ঢাকা ০৫:১৭ অপরাহ্ন, সোমবার, ০৩ নভেম্বর ২০২৫, ১৯ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
কোয়েপাড়ায় সর্বজনীন শ্রীশ্রী জগদ্ধাত্রী পূজা ও অষ্টপ্রহরব্যাপী মহোৎসব অনুষ্ঠিত জাতীয় রক্তদাতা দিবসে ফেনীর সেরা রক্তদাতা সংগঠক হিসেবে নুর নবীকে সম্মাননা অসহায় এক ভাইয়ের জন্য ইলেকট্রিক হুইলচেয়ার সহায়তার আবেদন জাতীয় পার্টির কাধে ভর দিয়ে আওয়ামীলীগ নির্বাচনে আসতে চায় -আলতাফ হোসেন চৌধুরী রাণীশংকৈলে ভাংবাড়ী ফুটকিবাড়ী বালিকা নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়টি নির্মল পরিবেশে পাঠদান শ্যামনগরে প্যাথলজী গুলোতে অভিযান ২ টিতে জরিমানা, ১ টি বন্ধ শাল্লায় মরণফাঁদে চাকুয়া-মিলনবাজার রাস্তা : প্রায় ৩ হাজার মানুষের জীবনযাত্রা বিপর্যস্ত  ঠাকুরগায়ে ট্রেনে কাটা পড়ে এক বৃদ্ধার মৃত্যু সাবেক এমপি ফজলে করিমের সহযোগী হিসাবে যেভাবে ত্রাসের রাজত্ব করেছেন কাজী বশর অতিরিক্ত বৃষ্টিতে বাড়ি ভেঙে চরম বিপদে, সহযোগিতা কামনা

জীবননগরে পানি পানের সময় শ্যালোমেশিনের মধ্যে চলে গেল ওড়না, মুহুর্তেই শেষ ছোট্ট মরিয়ম

নিজেস্ব প্রতিনিধি
  • আপডেট সময় : ০৩:৩৫:১৪ অপরাহ্ন, রবিবার, ৩১ মার্চ ২০২৪ ১২৮ বার পড়া হয়েছে

মোঃ আসাদুজ্জামান আসাদ

চুয়াডাঙ্গা প্রতিনিধি:-চুয়াডাঙ্গার জীবননগর উপজেলার যাদবপুরে শ্যালোমেশিনে ওড়না পেছিয়ে মরিয়ম খাতুন (৭) নামের এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে। আজ রোববার (৩১ মার্চ) ইফতারের পূর্বে বাড়ির পাশে এ দূর্ঘটনা ঘটে।
মরিয়ম খাতুন জীবননগর উপজেলার সীমান্ত ইউনিয়নের যাদবপুর গ্রামের মাঝেরপাড়ার মুদি ব্যবসায়ী হাফিজুর রহমানের মেয়ে। দুই ছেলে-মেয়ের মধ্যে মরিয়ম ছিল বড়। এক মাত্র মেয়েকে হারিয়ে কান্নায় ভেঙ্গে পড়েছেন বাবা-মা।
স্থানীয় ইউপি সদস্য আব্দুল কুদ্দুস সাংবাদিকদের বলেন, পানি পান করার সময় শিশু মরিয়মের গলায় থাকা ওড়না শ্যালোমেশিনের ইঞ্জিনের মধ্যে পেচিয়ে যায়। এতে ঘটনাস্থলেই মারা যায় মরিয়ম। দুই ভাই বোনের মধ্যে মরিয়ম ছিল বড়। একমাত্র মেয়েকে হারিয়ে পরিবারে নেমে এসেছে শোকের ছায়া।
সীমান্ত ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ ইশাবুল ইসলাম মিল্টন বলেন, বাড়ির পাশে বেরো ধান ক্ষেতে শ্যালোমেশিনযোগে পানি (সেচ) দেয়া হচ্ছিল। সেখানে শিশু মরিয়মসহ তার সহপাঠিরা খেলছিল।এসময় শ্যালোমেশিনের মুখ ঠেকিয়ে পানি পান করার সময় ওড়না শ্যালোমেশিনের মধ্যে ঢুকে গেলে শিশু মরিয়ম কয়েকপাক ঘুরে ছিটকে দূরে গিয়ে পড়ে। এতে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়। পরে পরিবারের সদস্যরা মরিয়মকে উদ্ধার করে জীবননগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেয়া হলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষনা করেন।এ বিষয়ে জানতে জীবননগর থানা পুলিশের পরিদর্শক (ওসি) এস এম জাবীদ হাসানের সরকারি নাম্বারে কল করা হলে তিনি রিসিভ করেননি।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য

