ঢাকা ০৩:০৮ অপরাহ্ন, বুধবার, ১০ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ২৬ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
চট্টগ্রামে ‘উত্তম বাবুর্চি ক্যাটারিং সার্ভিস’ মানসম্মত খাবার পরিবেশের অঙ্গীকার ডিসি কাপ ফুটবল টুর্নামেন্টের সোনাগাজী টিমের প্রস্তুতি দেখতে মাঠে নির্বাহী কর্মকর্তা রিগ্যান চাকমা বিশেষ অভিযানে অবৈধ বেহুন্দী,চড়গড়া জাল জব্দ ও বিনষ্ট শ্যামনগর থানা পুলিশের বিশেষ অভিযানে অপহরণ মামলার সাথে জড়িত অজ্ঞাতনামা পলাতক ০৩ আসামী গ্রেফতার শ্যামনগরে বাগদা চিংড়িতে জেলি পুশের সময় আটক ১ ও জরিমানা আদায় রাউজানে আদ্যাপীঠ মন্দিরে দুর্ধর্ষ চুরি সুনামগঞ্জের শাল্লায় স্বেচ্ছাসেবক দলের কর্মী সভা অনুষ্ঠিত পবিপ্রবিতে বিজয়-২৪ হলের নবীনবরণ অনুষ্ঠিত রাণীশংকৈলে ছেলের চুরির অভিযোগের অপবাদে বাবাকে কুপিয়ে হত্যা, গ্রেপ্তার ৫ সোনাগাজী মডেল থানায় ‘চুরি-ডাকাতি’ হয়, মামলা হয় না

চুয়াডাঙ্গা আলমডাঙ্গার অভয়নগরে ভূমিহীন বৃদ্ধার বাড়ি দখলের অভিযোগ

নিজেস্ব প্রতিনিধি
  • আপডেট সময় : ০৬:৫৯:৫০ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪ ৮৩ বার পড়া হয়েছে

মোঃ আসাদুজ্জামান আসাদ,চুয়াডাঙ্গা প্রতিনিধি:

