ঢাকা ০৫:৪৪ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ৩০ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
বরিশালের গৌরনদীতে ৮ মাসে কোরআনে হাফেজ ১০ বছরের শিশু আবদুল্লাহ দুমকি প্রেসক্লাব পরিবর্তনের অঙ্গীকারে-নতুন কমিটি গঠন দুর্গাপূজা উপলক্ষে দেশের সরকারি ও বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ১৪ দিনের ছুটি যশোরে জাল ওয়ারিশ সনদ প্রদান, ইউপি প্রশাসকের বিরুদ্ধে মামলা সাবেক এমপি সাইফুলসহ ১৬ জনের বিরুদ্ধে সাক্ষ্যগ্রহণ আজ মানিকগঞ্জে মহাসড়কে সড়ক দুর্ঘটনা, ফায়ার সার্ভিসের দ্রুত তৎপরতায় প্রাণে রক্ষা ভোমরা স্থলবন্দর প্রেসক্লাবের প্রধান উপদেষ্টা হাবিবুর রহমানকে ক্রেস প্রদান সাতক্ষীরায় শহীদ আসিবের পরিবারের সাথে সাক্ষাৎ ও কবর জিয়ারত করে শিবির উঁকি দিচ্ছে ধানের শীষ স্বপ্ন দেখছেন হরিপুরের আমন চাষীরা মানিকগঞ্জে অবৈধ দোকানে দখলদারিত্ব: জনদুর্ভোগ চরমে

নূহ (আ.) এর নৌকা পাওয়া গেলো আরারাত পর্বতে

নিজেস্ব প্রতিনিধি
  • আপডেট সময় : ১০:৫৫:০৮ অপরাহ্ন, রবিবার, ৭ এপ্রিল ২০২৪ ১২৩ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক : আশরাফ উদ্দিন

অবশেষে কি পাওয়া গেলো নুহ (আ.) এর নৌকা? তুরস্কের আরারাত পর্বতে পাওয়া গেছে নৌকা সদৃশ এক বস্তু, ধারণা করা হচ্ছে এটাই নূহ (আ.)-এর নৌকা যা মহাপ্লাবণ থেকে বাঁচিয়েছিলো বিশ্বাসীদেরকে।নূহ (আ.) আল্লাহর প্রেরিত একজন নবী এবং ইসলামের ইতিহাসের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একজন মানুষ। ধারণা করা হয়, আজ থেকে প্রায় ৫৫০০ বছর আগে পৃথিবীতে এসেছিলেন তিনি। দীর্ঘ ৯৫০ বছর একাধারে মানুষকে আল্লাহর পথে ডেকেছিলেন। তবে খুব অল্প কিছু লোক ঈমান আনে, এমনকি তার নিজের এক ছেলেও হয় অবিশ্বাসীদের অন্তর্ভূক্ত।অবশেষে মহান আল্লাহ মহাপ্লাবণ বা মহাবন্যা দিয়ে ধ্বংস করে দিলেন সে জাতিকে। যে বন্যার স্থায়ীত্বকাল ছিলো ৪০ দিন। তবে এই বন্যা থেকে বাঁচার জন্য আল্লাহ নূহ (আ.) কে একটা নৌকা তৈরির নির্দেশ দিলেন, যাতে জোড়ায় জোড়ায় সব প্রাণিদের উঠানো হলো বিশ্বাসীদের সাথে। ৪০ দিন পর যখন পানি নামতে শুরু করলো তখন সেই নৌকা থামলো এক পর্বতে গিয়ে। কথিত আছে, সে বন্যায় আক্রান্ত হয়েছিলো প্রায় পুরো পৃথিবী।