯৩৫ সালে ফরিদপুর জেলা পরিষদের তৎকালীন চেয়ারম্যান খান বাহাদুর আলীমুজ্জামান চৌধুরী কুমার নদের বুকে শহরের দুই প্রান্তের সংযোগবর্তী এই আলীমুজ্জামান ব্রিজটি নির্মাণ করেন। ৮৮’র বন্যায় ব্রিজটি ধ্বসে যাওয়ার পরে ৯৩ সালের দিকে এখানে অস্থায়ী বেইলি ব্রিজ তৈরি করা হয়। ব্রিজের দুই পাড়ে শহরের ব্যস্ততম তিতুমীর মার্কেট ও হাজী শরীয়তুল্লাহ বাজার অবস্থিত। ব্রিজটিতে যান চলাচল বন্ধ থাকায় নিদারুণ দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে শহরবাসীকে।