দৈনিক বাংলাদেশের চিত্র একটি অনলাইন নিউজ পোর্টাল। এই পত্রিকার মূল স্লোগান হলো "সত্য প্রকাশে আপোষহীন"।আমরা এ দেশের নিপীড়িত ও নির্যাতিত মানুষের কথা বলি।একজন অসহায় মানুষের পাশে দাড়িয়ে অন্যায় প্রতিরোধে সাহায্য করতে আমরা সর্বদা অঙ্গীকারবদ্ধ।দৈনিক বাংলাদেশের চিত্র পত্রিকা গনমানুষের কথা বলে।
ট্যাগস :

জীবননগরে পানি পানের সময় শ্যালোমেশিনের মধ্যে চলে গেল ওড়না, মুহুর্তেই শেষ ছোট্ট মরিয়ম

আপডেট সময় : ০৩:৩৫:১৪ অপরাহ্ন, রবিবার, ৩১ মার্চ ২০২৪

মোঃ আসাদুজ্জামান আসাদ

চুয়াডাঙ্গা প্রতিনিধি:-চুয়াডাঙ্গার জীবননগর উপজেলার যাদবপুরে শ্যালোমেশিনে ওড়না পেছিয়ে মরিয়ম খাতুন (৭) নামের এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে। আজ রোববার (৩১ মার্চ) ইফতারের পূর্বে বাড়ির পাশে এ দূর্ঘটনা ঘটে।
মরিয়ম খাতুন জীবননগর উপজেলার সীমান্ত ইউনিয়নের যাদবপুর গ্রামের মাঝেরপাড়ার মুদি ব্যবসায়ী হাফিজুর রহমানের মেয়ে। দুই ছেলে-মেয়ের মধ্যে মরিয়ম ছিল বড়। এক মাত্র মেয়েকে হারিয়ে কান্নায় ভেঙ্গে পড়েছেন বাবা-মা।
স্থানীয় ইউপি সদস্য আব্দুল কুদ্দুস সাংবাদিকদের বলেন, পানি পান করার সময় শিশু মরিয়মের গলায় থাকা ওড়না শ্যালোমেশিনের ইঞ্জিনের মধ্যে পেচিয়ে যায়। এতে ঘটনাস্থলেই মারা যায় মরিয়ম। দুই ভাই বোনের মধ্যে মরিয়ম ছিল বড়। একমাত্র মেয়েকে হারিয়ে পরিবারে নেমে এসেছে শোকের ছায়া।
সীমান্ত ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ ইশাবুল ইসলাম মিল্টন বলেন, বাড়ির পাশে বেরো ধান ক্ষেতে শ্যালোমেশিনযোগে পানি (সেচ) দেয়া হচ্ছিল। সেখানে শিশু মরিয়মসহ তার সহপাঠিরা খেলছিল।এসময় শ্যালোমেশিনের মুখ ঠেকিয়ে পানি পান করার সময় ওড়না শ্যালোমেশিনের মধ্যে ঢুকে গেলে শিশু মরিয়ম কয়েকপাক ঘুরে ছিটকে দূরে গিয়ে পড়ে। এতে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়। পরে পরিবারের সদস্যরা মরিয়মকে উদ্ধার করে জীবননগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেয়া হলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষনা করেন।এ বিষয়ে জানতে জীবননগর থানা পুলিশের পরিদর্শক (ওসি) এস এম জাবীদ হাসানের সরকারি নাম্বারে কল করা হলে তিনি রিসিভ করেননি।