ঢাকা ০৪:২৮ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১০ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ২৫ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
বিশেষ অভিযানে অবৈধ বেহুন্দী,চড়গড়া জাল জব্দ ও বিনষ্ট শ্যামনগর থানা পুলিশের বিশেষ অভিযানে অপহরণ মামলার সাথে জড়িত অজ্ঞাতনামা পলাতক ০৩ আসামী গ্রেফতার শ্যামনগরে বাগদা চিংড়িতে জেলি পুশের সময় আটক ১ ও জরিমানা আদায় রাউজানে আদ্যাপীঠ মন্দিরে দুর্ধর্ষ চুরি সুনামগঞ্জের শাল্লায় স্বেচ্ছাসেবক দলের কর্মী সভা অনুষ্ঠিত পবিপ্রবিতে বিজয়-২৪ হলের নবীনবরণ অনুষ্ঠিত রাণীশংকৈলে ছেলের চুরির অভিযোগের অপবাদে বাবাকে কুপিয়ে হত্যা, গ্রেপ্তার ৫ সোনাগাজী মডেল থানায় ‘চুরি-ডাকাতি’ হয়, মামলা হয় না বাবা চুয়াডাঙ্গা জেলা গোয়েন্দা শাখা মাদক বিরোধী অভিযানে এক কেজি গাঁজা উদ্ধার গ্রেফতার-০১ জন

গোপালগঞ্জের উরফি সিধকেটে ঘরে ঢুকে এসিড নিক্ষেপ ব্যপারটা রহস্যজনক বলে মনে করছে এলাকাবাসী

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৯:৫৫:২৮ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪ ৮০ বার পড়া হয়েছে

স্টাফ রিপোটার :

গোপালগঞ্জ জেলার সদর উপজেলার উরফি ইউনিয়নে গতকাল রাতে সিধ কেটে ঘরে ঢুকে প্রবাসীর স্ত্রী সারমিনকে এসিড নিক্ষেপ করেছে বলে ভুক্তভোগীরা অভিযোগ করেন। অভিযোগের ভিত্তিতে সরেজমিনে গেলে দেখা যায়, সিধ কাটা আছে। কিন্তু সিধ কাটার কায়দাটা দেখে মনে হচ্ছে এসিড নিক্ষেপকারী ঘরের দরজা দিয়ে ডুকে ঘরের ভিতর দিয়ে সিধ কেটে বাহিরে বের হয়েছে। এলাকাবাসীর প্রশ্ন সিধ যদি ঘরের মধ্যে দিয়ে কাটা হয় তাহলে এসিড নিক্ষেপকারী কিভাবে ঘরে ঢুকলো। এদিকে ঘরের সকল জানালা-দরজা বন্ধ ছিল। এটা কিভাবে সম্ভব। তাহলে কি এসিড নিক্ষেপকারী যাদু জানে। এ ব্যপারে প্রশাসনের গভির তদন্ত প্রয়োজন।
গনমাধ্যম কর্মীদের ছায়া তদন্তে পাওয়া যায়, গত কিছুদিন পূর্বে উরফি ইউনিয়নের পশ্চিম পাড়ায় ৮ বছরের শিশু সোহানা ধর্ষন চেষ্টা মামলায় প্রধান আসামী কালু মুন্সী গোপালগঞ্জ কারাগারে আছে। ঐ ধর্ষন চেষ্টা মামলার বাদী শাহিন মুন্সী। এই এসিড নিক্ষেপ এর দোষ দেওয়া হচ্ছে শাহিন মুন্সীকে। অপরদিকে এসিড দগ্ধ সারমিন কালু মুন্সীর মেয়ে। বাবার কারাগারে থাকার ব্যপারটি মেনে নিতে না পারায় এই ঘটনাটি ঘটিয়ে শাহিন মুন্সীর পরিবারকে ফাঁসানোর পায়তারা করছে বলে এলাকাবাসীর বক্তব্যে পাওয়া যায়। এলাকাবাসীর বক্তব্যে আরো জানা যায়, দুপক্ষের রেসারেসি এমন এক পর্যায়ে পৌছেছে একে অন্যকে ফাঁসানোর জন্য প্রয়োজনে মানুষ খুন করবে। তবে এলাকার এই গোন্ডগোলের মুল হোতা হিসাবে দায়ী করছেন ঐ এলাকার মহিলা মেম্বার সেফালি বেগমকে।
এ ব্যপারে অভিযুক্ত শাহিন মুন্সীকে পাওয়া না গেলেও তার স্ত্রী কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমার স্বামী আমার কাছে রাতে ঘুমিয়ে ছিল , হঠাৎ রাতে চিৎকার শুনে আমরা ঘর থেকে বের হই। পরে সকাল বেলা শুনতে পাই আমার স্বামী ওদের ঘরে সিধ কেটে ডুকে এসিড নিক্ষেপ করেছে।
ওরা যা বলছে তা সম্পূর্ন মিথ্যা ও বানোয়াট ওরা আমাদেরকে ফাঁসানোর জন্য এই নাটক সাজিয়েছে। তিনি আরো বলেন, এই সারমিন বেগম আগেও তার স্বামীর সাথে গোন্ডগোল করে নিজের অঙ্গের বিভিন্ন অংশ পুড়াইয়ে ফেলেছিল। এটা ওদের অভ্যাস। ওরা এই ভাবেই মানুষকে ফাঁসায়। আমি চাই এ ব্যপারটি গভির তদন্ত করে প্রকৃত দোষিদের আইনের আওতায় আনা হোক।
এ ব্যপারে একই এলাকার আব্দুস সামাদ মুন্সীর ছেলে সোহেব মুন্সী বলেন, ঘটনাটি সম্পূর্ন মিথ্যা ও বানোয়াট। শাহিন মুন্সী কে ফাঁসানোর জন্যই নিজের এতো বড় ক্ষতি করে বাবার জেলে যাওয়ার প্রতিশোধ নিতেই এই নাটক সাজিয়েছে ওরা। আর এই সকল বিষয়টি পরিচালোনা করছেন আমাদের এলাকার মহিলা মেম্বার আমার চাচী সেফালী বেগম।সে যাদের নিয়ে এসব চক্রান্ত করে বেড়াচ্ছে তারা এই এলাকার দাগী আসামী। এদের দারা অনেক কিছুই সম্ভব। তবে এই এসিড নিক্ষেপের ব্যপারটি গভির তদন্ত করে প্রকৃত দোষিদের বের করে বিচারের আওতায় আনা হোক এটাই আমাদের দাবী।
সিধ কেটে ঘরে ঢুকে এসিড নিক্ষেপ করেছে বলে ভুক্তভোগীরা বলছে। অপরদিকে সিধ কাটার ব্যপারটা সন্দেও জনক। দেখে মনে হচ্ছে সিধ ঘরের ভিতর থেকে কাঁটা হয়েছে। এ ব্যপারে প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষন করছি। মূল ঘটনাটা কি ঘটেছিল তা বের করে দোষিদের আইনের আওতায় আনা হোক।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য

