কুয়াকাটায় তিন দিন ব্যাপি রাখাইনদের ঐতিহ্যবাহী সাংগ্রাই জলকালী উৎসব শেষ হলো আজ

- আপডেট সময় : ০৫:১২:২২ অপরাহ্ন, শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪ ১০৮ বার পড়া হয়েছে

স্টাফ রিপোর্টার:
কুয়াকাটায় তিন দিন ব্যাপি অনুষ্ঠিত হয়েছে রাখাইনদের শত বছরের ঐতিহ্যবাহী সাংগ্রাই জলকেলি উৎসব।রাখাইন পুরাতন বছর ১৩৮৫ সাল বিদায় ও নতুন বছর ১৩৮৬ কে স্বগত জানাতে কুয়াকাটায় রাখাইন মার্কেট মাঠে তিন দিন ব্যাপি অনুষ্ঠিত হয় এ উৎসব। বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) বিকেল পাঁচটা থেকে আজ শনিবার ( ২০ এপ্রিল ) বিকাল পর্যন্ত চলে এ উৎসব। জলকেলিতে মাতোয়ারা ছিলো রাখাইন কিশোর কিশোরীরা। এ অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করতে পেরে রাখাইন পরিবারের মধ্যে বিরাজ করছে উৎসবের আমেজ। এ সময় নাচে-গানে মাতোয়ারা হয়ে উঠে কিশোর কিশোরীরা।রাখাইন তরুণীদের নৃত্য পরিবেশনা শেষে সেখানে তরুণ-তরুণীদের ভালোবাসায় সিক্ত জল একে অপরের গায়ে ছিটিয়ে পালন করা হয় রাখাইন সম্প্রদায়ের সর্ববৃহৎ ধর্মীয় এ উৎসব।
রাখাইন সম্প্রদায়ের মানুষ বলছেন, পুরোনো বছরের সব গ্লানি ও দুঃখ জলে মুছে নতুনভাবে জলে জলে পরিশুদ্ধির জন্য এই উৎসব। টানা ৩ দিন চলে এই উৎসব।
কুয়াকাটা রাখাইন পল্লীর মাতব্বর উচান চিন এর সভাপত্বিতে প্রধান অতিথি ছিলেন কলাপাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোঃ রবিউল ইসলাম , বিশেষ অতিথি হিসেবে ছিলেন কুয়াকাটা পৌর মেয়র মো. আনোয়ার হাওলাদার, কুয়াকাটা পৌর আওয়ামী লীগ সভাপতি আব্দুল বারেক মোল্লা ও মিঃ ফ্রান্সিস ব্যাপারি, আঞ্চলিক পরিচালক,কারিতাস বরিশাল আঞ্চল।
রাখাইন তরুণ লু চিং বলেন, নতুন বর্ষকে বিদায় ও বরণের ওই হচ্ছে ঐতিহ্যবাহী সামাজিক উৎসবের রীতি। এ উৎসব ঘিরে ৩ দিনব্যাপী জলকেলি ছাড়াও বাড়িতে বাড়িতে রান্না হচ্ছে নিজস্ব খাবার।
শ্রীমঙ্গল বৌদ্ধ বিহারের পরিচালক ইন্দ্র বংশ ভান্তে বলেন, উৎসবকে ঘিরে সাজ সাজ রব রাখাইন পাড়ায়। নতুন বছরকে স্বাগত জানাতে ইতিমধ্যে বিভিন্ন পাড়া থেকে যোগ দিয়েছে রাখাইনরা। পূরানো পাপ জলকেলির মাধ্যমে ধূয়ে মূছে নতুন বছরে ভালোভাবে শুরু করব।
কুয়াকাটা পৌর মেয়র মোঃ আনোয়ার হাওলাদার বলেন, রাখাইনদের ৩ দিনের জলকেলি উৎসব সার্বিক সফল ও শান্তিপূর্ণভাবে সম্পন্ন করতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সদস্যরা কাজ করছে এবং তিনি বলেন, ‘জলকেলি উৎসবটি রাখাইনদের হলেও এটি কালক্রমে এ অঞ্চলের মানুষের ঐতিহ্যবাহী সংস্কৃতির অংশ হয়ে উঠেছে। এ জন্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে প্যান্ডেলগুলোতে পুলিশ সদস্য ও গোয়েন্দারা অবস্থান করে।#####