ঢাকা ০১:৩৬ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১৪ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
নতুন কুঁড়ি ও মার্কস অলরাউন্ডার কৃতিত্বে ফেনীর দুই শিক্ষার্থী কুতুবদিয়া কালী মন্দিরে শারদীয় দুর্গাপূজা উপলক্ষে মতবিনিময় সভা রাজাপুরে ধানের শীষের পক্ষে গোলাম আজম সৈকতের গণসংযোগ শার্শায় সাংবাদিক মনি’র মুক্তির দাবিতে মানববন্ধন কাউখালি বেকুটিয়ায় বিশ্ব নদী দিবস ২০২৫ইং পালিত শাল্লায় বাংলাদেশ মাদ্রাসা শিক্ষক কর্মচারী ফোরাম’র উপজেলা শাখায় কমিটি গঠন করা হয় বিশ্ব নদী দিবস ২০২৫ উপলক্ষে গ্রীন ভয়েসের মানববন্ধন কুলিয়া চরবালিথা মুনষ্টার তরুণ সংঘের নবনির্বাচিত কমিটির সদস্যদের সংবর্ধনা উজিরপুরে বিএনপি নেতা বহিষ্কার: ধর্মীয় সম্প্রীতি ভাঙা ও কুকীর্তির গল্প শ্যামনগরে বিশ্ব নদী দিবসে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত

প্রচন্ড তাপপ্রবাহের কারণে পর্যটকশূন্য কুয়াকাটা জনজীবনে অস্বস্তি

নিজেস্ব প্রতিনিধি
  • আপডেট সময় : ১০:৫৬:১৬ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪ ১২৫ বার পড়া হয়েছে

আশরাফ উদ্দিন বরিশাল জেলা প্রতিনিধিঃ-

প্রতিনিধিঃঅস্বাভাবিক তাপমাত্রার কারণে এবং অসহ্য গরমে পর্যটকশূন্য হয়ে পড়েছে পর্যটন কেন্দ্র কুয়াকাটা। কোথাও নেই পর্যটকদের কোলাহল। সৈকতজুড়ে শুধু ধু-ধু বালুচর। দীর্ঘ ১৮ কিলোমিটার সৈকতজুড়ে বিরাজ করছে সুনসান নীরবতা।অস্বাভাবিক তাপমাত্রার কারণে কুয়াকাটা পর্যটনকেন্দ্রে কমে গেছে পর্যটক। দীর্ঘ সরকারি ছুটিতেও মিলছে না কাঙ্ক্ষিত পর্যটক।মঙ্গলবার তোলা ছবি। আজকের পত্রিকা ঈদুল ফিতরের পর চলে গেল পহেলা বৈশাখ। কিন্তু দীর্ঘ এ ছুটিতে কাঙ্ক্ষিত পর্যটক আসেনি পর্যটনকেন্দ্র কুয়াকাটায়। স্থানীয় ব্যবসায়ী, উদ্যোক্তারা বলেছেন, অস্বাভাবিক তাপপ্রবাহের কারণে এবার পর্যটক কমেছে।স্থানীয়রা বলেছেন, প্রতিদিন এখানে অনেক দর্শনার্থীদের আগমন ঘটত। সকাল, দুপুর, বিকাল কিংবা গভীর রাত পর্যন্ত পর্যটকদের পদচারণায় সাগরতট থাকত মুখরিত। পর্যটন স্পটগুলোতেও ছিল পর্যটকের উপচেপড়া ভিড়। সাগরের ঢেউ গর্জন করে তীরে আঁছড়ে পড়ছে। দেখলে মনে হয় যেন এসব মনোরম দৃশ্য দেখার কেউ নেই। কিছু পর্যটক থাকলেও তারা দিনের বেলা হোটেল থেকে বের হচ্ছে না প্রচন্ড গরমের কারণে। পর্যটনসংশ্লিষ্ট ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলো হয়ে পড়েছে একেবারে গ্রাহকহীন। এদিকে কলাপাড়াসহ উপকূলজুড়ে অসহ্য তাপপ্রবাহে জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। বৈদ্যুতিক পাখার বাতাসেও মিলছে না স্বস্তি।