১৯৫৯ সালে তুর্কি সেনাবাহিনীর ক্যাপ্টেইন ইলহান দুরপিনার একটি ফ্লাইং মিশন করার সময় আরারাত পর্বতের কয়েক মাইল দক্ষিণে অদ্ভুদ একধরণের আকৃতি দেখলেন। তাৎক্ষণিক তিনি কিছু ছবি তুলে নিলেন। সে ছবি ডেভেলপ করে দেখা গেলো বিশাল এক জাহাজের ফসিল। তবে আশ্চর্যের বিষয় হচ্ছে, যেখানে এই বস্তুটি দেখা গেলো তা সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে প্রায় ৬৫০০ ফুট উচুতে। সমুদ্র থেকে এতো উঁচুতে জাহাজ কিভাবে উঠলো তা নিয়ে তৈরি হয় জল্পনা!এই ছবিগুলো তখন সৃষ্টি করলো বেশ আলোড়। খ্রিস্ট ধর্মাবলম্বী ও মুসলিমদের মাঝে গুঞ্জন যে হয়ত পাওয়া গেছে নূহ (আ.) এর নৌকা। শুরু হলো গবেষণা। গবেষকরা এই ঘটনার প্রমাণের জন্য দুটি খুঁটি ঠিক করলেন। এক হচ্ছে সেই জাহাজ বা নৌকা আর দ্বিতীয়টি হচ্ছে সেই বিশাল বন্যা বা প্লাবণের প্রমাণ।১৯৯৭ সালে ভূতত্ববিদ আর সমুদ্র বিজ্ঞানীদের একটা দল কৃষ্ণসাগরের কাছে মিঠা পানির জলজ প্রাণিদের জীবাশ্ম খুঁজে পান। তখন ধারণা করা হয় যে হয়তো কৃষ্ণ সাগর একসময় মিঠা পানির লেক ছিলো, কিন্তু হঠাতই তা নোনা পানিতে রূপ নেয়। এর কারণ হিসেবে তারা বলেন, হয়তো সে সময় সমূদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা হঠাতই অনেক বেশি বৃদ্ধি পেয়েছিলো এবং তা কৃষ্ণসাগর সহ আশেপাশের বেশ কিছু এলাকা প্লাবিত করেছিলো। ১৯৮৫ সালের আরও একটা আবিষ্কার নূহ (আ.) এর নৌকার বিতর্কের মোড় ঘুরিয়ে দেয়। ৪০০০ বছর আগের একটি মাটির ছোট্ট প্রস্তর আবিষ্কার হয়। যাতে প্রাচীন ভাষায় কিছু একটা লেখা ছিলো। বহু বছরের গবেষণার পর অনুবাদ করা গেলো সে প্রস্তর। তা ছিলো গিলগামিশের মহাকাব্য।প্রাচীন মেসোপটেমিয়ান এই মহাকাব্যে এক মহাপ্লাবণের কথা বলা আছে, যা সৃষ্টিকর্তা পাপীদের শাস্তি হিসেবে দিয়েছিলেন। তাতে আরও বলা আছে যে, উটনাপিশটিম নামের একজন নশ্বর মানুষ একটি নৌকা তৈরি করে জোড়ায় জোড়ায় সব প্রাণিদের সেই নৌকায় তোলেন প্লাবণ থেকে বাঁচাতে। পানি নেমে গেলে সেই নৌকাটি ‘নিমুশ’ পর্বতে এসে থামে। আর এই গিলগেমেশের মহাকাব্য লেখা হয়েছিলো কোরআন নাজিলেরও কয়েক হাজার বছর আগে। অর্থাৎ পৃথিবীর বিভিন্ন সভ্যতায় একদম একই রকম একটা মহা প্লাবণ আর একটা বিশাল নৌকার কথা উল্লেখ আছে। তবে কী এই সব গবেষণা কোরআনে বর্ণিত নূহ (আ.) এর ঘটনাকে সত্য প্রমাণ করে?যদিও বিজ্ঞানীরা এখনও নিশ্চিত করেননি যে তুরষ্কে আবিষ্কৃত নৌকাসদৃশ এই বস্তুই কোরআনে বর্ণিত হযরত নূহ (আ.) এর নৌকা। তবে এ নিয়ে এখনও বিস্তর গবেষণা চলছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য

