ঢাকা ০৫:০৮ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ০৪ নভেম্বর ২০২৫, ২০ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
তৃণমূলে উদ্বেগ উৎকণ্ঠা ঝিনাইদহ-২ আসন শরীকদের ছেড়ে দিলে অস্তিত্ব সংকটে পড়বে বিএনপি কাঠালিয়ায় বিএনপির নির্বাচনী প্রস্তুতি সভায় গোলাম আজম সৈকত নীলফামারীর ৪টি আসনের মধ্যে ২টিতে বিএনপি মনোনীত প্রার্থী ঘোষণা রংপুরের গঙ্গাচড়ায় 18 মাস বয়সের শিশুকন্যা আনহা বলাৎকারের শিকার সোনাগাজীর মুন্সি খুরশিদ আলম বালিকা বিদ্যালয়ের পরিচালনা ও উপদেষ্টা পরিষদ গঠিত এনামুল হক এনাম সভাপতি ফেনীতে বিএনপি’র তিন আসনের প্রার্থী ঘোষণা আজ যশোর উন্নয়নের কারিগর তরিকুল ইসলামের ৭ম মৃত্যুবার্ষিকী চট্টগ্রামে বিএনপি’র ১০ প্রার্থী ঘোষণা কোন্দল শংকায় ৬টি বাকি: মহাসড়ক অবরোধ নরসিংদীর ৫টি আসনের মধ্যে ৪টি আসনে বিএনপি’র মনোনয়ন পেলেন যারা ‎আমরা ভোট মূখি আমরা আপনাদের কাছে ভোটের সহযোগিতা চাই -স্নেহাংশু সরকার কুট্টি ‎

পুলিশের প্রিজন ভ্যানেই নারী ধর্ষণ

নিজেস্ব প্রতিবেদক
  • আপডেট সময় : ০৫:১৭:১৩ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২১ এপ্রিল ২০২৪ ১১৮ বার পড়া হয়েছে

অনলাইন ডেস্ক:

করেছে দুই পুরুষ কয়েদি। চাঞ্চল্যকর এই ঘটনাটি ঘটেছে ভারতের হরিয়ানা রাজ্যের রোহতক জেলায়। এ ঘটনায় পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।জানা যায়, নির্যাতিতা ওই নারী কয়েদিকে চিকিৎসা করাতে হাসপাতালে নিয়ে যাচ্ছিল পুলিশ। সাথে ছিল আরও দুই পুরুষ কয়েদি। চিকিৎসা সেরে ফেরার সময় ঘটে এই ঘটনা। দুই অভিযুক্তের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে তদন্ত শুরু হয়েছে নির্যাতিতার দাবি, রোহতকের পিজিআইএমএস হাসপাতালে চিকিৎসা চলছিল তার। যার ফলে পুলিশ ভ্যানে করেই হাসপাতালে চিকিৎসা করাতে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল তাকে। ভ্যানে তার সঙ্গে ছিলেন আরও ২ পুরুষ কয়েদি।

চিকিৎসার পর ভ্যানে অপেক্ষা করছিলেন তারা। পুলিশ তখন ব্যস্ত ছিল চিকিৎসা সংক্রান্ত কাগজপত্র গোছাতে। এই পরিস্থিতির সুযোগ নিয়ে দুই কয়েদি ঠান্ডা পানীয় খেতে দেয় নারীকে। এর পর অচেতন হয়ে পড়েন মহিলা। সেই সুযোগে গণধর্ষণ করা হয় তাকে।

পুলিশের সূত্র জানা গেছে, গণধর্ষণে অভিযুক্ত ওই দুই কয়েদির নাম মণীশ এবং সতীশ। দুজনেই ঝিন্দ জেলার বাসিন্দা। আর মাদক মামলায় ১০ বছরের সাজাপ্রাপ্ত ওই নির্যাতিতা নারী। মানসিক অবসাদের শিকার তিনি। যার জেরে একাধিকবার জেলে আত্মহত্যারও চেষ্টা করেন। বর্তমানে রোহতকের পিজিআইএমএস হাসপাতালে চিকিৎসা চলছে তার। এদিকে, সেই নারীর অভিযোগের ভিত্তিতে শুরু হয়েছে তদন্ত। যদিও এই ঘটনা কবে ঘটেছে তার কোনও তারিখ এফআইআরে দেওয়া হয়নি বলে জানা যাচ্ছে সংবাদমাধ্যম সূত্রে।
যদিও এই ঘটনার কথা প্রকাশ্যে আসার পর পুলিশের দায়িত্বজ্ঞান নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। প্রশ্ন উঠছে, কোনও প্রহরা ছাড়া ভ্যানের মধ্যে কয়েদিদের ছেড়ে দিয়ে কীভাবে চলে যেতে পারে পুলিশ! কয়েদিদের হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার সময় কতজন পুলিশ ছিলেন তা জানার চেষ্টা চলছে।