প্রচন্ড গরমের কারণে সবচাইতে বেশি সমস্যায় পড়েছেন খেটে খাওয়া দিনমজুর লোকগুলো।তীব্র তাপদাহে দিশেহারা দেশের বিস্তীর্ণ এলাকার চাষিরা। গত এক সপ্তাহের বেশি সময় ধরে গরমে ঝলসে যাচ্ছে ফসল। গভীর নলকূপ ও পাম্প থেকে সেচ দিয়েও পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখা যাচ্ছে না। জমিতে পানি দিলেও নিমেষে তা মাটির গভীরে চলে যাচ্ছে। তীব্র রোদে ঝরে যাচ্ছে গাছের আম, লিচু, লেবু ও কাঁঠাল। দেখা দিচ্ছে পানি বাহিত বিভিন্ন রোগ।হোটেল গ্রান্ড সাফা ইন্রে ম্যানেজানর মো. সাইদুর রহমান জানান, প্রচন্ড গরমের কারণে কুয়াকাটা পর্যটক নেই। বর্তমানে হোটেলের বিদ্যুৎ বিল ও কর্মচারীদের বেতন পরিশোধ করা দুষ্কর হয়ে পড়েছে।জেলে মোঃ হারুন বলেন, ৩০ বছরের বেশি সময় ধরে সাগরে মাছ ধরি। কিন্তু প্রতিবছর এত তাপ থাকে না। চৈত্র-বৈশাখ মাসে দক্ষিণ কিংবা পূর্বে বাতাস হওয়ার কথা। ঋতু পরিবর্তনের কারণে কুয়াকাটায় বসবাস কঠিন হয়ে পড়ছে।কুয়াকাটা হোটেল-মোটেল ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক মোতালেব শরীফ বলেন, গরমে পর্যটক এসে অতিষ্ঠ হয়ে পড়ছেন। যে কারণে মানুষ এসে টিকতে পারছেন না। ঈদুল ফিতর উপলক্ষে কিছু ট্যুরিস্ট আসছিল এরপর থেকে প্রচন্ড গরমের কারণে বর্তমানে হোটেল-মোটেলের সিট ফাঁকা রয়েছে।সাগরের পাড়ে এসে মানুষ উত্তাপে টিকতে পারছে না। লবণাক্ত পানিতে শরীর শুষ্ক হয়ে যাচ্ছে। বেড়িবাঁধে গাছপালা যা ছিল, কাজ করতে গিয়ে ধ্বংস করছে।কলাপাড়া উপজেলা সিনিয়র আবহাওয়া পর্যবেক্ষক মো. জিল্লুর রহমান জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩৬ দশমিক ০ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে। গত কয়েকদিন যাবৎ এর আশেপাশে অবস্থান করছে তাপমাত্রা। আগামী আরও এক সপ্তাহ এ অবস্থা অপরিবর্তিত থাকতে পারে। তাই তাপমাত্রা না কমা পর্যন্ত সকলকে সাবধানে থাকার পরামর্শ তাদের।বরিশালের আশপাশে বৃষ্টি হলেও কুয়াকাটায় বৃষ্টি নেই। এটা অ্যালার্মিং বিষয়। আগামী এক সপ্তাহে বৃষ্টি না এলে অন্য সিমটম দেখা দিতে পারে। বিশেষ করে নিম্নচাপ কিংবা ঘূর্ণিঝড় হতে পারে।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য