দৈনিক বাংলাদেশের চিত্র একটি অনলাইন নিউজ পোর্টাল। এই পত্রিকার মূল স্লোগান হলো "সত্য প্রকাশে আপোষহীন"।আমরা এ দেশের নিপীড়িত ও নির্যাতিত মানুষের কথা বলি।একজন অসহায় মানুষের পাশে দাড়িয়ে অন্যায় প্রতিরোধে সাহায্য করতে আমরা সর্বদা অঙ্গীকারবদ্ধ।দৈনিক বাংলাদেশের চিত্র পত্রিকা গনমানুষের কথা বলে।
ট্যাগস :

গোপালগঞ্জের উরফি সিধকেটে ঘরে ঢুকে এসিড নিক্ষেপ ব্যপারটা রহস্যজনক বলে মনে করছে এলাকাবাসী

আপডেট সময় : ০৯:৫৫:২৮ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪

স্টাফ রিপোটার :

গোপালগঞ্জ জেলার সদর উপজেলার উরফি ইউনিয়নে গতকাল রাতে সিধ কেটে ঘরে ঢুকে প্রবাসীর স্ত্রী সারমিনকে এসিড নিক্ষেপ করেছে বলে ভুক্তভোগীরা অভিযোগ করেন। অভিযোগের ভিত্তিতে সরেজমিনে গেলে দেখা যায়, সিধ কাটা আছে। কিন্তু সিধ কাটার কায়দাটা দেখে মনে হচ্ছে এসিড নিক্ষেপকারী ঘরের দরজা দিয়ে ডুকে ঘরের ভিতর দিয়ে সিধ কেটে বাহিরে বের হয়েছে। এলাকাবাসীর প্রশ্ন সিধ যদি ঘরের মধ্যে দিয়ে কাটা হয় তাহলে এসিড নিক্ষেপকারী কিভাবে ঘরে ঢুকলো। এদিকে ঘরের সকল জানালা-দরজা বন্ধ ছিল। এটা কিভাবে সম্ভব। তাহলে কি এসিড নিক্ষেপকারী যাদু জানে। এ ব্যপারে প্রশাসনের গভির তদন্ত প্রয়োজন।
গনমাধ্যম কর্মীদের ছায়া তদন্তে পাওয়া যায়, গত কিছুদিন পূর্বে উরফি ইউনিয়নের পশ্চিম পাড়ায় ৮ বছরের শিশু সোহানা ধর্ষন চেষ্টা মামলায় প্রধান আসামী কালু মুন্সী গোপালগঞ্জ কারাগারে আছে। ঐ ধর্ষন চেষ্টা মামলার বাদী শাহিন মুন্সী। এই এসিড নিক্ষেপ এর দোষ দেওয়া হচ্ছে শাহিন মুন্সীকে। অপরদিকে এসিড দগ্ধ সারমিন কালু মুন্সীর মেয়ে। বাবার কারাগারে থাকার ব্যপারটি মেনে নিতে না পারায় এই ঘটনাটি ঘটিয়ে শাহিন মুন্সীর পরিবারকে ফাঁসানোর পায়তারা করছে বলে এলাকাবাসীর বক্তব্যে পাওয়া যায়। এলাকাবাসীর বক্তব্যে আরো জানা যায়, দুপক্ষের রেসারেসি এমন এক পর্যায়ে পৌছেছে একে অন্যকে ফাঁসানোর জন্য প্রয়োজনে মানুষ খুন করবে। তবে এলাকার এই গোন্ডগোলের মুল হোতা হিসাবে দায়ী করছেন ঐ এলাকার মহিলা মেম্বার সেফালি বেগমকে।
এ ব্যপারে অভিযুক্ত শাহিন মুন্সীকে পাওয়া না গেলেও তার স্ত্রী কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমার স্বামী আমার কাছে রাতে ঘুমিয়ে ছিল , হঠাৎ রাতে চিৎকার শুনে আমরা ঘর থেকে বের হই। পরে সকাল বেলা শুনতে পাই আমার স্বামী ওদের ঘরে সিধ কেটে ডুকে এসিড নিক্ষেপ করেছে।
ওরা যা বলছে তা সম্পূর্ন মিথ্যা ও বানোয়াট ওরা আমাদেরকে ফাঁসানোর জন্য এই নাটক সাজিয়েছে। তিনি আরো বলেন, এই সারমিন বেগম আগেও তার স্বামীর সাথে গোন্ডগোল করে নিজের অঙ্গের বিভিন্ন অংশ পুড়াইয়ে ফেলেছিল। এটা ওদের অভ্যাস। ওরা এই ভাবেই মানুষকে ফাঁসায়। আমি চাই এ ব্যপারটি গভির তদন্ত করে প্রকৃত দোষিদের আইনের আওতায় আনা হোক।
এ ব্যপারে একই এলাকার আব্দুস সামাদ মুন্সীর ছেলে সোহেব মুন্সী বলেন, ঘটনাটি সম্পূর্ন মিথ্যা ও বানোয়াট। শাহিন মুন্সী কে ফাঁসানোর জন্যই নিজের এতো বড় ক্ষতি করে বাবার জেলে যাওয়ার প্রতিশোধ নিতেই এই নাটক সাজিয়েছে ওরা। আর এই সকল বিষয়টি পরিচালোনা করছেন আমাদের এলাকার মহিলা মেম্বার আমার চাচী সেফালী বেগম।সে যাদের নিয়ে এসব চক্রান্ত করে বেড়াচ্ছে তারা এই এলাকার দাগী আসামী। এদের দারা অনেক কিছুই সম্ভব। তবে এই এসিড নিক্ষেপের ব্যপারটি গভির তদন্ত করে প্রকৃত দোষিদের বের করে বিচারের আওতায় আনা হোক এটাই আমাদের দাবী।
সিধ কেটে ঘরে ঢুকে এসিড নিক্ষেপ করেছে বলে ভুক্তভোগীরা বলছে। অপরদিকে সিধ কাটার ব্যপারটা সন্দেও জনক। দেখে মনে হচ্ছে সিধ ঘরের ভিতর থেকে কাঁটা হয়েছে। এ ব্যপারে প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষন করছি। মূল ঘটনাটা কি ঘটেছিল তা বের করে দোষিদের আইনের আওতায় আনা হোক।