ঢাকা ০৩:১৩ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ২৩ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
সুন্দরবনের অভয়ারণ্য এলাকা থেকে ৩ টি নৌকাসহ ২ জেলেকে আটক করেছে বনবিভাগ বিগত ১৬ বছরের ফ্যাসিষ্ট সন্ত্রাস আজ গনঅধিকার পরিষদের কান্ডারী স্ত্রী মেয়ের জন্য দিশেহারা স্বামী দিপংকর এলজিইডির নতুন প্রধান প্রকৌশলী মো. আনোয়ার হোসেন বকশীগঞ্জে নিয়োগে জালিয়াতি: প্রধান শিক্ষক ও তার শ্যালিকার বেতন বন্ধ সিলিন্ডার বিস্ফোরণে প্রাণ হারালেন একই পরিবারের তিন সদস্য দুমকিতে গৃহবধুর আত্মহত্যা নির্মল বায়ু সবার অধিকার’ স্লোগানে সাতক্ষীরায় কুইজ ও রচনা প্রতিযোগিতা বকশীগঞ্জে চার দফা দাবি আদায়ে পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির ৭২ কর্মকর্তা- কর্মচারী গণছুটিতে ফেনী সদর উপজেলা ছাত্রদলের উদ্যোগে শহীদ জিয়া আন্তঃস্কুল ফুটবল টুর্নামেন্টের শুভ উদ্বোধন অনুষ্ঠিত হয়েছে

ফরিদপুরে “মাথা ফাটিয়ে” যুবককে পুলিশে দিল আ’লীগ নেতার ছেলে

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৮:৪৪:৫৮ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ৬ এপ্রিল ২০২৪ ৮৮ বার পড়া হয়েছে

স্টাফ রিপোর্টার:-

ফরিদপুর সদরে তরুণীদের উত্ত্যক্তের প্রতিবাদ করায় মোহাম্মদ তালহা নামে এক যুবককে মেরে মাথা ফাটানোর পর পুলিশে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে আওয়ামী লীগ নেতার ছেলের বিরুদ্ধে।

বৃহস্পতিবার রাত পৌনে ১০টার দিকে ফরিদপুর পৌরসভার চর কমলাপুর মহল্লা এলাকায় রামকৃষ্ণ মিশনের সামনে খান বাহাদুর ইসমাইল হোসেন সড়কে এ ঘটনা ঘটে।

প্রত্যক্ষদর্শী ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, রামকৃষ্ণ মিশনের সামনে আতশবাজি পুড়িয়ে বৃহস্পতিবার রাতে বন্ধুদের নিয়ে উল্লাস করছিল ফরিদপুর জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শাহ মুহাম্মদ ইশতিয়াকের ছেলে শাহ মোহাম্মদ আফরাহিম আদর (১৪)। এ সময় শহরের পশ্চিম খাবাসপুর মহল্লার বাসিন্দা মৃত এনায়েতুল্লাহর ছেলে তালহা (২১) প্রবাস থেকে আসা বোনমা ও বোনের এক বান্ধবীকে নিয়ে নোহা মাইক্রোবাসে করে রামকৃষ্ণ মিশনের সামনে ফুচকা খেতে যান।

মেয়েদের উত্ত্যক্ত করতে থাকলে আদরকে আতশবাজি পোড়াতে নিষেধ করেন তালহা। এ নিয়ে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে আদরকে চড়থাপ্পড় দেন তালহা। কিছুক্ষণের মধ্যে ফোন করে একদল যুবককে ডেকে এনে আদর বেদম মারধর করে তালহাকে। এতে তার মাথা ফেটে যায়। নিজেকে রক্ষায় তালহা মাইক্রোবাস থেকে একটি খেলনা পিস্তল বের করে আদরকে ভয় দেখানোর চেষ্টা করেন। এ সময় আদরের সহযোগীরা মাইক্রোবাসে ভাঙচুর চালায়। পরে স্থানীয়রা দু’জনকেই উদ্ধার করে ফরিদপুর জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যায়।

খবর পেয়ে কোতোয়ালি থানার পুলিশসহ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শাহ মোহাম্মদ ইশতিয়াক হাসপাতালে হাজির হন। ছেলেকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে বাড়ি নিয়ে যান ইশতিয়াক। আর আহত তালহাকে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে আটক করে পুলিশ।

এ বিষয়ে শুক্রবার রাতে তালহার বোন ভোরের বাংলা নিউজ কে বলেন, অন্যায়ের প্রতিবাদ করায় আমার ভাইকে যারা মারধর করেছে, পুলিশ তাদের না ধরে তালহাকেই আটক করে। আমরা খুবই শঙ্কিত। মারধরকারীরা প্রভাবশালী। আইনি লড়াইয়ে তাদের সঙ্গে আমরা পারব না। এ জন্য আমাদের অভিভাবকরা মামলা করতে নিষেধ করেছেন।

অভিযোগের বিষয়ে আওয়ামী লীগ নেতা শাহ মোহাম্মদ ইশতিয়াককে একাধিকবার কল দিলেও রিসিভ হয়নি।

ফরিদপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) সালাহউদ্দিন জানান, তালহার বিরুদ্ধে খেলনা পিস্তলের মাধ্যমে ভয় দেখানোর ঘটনায় মামলা প্রক্রিয়াধীন। তাছাড়া তালহাকে মারধর, মাইক্রোবাসে ভাঙচুর ও উত্ত্যক্তের ঘটনায় মামলা হলে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য

দৈনিক বাংলাদেশের চিত্র একটি অনলাইন নিউজ পোর্টাল। এই পত্রিকার মূল স্লোগান হলো "সত্য প্রকাশে আপোষহীন"।আমরা এ দেশের নিপীড়িত ও নির্যাতিত মানুষের কথা বলি।একজন অসহায় মানুষের পাশে দাড়িয়ে অন্যায় প্রতিরোধে সাহায্য করতে আমরা সর্বদা অঙ্গীকারবদ্ধ।দৈনিক বাংলাদেশের চিত্র পত্রিকা গনমানুষের কথা বলে।
ট্যাগস :

ফরিদপুরে “মাথা ফাটিয়ে” যুবককে পুলিশে দিল আ’লীগ নেতার ছেলে

আপডেট সময় : ০৮:৪৪:৫৮ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ৬ এপ্রিল ২০২৪

স্টাফ রিপোর্টার:-

ফরিদপুর সদরে তরুণীদের উত্ত্যক্তের প্রতিবাদ করায় মোহাম্মদ তালহা নামে এক যুবককে মেরে মাথা ফাটানোর পর পুলিশে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে আওয়ামী লীগ নেতার ছেলের বিরুদ্ধে।

বৃহস্পতিবার রাত পৌনে ১০টার দিকে ফরিদপুর পৌরসভার চর কমলাপুর মহল্লা এলাকায় রামকৃষ্ণ মিশনের সামনে খান বাহাদুর ইসমাইল হোসেন সড়কে এ ঘটনা ঘটে।

প্রত্যক্ষদর্শী ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, রামকৃষ্ণ মিশনের সামনে আতশবাজি পুড়িয়ে বৃহস্পতিবার রাতে বন্ধুদের নিয়ে উল্লাস করছিল ফরিদপুর জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শাহ মুহাম্মদ ইশতিয়াকের ছেলে শাহ মোহাম্মদ আফরাহিম আদর (১৪)। এ সময় শহরের পশ্চিম খাবাসপুর মহল্লার বাসিন্দা মৃত এনায়েতুল্লাহর ছেলে তালহা (২১) প্রবাস থেকে আসা বোনমা ও বোনের এক বান্ধবীকে নিয়ে নোহা মাইক্রোবাসে করে রামকৃষ্ণ মিশনের সামনে ফুচকা খেতে যান।

মেয়েদের উত্ত্যক্ত করতে থাকলে আদরকে আতশবাজি পোড়াতে নিষেধ করেন তালহা। এ নিয়ে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে আদরকে চড়থাপ্পড় দেন তালহা। কিছুক্ষণের মধ্যে ফোন করে একদল যুবককে ডেকে এনে আদর বেদম মারধর করে তালহাকে। এতে তার মাথা ফেটে যায়। নিজেকে রক্ষায় তালহা মাইক্রোবাস থেকে একটি খেলনা পিস্তল বের করে আদরকে ভয় দেখানোর চেষ্টা করেন। এ সময় আদরের সহযোগীরা মাইক্রোবাসে ভাঙচুর চালায়। পরে স্থানীয়রা দু’জনকেই উদ্ধার করে ফরিদপুর জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যায়।

খবর পেয়ে কোতোয়ালি থানার পুলিশসহ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শাহ মোহাম্মদ ইশতিয়াক হাসপাতালে হাজির হন। ছেলেকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে বাড়ি নিয়ে যান ইশতিয়াক। আর আহত তালহাকে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে আটক করে পুলিশ।

এ বিষয়ে শুক্রবার রাতে তালহার বোন ভোরের বাংলা নিউজ কে বলেন, অন্যায়ের প্রতিবাদ করায় আমার ভাইকে যারা মারধর করেছে, পুলিশ তাদের না ধরে তালহাকেই আটক করে। আমরা খুবই শঙ্কিত। মারধরকারীরা প্রভাবশালী। আইনি লড়াইয়ে তাদের সঙ্গে আমরা পারব না। এ জন্য আমাদের অভিভাবকরা মামলা করতে নিষেধ করেছেন।

অভিযোগের বিষয়ে আওয়ামী লীগ নেতা শাহ মোহাম্মদ ইশতিয়াককে একাধিকবার কল দিলেও রিসিভ হয়নি।

ফরিদপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) সালাহউদ্দিন জানান, তালহার বিরুদ্ধে খেলনা পিস্তলের মাধ্যমে ভয় দেখানোর ঘটনায় মামলা প্রক্রিয়াধীন। তাছাড়া তালহাকে মারধর, মাইক্রোবাসে ভাঙচুর ও উত্ত্যক্তের ঘটনায় মামলা হলে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।