খতিয়ে দেখা হচ্ছে পুলিশের ভূমিকাও। পুলিশের দাবি, ঘটনার সময় হাসপাতালে কাগজপত্র গোছাচ্ছিলেন তারা

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য

দৈনিক বাংলাদেশের চিত্র একটি অনলাইন নিউজ পোর্টাল। এই পত্রিকার মূল স্লোগান হলো "সত্য প্রকাশে আপোষহীন"।আমরা এ দেশের নিপীড়িত ও নির্যাতিত মানুষের কথা বলি।একজন অসহায় মানুষের পাশে দাড়িয়ে অন্যায় প্রতিরোধে সাহায্য করতে আমরা সর্বদা অঙ্গীকারবদ্ধ।দৈনিক বাংলাদেশের চিত্র পত্রিকা গনমানুষের কথা বলে।
ট্যাগস :

পুলিশের প্রিজন ভ্যানেই নারী ধর্ষণ

আপডেট সময় : ০৫:১৭:১৩ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২১ এপ্রিল ২০২৪

অনলাইন ডেস্ক:

করেছে দুই পুরুষ কয়েদি। চাঞ্চল্যকর এই ঘটনাটি ঘটেছে ভারতের হরিয়ানা রাজ্যের রোহতক জেলায়। এ ঘটনায় পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।জানা যায়, নির্যাতিতা ওই নারী কয়েদিকে চিকিৎসা করাতে হাসপাতালে নিয়ে যাচ্ছিল পুলিশ। সাথে ছিল আরও দুই পুরুষ কয়েদি। চিকিৎসা সেরে ফেরার সময় ঘটে এই ঘটনা। দুই অভিযুক্তের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে তদন্ত শুরু হয়েছে নির্যাতিতার দাবি, রোহতকের পিজিআইএমএস হাসপাতালে চিকিৎসা চলছিল তার। যার ফলে পুলিশ ভ্যানে করেই হাসপাতালে চিকিৎসা করাতে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল তাকে। ভ্যানে তার সঙ্গে ছিলেন আরও ২ পুরুষ কয়েদি।

চিকিৎসার পর ভ্যানে অপেক্ষা করছিলেন তারা। পুলিশ তখন ব্যস্ত ছিল চিকিৎসা সংক্রান্ত কাগজপত্র গোছাতে। এই পরিস্থিতির সুযোগ নিয়ে দুই কয়েদি ঠান্ডা পানীয় খেতে দেয় নারীকে। এর পর অচেতন হয়ে পড়েন মহিলা। সেই সুযোগে গণধর্ষণ করা হয় তাকে।

পুলিশের সূত্র জানা গেছে, গণধর্ষণে অভিযুক্ত ওই দুই কয়েদির নাম মণীশ এবং সতীশ। দুজনেই ঝিন্দ জেলার বাসিন্দা। আর মাদক মামলায় ১০ বছরের সাজাপ্রাপ্ত ওই নির্যাতিতা নারী। মানসিক অবসাদের শিকার তিনি। যার জেরে একাধিকবার জেলে আত্মহত্যারও চেষ্টা করেন। বর্তমানে রোহতকের পিজিআইএমএস হাসপাতালে চিকিৎসা চলছে তার। এদিকে, সেই নারীর অভিযোগের ভিত্তিতে শুরু হয়েছে তদন্ত। যদিও এই ঘটনা কবে ঘটেছে তার কোনও তারিখ এফআইআরে দেওয়া হয়নি বলে জানা যাচ্ছে সংবাদমাধ্যম সূত্রে।
যদিও এই ঘটনার কথা প্রকাশ্যে আসার পর পুলিশের দায়িত্বজ্ঞান নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। প্রশ্ন উঠছে, কোনও প্রহরা ছাড়া ভ্যানের মধ্যে কয়েদিদের ছেড়ে দিয়ে কীভাবে চলে যেতে পারে পুলিশ! কয়েদিদের হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার সময় কতজন পুলিশ ছিলেন তা জানার চেষ্টা চলছে।

খতিয়ে দেখা হচ্ছে পুলিশের ভূমিকাও। পুলিশের দাবি, ঘটনার সময় হাসপাতালে কাগজপত্র গোছাচ্ছিলেন তারা