ভূমিহীন হতদরিদ্র বৃদ্ধার বাড়ি ভেঙ্গে প্রাচীর দিয়ে খাস জমি দখল করে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে অভয়নগরের প্রভাবশালী মিজানুর রহমান ও তার সহযোগীদের বিরুদ্ধে। অসহায় বৃদ্ধা শারীরিক প্রতিবন্ধী ছেলেকে নিয়ে মানুষের দ্বারে দ্বারে ঘুরছেন। বৃদ্ধার মাথা গোজার ঠাঁই ভেঙ্গে দেওয়ার তাকে খোলা আকাশের নিচে রাত যাপন করতে হবে বলে গ্রামের অনেকে মনে করেছেন।
অভিযোগে জানা যায়, আলমডাঙ্গার অভয়নগর গ্রামের মৃত সাধনের বৃদ্ধা স্ত্রী ফিরোজা খাতুন ইটভাটায় কাজ করেন। বসবাস করেন গ্রামের খাস জমিতে স্বামী শ্বশুরের ভিটেয়। একটা মাটির ছাপড়া ঘর, রান্না ঘর ও বাথরুম। এই ছিল বৃদ্ধার ঘর গেরস্থালী। কামাল নামের এক শারীরিক প্রতিবন্ধী ছেলেকে নিয়ে কাটছিল দিন।একই গ্রামের মিজানুর রহমানরা বেশ প্রভাবশালী। তাদের পর পর দুটি দোতলা বাড়ি রয়েছে। সার, ও কীট নাশকের ব্যবসা রয়েছে। দীর্ঘদিন ধরে মিজানুর গং-দের নজর পড়ে বৃদ্ধার বসবাসরত খাস জমির উপর। ২০১৫ সালে টাকার বিনিময়ে গোপনে তৎকালীন সহকারি কমিশনার ভূমি ও উপজেলা নির্বাহী অফিসারের হাত খাস জমির একাংশ নিজের নামে করে নেয়। দীর্ঘ কয়েক বছর পর গতকাল মঙ্গলবার সকালে বৃদ্ধার পরিবারকে হতবাক করে দিয়ে মিজানুর রহমান ও তার দুই ছেলে তরিকুল ও বকুলের নেতৃতে বৃদ্ধার ঘর বাড়ি ভেঙে গুড়িয়ে দেওয়া হয়। সাথে সাথে প্রাচীর তুলে দখল নেওয়া হয়েছে জমি। মাথাগোজার ঠাইটুকু হারিয়ে ভূমিহীন নিঃস্ব বৃদ্ধা এখন দ্বারে দ্বারে ঘুরছেন। খোলা আকাশের নিচে জীবন যাপন করছে।গ্রামসূত্রে জানা যায়, অনেক আগে থেকেই বৃদ্ধার বসবাসের খাস জমির উপর শৈন দৃষ্টি পড়ে ধনাঢ্য মিজানুরের। তিনি তিন লাখ টাকা ব্যয় করে নিজ বাড়ির সামনে অবস্থিত বৃদ্ধার বসবাসের খাস জমিটি গোপনে লিজ নেন।
বৃদ্ধার আরেক ছেলে ভ্যানচালক জামাল উদ্দীন বলেন, আমার বাপ দাদা ওই জমিতে বসবাস করেছেন। এখন আমরা করছি। মিজানুর ও তার ছেলেরা হঠাৎ মিস্ত্রি নিয়ে এসে সকালে আমার মায়ের ঘর, রান্নাঘর ও বাথরুম ভেঙ্গে গুড়িয়ে দিয়ে প্রাচীর দিয়ে ঘিরে নিয়েছে।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, বৃদ্ধা ইটভাটার কাজ শেষ করে ক্ষুদা পেটে বাড়ি এসেছে দুপুরে। বাড়িতে ঢুকেই দেখতে পায় তার ঘর, রান্নাঘর ও বাথরুম নেই। প্রতিবেশি মিজানুর ভেঙ্গে গুড়িয়ে দিয়েছে। ভাঙ্গা ঘরের মাটির উপরে দাড়িয়ে কান্না করতে থাকে বৃদ্ধা ফিরোজা খাতুন। তার সাথে কথা বলতে গেলে সে কান্না করতে করতে বলে আমার থাকার জায়গা টুকু কেড়ে নিয়েছে। তাকে এখন খোলা আকাশের নিচে থাকতে হবে

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য

দৈনিক বাংলাদেশের চিত্র একটি অনলাইন নিউজ পোর্টাল। এই পত্রিকার মূল স্লোগান হলো "সত্য প্রকাশে আপোষহীন"।আমরা এ দেশের নিপীড়িত ও নির্যাতিত মানুষের কথা বলি।একজন অসহায় মানুষের পাশে দাড়িয়ে অন্যায় প্রতিরোধে সাহায্য করতে আমরা সর্বদা অঙ্গীকারবদ্ধ।দৈনিক বাংলাদেশের চিত্র পত্রিকা গনমানুষের কথা বলে।
ট্যাগস :

চুয়াডাঙ্গা আলমডাঙ্গার অভয়নগরে ভূমিহীন বৃদ্ধার বাড়ি দখলের অভিযোগ

আপডেট সময় : ০৬:৫৯:৫০ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪

মোঃ আসাদুজ্জামান আসাদ,চুয়াডাঙ্গা প্রতিনিধি:

ভূমিহীন হতদরিদ্র বৃদ্ধার বাড়ি ভেঙ্গে প্রাচীর দিয়ে খাস জমি দখল করে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে অভয়নগরের প্রভাবশালী মিজানুর রহমান ও তার সহযোগীদের বিরুদ্ধে। অসহায় বৃদ্ধা শারীরিক প্রতিবন্ধী ছেলেকে নিয়ে মানুষের দ্বারে দ্বারে ঘুরছেন। বৃদ্ধার মাথা গোজার ঠাঁই ভেঙ্গে দেওয়ার তাকে খোলা আকাশের নিচে রাত যাপন করতে হবে বলে গ্রামের অনেকে মনে করেছেন।
অভিযোগে জানা যায়, আলমডাঙ্গার অভয়নগর গ্রামের মৃত সাধনের বৃদ্ধা স্ত্রী ফিরোজা খাতুন ইটভাটায় কাজ করেন। বসবাস করেন গ্রামের খাস জমিতে স্বামী শ্বশুরের ভিটেয়। একটা মাটির ছাপড়া ঘর, রান্না ঘর ও বাথরুম। এই ছিল বৃদ্ধার ঘর গেরস্থালী। কামাল নামের এক শারীরিক প্রতিবন্ধী ছেলেকে নিয়ে কাটছিল দিন।একই গ্রামের মিজানুর রহমানরা বেশ প্রভাবশালী। তাদের পর পর দুটি দোতলা বাড়ি রয়েছে। সার, ও কীট নাশকের ব্যবসা রয়েছে। দীর্ঘদিন ধরে মিজানুর গং-দের নজর পড়ে বৃদ্ধার বসবাসরত খাস জমির উপর। ২০১৫ সালে টাকার বিনিময়ে গোপনে তৎকালীন সহকারি কমিশনার ভূমি ও উপজেলা নির্বাহী অফিসারের হাত খাস জমির একাংশ নিজের নামে করে নেয়। দীর্ঘ কয়েক বছর পর গতকাল মঙ্গলবার সকালে বৃদ্ধার পরিবারকে হতবাক করে দিয়ে মিজানুর রহমান ও তার দুই ছেলে তরিকুল ও বকুলের নেতৃতে বৃদ্ধার ঘর বাড়ি ভেঙে গুড়িয়ে দেওয়া হয়। সাথে সাথে প্রাচীর তুলে দখল নেওয়া হয়েছে জমি। মাথাগোজার ঠাইটুকু হারিয়ে ভূমিহীন নিঃস্ব বৃদ্ধা এখন দ্বারে দ্বারে ঘুরছেন। খোলা আকাশের নিচে জীবন যাপন করছে।গ্রামসূত্রে জানা যায়, অনেক আগে থেকেই বৃদ্ধার বসবাসের খাস জমির উপর শৈন দৃষ্টি পড়ে ধনাঢ্য মিজানুরের। তিনি তিন লাখ টাকা ব্যয় করে নিজ বাড়ির সামনে অবস্থিত বৃদ্ধার বসবাসের খাস জমিটি গোপনে লিজ নেন।
বৃদ্ধার আরেক ছেলে ভ্যানচালক জামাল উদ্দীন বলেন, আমার বাপ দাদা ওই জমিতে বসবাস করেছেন। এখন আমরা করছি। মিজানুর ও তার ছেলেরা হঠাৎ মিস্ত্রি নিয়ে এসে সকালে আমার মায়ের ঘর, রান্নাঘর ও বাথরুম ভেঙ্গে গুড়িয়ে দিয়ে প্রাচীর দিয়ে ঘিরে নিয়েছে।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, বৃদ্ধা ইটভাটার কাজ শেষ করে ক্ষুদা পেটে বাড়ি এসেছে দুপুরে। বাড়িতে ঢুকেই দেখতে পায় তার ঘর, রান্নাঘর ও বাথরুম নেই। প্রতিবেশি মিজানুর ভেঙ্গে গুড়িয়ে দিয়েছে। ভাঙ্গা ঘরের মাটির উপরে দাড়িয়ে কান্না করতে থাকে বৃদ্ধা ফিরোজা খাতুন। তার সাথে কথা বলতে গেলে সে কান্না করতে করতে বলে আমার থাকার জায়গা টুকু কেড়ে নিয়েছে। তাকে এখন খোলা আকাশের নিচে থাকতে হবে