দৈনিক বাংলাদেশের চিত্র একটি অনলাইন নিউজ পোর্টাল। এই পত্রিকার মূল স্লোগান হলো "সত্য প্রকাশে আপোষহীন"।আমরা এ দেশের নিপীড়িত ও নির্যাতিত মানুষের কথা বলি।একজন অসহায় মানুষের পাশে দাড়িয়ে অন্যায় প্রতিরোধে সাহায্য করতে আমরা সর্বদা অঙ্গীকারবদ্ধ।দৈনিক বাংলাদেশের চিত্র পত্রিকা গনমানুষের কথা বলে।
ট্যাগস :

প্রচন্ড তাপপ্রবাহের কারণে পর্যটকশূন্য কুয়াকাটা জনজীবনে অস্বস্তি

আপডেট সময় : ১০:৫৬:১৬ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪

আশরাফ উদ্দিন বরিশাল জেলা প্রতিনিধিঃ-

প্রতিনিধিঃঅস্বাভাবিক তাপমাত্রার কারণে এবং অসহ্য গরমে পর্যটকশূন্য হয়ে পড়েছে পর্যটন কেন্দ্র কুয়াকাটা। কোথাও নেই পর্যটকদের কোলাহল। সৈকতজুড়ে শুধু ধু-ধু বালুচর। দীর্ঘ ১৮ কিলোমিটার সৈকতজুড়ে বিরাজ করছে সুনসান নীরবতা।অস্বাভাবিক তাপমাত্রার কারণে কুয়াকাটা পর্যটনকেন্দ্রে কমে গেছে পর্যটক। দীর্ঘ সরকারি ছুটিতেও মিলছে না কাঙ্ক্ষিত পর্যটক।মঙ্গলবার তোলা ছবি। আজকের পত্রিকা ঈদুল ফিতরের পর চলে গেল পহেলা বৈশাখ। কিন্তু দীর্ঘ এ ছুটিতে কাঙ্ক্ষিত পর্যটক আসেনি পর্যটনকেন্দ্র কুয়াকাটায়। স্থানীয় ব্যবসায়ী, উদ্যোক্তারা বলেছেন, অস্বাভাবিক তাপপ্রবাহের কারণে এবার পর্যটক কমেছে।স্থানীয়রা বলেছেন, প্রতিদিন এখানে অনেক দর্শনার্থীদের আগমন ঘটত। সকাল, দুপুর, বিকাল কিংবা গভীর রাত পর্যন্ত পর্যটকদের পদচারণায় সাগরতট থাকত মুখরিত। পর্যটন স্পটগুলোতেও ছিল পর্যটকের উপচেপড়া ভিড়। সাগরের ঢেউ গর্জন করে তীরে আঁছড়ে পড়ছে। দেখলে মনে হয় যেন এসব মনোরম দৃশ্য দেখার কেউ নেই। কিছু পর্যটক থাকলেও তারা দিনের বেলা হোটেল থেকে বের হচ্ছে না প্রচন্ড গরমের কারণে। পর্যটনসংশ্লিষ্ট ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলো হয়ে পড়েছে একেবারে গ্রাহকহীন। এদিকে কলাপাড়াসহ উপকূলজুড়ে অসহ্য তাপপ্রবাহে জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। বৈদ্যুতিক পাখার বাতাসেও মিলছে না স্বস্তি।প্রচন্ড গরমের কারণে সবচাইতে বেশি সমস্যায় পড়েছেন খেটে খাওয়া দিনমজুর লোকগুলো।তীব্র তাপদাহে দিশেহারা দেশের বিস্তীর্ণ এলাকার চাষিরা। গত এক সপ্তাহের বেশি সময় ধরে গরমে ঝলসে যাচ্ছে ফসল। গভীর নলকূপ ও পাম্প থেকে সেচ দিয়েও পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখা যাচ্ছে না। জমিতে পানি দিলেও নিমেষে তা মাটির গভীরে চলে যাচ্ছে। তীব্র রোদে ঝরে যাচ্ছে গাছের আম, লিচু, লেবু ও কাঁঠাল। দেখা দিচ্ছে পানি বাহিত বিভিন্ন রোগ।হোটেল গ্রান্ড সাফা ইন্রে ম্যানেজানর মো. সাইদুর রহমান জানান, প্রচন্ড গরমের কারণে কুয়াকাটা পর্যটক নেই। বর্তমানে হোটেলের বিদ্যুৎ বিল ও কর্মচারীদের বেতন পরিশোধ করা দুষ্কর হয়ে পড়েছে।জেলে মোঃ হারুন বলেন, ৩০ বছরের বেশি সময় ধরে সাগরে মাছ ধরি। কিন্তু প্রতিবছর এত তাপ থাকে না। চৈত্র-বৈশাখ মাসে দক্ষিণ কিংবা পূর্বে বাতাস হওয়ার কথা। ঋতু পরিবর্তনের কারণে কুয়াকাটায় বসবাস কঠিন হয়ে পড়ছে।কুয়াকাটা হোটেল-মোটেল ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক মোতালেব শরীফ বলেন, গরমে পর্যটক এসে অতিষ্ঠ হয়ে পড়ছেন। যে কারণে মানুষ এসে টিকতে পারছেন না। ঈদুল ফিতর উপলক্ষে কিছু ট্যুরিস্ট আসছিল এরপর থেকে প্রচন্ড গরমের কারণে বর্তমানে হোটেল-মোটেলের সিট ফাঁকা রয়েছে।সাগরের পাড়ে এসে মানুষ উত্তাপে টিকতে পারছে না। লবণাক্ত পানিতে শরীর শুষ্ক হয়ে যাচ্ছে। বেড়িবাঁধে গাছপালা যা ছিল, কাজ করতে গিয়ে ধ্বংস করছে।কলাপাড়া উপজেলা সিনিয়র আবহাওয়া পর্যবেক্ষক মো. জিল্লুর রহমান জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩৬ দশমিক ০ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে। গত কয়েকদিন যাবৎ এর আশেপাশে অবস্থান করছে তাপমাত্রা। আগামী আরও এক সপ্তাহ এ অবস্থা অপরিবর্তিত থাকতে পারে। তাই তাপমাত্রা না কমা পর্যন্ত সকলকে সাবধানে থাকার পরামর্শ তাদের।বরিশালের আশপাশে বৃষ্টি হলেও কুয়াকাটায় বৃষ্টি নেই। এটা অ্যালার্মিং বিষয়। আগামী এক সপ্তাহে বৃষ্টি না এলে অন্য সিমটম দেখা দিতে পারে। বিশেষ করে নিম্নচাপ কিংবা ঘূর্ণিঝড় হতে পারে।