দৈনিক বাংলাদেশের চিত্র একটি অনলাইন নিউজ পোর্টাল। এই পত্রিকার মূল স্লোগান হলো "সত্য প্রকাশে আপোষহীন"।আমরা এ দেশের নিপীড়িত ও নির্যাতিত মানুষের কথা বলি।একজন অসহায় মানুষের পাশে দাড়িয়ে অন্যায় প্রতিরোধে সাহায্য করতে আমরা সর্বদা অঙ্গীকারবদ্ধ।দৈনিক বাংলাদেশের চিত্র পত্রিকা গনমানুষের কথা বলে।
ট্যাগস :

নূহ (আ.) এর নৌকা পাওয়া গেলো আরারাত পর্বতে

আপডেট সময় : ১০:৫৫:০৮ অপরাহ্ন, রবিবার, ৭ এপ্রিল ২০২৪

নিজস্ব প্রতিবেদক : আশরাফ উদ্দিন

অবশেষে কি পাওয়া গেলো নুহ (আ.) এর নৌকা? তুরস্কের আরারাত পর্বতে পাওয়া গেছে নৌকা সদৃশ এক বস্তু, ধারণা করা হচ্ছে এটাই নূহ (আ.)-এর নৌকা যা মহাপ্লাবণ থেকে বাঁচিয়েছিলো বিশ্বাসীদেরকে।নূহ (আ.) আল্লাহর প্রেরিত একজন নবী এবং ইসলামের ইতিহাসের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একজন মানুষ। ধারণা করা হয়, আজ থেকে প্রায় ৫৫০০ বছর আগে পৃথিবীতে এসেছিলেন তিনি। দীর্ঘ ৯৫০ বছর একাধারে মানুষকে আল্লাহর পথে ডেকেছিলেন। তবে খুব অল্প কিছু লোক ঈমান আনে, এমনকি তার নিজের এক ছেলেও হয় অবিশ্বাসীদের অন্তর্ভূক্ত।অবশেষে মহান আল্লাহ মহাপ্লাবণ বা মহাবন্যা দিয়ে ধ্বংস করে দিলেন সে জাতিকে। যে বন্যার স্থায়ীত্বকাল ছিলো ৪০ দিন। তবে এই বন্যা থেকে বাঁচার জন্য আল্লাহ নূহ (আ.) কে একটা নৌকা তৈরির নির্দেশ দিলেন, যাতে জোড়ায় জোড়ায় সব প্রাণিদের উঠানো হলো বিশ্বাসীদের সাথে। ৪০ দিন পর যখন পানি নামতে শুরু করলো তখন সেই নৌকা থামলো এক পর্বতে গিয়ে। কথিত আছে, সে বন্যায় আক্রান্ত হয়েছিলো প্রায় পুরো পৃথিবী।১৯৫৯ সালে তুর্কি সেনাবাহিনীর ক্যাপ্টেইন ইলহান দুরপিনার একটি ফ্লাইং মিশন করার সময় আরারাত পর্বতের কয়েক মাইল দক্ষিণে অদ্ভুদ একধরণের আকৃতি দেখলেন। তাৎক্ষণিক তিনি কিছু ছবি তুলে নিলেন। সে ছবি ডেভেলপ করে দেখা গেলো বিশাল এক জাহাজের ফসিল। তবে আশ্চর্যের বিষয় হচ্ছে, যেখানে এই বস্তুটি দেখা গেলো তা সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে প্রায় ৬৫০০ ফুট উচুতে। সমুদ্র থেকে এতো উঁচুতে জাহাজ কিভাবে উঠলো তা নিয়ে তৈরি হয় জল্পনা!এই ছবিগুলো তখন সৃষ্টি করলো বেশ আলোড়। খ্রিস্ট ধর্মাবলম্বী ও মুসলিমদের মাঝে গুঞ্জন যে হয়ত পাওয়া গেছে নূহ (আ.) এর নৌকা। শুরু হলো গবেষণা। গবেষকরা এই ঘটনার প্রমাণের জন্য দুটি খুঁটি ঠিক করলেন। এক হচ্ছে সেই জাহাজ বা নৌকা আর দ্বিতীয়টি হচ্ছে সেই বিশাল বন্যা বা প্লাবণের প্রমাণ।১৯৯৭ সালে ভূতত্ববিদ আর সমুদ্র বিজ্ঞানীদের একটা দল কৃষ্ণসাগরের কাছে মিঠা পানির জলজ প্রাণিদের জীবাশ্ম খুঁজে পান। তখন ধারণা করা হয় যে হয়তো কৃষ্ণ সাগর একসময় মিঠা পানির লেক ছিলো, কিন্তু হঠাতই তা নোনা পানিতে রূপ নেয়। এর কারণ হিসেবে তারা বলেন, হয়তো সে সময় সমূদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা হঠাতই অনেক বেশি বৃদ্ধি পেয়েছিলো এবং তা কৃষ্ণসাগর সহ আশেপাশের বেশ কিছু এলাকা প্লাবিত করেছিলো। ১৯৮৫ সালের আরও একটা আবিষ্কার নূহ (আ.) এর নৌকার বিতর্কের মোড় ঘুরিয়ে দেয়। ৪০০০ বছর আগের একটি মাটির ছোট্ট প্রস্তর আবিষ্কার হয়। যাতে প্রাচীন ভাষায় কিছু একটা লেখা ছিলো। বহু বছরের গবেষণার পর অনুবাদ করা গেলো সে প্রস্তর। তা ছিলো গিলগামিশের মহাকাব্য।প্রাচীন মেসোপটেমিয়ান এই মহাকাব্যে এক মহাপ্লাবণের কথা বলা আছে, যা সৃষ্টিকর্তা পাপীদের শাস্তি হিসেবে দিয়েছিলেন। তাতে আরও বলা আছে যে, উটনাপিশটিম নামের একজন নশ্বর মানুষ একটি নৌকা তৈরি করে জোড়ায় জোড়ায় সব প্রাণিদের সেই নৌকায় তোলেন প্লাবণ থেকে বাঁচাতে। পানি নেমে গেলে সেই নৌকাটি ‘নিমুশ’ পর্বতে এসে থামে। আর এই গিলগেমেশের মহাকাব্য লেখা হয়েছিলো কোরআন নাজিলেরও কয়েক হাজার বছর আগে। অর্থাৎ পৃথিবীর বিভিন্ন সভ্যতায় একদম একই রকম একটা মহা প্লাবণ আর একটা বিশাল নৌকার কথা উল্লেখ আছে। তবে কী এই সব গবেষণা কোরআনে বর্ণিত নূহ (আ.) এর ঘটনাকে সত্য প্রমাণ করে?যদিও বিজ্ঞানীরা এখনও নিশ্চিত করেননি যে তুরষ্কে আবিষ্কৃত নৌকাসদৃশ এই বস্তুই কোরআনে বর্ণিত হযরত নূহ (আ.) এর নৌকা। তবে এ নিয়ে এখনও বিস্তর গবেষণা চলছে।